নিজেই নিজেই বিরোধিতা করি ইদানীং আর
মাতি আত্মপীড়নে, অসুখে বিতৃষ্ণায় প্রায়শই
আহার রোচে না মুখে। ইতিহাস, তাবৎ দর্শন
মতিচ্ছন্ন; কবিতাও অভ্যর্থনাহীন, আলুথালু।
সন্ত্রান্ত পথিক হেঁটে গেলে রৌদ্রে, গাছের ছায়ায়
একা একা, অকস্মাৎ কুকুর চিৎকার করে ওঠে,
কখনো কামড়ে দেয়। মাঝে-মধ্যে জন্তুর জিহ্বায়
ধ্যানে জ্ঞানে ঝলসিত পংক্তিমালা লালাসিক্ত হয়।
এটাই ওদের রীতি। নিরর্থক উষ্মা, ক্ষোভ আর
বিষ্ফোরণ; মূঢ়ের অস্থির পদাঘাতে মেধাবীর
মাথা চূর্ণ হয় বার বার। হিংস্র কটুকাটব্যের
বদলে গভীরভাবে সুন্দরের মুখ তুলে ধরো।
যে যাই করুক তুমি দেহ থেকে কাদা মুছে ফেলে
রিল্কের মতোই কবিতায় নিত্যদিন মগ্ন হও।
১৮।৬।৯১