খুনি বউ – রমাপদ চৌধুরী
পাড়ার নিভাদির নামই হয়ে গিয়েছিল খুনি বউ। সামনা-সামনি ওঁকে ‘নিভাদি’ বললেও আড়ালে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনায় আমিও অনেক সময় ‘খুনি বউ’ বলে ফেলতাম।
এ নামকরণ হয়েছিল সেই প্রথম দিন থেকে যেদিন খবরটা প্রথম দেখলাম খবরের কাগজে। যেদিন সন্ধের সময় নিভাদি এসে উঠলেন মধু স্যাকরা লেনের একতলাটায়।
মধু স্যাকরা লেনে তখন বেশ অন্ধকার নেমেছে। আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে অবিরত। দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে নির্জন গলিটার দিকে তাকিয়েছিলাম একদৃষ্টে। গলির মোড়ে শুধু একটা বাছুর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজছিল। আর অন্ধকার গলিটার বাঁকে বাঁকে লাঠিতে থুতনি রেখে পাহারাদার সিপাই যেমন দাঁড়িয়ে ঘুমোয় তেমনিভাবে মাথায় আলোর পাগড়ি বেঁধে গোটা পাঁচেক গ্যাসপোস্ট দূরে দূরে দাঁড়িয়ে ঢুলছিল। রাস্তার জমা হাঁটুজল পার হয়ে ঠুন ঠুন করতে করতে এগিয়ে গেল একটা রিক্সা।
বৃষ্টিতে ভেজা পিচের রাস্তাটা গ্যাসের আলোয় চকচক করছিল। তার ওপর আরও এক ছটা আলো এসে পড়ল। ফিরে তাকিয়ে দেখলাম ফাঁসুড়ে জজের জানালায় আলো জ্বলছে। রাস্তাটার মতোই জজ সাহেবের চকচকে টাকটা চোখে পড়ল। একরাশ বই আর খাতাপত্তরের ওপর ঝুঁকে পড়ল তাঁর মাথা।
ঘটনাক্রমেই বলতে হবে, হঠাৎ শুনলাম, খুনি রতনচাঁদের বিচার হবে ওই পড়শি জজ-সাহেবের আদালতে, উকিল মোক্তাররা যার নাম দিয়েছে জল্লাদ, আর অগুন্তি ফাঁসির হুকুম দেয়ার জন্যে পাড়ার ছেলেরা যার নামকরণ করেছিল ফাঁসুড়ে জজ। এই জজ-সাহেবের টাকের ওপর চোখ রেখে ভাবছিলাম রতনচাঁদের কথা।
এমন সময় ক্যাঁচকোচ শব্দ করে গলিতে ঢুকল একটা ফিটন। জিরজিরে ঘোড়া আর নড়বড়ে গাড়িটা জল ঠেলে ঠেলে এগিয়ে এলো, এসে থামল রতনচাঁদের একতলাটার সামনে। চারপাশ তার ঢাকা, ভেতরে আরোহী কেউ আছে কি নেই বোঝা দায়।
গাড়ি থামিয়ে কোচোয়ানটা নামল এক লাফে, সরিয়ে দিল তেরপলের ঢাকাঢুকি। আর পরক্ষণেই বুড়োগোছের এক ভদ্রলোক নেমে কপাটের তালা খুললেন। ফিরে এসে ভাড়া চুকিয়ে দিলেন ফিটনের আর সঙ্গে সঙ্গে কোলে একটি বাচ্চা ছেলে নিয়ে যিনি নামলেন তিনিই নিভাদি। অল্প ঘোমটার আড়ালে ফর্সা এক টুকরো মুখ, শ্বেতশঙ্খের মতো মসৃণ সাদা দুখানি হাতে সরু সরু কয়েক গাছা চুড়ি। এইটুকুই, আর কিছু না। ধীর পায়ে ঘরে ঢুকে আলো জ্বালল সে, জিনিসপত্তর হাতে নিয়ে বুড়ো ভদ্রলোকও চোখের আড়ালে চলে গেলেন, কপাট বন্ধ হল।
মনে রহস্য পুষে রাত কাটল। আর ভোরবেলাতেই জবাব পেলাম তার। মুখ-হাত ধুয়ে রাস্তার দিকের বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই দেখলাম রতনচাঁদের একতলার জানালায় দাঁড়িয়ে নিভাদি।
দেখলাম উদাস দৃষ্টি মেলে জানালার গরাদে গাল চেপে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন নিভাদি। চোখ তাঁর ফাঁসুড়ে জজের জানালায়।
বিকেলে আপিস থেকে ফেরবার সময়েও অজান্তে চোখ গেল সেদিকে। দেখলাম, ছেলেটা হাঁটু জড়িয়ে ধরে কাঁদছে, অথচ খেয়াল নেই নিভাদির। গায়ে আধময়লা একখানা শাড়ি, চুলে চিরুনি পড়েনি, মুখে কেমন একটা বিষাদের ছায়া।
একদৃষ্টে ফাঁসুড়ে জজের জানালার দিকে তাকিয়ে ছিলেন নিভাদি, আমাকে লক্ষ করেননি।
এগিয়ে গিয়ে বললাম, এলেন নিভাদি?
