একদিন অকস্মাৎ কী খেয়ালে আমার শরীর থেকে মন
আলাদা বেগানা হয়ে যায়। তারপর
কখনও দোয়েলরূপে শিস দেয় বিনষ্ট বাগানে,
কখনও-বা প্রজাপতিরূপে
দিব্যি ওড়াউড়ি করে এখানে সেখানে, বসে গিয়ে
বিনম্র আমার দয়িতার কাঁধে, অসিত খোঁপায়।
আমার শরীর আর থাকে না আমার
বাস্তবিক, পড়ে থাকে বিছানায় ফাঁপা,
ভাবলেশহীন; চোখ শুধু একই দিকে স্থির এবং শ্রুতিতে
পশে না গানের সুর; বই, ফুলদানিময় গোলাপগুচ্ছের
পেলব পাপড়ি থাকে স্পর্শাতীত আর
অস্তমিত স্নিগ্ধ শিশু, তরুণীকে চুম্বনের সাধ।
দূর থেকে মন অনুভূতিহীন শরীরকে দেখে ভাবে, ঐ যে
লোকটা শয্যায় পড়ে আছে, সে-তো বস্তু শুধু,
নিঃসাড়, সে আর এ মুহূর্তে বসবে না
নিবিড় টেবিলে তার, নেবে না কলম তুলে হাতে, কবিতার
পঙ্ক্তিমালা হবে না রচিত কোনওমতে। মনে বলে,
‘মগজ নিষ্ক্রিয় তার, কেননা আমি তো চেতনাকে
সঙ্গী করে বেরিয়ে এসেছি
লোকটার অভ্যন্তর থেকে। এখন সে প্রকৃত সে নয় আর।