1 of 2

মহাপ্লাবন – ৪১

একচল্লিশ

লো হুয়াঙের ফ্যাক্টরির ওপর অর্ধেক ফায়ারওঅর্ৎস খরচ করেছে সোহেল। এবার হিনার ইন্সটল করা ফোনেটিক ট্র্যান্সলেটার ব্যবহার করে কল দিল ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে। জানিয়ে দিল, একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে এনসিআর ফ্যাক্টরিতে। পুড়ছে দালান। পুরো দু’বার একই কথা বলে ফোন রাখল ও। লঞ্চ টিউবে ভরল দানবীয় বোতল রকেট। নল তাক করল নিচের ফ্যাক্টরির ছাতে। টিপে দিল বাটন। একরাশ ধূসর ধোঁয়া ছেড়ে ফ্যাক্টরির ছাতে গিয়ে পড়ল আতসবাজি।

ছিটকে উঠল লাল-সাদা-বেগুনি ফুলকি। আরও চমকে দিতে আরেকটা শেল পাঠাল সোহেল। ওটার ফুলকি সোনালি। বিকট আওয়াজে ফাটল শেল। ওই শব্দ ছাপিয়ে শহরতলী থেকে এল ফায়ার ব্রিগেড বহরের করুণ বিলাপ।

‘যথেষ্ট,’ বিড়বিড় করল সোহেল। বিনকিউলার, দুই ট্রাইপড ও ক্যামেরা গাড়ির পেছন সিটে রেখে চেপে বসল ড্রাইভিং সিটে। কাছে চলে এসেছে সাইরেন। ফ্যাক্টরির দুই মাইল দূরে চওড়া সড়ক ধরে আসছে দপ দপ করা লাল আলো। আরেকটা শব্দ মনোযোগ কেড়ে নিল সোহেলের। ঘুরে তাকাল ফ্যাক্টরির দিকে। নাগাসাকি উপসাগরের আকাশ থেকে নামছে জোরালো আলো। সব আওয়াজ ছাপিয়ে এল হেলিকপ্টারের গর্জন। ল্যাণ্ড করছে ওটা।

স্কাইলাইনের ইঞ্জিন চালু করে নুড়িপাথরের সরু রাস্তায় রওনা হলো ও। বুঝে গেছে, একবার পুলিশ অফিসারকে  হেলিকপ্টারে তুললে আর কখনও তার লাশ পাবে না কেউ।

.

তিন গার্ডসহ লো হুয়াং বিশাল গ্যারাজ পেরিয়ে করিডোরে ঢোকার আগেই জ্ঞান ফিরেছে সাবা সাবেলার। করিডোর ভরে গেছে ধোঁয়ায়। দূরে কমলা ফুলকি। তবে মনে হলো না কোথাও দাউ-দাউ করে জ্বলছে আগুন।

‘ওর বাঁধন খুলে তারপর নেভাবে আগুন,’ নিৰ্দেশ দিল লো হুয়াং।

‘কী হয়েছে?’ আড়ষ্ট কণ্ঠে জানতে চাইল সাবেলা।

‘সেটা তো আপনার জানার কথা,’ ধমকের সুরে বলল হুয়াং। ‘অজ্ঞান করে রেখে আগুন দিয়েছে ফ্যাক্টরিতে।’

হাতের বাঁধন খুলে সাবেলাকে বসিয়ে দিল এক গার্ড। কবজি ডলতে লাগল ইঞ্জিনিয়ার। ক’সেকেণ্ড পর টিপতে লাগল ঘাড়। ‘ওরা জেনে গিয়েছিল ভিডিয়ো করছি।’

তার গলায় ঝুলন্ত মেডেল ধরে দেখল লো হুয়াং। কোনও ক্ষতি হয়নি ওটার। কয়েক ফুট দূরে মেঝেতে পড়ে আছে হাই-টেক কমপিউটার চশমা।

‘রেকর্ডিং করছেন বলে হামলা করলে আপনার ক্যামেরা ফেলে যেত না। প্রাণের ভয়ে পালাতে চাইছে। ভেবেছে, আগুন দিলে সবার চোখ পড়বে এদিকে। ছুটে আসবে ফায়ার ডিপার্টমেণ্ট। …যাক গে, এবার ভিডিয়োর কারণে জরুরি সব তথ্য পাব আমরা। পরে কাজে লাগবে ওদের-বিরুদ্ধেই। আশা করি যথেষ্ট ভিডিয়ো করেছেন, সাবেলা?’

