সাধ হয়

সাধ হয় পরিপাটি জ্যোৎস্না থেকে, পাতার মর্মর থেকে মুখ
একটু ফিরিয়ে যাই, অশত্থের প্রতিষ্ঠিত অন্ধকারে বুক
ভরিয়ে উৎসুক যাই সেখানে মন্ত্রণালয়ে। যাবো?
বড়ো উঁচু দেয়াল, কী করে টপকাবো?
বেজায় গম্ভীর সিংহ-সিংহ দরজা সেখানে; ঢুকে

পড়া সহজ তো নয়। দৈবারিক, পাগড়ি-পরা, পাকা লাঠি ঠুকে
নির্ঘাৎ আগলাবে পথ। ভেতরে হুল্লোড়, হাসি, পরামর্শ এবং বচসা
ক্ষণে ক্ষণে, আর মগজের ক্ষেত চষা
চলছে আহলাদে মাঝে-মাধ্যে। এ যে, নাট্য
অপরূপ, নেমেছে লাস্যের ঢল, চলে ঠাট্রা, কখনও-বা শাঠ্য।

সাধ হয়, সেখানেই যাই। অবশ্য সেখানে গেলে চোখে ঠুলি
বেঁধ বিবেচনা দৈবারিকের কাছেই জমা রেখে তৈরি চিন্তার পিটুলি
গিলে যেতে হবে। ওরা গলায় বকলেশ সুনিপুণ
পরিয়ে ভেতরে দেবে ছেড়ে, দেখবে তুমি বিবেকের গুম খুন।
না, আমি কখনও গলা দেবো না বাড়িয়ে; প্রতিবাদে
উঠবো দুলে বুকময় বকুল-বিছানো পথ গভীর বিষাদে।