অটোগ্রাফ, অন্নপ্রাশন

অটোগ্রাফ, অন্নপ্রাশন

আচ্ছা, পিয়াল, ভাত আর দেরাদুন চালের ভাতের মধ্যে কী তফাত বল তো? সতীর্থ একটু উঁচু গলাতেই জিজ্ঞেস করল।

পিয়াল একটু বিব্রতভাবে চারদিকে তাকিয়ে বলল, আস্তে আস্তে, শুনতে পাবে।

শুনুক না, আমি তো অন্যায্য কিছু বলছি না। আমি জাস্ট জিজ্ঞেস করছি মেনু কার্ডে ভাত লিখলে যা মানে হয়, দেরাদুন চালের ভাত লিখলে কি তার চেয়ে বেশি কিছু বোঝায়?

পিয়াল আমতা আমতা করে বলল, ছাড় ভাই। এখানে নেমন্তন্ন খেতে এসেছি, খেয়ে চলে যাব। মেনু কার্ডে কী ছাপিয়েছে না ছাপিয়েছে তা নিয়ে থিসিস পরে লিখলেও চলবে।

সতীর্থ ফিশফ্রাইতে একটা কামড় দিয়ে বলল, তুই জীবনে অনেক দূর যাবি। এত ভাল আপস করতে পারিস তুই, সত্যি!

পিয়াল নার্ভাস গলায় বলল, এতে আপসের কী হল! শুভেন্দুর বাবা দু’বার সামনে দিয়ে ঘুরে গেলেন, কীরকম খাচ্ছি না খাচ্ছি, জিজ্ঞেস করলেন…হঠাৎ করে ওঁর কানে এসব গেলে কী বিচ্ছিরি ব্যাপার হবে বল তো!

সতীর্থ বলল, ওকে। আমি চুপ করে যাচ্ছি।

সতীর্থকে চুপ করে যেতে দেখে পিয়ালও চুপ করে গেল। তবে ওর মনের মধ্যে হালকা একটা খচখচানি রইলই। সতীর্থ ওর ওপর রেগে গেলেই একটা আতঙ্ক শীতের র‍্যাপারের মতো জড়িয়ে ধরে ওকে। কত বন্ধু আছে ওর, কত বন্ধু হচ্ছে নতুন নতুন, কিন্তু সতীর্থর জায়গা সবার থেকে আলাদা।

তুই স্টার হচ্ছিস, মেপে কথা বলবি এখন। হঠাৎ করে যেখানে সেখানে চলে যাবি না। মনে রাখবি তোকে লোকে এখন নেমন্তন্ন করার জন্যই নেমন্তন্ন করে না। সতীর্থ বলে।

তা হলে কীসের জন্য করে? পিয়াল অবাক।

তোর উপস্থিতি এই মুহূর্তে যে-কোনও নেমন্তন্ন বাড়ির গ্ল্যামার বাড়ায়। সেটা বুঝিস? রামছাগল কোথাকার!

সতীর্থ এরকমই। আর পিয়ালের সেটাই সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। যখন কলেজের সিঁড়িতে বসে গান গাইত, লাস্ট বেঞ্চে বসে টেবিলে চাপড় দিত ফটাফট, তখনও সতীর্থ যেভাবে ওকে শাসন করেছে, আজও তাই করে। ওর অল্পস্বল্প নাম, ক্যাসেট-সিডি, অডিটোরিয়াম হাউসফুল, ওদের ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা, সব ছাপিয়েও পিয়াল যে আদতে একটা সাধারণ ছেলে, যার ব্যবহারিক বুদ্ধি নেহাতই কম, সেটা সতীর্থর চেয়ে ভাল আর কেউ বোঝে না। পিয়ালও তাই ওকে আঁকড়ে থাকে। যেখানে সুযোগ পেলেই গলায় চাকু চালিয়ে দেবে এমন সব সহ-পেশাদাররা নিজেদের বন্ধু বলে পরিচয় দেয়, সেখানে সতীর্থর মতো একজন বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

শুভেন্দুর মেয়ের জন্মদিনে আসাও অবশ্য পুরোপুরি ভাগ্য। কলামন্দিরে ওদের ব্যান্ডের শো ছিল সেদিন। শো শেষে গ্রিনরুমে বসে পিয়াল চা খাচ্ছে, সতীর্থ শুভেন্দুকে হাত ধরে ভিতরে নিয়ে এল। শুভেন্দু ওদের সঙ্গে কলেজে পড়ত। কিন্তু অনেকদিন কোনও যোগাযোগ ছিল না। হঠাৎ করে শুভেন্দুকে দেখে পিয়াল খুশিই হল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ওর মনে পড়ে গেল থার্ড ইয়ারের শেষদিকে শুভেন্দুর থেকে একটা আগাথা ক্রিস্টির বই নিয়ে ওর আর ফেরত দেওয়া হয়নি। ভাবনাটাকে ঝেটিয়ে মাথা থেকে বের করার চেষ্টায় ও নিজেকে বলল, দুত্তোর! শুভেন্দু নিশ্চয়ই ওই বইটা ফেরত চাওয়ার জন্য এতবছর পর কলামন্দিরে আসেনি।