মাথা দোলাল ইঞ্জিনিয়ার। ‘ভিডিয়ো তো পেয়েইছি, এ ছাড়াও আছে গলার রেকর্ডিং। নড়াচড়ার অ্যানালাইসিসও বাদ পড়েনি। সহজেই নকল করা যাবে।’

‘গুড,’ বলল হুয়াং, ‘আপনাদেরকে নিতে হেলিকপ্টার আসছে। সোজা গিয়ে নামবেন দ্বীপে। দেরি করবেন না কাজ শেষ করতে।’

‘আর কেউ যাবে?’

‘হ্যাঁ, টোকিও থেকে এসেছে চিচিওয়া। উপহার হিসেবে এনেছে পুলিশ সুপারইণ্টেণ্ডেণ্ট হিমুরাকে। তার নিখুঁত নকল তৈরি হলে, ঠিক সময়ে কেউ বুঝবে না আমরা কী করেছি।’

.

ওয়্যারহাউসের কাছে পৌঁছে গেছে রানা ও হিনা। সামনেই লোডিং বে। সাবেলার চাবি ব্যবহার করে শেষ তালা খুলল রানা। সামনে সিঁড়ি নেমেছে নিচতলায়। ওখানে অজস্র কাঠের ক্রেট। দূরে কয়েকটা গাড়ি।

‘হিমুরাকে নিয়ে বেরোতে হলে সরাতে হবে হুয়াঙের লোকের মনোযোগ,’ বলল রানা। ‘হিনা, দেখো তো ওসব গাড়ি বা ট্রাকে চাবি আছে কি না।’

‘চাবি না থাকলেও তার ছিঁড়ে চালু করব ইঞ্জিন,’ বলল হিনা।

‘বেশ,’ বলল রানা, ‘নেবে শক্তিশালী গাড়ি। যাতে প্রয়োজনে লোহার গেট বা দেয়াল ভেঙে বেরোতে পারি।’

‘শক্তিশালী? ঠিক আছে,’ বলল হিনা।

রোবট দিয়ে হামলা করাতে পারে হুয়াং,’ জানাল রানা, ‘ভুলেও নেবে না অটোমেটেড গাড়ি বা ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি।’

নিঃশব্দে গাড়িগুলোর দিকে চলল হিনা। এদিকে পেছন দরজায় পৌঁছে গেল রানা। কবাট সামান্য ফাঁক করে দেখল বাইরে। হুয়াঙের ক’জন কর্মীকে নির্দেশ দিচ্ছে ওরে চিচিওয়া। খালি করবে সেডান

লোকগুলো গাড়ি থেকে নিল দীর্ঘ কয়েকটা কাঠের কেস। এরপর নামাল চামড়া দিয়ে মোড়া কিছু জিনিস। খুব সাবধানে বাক্স রাখা হলো কার্ট-এ। কাজ শেষ হতেই টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামাল পুলিশ সুপারইণ্টেণ্ডেণ্টকে। ধুপ্ করে ফেলা হলো তাকে মেঝেতে।

সেডানের লাইসেন্স প্লেট দেখল রানা।

ওটা সরকারী গাড়ি।

উবোন হিমুরার উদ্দেশে ধমকে উঠল একজন। আরেকজন লাথি দিল কোমরে। ইশারা করছে উঠে দাঁড়াতে।

হিমুরা বেঁচে আছেন, তাতে খুশি রানা। ভেবেছিল এবার মালপত্র সরিয়ে নেবে হুয়াঙের লোক। কিন্তু জায়গা থেকে নড়ল না কেউ। শোনা গেল প্রচণ্ড আওয়াজ তুলে কংক্রিটের ডকের দিকে নামছে হেলিকপ্টার।

বিপক্ষে পাঁচজন, আর এদিকে একা রানা। ওয়্যারহাউসে চোখ বোলাল ও। এমন কিছু চাই, যেটা সমতা আনবে লড়াইয়ে। একটা ফোর্কলিফটের ওপর চোখ পড়ল ওর। ইলেকট্রিকাল ভেহিকেলটা চালু করা কঠিন নয়। ড্রাইভ করাও সহজ। রেসের ট্র্যাকে গাড়ির মত সতর্ক হতে হবে না ওকে।

