সাধ ক’রে কেন, সখা, ঘটাবে গেরো

সে আসি কহিল, ‘প্রিয়ে, মুখ তুলে চাও

ওর মানের এ বাঁধ টুটবে না কি টুটবে না

তোলন-নামন পিছন-সামন

তুমি আছ কোন্‌ পাড়া ? তোমার পাই নে যে সাড়া

এবার চলিনু তবে

যেখানে রূপের প্রভা নয়ন-লোভা

চিঁড়েতন হর্তন ইস্কাবন

ভালো যদি বাস, সখী, কী দিব গো আর

ভাঙা দেউলের দেবতা

আর কি আমি ছাড়ব তোরে

হা-আ-আ-আই

ভালোবাসিলে যদি সে ভালো না বাসে কেন সে দেখা দিল

অভয় দাও তো বলি আমার

বাজে রে বাজে রে

ইচ্ছে ! –ইচ্ছে

কেন রে চাস ফিরে ফিরে, চলে আয় রে চলে আয়

কী জানি কী ভেবেছ মনে

পথে যেতে তোমার সাথে মিলন হল দিনের শেষে

বাহির হলেম আমি আপন ভিতর হতে

সখা, সাধিতে সাধাতে কত সুখ

বড়ো থাকি কাছাকাছি

যখন দেখা দাও নি, রাধা, তখন বেজেছিল বাঁশি

এই তো ভরা হল ফুলে ফুলে ফুলের ডালা

আমাদের সখীরে কে নিয়ে যাবে রে

দেখব কে তোর কাছে আসে

মধুঋতু নিত্য হয়ে রইল তোমার মধুর দেশে

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে

ও কী কথা বল সখী, ছি ছি, ও কথা মনে এনো না

চির-পুরানো চাঁদ

বাজে রে বাজে ডমরু বাজে হৃদয়মাঝে, হৃদয়মাঝে

অসুন্দরের পরম বেদনায় সুন্দরের আহ্বান

মধুর মিলন। হাসিতে মিলেছে হাসি, নয়নে নয়ন

ভুলে ভুলে আজ ভুলময়

এতদিন পরে মোরে

মা আমার, কেন তোরে ম্লান নেহারি

পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে

কাজ ভোলাবার কে গো তোরা

আজ আসবে শ্যাম গোকুলে ফিরে

কার হাতে যে ধরা দেব, প্রাণ

বাঁধন কেন ভূষণ-বেশে

ভিক্ষে দে গো, ভিক্ষে দে

ঝর ঝর রক্ত ঝরে কাটা মুণ্ড বেয়ে

ওগো দয়াময়ী চোর, এত দয়া মনে তোর

জয় জয় জয় হে জয় জ্যোতির্ময়

আয় রে আয় রে সাঁঝের বা, লতাটিরে দুলিয়ে যা

থাকতে আর তো পারলি নে মা, পারলি কই

আমি কেবল ফুল জোগাব

তোমায় সাজাব যতনে কুসুমে রতনে

প্রিয়ে, তোমার ঢেঁকি হলে যেতেম বেঁচে

একদা প্রাতে কুঞ্জতলে অন্ধ বালিকা

তোমার কটি-তটের ধটি কে দিল রাঙিয়া

নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধূ, সুন্দরী রূপসী হে নন্দনবাসিনী উর্বশী

কথা কোস্‌ নে লো রাই, শ্যামের বড়াই বড়ো বেড়েছে

তুমি পড়িতেছ হেসে তরঙ্গের মতো এসে

আমরা বসব তোমার সনে

বলেছিল ‘ধরা দেব না’, শুনেছিল সেই বড়াই

ওই জানালার কাছে বসে আছে করতলে রাখি মাথা

আজি উন্মাদ মধুনিশি ওগো চৈত্রনিশীথশশী

কবরীতে ফুল শুকালো