কলকাতার গঙ্গার ঘাট
অষ্টাদশ শতাব্দীর কলকাতায় একদিকে যেমন শহর গড়ে উঠেছিল ও পথ রাস্তা তৈরি হচ্ছিল, অপর দিকে তেমনই ভাগীরথীর তীরে ঘাটসমূহ নির্মিত হচ্ছিল। এসকল ঘাট হয় সরকারী ব্যয়ে আর তা নয় তো বড়লোকদের পয়সায় তৈরি হচ্ছিল। সরকারী ব্যয়ে বোধ হয় মাত্র দুটো ঘাটই তৈরি হয়েছিল। একটা হচ্ছে পুরানো কেল্লারঘাট (যা থেকে কয়লাঘাট স্ট্রীট নামের উৎপত্তি হয়েছে,) আর অপরটা হচ্ছে বাগবাজারে পুরানো বারুদখানার ঘাট। উচ্চ ও নিম্ন, এই উভয় কোটির লোকই এই সকল ঘাটে প্রাতঃস্নান করত। আমরা পড়ি যে মহারাজ নবকৃষ্ণদেব প্রত্যহ প্রাতে তাঁর শোভাবাজার রাজবাটি থেকে নগ্নপদে বেরিয়ে বাগবাজারে আসতেন গঙ্গাস্নান করতে। সঙ্গে থাকত একজন বর্ণাঢ্য পোষাকপরা ছত্রধারী। স্নান সেরে ফেরবার পথে তিনি একবার করে বনমালী সরকারের বাড়িতে ঢু করতেন বনমালীর ছেলে রাধানাথের সঙ্গে গল্পগুজব করবার জন্য।
মেয়েরা সেযুগে ছিল কট্টর অসূর্যম্পশ্যা। সেজন্য সাধারণ ঘরের মেয়েরা ভোর রাতেই গঙ্গাস্নান সেরে সূর্যোদয়ের পূর্বেই বাড়ি ফিরত। আর অভিজাত সম্প্রদায়ের মেয়েরা পালকি করেই গঙ্গাস্নানে আসত। পালকিবাহকরা আরোহিণী সমেত পালকিটাকে গঙ্গার জলে চুবিয়ে দিত। তখন আরোহিণী পালকির ভিতরেই স্নান করতেন ও বস্ত্র পরিবর্তন করতেন।
রাজা নবকৃষ্ণ ঠিক কোন ঘাটে স্নান করতেন তা আমরা জানি না। তবে মনে হয় সেটা বাগবাজারের পুরানো বারুদখানার ঘাট। কেননা, পরবর্তীকালে ওই ঘাটটার যেখানে অবস্থান ছিল, সেখানেই তৈরি হয়েছিল পাশাপাশি দু’টা ঘাট। একটা মহারাজ নবকৃষ্ণের ঘাট ও আর একটা দুর্গাচরণ মুখুজ্যের ঘাট। প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে শোভাবাজার রাজবাটিতে যে দুর্গাপূজা হয়, তার প্রতিমা বিসর্জন, বাগবাজারে মহারাজ নবকৃষ্ণ দেবের ঘাটেই হয়।
১৭৮৫ সালে মার্ক উড কলকাতায় যে মানচিত্ৰ (যেটা ১৭৯২ খ্রীষ্টাব্দে উইলিয়াম বেলী প্রকাশ করেছিলেন) তৈরি করেছিলেন, তাতে মহারাজ নবকৃষ্ণ দেবের ঘাটের কোন উল্লেখ নেই। সেজন্য নবকৃষ্ণ দেবের ঘাটটা ওই তারিখের পরেই তৈরি হয়েছিল। বাগবাজারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ঘাট হচ্ছে অন্নপূর্ণার ঘাট বা রসিক নিয়োগীর ঘাট। রসিক নিয়োগীর ঘাটটাও মার্ক উডের ম্যাপে নেই। বাগবাজারের পুরাতন বারুদখানার ঘাট থেকে শুরু করে দক্ষিণে চাঁদপাল ঘাট পর্যন্ত মাত্র ৩৯টা ঘাট মার্ক উডের ম্যাপে দেখানো আছে। উত্তর থেকে দক্ষিণে যথাক্রমে সে ঘাটগুলো হচ্ছে—ওলড্ পাউডার মিল ঘাট, রঘু মিত্রের ঘাট, কাশীরাম মিত্রের ঘাট, বনমালী সরকারের ঘাট, কেটুয়া ঘাট, রথতলা ঘাট, সুতানটি ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, মানিক বসুর ঘাট, মদন দত্তের ঘাট, টুনুবাবুর ঘাট, নিমতলা ঘাট, জোড়াবাগান ঘাট, গোকুলবাবুর ঘাট, লাটুমার ঘাট, পাথুরিয়া ঘাট, শিবতলা ঘাট, হাটখোলা ঘাট, হরিনাথ দেওয়ানের ঘাট, শোভারাম বসাকের ঘাট, নবারের ঘাট, বৈষ্ণবদাস শেঠের ঘাট, কদমতলা ঘাট, কাশীনাথবাবুর ঘাট, হুজুরীমলের ঘাট, নয়ন মল্লিকের ঘাট, বলরাম চন্দ্রের ঘাট, বড়বাজার ঘাট, ব্যারোটা সাহেবের ঘাট, জ্যাকসন ঘাট, ফোরম্যানস্ ঘাট, ব্লাইট সাহেবের ঘাট, ওলড ফোর্ট ঘাট, নিউ ওয়ার্ক ঘাট, কাঁচাগুড়ি ঘাট, ও চাঁদপাল ঘাট। মোট ৩৯টা ঘাট। এ সকল ঘাটের মধ্যে অনেকগুলি অবশ্য এখন আর নেই। আবার অনেক নূতন ঘাটও তৈরি হয়েছে।
