জনৈক মরমী কবি বড় একা যাচ্ছিলেন হেঁটে
ফুটপাতে হলুদ বিকেলে। পথচারীদের তিনি
লক্ষ করেছিলেন অথবা না করেই অন্য মনে
ভাসমান মেঘ কিংবা উড়ন্ত পাখি
রূপ দেখে নাকি কবিতার পঙ্ক্তিমালা
ভাবতে ভাবতে, কেউ বলতে পারে না।
কিছু পথ তিনি অতিক্রম করতেই তিন চারজন লোক,
পরম উৎসাহী, ঘিরে ধরে আলাভোলা
কবিকে এবং বোকা-সোকা কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে
ভীষণ বিব্রত করে তাকে। নিরুত্তর তিনি মৃদু
হেসে শুধু তাকান ওদের দিকে সপ্রেম প্রশয়ে। আকাশের
সূর্য বুঝি লজ্জায় লুকোয় মুখ মেঘের বোরকায়।
কিয়দ্দূরে জনৈক যুবক, কবিতার গভীর পাঠক, স্মিত
হেসে যাত্রা থামিয়ে কবির
বিবতির, তার মতে, হেনস্থার দৃশ্য তাকে প্রায়
রুষ্ট করে তোলে এক লহমায়, কিন্তু কোনও ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
প্রদর্শনে ব্যর্থতার অন্ধকার বয়ে নিয়ে বুকে
ফুটপাতে দ্রুত, অতি দ্রুত হেঁটে যেতে শুরু করে।
১৯-১১-২০০২