আমি গোলাকার চাঁদ এবং জ্যোস্নাধারার কথা
চিন্তা করি, অথচ ঘোর অমাবস্যা
ধেয়ে আসে আমার দিকে। মনে হয়, একটা
কুচকুকে কালো কাফন আমাকে ঢেকে ফেলেছে।
দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাহলে
আমার দিন কি ফুরিয়ে এলো? চিরকালের জন্যে
নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এই শরীর আমার,
যাকে কত যত্নেই না ধুলোবালি, নোংরা
আবর্জনা থেকে বাঁচিয়ে রেখেছি? শরীর একটু
বিগড়ে গেলেই তো ধর্না দিই চিকিৎসকের দুয়ারে।
এই যে আমি বন্ধুদের মজলিশে দিলখোশ গল্পে
মেতে থাকি কখনও সখনও, এই যে চার বছরের
পৌত্রী দীপিতার কষ্ট ভোলানো
হাসির ঝলক আমাকে কোনও পবিত্র এলাকায়
নিয়ে যায় অথবা কোনও বিগত কবির পঙ্ক্তিমালা
আমার চেতনায় অপরূপ পাখি হয়ে
ভাসতে থাকে, তখন আমার নামের আড়ালে
যে সত্তার বসবাস, তার জন্যে মন কেমন উদাস হয়ে যায়।
যদি বলি, মৃত্যুকে আমি ঘৃণা করি, মৃত্যুর মুখ দেখার
কোনও সাধ নেই আমার,
তবে কি এ কথা শুনে সবাই হেসে উঠবে
ঘরদোর কাঁপিয়ে? মরণের ভয়ানক চোখমুখবিহীন
মুখ দেখার, জীবনের শপথ, সত্যি বলছি
এক কণা সাধ নেই এই বান্দার।
৩-৪-২০০৩