বলা হয় কলকাতার সবচেয়ে প্রাচীন ঘাট হচ্ছে পুরানো কেল্লার পিছনের ঘাটটা, যেটা মার্ক উড বা উইলিয়াম বেলীর মানচিত্রে ‘ওলড ফোর্ট ঘাট’ বলে চিহ্নিত হয়েছিল। তবে প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে আর দুটো ঘাটেরও দাবী উপেক্ষনীয় নয়। তার মধ্যে একটা হচ্ছে চাঁদপাল ঘাট, আর অপরটা হচ্ছে সুতানটি ঘাট যেখানে ১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে জোব চার্নক এসে অবতরণ করেছিলেন। বড়বাজার ঘাটও বেশ প্রাচীন ঘাট, কেননা আমরা ইংরেজদের একেবারে গোড়ার দিকের খাতায় গ্রেট বাজার’-এর উল্লেখ পাই। বনমালী সরকারের ঘাটও খুব পুরানো ঘাট, কেননা বনমালী সরকার ছিলেন ইংরেজদের গোড়ার দিকের ডেপুটি ট্রেডার’! বনমালীরই সমসাময়িক ব্যক্তি ছিলেন কলকাতার ‘কালা জমিদার’ গোবিন্দরাম মিত্র। বনমালী ও গোবিন্দরাম দু’জনেরই বাড়ি ছিল কুমারটুলিতে। বনমালীর প্রাসাদোপম বাড়ি তৎকালীন কলকাতার এক প্রবাদে পরিণত হয়েছিল। তবে ভাগীরথীগামী বিদেশী নাবিকদের কাছে গোবিন্দরামের বিরাট নবরত্ন কালী মন্দিরটাই দিকচিহ্ন হিসাবে ‘ব্ল্যাক প্যাগোডা’ নামে আখ্যাত হত। গোবিন্দরাম নিজে কোন গঙ্গার ঘাট তৈরি করেন নি। তবে গোবিন্দরামের পুত্র রঘুনাথ মিত্র ‘রঘু মিত্তিরের ঘাটটা তৈরি করে দিয়েছিলেন।
ধর্মীয় ব্যাপারের দিক দিয়ে কাশীরাম মিত্রের ঘাটটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘাট ছিল। এখানেই শবদাহ করা হত এবং অন্তর্জলীর জন্য মুমূর্ষদের নিয়ে আসা হত। কলকাতার অন্যান্য শ্মশান ঘাট হচ্ছে কাশীপুরের রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান, নিমতলার শ্মশান ও সাহানগরের কেওড়াতলার শ্মশান। তবে শবদাহের সংখ্যার দিক দিয়ে কাশীরাম মিত্রের ঘাটটাই একসময় সবচেয়ে কর্মব্যস্ত ঘাট ছিল। সেজন্য ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় পাদে একবার প্রস্তাবিত হয়েছিল যে নিমতলা ও কাশীরাম মিত্রের ঘাটের মধ্যে আর একটা শবদাহের ঘাট নির্মাণ করবার, কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। ১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দের ইনফ্লুয়েনজা মহামারীর সময় যখন কলকাতা শহরে হাজার হাজার লোক ওই মহামারীর প্রকোপে মারা গিয়েছিল, তখন কাশী মিত্তিরের ঘাটে মড়া পোড়ানোর এক সমস্যা প্রকাশ পেয়েছিল। প্রতিদিন শত শত মড়ার খাট গঙ্গার ধারে লাইন দিয়ে রাখা হয়েছিল এবং ওই লাইন বাগবাজার ষ্ট্রীট পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিল।