শুভেন্দু যখন হাত দুটো ধরে পিয়ালকে বলছে, আমি তোর কাছে একটা জিনিস চাইব, তুই কিন্তু না বলতে পারবি না, পিয়ালের মাথায় তখনও কে যেন ড্রামের বাড়ি মারছে, ‘আগাথা ক্রিস্টি’, ‘আগাথা ক্রিস্টি’।

সতীর্থ অবশ্য এক মিনিটে সব রহস্য সমাধান করে দিয়ে বলল, তোদের সামনের রবিবার কোনও শো আছে?

পিয়ালদের ব্যান্ড-মেম্বার চাঁদু একটু মাথা চুলকে বলল, সামনের রবিবার রাত আটটায় বেহালায়।

শুভেন্দু একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে বলল, বাঁচা গেল, আমার বাড়ি দুপুরে।

তোর বাড়ি দুপুরে কী? পিয়াল জিজ্ঞেস করল।

ওর মেয়ের অন্নপ্রাশন, সতীর্থই বলল।

তোদের কিন্তু আসতে হবেই, শুভেন্দু পর্যায়ক্রমে ওদের দু’জনের দিকেই তাকাল।

সতীর্থ বলল, পিয়ালকে স্টার হিসেবে আর আমাকে স্টারের লেজুড় হিসেবে।

মোটেই না, মোটেই না, আমি আগেই তোকে নেমন্তন্ন করেছি, শুভেন্দু প্রতিবাদ করে উঠল জোরে।

তখনই পিয়ালের নজর পড়ল একটু পিছনে দাঁড়ানো একটা লং-স্কার্ট আর ফুলছাপ টপ পরা মেয়েটির দিকে। গ্রিনরুমের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটা প্লাস্টিকের মোড়ক হাতে নিয়ে। কে ও? ভাবতে ভাবতেই পিয়াল আবার তাকাল মেয়েটির মুখের দিকে। ভারী মিষ্টি মুখ, কিন্তু সেটুকু বললেই বলা সম্পূর্ণ হয় না। প্রাক যৌবন থেকে যৌবনে ব্যাপ্ত হওয়ার যন্ত্রণা জাগ্রত মেয়েটির মুখে। ওদের ব্যান্ডের খুব কম গানই পিয়াল নিজে লেখে তবু ওইভাবে ওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পিয়ালের মাথায় ফিনকি দিয়ে উঠল, দু’-তিনটে পঙ্‌ক্তি। ‘দাঁড়িয়ে আছিস ছবির মতো। তোর যত সুখ, দুঃখ যত/ বল আমাকে বল। আর সেই মুহূর্তেই শুভেন্দু ডাক দিল মেয়েটিকে, টুয়া আয়, তোর যা বলার আছে, তোর আইডলকে বল!

আইডল! আমি এই মেয়েটির আইডল! পিয়ালের মাথা চক্কর খেয়ে গেল একবার। নিজেকে পাথরের মতো শক্ত করে ওর দিকে এগিয়ে আসা মেয়েটির চোখে চোখ রাখল পিয়াল। জিজ্ঞেস করল, তোমার ভাল নাম কী?

অভীপ্সা। ওর চোখের দিকে একবার চোখ তুলে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নিল মেয়েটি, তারপর আবার চোখ তুলে বলল, আমায় টুয়া বলেই ডাকবেন আপনি। আমার ওই নামটাই ভাল লাগে।

ওর কথা শেষ হতে না হতেই শুভেন্দু বলে উঠল, তোকে নিজের হাতে কার্ড দেবে বলে টুয়া ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সকাল থেকে ঘর-বারান্দা করছে।

টুয়া লজ্জা পেয়ে বলল, তোমার মেয়ের কার্ড তুমিই দাও না দাদাভাই।

পিয়াল বলল, না না, তুমি দিতে চাইছিলে যখন, আমি তোমার হাত থেকেই নেব। কথাটা বলেই সতীর্থর দিকে তাকিয়ে দেখল, সতীর্থ কড়া চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। পিয়াল সামান্য ঘাবড়ে গিয়ে গলা নিচু করে শুভেন্দুকে বলল, তোরা তো দুই ভাই ছিলি রে শুভেন্দু!

শুভেন্দু বলল, হ্যাঁ, কৃষ্ণেন্দু তো পুনেতে চাকরি করছে এখন। টুয়া আমার সেজকাকুর মেয়ে।

ও। তোর বিয়েতে দেখেছি?

