ছিলাম আপন মনে, যেমন উড়ন্ত পাখি থাকে
আসমানে। বাতাসের ঢেউ, মনে হয়,
নিয়ে যাবে নক্ষত্রের এলাকায়। চাঁদ
করবে আদর ভেবে যাচ্ছিলাম উড়ে
মেঘের পাড়ায়, অকস্মাৎ মেঘদল
গলে গিয়ে রূপান্তরে বৃষ্টিধারা হয়।
ঝরে, বৃষ্টি ঝরে আমি
ক্রমশ ভিজতে থাকি বৃষ্টির আদরে।
দেখি এক নিঃসঙ্গ যুবক জানালার
শিক ধ’রে বাইরে তাকিয়ে আছে আর
কী গভীর মনোযোগে যেন
করছে মুখস্থ বৃষ্টি ধারা। হয়তোবা চোখে তার
কারো বেদনার্ত মুখচ্ছবি
গভীর উঠেছে ভেসে, বুক জুড়ে নাছোড় ধোঁয়াশা।
মনে পড়ে, একদা আমিও
এমন বাদল দিনে কল্পনায় কারো মুখ বুকে
নিভৃতে ধারণ ক’রে কত না প্রহর
কাটিয়েছি, গড়েছি স্বর্গীয় বাসরের প্রতিচ্ছবি।
দিন তো থাকে না কারো এক ছাঁচে গড়া;
গহন সজল দিন কখন যে রুক্ষ,
ধু-ধু হয়ে যায় আর বুকের ভেতর
হয়তো ছড়ায় না ঘ্রাণ সিক্ত, আন্দোলিত যূথি।
১৫-৬-০৩