মড়া-পোড়ানোর ঘাট সম্বন্ধে বলতে গিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলি। এটা ১৯০৪ সালে নিমতলা ঘাটে ঘটেছিল। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ একদিন বিকালবেলা কলকাতার সবচেয়ে বিত্তবান সম্ভ্রান্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ‘প্রেমসুকরায় সিউদত্রমল’-এর মালিক প্রেমসুকরায় ঝুনঝুনওয়ালা নিজ গাড়িতে (কলকাতায় তখন মোটর গাড়ির আবির্ভার ঘটেনি) করে বাড়ি ফিরছিলেন। কলকাতার হ্যারিসন রোডে তখন সবে ট্রামগাড়ির প্রচলন হয়েছে। প্রেমসুকবাবুর গাড়িটা ক্লাইভ স্ট্রীট ও হ্যারিসন রোডের সংযোগস্থলে আসা মাত্রই গাড়ির ঘোড়াটা ট্রাম গাড়ির ঢং ঢং শব্দ শুনে বিগড়ে গিয়ে পথছুট হয়ে ট্রাম গাড়িতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির একটা বোয়াল গাড়ির ভেতরে ঢুকে প্রেমসুকবাবুর বুকে সজোরে আঘাত করে। অকুস্থলেই প্রেমসুকের মৃত্যু ঘটে। সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যায় কলকাতার মারবাড়ী সমাজ। দুর্ঘটনায় নিহত প্রেমসুকের শবব্যবচ্ছেদ তার বরদাস্ত করবে না। ছুটে যায় লাটভবনে বড়লাট লর্ড কার্জনের কাছ থেকে বিনা ব্যবচ্ছেদে শব ছেড়ে দেবার জন্য অনুমতি পত্র সংগ্রহের জন্য। লাটভবনে গিয়ে শোনে বড়লাট ঘোড়দৌড়ের মাঠে গেছেন ‘ভাইসরয় কাপ’ বাজির খেলা দেখবার জন্য। সেখানে গিয়ে তাঁরা অনুমতি-পত্র সংগ্রহ করে যে, নিমতলা ঘাটে করোনারস্ কোর্ট’ বসুক এবং বিনা ব্যবচ্ছদেই প্রেমসুকবাবুর লাস ছেড়ে দেওয়া হউক। কলকাতার ইতিহাসে এই প্রথম ও শেষ নিমতলা ঘাটে ‘করোনারস্ কোর্ট’-এর অধিবেশন হয়েছিল।
নিমতলা, কেওড়াতলা ও কাশীপুরের শ্মশানঘাট বিখ্যাত হয়ে আছে শহরের বিখ্যাত ব্যক্তিদের শেষ বিশ্রামস্থল হিসাবে। সেজন্য এসব ঘাটে আছে তাঁদের স্মৃতিসৌধ। কাশীপুরে আছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও শিশিরকুমার ভাদুড়ির, আর কেওড়াতলায় আছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, যতীন্দমোহন সেনগুপ্ত, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র বসু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বীরেন শাসমল ও যতীন দাসের। কিন্তু নিমতলা সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছে, কেননা এখানে আছে রবীন্দ্রনাথের
বড়বাজার ছোটুলাল দুর্গাপ্রসাদ ঘাটে আছে বিখ্যাত নরনারীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক ফলক। ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দে ২৬ মে তারিখের ঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় যাত্রীসহ ‘স্যার জন লরেনস্’ নামে এক জাহাজ। ওই জাহাজে ছিল রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীগামী ১১০০ নরনারী। এই দুর্ঘটনায় মর্মাহত হয়ে কলকাতার দয়ার্দ্র ইওরোপীয়ান মেমসাহেবরা ছোটুলাল দুর্গাপ্রসাদের ঘাটে ওই ফলকটা লাগিয়ে দিয়েছিল। আর ওই সলিল সমাধি উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘সিন্ধুতরঙ্গ’।
