• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • লেখক
  • My Account
  • লেখক
  • My Account
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা PDF ডাউনলোড

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

১২. সাংঘাতিক ভুল

লাইব্রেরি » শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় » ব্যোমকেশ সমগ্র (ব্যোমকেশ বক্সী) » ১১. চিত্রচোর - ব্যোমকেশ বক্সী - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় » ১২. সাংঘাতিক ভুল

ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘একটা সাংঘাতিক ভুল করেছিলুম। অমরেশ রাহা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার‌, তার যে পিস্তলের লাইসেন্স থাকতে পারে একথা মনেই আসেনি।’

সত্যবতী বলিল‌, ‘না‌, গোড়া থেকে বল।’

২রা জানুয়ারি। কলিকাতায় ফিরিয়া চলিয়াছি। ডি.এস.পি. পাণ্ডে‌, মহীধর বাবু ও রজনী স্টেশনে আসিয়া আমাদের গাড়িতে তুলিয়া দিয়া গিয়াছেন। এতক্ষণে আমরা নিশ্চিন্ত মনে একত্র হইতে পারিয়াছি।

ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘দুটো জিনিস জট পাকিয়ে গিয়েছিল—এক‌, ছবি চুরি; দ্বিতীয়‌, ডাক্তার আর রজনীর গুপ্ত প্ৰণয়। ওদের প্রণয় গুপ্ত হলেও তাতে নিন্দের কিছু ছিল না। ওরা কলকাতায় গিয়ে রেজিষ্টি করে বিয়ে করেছে। সম্ভবত রজনীর মাসী আর মেসো জানেন‌, আর কেউ জানে না; মহীধর বাবুও না। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন‌, ততদিন কেউ জানবে না। মহীধর বাবু সেকেলে লোক নয়‌, তবু বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে সাবেক সংস্কার ত্যাগ করতে পারেননি। তাই ওরা লুকিয়ে বিয়ে করে সব দিক রক্ষা করেছে।’

জিজ্ঞাসা করিলাম‌, ‘খবরটা কি ডাক্তারের কাছে পেলে?’

ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘উহু’। ডাক্তারকে ঘাঁটাইনি‌, ও যে রকম রুখে ছিল‌, কিছু বলতে গেলেই কামড়ে দিত। আমি রজনীকে আড়ালে বলেছিলাম‌, সব জানি। সে জিজ্ঞেস করেছিল‌, ব্যোমকেশীবাবু্‌, আমরা কি অন্যায় করেছি? আমি বলেছিলাম–না। তোমরা যে বিদ্রোহের ঝোঁকে মহীধর বাবুকে দুঃখ দাওনি‌, এতেই তোমাদের গৌরব। উগ্ৰ বিদ্রোহে বেশি কাজ হয় না‌, কেবল বিরুদ্ধ শক্তিকে জাগিয়ে তোলা হয়। বিদ্রোহের সঙ্গে সহিষ্ণুতা চাই। তোমরা সুখী হবে।’

সত্যবতী বলিল‌, ‘তারপর বল।’

ব্যোমকেশ বলিতে আরম্ভ করিল‌, ‘ছবি চুরির ব্যাপারটাকে যদি হাল্কা ভাবে নাও তাহলে তার অনেক রকম ব্যাখ্যা হতে পারে। কিন্তু যদি গুরুতর ব্যাপার মনে কর‌, তাহলে তার একটিমাত্ৰ ব্যাখ্যা হয়–ঐ গ্রুপের মধ্যে এমন একজন আছে যে নিজের চেহারা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চায়।

‘কিন্তু কি উদ্দেশ্যে?–একটা উদ্দেশ্য এই হতে পারে যে ঐ দলে একজন দাগী আসামী আছে যে নিজের ছবির প্রচার চায় না। প্রস্তাবটা কিন্তু টেকসই নয়। ঐ গ্রুপে যারা আছে তারা কেউ লুকিয়ে বেড়ায় না‌, তাদের সকলেই চেনে। সুতরাং ছবি চুরি করার কোনও মানে হয় না।

‘দাগী আসামীর সম্ভাবনা ত্যাগ করতে হচ্ছে। কিন্তু যদি ঐ দলে এমন কেউ থাকে যে ভবিষ্যতে দাগী আসামী হবার জন্যে প্ৰস্তুত হচ্ছে‌, অর্থাৎ একটা গুরুতর অপরাধ করে কেটে পড়বার চেষ্টায় আছে‌, তাহলে সে নিজের ছবি লোপাট করবার চেষ্টা করবে। অজিত‌, তুমি তো লেখক‌, শুধু ভাষার দ্বারা একটা লোকের এমন হুবহু বৰ্ণনা দিতে পাের যাতে তাকে দেখলেই চেনা যায়?-পারবে না; বিশেষত তার চেহারা যদি মামুলি হয় তাহলে একেবারেই পারবে না। কিন্তু একটা ফটোগ্রাফ মুহুর্তমধ্যে তার চেহারাখানা আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরতে পারে। তাই দাগী আসামীদের ফটো পুলিসের ফাইলে রাখা থাকে।