দেখেছিস হয়তো। তবে পাঁচ বছর আগে বাচ্চা ছিল, হয়তো খেয়াল করিসনি।

বাচ্চা ছিল? বাচ্চা তো এখনও! পিয়ালের ভাবনার ভিতরেই বুলেটের মতো ছুটে এল সতীর্থর টিপ্পনী, শুভেন্দুর একটা ছেলে আছে জানিস তো। চার বছর বয়স। তার অন্নপ্রাশনের সময় তুই বিখ্যাত হোসনি বলে নেমন্তন্ন পাসনি।

শুভেন্দু ভীষণ লজ্জা পেয়ে বলল, না না, ওরকম কোনও ব্যাপার নেই। আসলে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ছেলে হয়ে গিয়েছিল তো। ওই জন্য বড় করে আর কিছু করা হয়নি।

পিয়াল হঠাৎ টের পেল যে, ও শুভেন্দুর বউয়ের নামটা ভুলে গিয়েছে। ওদের কলেজে, ওদেরই ইয়ার, অনার্স অবশ্য অন্য বিষয়ে ছিল। তবে ওর বিস্মৃতি বেশিক্ষণ থোপে টিকল না। কারণ সতীর্থ জিজ্ঞেস করে ফেলল, অপর্ণা কেমন আছে শুভেন্দু?

ওর দেখাদেখি পিয়ালও জিজ্ঞেস করল, হ্যাঁ, অপর্ণা কেমন আছে?

শুভেন্দু মুচকি হেসে বলল, ভালই। তবে কতটা ভাল বলতে পারব না। বাড়িতে আয়, তোরা নিজেরাই বুঝতে পারবি।

টুয়া এই সময় পিয়ালের হাতে একটা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলল, যদি না আসেন তা হলে বুঝব আমার ওপর বিরক্ত হয়েই এলেন না।

সতীর্থ পিয়ালের হাত থেকে কার্ডটা নিতে নিতে বলল, এত লোক থাকতে হঠাৎ তোমার ওপর বিরক্ত হতে যাবে কেন খুকি?

টুয়া চমকে তাকাল সতীর্থর দিকে।

সতীর্থ গলা একটু চোখা করে বলল, খুকি বললাম বলে রাগ করলে নাকি?

টুয়া কোনও উত্তর না দিয়ে পিয়ালকে বলল, দাদা হেজিটেট করছিল আপনাকে নেমন্তন্ন করতে। আমিই জোর করলাম।

শুভেন্দু গলা নামিয়ে বলল, ঠিক হেজিটেট নয়। তুই এখন স্টার হয়ে গেছিস। অনেক ব্যস্ততা। আমরা ছাপোষা গেরস্ত। আমাদের সময় দিয়ে তোর সময় মাপলে তো চলবে না। তাই ভাবছিলাম…

সতীর্থ শুভেন্দুকে উদ্দেশ করে বলল, তুই কলেজের অধ্যাপক। দু’মাস ছুটি নিয়ে ঘরে বসে বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করলেও মাইনে পাবি। ওকে কিন্তু শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ওই স্টেজে উঠে গলা সপ্তমে তুলতে হয়। ওর অল কাজ, নো ছুটি অ্যান্ড নো কাজ মানে নো রুটি।

সতীর্থর কথা শেষ হতেই টুয়া মরিয়াভাবে বলে উঠল, আপনি কিন্তু প্লিজ আসবেন। প্লিজ!

পিয়াল ওর চোখ দুটোর আর্তি পড়ার চেষ্টা করছে, সেসময় সতীর্থ আবার বলে উঠল, যেতে তো হবেই। তুমি যখন তোমার সব বন্ধুদের বলে রেখেছ যে পিয়াল তোমাদের বাড়ির অনুষ্ঠানে আসছেই।

আমি কাউকে কিছু বলিনি। আমি শুধু আমার মনে মনে জানি যে উনি আসবেনই, টুয়া এই প্রথম গলা তুলল।

শুভেন্দু যেন কিছুটা ফাঁপরে পড়ে গেছে এমনভাবে বলল, আজ আসি রে। পারলে যাস। আমাদের ভাল লাগবে। সতীর্থ তুইও।

পিয়ালের হঠাৎ কী হল, ও শুভেন্দুর কাঁধে একটা চাপড় মেরে বলল, আমি নিশ্চয়ই যাব। তারপর টুয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, আই প্রমিস।

টুয়া কিছু না বলে বড় করে হাসল। পিয়ালের মনে হল সেই হাসিটা পৃথিবীর সব অঙ্ক মিলিয়ে দিতে পারে, মিলিয়ে দিতে পারে যুযুধান দুই পক্ষকে। ওরা গ্রিনরুম থেকে বেরিয়ে যেতেই ও সতীর্থকে বলল, ওদের ওরকম অপমান করছিলি কেন রে?