কলকাতার গঙ্গার ঘাটসমূহ যে মাত্র স্নানার্থীদের জন্যই ব্যবহৃত হত তা নয়। রেলপথে উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পূর্বে এগুলি ব্যবহৃত হত যাত্রী ও মাল পরিবহণের জন্য। অবশ্য এখনও হয়।
মালপরিবহণের সম্পর্কে কদমতলা ঘাটে একবার ঘটেছিল এক চকমপ্রদ ঘটনা। বৈষ্ণবচরণ শেঠ ছিলেন সেকালের (অষ্টাদশ শতাব্দীর) এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী। সাহেবদের সঙ্গেই ছিল তাঁর কারবার। একবার বর্ধমানের চিনি ব্যবসায়ী গোবর্ধন রক্ষিত বৈষ্ণবচরণের ফরমাস অনুযায়ী নৌকাযোগে বহু টাকার চিনি পাঠিয়ে দেয়। নৌকাগুলি কদমতলার ঘাটে এসে ভিড়লে, বৈঞ্চব-চরণের কর্মচারীরা দস্তুরী না পাওয়ায় গোবর্ধনের আনীত চিনি নিম্নমানের বলে ঘোষণা করে। গোবর্ধন রুষ্ট হয়ে চিনির বস্তাগুলো নদীতে ফেলে দিতে থাকে। বৈষ্ণবচরণের কানে যখন এই সংবাদ গিয়ে পৌঁছায়, বৈষ্ণবচরণ তখন ছুটে এসে গোবর্ধনের রাগ প্রশমন করে, ও অবশিষ্ট যা চিনি ছিল তাই নিয়েই তাকে আনীত সমস্ত চিনির দাম দিয়ে দেয়। এই ঘটনা সেকালের বাঙালী ব্যবসায়ীদের সততা সম্বন্ধে বিশেষ আলোকপাত করে।
সেকালের গঙ্গার ঘাটগুলো কলকাতা থেকে পালাবারও পথ ছিল। ১৭৫৬ খ্রীষ্টাব্দের ১৯ জুন তারিখে সিরাজউদ্দৌলা যখন কলকাতার দুর্গ অবরোধ করে, তখন দুর্গস্থ নরনারীরা দুর্গের পিছনের ঘাট দিয়ে ফলতায় পালিয়ে গিয়েছিল। আবার ১৮৯৬-৯৭ – এর প্লেগ মহামারীর সময় ও ১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় জাপানী বোমাবর্ষণের সময় হাজার হাজার নরনারী কলকাতার ঘাটসমূহ থেকেই নৌকাযোগে শহর থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
ভাগীরথীর উভয়তীরস্থ স্থানসমূহের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম রূপে এক সময় হোর মিলার কোম্পানির ফেরী সারভিস কলকাতার আরমেনিয়ান ঘাট থেকে কালনা পর্যন্ত যেত। ধরণী রায়ের সঙ্গে অসম প্রতিদ্বন্দিায় সে ‘সারভিস’ বন্ধ হয়ে যায়। পরে কলকাতার পোর্ট কমিশনাররা আহিরীটোলা থেকে বেলুড় মঠ পর্যন্ত একটা সারভিস্ অনেকদিন চালু রেখেছিল। কিন্তু সেটাও পরে বন্ধ হয়ে যায়। এখন বাগবাজার থেকে হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত একটা নূতন ‘সারভিস’ চালু হয়েছে। বর্তমানে মেটিয়াবুরুজ হইতে বরানগর পর্যন্ত সারভিস চালু হয়েছে
কালের আবর্তনে কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলির অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। পুরানো অনেক ঘাট বিলুপ্ত হয়েছে। আবর নতুন ঘাটও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গঙ্গার মাহাত্ম্য নষ্ট হয়নি। হিন্দুরা এখনও সমবেত হয় ঘাটগুলিতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এবং বিশেষ বিশেষ পর্ব যথা দশহরা, মহালয়া, দুর্গাপূজা, মকরসংক্রান্তি, শিবরাত্রি প্রভৃতি উপলক্ষে স্নান করবার জন্য।