‘তাহলে পাওয়া গেল‌, ঐ দলের একটা লোক গুরুতর অপরাধ করে ডুব মারবার ফন্দি আটিছে। এখন প্রশ্ন এই-সংকল্পিত অপরাধটা কি এবং লোকটা কে?

‘গুপের লোকগুলিকে একে একে ধরা যাক। —মহীধরবাবু ডুব মারবেন না; তাঁর বিপুল সম্পত্তি আছে‌, চেহারাখানাও ডুব মারবার অনুকুল নয়। ডাক্তার ঘটক রজনীকে নিয়ে উধাও হতে পারে। কিন্তু রজনী সাবালিকা‌, তাকে নিয়ে পালানো আইন-ঘটিত অপরাধ নয়। তবে ছবি চুরি করতে যাবে কেন? অধ্যাপক সোমকেও বাদ দিতে পার। সোম যদি শিকল কেটে ওড়বার সঙ্কল্প করতেন তা হলেও স্রেফ ঐ ছবিটা চুরি করার কোনও মানে হত না। সোমের আরও ছবি আছে; নকুলেশবাবুর ঘরে তাঁর ফটো টাঙানো আছে আমরা দেখেছি। তারপর ধর নকুলেশবাবু; তিনি পিকনিকের দলে ছিলেন। তিনি মহীধরবাবুর কাছে মোটা টাকা ধার করেছিলেন‌, সুতরাং তাঁর পক্ষে গা-ঢাকা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তিনি ফটো তুলেছিলেন‌, ফটোতে তাঁর চেহারা ছিল না। অতএব তাঁর পক্ষে ফটো চুরি করতে যাওয়া বোকামি।

‘বাকি রয়ে গেলেন ডেপুটি ঊষানাথবাবু এবং ব্যাঙ্ক-ম্যানেজার অমরেশ রাহা। একজন সরকারী মালখানার মালিক‌, অন্যজন ব্যাঙ্কের কতা। দেখা যাচ্ছে‌, ফেরার হয়ে যদি কারুর লাভ থাকে তো এঁদের দু’জনের। দু’জনের হাতেই বিস্তর পরের টাকা; দু’জনেই চিনির বলদ।

‘প্রথমে ঊষানাথবাবুকে ধর। তাঁর স্ত্রী-পুত্ৰ আছে; চেহারাখানাও এমন যে ফটো না থাকলেও তাঁকে সনাক্ত করা চলে। তিনি চোখে কালো চশমা পরেন‌, চশমা খুললে দেখা যায়। তাঁর একটা চোখ কানা। বেশিদিন পুলিসের সন্ধানী চক্ষু এড়িয়ে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া‌, তাঁর চরিত্রও এমন একটা দুঃসাহসিক কাজ করার প্রতিকূল।

‘বাকি রইলেন অমরেশ রাহা। এটা অবশ্য নেতি প্ৰমাণ। কিন্তু তারপর তাঁকে ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবে তিনি ছাড়া আর কেউ হতে পারেন না। তাঁর চেহারা নিতান্ত সাধারণ‌, তাঁর মত লক্ষ লক্ষ বৈশিষ্ট্যহীন লোক পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি মুখে ফ্রেঞ্চকার্ট দাড়ি রেখেছেন। এ রকম দাড়ি রাখার সুবিধে‌, দাড়ি কামিয়ে ফেললেই চেহারা বদলে যায়‌, তখন চেনা লোক আর চিনতে পারে না। নকল দাড়ি পরার চেয়ে তাই আসল দাড়ি কামিয়ে ফেলা ছদ্মবেশ হিসেবে ঢের বেশি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য।

‘অমরেশবাবু অবিবাহিত ছিলেন। তিনি মাইনে ভালই পেতেন‌, তবু তাঁর মনে দারিদ্র্যের ক্ষোভ ছিল; টাকার প্রতি দুৰ্দম আকাঙ্ক্ষা জন্মেছিল। আমার মনে হয় তিনি অনেকদিন ধরে এই কু-মতলব আঁটছিলেন। তাঁর আলমারিতে গুজরাটী বই দেখেছিলে মনে আছে? তিনি চেষ্টা করে গুজরাটী ভাষা শিখেছিলেন; হয়তো সংকল্প ছিল টাকা নিয়ে বোম্বাই অঞ্চলে গিয়ে বসবেন। বাঙালীদের সঙ্গে গুজরাটীদের চেহারার একটা ধাতুগত ঐক্য আছে‌, ভাষাটাও রপ্ত থাকলে কেউ তাঁকে সন্দেহ করতে পারবে না।