কিচ্ছু অপমান করিনি। তোকে নিয়ে যাচ্ছে লোকের কাছে নিজেদের স্টেটাস বাড়াবে বলে। আমি কি ওদের ঘটির জল দিয়ে পা ধুইয়ে দেব নাকি?

আফটার অল, পুরনো বন্ধু।

হ্যাঁ বন্ধু! পাঁচ বছর পরে মনে পড়ল। ওই যে আমাদের বাবলু ড্রাম বাজিয়ে মর্নিং কলেজে অনার্স পড়ছে। শুভেন্দুর কাছে প্রাইভেটে কোচিং নিতে পাঠা, দেখব কেমন বিনাপয়সায় পড়ায়। সবাই আখের বোঝে গুরু। এক তুমি আছ… অবশ্য তুমি আর কী বুঝবে! ওই মেয়েটাকে দেখে গলে গেছ প্রথমেই, সতীর্থ একটা ব্যঙ্গের হাসি হাসল।

পিয়াল কোনও জবাব না দিয়ে চুপ করে রইল।

সতীর্থ সিগারেট খেতে বাইরে গেছে। খেয়ে উঠে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল পিয়াল। চুপ করে ভাবছিল যে-মেয়েটা সেদিন অত আকুল ছিল সে আজ এত দূরে দূরে সরে থাকছে কেন? বাড়ির লোকের ভয়? চক্ষুলজ্জা? কে জানে! শুভেন্দুর মেয়ের অন্নপ্রাশনে নিমন্ত্রিতরা ঠিক ব্যান্ডের গান শোনার লোক নন। পিয়াল বুঝতে পারছিল। নইলে আট-দশটা অটোগ্রাফ ওকে এখন বিয়েবাড়ি-টাড়ি গেলে দিতেই হয়। তবে এখানে একেবারে সাধারণ হয়ে থাকা ও উপভোগ করছিল। কিন্তু শুভেন্দুর ছোট বোন টুয়া ওকে অ্যাভয়েড করছে আজ, এটা ও বিশ্বাস করতে পারছিল না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সেই দোলাচলের ভিতরে শুভেন্দুর চার বছরের ছেলে সাম্য ওর সামনে এসে দাঁড়িয়ে বিনা দ্বিধায় বলল, আমাকে কোলে নাও।

পিয়াল ওকে কোলে নিতেই সাম্য বলে উঠল, টুয়া তোমার একটা নাম দিয়েছে। বড় বড় চোখওয়ালা কাকু।

কথাটা শোনামাত্র পিয়ালের সংস্থিতার মুখটা মনে পড়ে গেল। আপাতঅর্থে সাধারণ একটা মুখ। দুটো নেহাতই বড় বড় চোখ তাকে ভিন্ন একটা মাত্রা দিয়ে গেছে। পিয়াল একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, আমার বড় বড় চোখ নিয়ে কী হবে। বড় বড় চোখওয়ালা তোমার একটা কাকিমা হলে বেশ হত!

সাম্য কথাটা শুনেই বলল, নামিয়ে দাও, আমাকে নামিয়ে দাও।

পিয়াল ওকে কোল থেকে নামাতেই একছুটে সাম্য কোনও একটা ঘরের ভিতর ঢুকে গেল, মিনিট তিনেক পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আবার এসে দাঁড়াল পিয়ালের সামনে। পিয়াল ওকে কোলে তুলে নিল আবার। সাম্য কোলে উঠেই বলল, টুয়া বলল যে টুয়ারও তো বড় বড় চোখ।

পিয়াল অন্যমনস্ক থাকায় কথাটা খেয়াল করতে পারল না প্রথমে। জিজ্ঞেস করল, কী বলল তোমার পিসি?

সাম্য বলল, টুয়া বলল যে ওরও তো বড় বড় চোখ।

কথাটা শুনে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে ভেবে পেল না পিয়াল। ওর শুধু আকাশে-বাতাসে ভেসে থাকা সুরের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে হল। প্রোপোজ তো পিয়ালকে কত মেয়েই করেছে। কিন্তু চার বছরের বাচ্চাকে দিয়ে প্রোপোজ? এ যেন সত্যি সত্যিই সবরকমের ভাতের দেরাদুন রাইস হয়ে ওঠা। পিয়ালের মনে হল সংস্থিতা নামের সেই বিরাট গ্রানাইট পাথরটার ভার নেমে যাচ্ছে ওর মাথা থেকে। সেই জায়গায় একটা চারাগাছ নিজের ভিতর ধারণ করছে নিজের প্রথম ফুল। একটু পরেই ফুটিয়ে তুলবে বলে!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *