কবরের পাশে

গোধূলি বেলায়
একটি অচেনা কবরের পাশ দিয়ে
হেঁটে যেতে-যেতে কেন জানি
হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লাম। আশে পাশে
কোনও ঘরবাড়ি নেই, শূন্যতা বিলাপ করে শুধু
আর কিছু গাছপালা শোনাতে চাইছে কোনও কথা।
বিরান স্থানের
এই প্রায় নিশ্চিহ্ন, অচেনা কবরের
প্রয়াত বাসিন্দা কে ছিলেন?
তিনি কি পুরুষ না কি নারী? হাওয়ায় স্পন্দিত এই
গাছের সবুজ পাতাগুলি পারবে কি সত্যি জানাতে এখন?
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকি আরো কিছুক্ষণ।
কবরের পাশে
না দাঁড়িয়ে সামনের দিকে হেঁটে
যেতে শুরু করি আর কখনো সুনীল আকাশের
দিকে, কখনো-বা চারদিকে দৃষ্টি মেলে দিই কিছুই না ভেবে।
কিছুতেই ফুরায় না যেন পথ; ভাবি, আমার কি
কেবলি সম্মুখে হেঁটে চলাই নিয়তি?

বেলা পড়ে আসে,
ক্লান্তি ভর করে দু’পায়ে আমার এবং আচমকা
আমার প্রয়াত জননীর কণ্ঠস্বর ভেসে আসে মেঘমালা থেকে-
‘বাচ্চু, বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো তুমি দাঁড়াওনি
আমার নিঝুম এই কবরের পাশে। আমাকে কি ভুলে গেলে?
হায়, অপরাধী আমি মাথা নীচু ক’রে থাকি বেশ কিছুক্ষণ।
১৩-১২-২০০৩