‘সবদিক ভেবে আটঘটি বেঁধে তিনি তৈরি হয়েছিলেন। তারপর যখন সঙ্কল্পকে কাজে পরিণত করবার সময় হল তখন হঠাৎ কতকগুলো অপ্রত্যাশিত বাধা উপস্থিত হল। পিকনিকের দলে গিয়ে তাঁকে ছবি তোলাতে হল। তিনি অনিচ্ছাভরে ছবি তুলিয়েছিলেন সন্দেহ নেই‌, কিন্তু না তোলাতে লোকের মনে সন্দেহ জাগতে পারে। ভাবলেন‌, ছবি চুরি করে সামলে নেবেন।

‘যা হোক‌, তিনি মহীধর বাবুর বাড়ি থেকে ছবি চুরি করলেন। পরদিন চায়ের পার্টিতে আমরা উপস্থিত ছিলাম; সেখানে যে সব আলোচনা হল তাতে অমরেশবাবু বুঝলেন তিনি একটা ভুল করেছেন। স্রেফ ছবিখানা চুরি করা ঠিক হয়নি। তাই পরের বার যখন তিনি ঊষানাথবাবুর বাড়িতে চুরি করতে গেলেন তখন আর কিছু না পেয়ে পরী চুরি করে আনলেন। আলমারিতে চাবি ঢুকিয়ে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেন যাতে মনে হয় ছবি চুরি করাটা চোরের মূল উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক সোমের ছবিটা চুরি করার দরকার হয়নি। আমার বিশ্বাস তিনি কোনও উপায়ে জানতে পেরেছিলেন যে‌, মালতী দেবী ছবিটা আগেই ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। কিংবা এমনও হতে পারে যে‌, তিনি ছবি চুরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছবি তার আগেই নষ্ট করা হয়েছিল। হয়তো তিনি ছেড়া ছবির টুকরোগুলো পেয়েছিলেন।

‘আমার আবিভাবে অমরেশবাবু শঙ্কিত হননি। তাঁর মূল অপরাধ তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে; তিনি টাকা নিয়ে উধাও হবার পর সবাই জানতে পারবে‌, তখন আমি জানলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু ফাল্গুনী পালের প্রেতিমূর্তি যখন এসে দাঁড়াল‌, তখন অমরেশবাবু মাথায় হাত দিয়ে বসলেন। তাঁর সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে যাবার উপক্রম হল। ফাল্গুনী থাকতে ফটো চুরি করে কি লাভ? সে স্মৃতি থেকে ছবি এঁকে ফটোর অভাব পূরণ করে দেবে।

‘কিন্তু পরকীয়া-প্রীতির মত বেআইনী কাজ করার একটা তীব্ৰ উত্তেজনা আছে। অমরেশবাবু তার স্বাদ পেয়েছিলেন। তিনি এতদূর এগিয়ে আর পৌঁছুঁতে পারছিলেন না। তাই ফাল্গুনী যেদিন তাঁর ছবি এঁকে দেখাতে এল সেদিন তিনি ঠিক করলেন ফাল্গুনীর বেঁচে থাকা চলবে না। সেই রাত্রে তিনি মদের বোতলে বেশ খানিকটা আফিম মিশিয়ে নিয়ে ফাল্গুনীর কুঁড়ে ঘরে গেলেন। ফাল্গুনীকে নেশার জিনিস খাওয়ানো শক্ত হল না। তারপর সে যখন অজ্ঞান হয়ে পড়ল তখন তাকে তুলে কুয়োয় ফেলে দিলেন। আগের রাত্রে চুরি-করা পরীটা তিনি সঙ্গে এনেছিলেন‌, সেটাও কুয়োর মধ্যে গেল; যাতে পুলিস ফাল্গুনীকেই চোর বলে মনে করে। এই ব্যাপার ঘটেছিল সম্ভবত রাত্রি এগারোটার পর‌, যখন বাগানের অন্য কোণে আর একটি মন্ত্রণা-সভা শেষ হয়ে গেছে।

‘পোস্ট-মর্টেম রিপোর্ট থেকে মনে হয় ফাল্গুনী জলে পড়বার আগেই মরে গিয়েছিল। কিন্তু অমরেশবাবুর বোধ হয়। ইচ্ছে ছিল সে বেঁচে থাকতে থাকতেই তাকে জলে ফেলে দেন‌, যাতে প্রমাণ হয় সে নেশার ঝোঁক অপঘাতে জলে ডুবে মরেছে।

‘যা হোক‌, অমরেশবাবু নিষ্কণ্টক হলেন। যে ছবিটা তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন‌, রওনা দেবার আগে সেটা পুড়িয়ে ফেললেই নিশ্চিন্ত্‌্‌, আর তাঁকে সনাক্ত করবার কোনও চিহ্ন থাকবে নী {

‘আমি যখন নিঃসংশয়ে বুঝতে পারলাম। এ অমরেশবাবুর কাজ‌, তখন পাণ্ডে সাহেবকে সব কথা বললাম। ভারি বুদ্ধিমান লোক‌, চট করে ব্যাপার বুঝে নিলেন। সেই থেকে এক মিনিটের জন্যেও অমরেশবাবু পুলিসের চোখের আড়াল হতে পারেননি।’

ব্যোমকেশ সিগারেট ধরাইল।

আমি বলিলাম‌, আচ্ছা‌, অমরেশ রাহা যে ঠিক ঐ দিনই পালাবে‌, এটা বুঝলে কি করে? অন্য যে কোনও দিন পালাতে পারত।’

ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘একটা কোনও ছুটির আগে পালানোর সুবিধে আছে‌, দুদিন সময় পাওয়া যায়। দুদিন পরে ব্যাঙ্ক খুললে যখন চুরি ধরা পড়বে‌, চোর তখন অনেক দূরে। অবশ্য বড়দিনের ছুটিতেও পালাতে পারত; কিন্তু তার দিক থেকে নববর্ষের ছুটিতেই পালানোর দরকার ছিল। অমরেশ রাহা যে-ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ছিল সেটা কলকাতার একটা বড় ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ অফিস। প্রত্যেক মাসের শেষে এখানে হেড আপিস থেকে মোটা টাকা আসত; কারণ পরের মাসের আরম্ভেই ব্যাঙ্কের টাকায় টান পড়বে। সাধারণ লোক ছাড়াও এখানে কয়েকটা খনি আছে‌, তাতে অনেক কমী কাজ করে‌, মাসের পয়লা তাদের মাইনে দিতে হয়। এবার সেই মোটা টাকাটা ব্যাঙ্কে এসেছিল বড়দিনের ছুটির পর। বড়দিনের ছুটির আগে পালালে অমরেশ রাহা বেশি টাকা নিয়ে যেতে পারত না। তার দুটি সুটকেশ থেকে এক লাখ আশি হাজার টাকার নোট পাওয়া গেছে।’

ব্যোমকেশ লম্বা হইয়া শুইল‌, বলিল‌, ‘আর কোনও প্রশ্ন আছে?’

‘দাড়ি কামালো কখন? ট্রেনে?

‘হ্যাঁ। সেইজন্যেই ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনেছিল। ফার্স্ট ক্লাসে সহযাত্রীর সম্ভাবনা কম।’

সত্যবতী বলিল‌, ‘মহীধর বাবুকে বেনামী চিঠি কে দিয়েছিল?

ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘প্রোফেসর সোম। কিন্তু বেচারার প্রতি অবিচার কোরো না। লোকটি শিক্ষিত এবং সজ্জন‌, এক ভয়ঙ্করী স্ত্রীলোকের হাতে পড়ে তাঁর জীবনটা নষ্ট হতে বসেছে। সোম সংসারের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে রজনীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিকেও কিছু হল না‌, ডাক্তার ঘটকের প্রবল প্ৰতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি হেরে গেলেন। তাই ঈর্ষার জ্বালায়–। ঈর্ষার মতন এমন নীচ প্রবৃত্তি আর নেই। কাম ক্ৰোধ লোভ-ষড়রিপুর মধ্যে সবচেয়ে অধম হচ্ছে মাৎসর্য।’ একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল‌, ‘মালতী দেবীর অসুখের খুবই বাড়াবাড়ি যাচ্ছে। কারুর মৃত্যু-কামনা করতে নেই‌, কিন্তু মালতী দেবী যদি সিথেয় সিঁদুর নিয়ে এই বেলা স্বর্গারোহণ করেন তাহলে অন্তত আমি অসুখী হব না।’

আমিও মনে মনে সায় দিলাম।

Category: ১১. চিত্রচোর - ব্যোমকেশ বক্সী - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
পূর্ববর্তী:
« ১১. অপরাহ্ন পাঁচটার সময়

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