মনে হল যেন একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে রাখলেন, চোখে চোখ ফেলতে পারলেন না। শুধু মাথা নেড়ে বললেন, হ্যাঁ।
কথা খুঁজে না পেয়ে দাঁড়িয়েছিলাম কিছুক্ষণ। নিভাদি কপাট খুলে শান্ত গলায় বললেন, এসো।
গিয়ে বসলাম ঘরে, আর বসার পর কেবলই ইচ্ছে হল উঠে পড়তে। কি বলব, কিভাবে বলব কিছুই খুঁজে পেলাম না।
চটির শব্দ তুলে ঘরে ঢুকলেন নিভাদির বাবা, আমার দিকে চোখ পড়তেই অস্বস্তিতে এদিক-ওদিক কি যেন খুঁজলেন, তারপর ধীরে ধীরে এসে বসলেন বেতের মোড়াটার ওপর।
বললেন, কি যে করব, কি যে করা যায়?
বুঝলাম দুশ্চিন্তায় কাঁপছেন ভদ্রলোক।
জিজ্ঞেস করলাম, ভাল উকিলের ব্যবস্থা করেছেন তো?
বিষণ্ণ হাসি হাসলেন উনি। ভাল উকিল। যে জজের আদালতে মামলা পড়েছে।
বললাম, উকিলকে বলুন না, অন্য কারও কোর্টে বদলে নিতে।
কথাটা শুনে চকিতে একবার নিভাদির মুখের দিকে তাকালেন উনি তারপর আবার মাথা নিচু করে রইলেন। খানিক পরে যেমন চটি চটচট করতে করতে এসেছিলেন তেমনি চলে গেলেন আবার পাশের ঘরে।
আর নিভাদি হঠাৎ প্রশ্ন করলেন আচ্ছা, বিশ্বাস হয় তোমার? ও এমন জঘন্য কাজ করতে পারে?
সান্ত্বনা দেবার জন্যেই হয়তো বললাম, কক্ষনো না।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে নিভাদি বললেন, তোমাদের ওই ফাঁসুড়ে জজের কোর্টে নাকি কেউ কখনো খালাস পায়নি?
মন না রাজি হলেও মুখে হাসি টেনে বললাম, মিছে কথা।
এতক্ষণে একটু ম্লান হাসলেন নিভাদি, তাই বলো। যদ্দিন না ভাই ও খালাস হয়ে আসছে ঘুমোতে পারছি না রাত্তিরে, সারা গায়ে কেমন যেন জ্বালা জ্বালা করছে। ডাক্তার বলছে খুব ভয় পেলে নাকি এমন হয়।
বললাম, হ্যাঁ, বেশি নার্ভাস হলে জ্বর হয় অনেক সময়।
নিভাদি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। নিজের কথা তো ভাবছিনে ভাই। নিভাদির গলার স্বরে যেন চোখের জল মিশল।
বললাম, ভাববেন না নিভাদি, নির্দোষ লোককে কি শাস্তি দিলেই হল?
নিভাদি আশঙ্কায় চোখ তুলে বললেন, হ্যাঁ ভাই, জজ যদি ভাবে ও সত্যিই দোষী, তাহলে, তা হলে কি ফাঁসি হবে?
হেসে হালকা করার চেষ্টা করলাম। বললাম, ফাঁসি? না, না ফাঁসি হবে কেন?
বললাম বটে, কিন্তু মনে মনে বেশ জানতাম মিথ্যে সান্ত্বনা দিচ্ছি নিভাদিকে। আর কোনো কোনোদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে, আপিস থেকে ফেরার সময় অথবা রাত্তিরে শুতে যাবার আগে নিভাদিকে জানালার ধারে উদাস ম্লান চোখ মেলে ফাঁসুড়ে জজের বাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মনে প্রশ্ন জাগত, এও কি সম্ভব? স্বামীর সম্পর্কে কি এতটুকু সন্দেহ নেই নিভাদির মনে? সত্যিই কি তাঁর ধারণা রতনচাঁদ নির্দোষ? না কি সব জেনেশুনেও রতনচাঁদকে ক্ষমা করেছেন নিভাদি?
একটি মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা জন্মেছিল রতনচাঁদের, ঘনিষ্ঠতা থেকে প্রেম, প্রেম থেকে প্রবৃত্তি। তারপর হঠাৎ কলঙ্কের বিভীষিকা দেখেছিল রতনচাঁদ। সেই কলঙ্ক অপসারণে স্থুল পথের সাহায্য নিতে গিয়েই কি না কে জানে, মৃত্যু ঘটে মেয়েটির।
এমন একটি নৃশংস ইতিহাসের নায়ক রতনচাঁদ—এ খবর জানার পরও কি করে স্বামীকে ক্ষমা করলেন নিভাদি।
ক্ষমা! না, ক্ষমার চেয়েও আরও অনেক মহৎ গুণ বলতে হবে। চোখের সামনে দিনের পর দিন দেখলাম নিভাদির সুস্থ সুন্দর মুখে রোগপান্ডুর দুশ্চিন্তার ছায়া নামছে। শরীর শীর্ণ হয়ে চলেছে দিনে দিনে, স্নিগ্ধযৌবন মুখে নামছে রুগ্ণ বিষণ্ণতা।
নিভাদির বুকের ভেতর দিন-রাত যে আশঙ্কার আগুন জ্বলত, তা তাঁর চেহারাতেই প্রকাশ পেত। নিভাদির বাবাও বুঝতেন সব।
দুঃখ করে একদিন বললেন, জামাইকে হয়তো বাঁচাতে পারব, কিন্তু মেয়ে বাঁচবে না আমি জানি।
সত্যিই তাই। প্রতিদিন সকালে ফাঁসুড়ে জজ গাড়ি চেপে কোর্টে যেতেন, প্রতিদিন বিকেলে ফিরে আসতেন যথারীতি। বোধ হয় লক্ষও করতেন না তিনি, ওপাশের একটি একতলা বাড়ির জানালায় ব্যথায় ভরা দুটি চোখ তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে। আশায় আশায় দিন গোনে, যদি কোনোদিন চোখে চোখ পড়ে। তাহলে, তা হলে হয়তো ওই একজোড়া কান্নাভেজা চোখের দৃষ্টিতে স্বামীর প্রাণভিক্ষা করে অনুরোধ জানাবেন নিভাদি। আর এই দুশ্চিন্তার প্রতীক্ষায় দিনে দিনে দেখতাম ক্রমশই রোগা হয়ে যাচ্ছেন নিভাদি, মুখে ফুটছে রুগ্ণ কুঞ্চন, শরীরে অবহেলা।
শুধু কি তাই? রতনচাঁদকে বাঁচাবার জন্যে নিজেদের বাঁচবার মতনও কিছু আর অবশিষ্ট রাখলেন না নিভাদি।।
নিভাদির বাবাই খবরটা ভাঙলেন একদিন। বললেন, খরচখরচা তো কম হচ্ছে না, তবু মেয়ের সিঁথির সিঁদুর বজায় রাখবার জন্যে বিষয়-সম্পত্তি সব বিক্রি করে দিলাম।
শুধু বিষয়-সম্পত্তিই নয়, হঠাৎ লক্ষ করলাম, নিভাদির হাতের চুড়ির সংখ্যা যেন বেশ কিছু কমে গেছে। গলার হারে তবু কণ্ঠি ঢাকা ছিল, তাও দেখা গেল না আর।
পাড়ার মেয়েরা বলাবলি করত, এমন স্ত্রীর কিনা অমন স্বামী।
আমরাও একথা বলাবলি করতাম। সর্বস্ব পণ করে যে স্বামীকে বাঁচাতে চায়, যে-স্বামী স্ত্রীর বিশ্বাসের মূল্য দেয় না, অন্য মেয়ের আকর্ষণে ছুটে বেড়ায়, আর সেই মেয়েকেই খুন করার দায়ে অভিযুক্ত হয়, সেই নিভাদির ভাগ্যে কিনা রতনচাঁদের মতো স্বামী।
নিভাদির জন্যে দুঃখের দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম আমরা।
আর নিভাদি বলত, আমি বিশ্বাস করি না ভাই। সব মিছে কথা, সব পুলিশের কারসাজি। ও কখনো এমন কাজ করতে পারে? ও খুন করবে? মেয়েদের মতো নরম হাত, তুমি তো দেখনি, চাঁপার কলির মতো আঙুল সেই হাতে কিনা—
অবিশ্বাসের হাসি হাসতেন নিভাদি। আব তাঁর কথা শুনতে শুনতে আমাদেরও কেমন যেন অবিশ্বাস হত।।
নিভাদি বলতেন, আমি সব সহ্য করতে পারি ভাই, কিন্তু দুশ্চরিত্র পুরুষ আমার দু’ চক্ষের বিষ।
বলতেন, আমার কি মনে হয় জানো, এমনি ধারার কোনো লোকই ওকে মামলায় জড়িয়েছে।
রতনচাঁদকে মামলায় কে জড়িয়েছে তার খোঁজ না পেলেও দিনে দিনে মামলার বিবরণ শুনতাম নিভাদির বাবার কাছে, কখনো বা খবরের কাগজে, আর বুঝতে পারতাম বিষয়সম্পত্তি, নিভাদির হাতের চুড়ি গলার হার বিক্রি করা টাকায় যে উকিল লাগানো হয়েছিল তার বুদ্ধির প্যাঁচে মামলাটাও কম জড়িয়ে যায়নি।
তারপর একদিন শুনলাম, রতনচাঁদের মামলার রায় বেরুবে। রতনচাঁদ ছাড়া পাবে, একথা কেউ ভুলেও ভাবিনি আমরা। নিভাদি ছোট্ট ছেলেটাকে কোলে নিয়ে ফিটনে উঠে বসলেন। নিভাদির বাবার সঙ্গে সঙ্গে আমিও গাড়িতে উঠলাম। মনে তখন শুধুই ভয়, শুধুই আশঙ্কা। আগে থেকেই এক ডাক্তার বন্ধুকে বলে রেখেছিলাম, আদালতে উপস্থিত থাকবার জন্যে। হয় ফাঁসি, আর নয়তো দীর্ঘদিনের কারাদণ্ড। আর রায় শুনেই হয়তো নিভাদি অজ্ঞান হয়ে পড়বেন, ভয় ছিল মনে। সেদিনই হয়তো প্রথম মনে মনে একান্তভাবে ভগবানের কাছে প্রার্থনা ছিল: রতনচাঁদের যেন ফাঁসি না হয়। তা হলে, তা হলে হয়তো নিভাদিকে বাঁচানো যাবে।।
কিন্তু রায় শুনে আমরা সবাই চমকে উঠলাম। প্রথমটা নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস হল না। খালাস? সন্দেহের অবকাশে খালাস পেয়ে গেল রতনচাঁদ!
একমুখ হেসে উঠে ফিরে তাকালেন নিভাদি, আর নিভাদির দু’ চোখ বেয়ে ঝর ঝর করে জল গড়িয়ে পড়ল।—বলেছিলাম না? বলিনি আমি, সব মিথ্যে।
একই ফিটনে রতনচাঁদকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলাম আমরা। আর সারা রাস্তা অনর্গল কথায়, হাসিতে, চুমোয় চুমোয় কোলের ছেলেটার মুখ ভরিয়ে দিয়ে আমাদের সকলের মনেই খুশির ঢেউ তুললেন নিভাদি।
শুধু রতনচাঁদ কোনো কথা বলল না। এক কোণে জানালার বাইরে মুখ গলিয়ে দিয়ে বসে রইল ও বুঝলাম, লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না ও।
রাত্তিরে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবলাম, মানুষের জীবনের যদি কোনো সত্যিকারের আনন্দের রাত থাকে তো নিভাদি সে-আনন্দের স্পর্শ পেলেন এতদিনে।।
ভাবলাম, সক্কালবেলাতেই রতনচাঁদকে জানিয়ে আসব কতখানি ত্যাগ আর দুঃখবরণের মধ্যে দিয়ে, কত গভীর বিশ্বাস আর প্রেমের হাতিয়ার নিয়ে নিভাদি তাকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।
কিন্তু হট্টগোল শুনে ভোরবেলাতেই ঘুম ভেঙে গেল। শুনলাম, শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। এও কি সম্ভব?
রতনচাঁদ বিষ খেয়েছে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে রতনচাঁদ।
শুনলাম নিভাদি নাকি আবোল-তাবোল কি সব বলছেন। নিভাদি পাগল হয়ে গেছেন।
দেখা করতে গেলাম।
বোবা চোখ মেলে আমার মুখের দিকে অনেকক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন নিভাদি। তারপর হঠাৎ খিল খিল করে হেসে উঠে বললেন, ক্ষমা? ক্ষমা করতে হবে? জানো, দুশ্চরিত্র পুরুষ আমার দু’চক্ষের বিষ। হ্যাঁ বিষ বিষ।
খিল খিল করে আবার উন্মাদের মতো হেসে উঠলেন নিভাদি। আর তাঁর বিষের মতো নীল একজোড়া চোখের হাসি দেখে ভয় পেলাম।
২৩ আগস্ট ১৯৫৩