দেরি না করে গিয়ে ফোর্কলিফটে উঠল রানা। ইঞ্জিন চালু করে ওপরে তুলল দুই দাঁড়া। রওনা হলো খোলা বে ডোর লক্ষ্য করে। মাত্র কয়েক সেকেণ্ডে বেরিয়ে এল ওয়্যারহাউস থেকে, সোজা চলেছে ওরে চিচিওয়ার দিকে।

দু’সেকেণ্ড পর প্রেতাত্মা দেখল, ঘাড়ের কাছে হাজির হয়েছে দাঁড়াওয়ালা কাঁকড়ার মত ফোর্কলিফ্ট। প্রাণের ভয়ে কর্কশ এক চিৎকার ছেড়ে একপাশে ঝাঁপ দিল সে। কিন্তু তার দলের দু’জনের কপাল অত ভাল নয়। ধুম্ করে তাদের বুকে লাগল ফোর্কলিফ্ট। ছিটকে পড়ল লোকদু’জন। ওদের সৌভাগ্য যে বুকে গেঁথে যায়নি লোহার দাঁড়া

না থেমেই ডানে বাঁক নিল রানা। তিন চাকার গাড়ি অস্বাভাবিক দ্রুত। দাঁড়ার প্রচণ্ড এক বাড়ি খেয়ে হুড়মুড় করে দূরে গিয়ে পড়ল একজন। ফেটে গেছে পাঁজরের কয়েকটা হাড়। অন্যজনের হাতে পিস্তল দেখল রানা। ওর মাথার ওপরে ছাতে বিঁধল বুলেট। এবার গেঁথে ফেলবে ওকে। ক্যাব থেকে ঝাঁপ দিয়ে উঁচু এক বাক্সের আড়ালে গিয়ে পড়ল রানা। সাবধানে উঁকি দিল, উবোন হিমুরাকে টেনে হেলিপ্যাডে নিচ্ছে হুয়াঙের এক লোক।

ওদিকে ছুট দেবে রানা, এমনসময় পথ আটকে দাঁড়াল ওরে চিচিওয়া। পিস্তলের বদলে হাতে চকচকে এক কাতানা!

অস্ত্র দোলাল চিচিওয়া। ‘কাউকে এক কোপে দু’টুকরো করতে না পারলে সে তলোয়ারের দাম নেই সামুরাই যোদ্ধার কাছে। বন্দি আর অপরাধীর ওপর পরীক্ষা করা হতো অস্ত্রের

ধার। এবার এই তলোয়ারটা পরখ করব তোর ওপর!’

সামনে বেড়ে একপাশ থেকে তলোয়ার চালাল ওরে চিচিওয়া। তবে ঝট করে পিছিয়ে ফোর্কলিফটের ওদিকে সরে গেছে রানা। ক্যাবের খাঁচায় লেগে পিছলে গেল তলোয়ার। ব্যস্ত হয়ে চারপাশ দেখছে রানা। আত্মরক্ষার জন্যে অস্ত্র চাই ওর। এক সেকেণ্ড পর ফোর্কলিফটের পাশ থেকে নিল লোহার ডাণ্ডার মত প্রাই বার।

ওটা দিয়ে কিছুই করতে পারবি না!’ কর্কশ হাসল ওরে চিচিওয়া। লাফিয়ে উঠে রানার মাথা লক্ষ্য করে সাঁই করে চালাল তলোয়ার।

দু’হাতে প্রাই বার মাথার ওপরে তুলে বসে পড়েছে রানা। খটাং করে লোহার দণ্ডে নামল তলোয়ার। আপাতত বেঁচে গেল ও। কিন্তু প্রচণ্ড আঘাতে হাত থেকে ছিটকে পড়েছে প্রাই বার। তৃতীয়বারের মত হুইশ্ শব্দে তলোয়ার আসতেই একপাশে ঝাঁপ দিয়ে মেঝেতে শরীর গড়িয়ে দিল ও। তীক্ষ্ণধার ফলা কেটে দিয়েছে কোটের হাতা। উন্মুক্ত বাহুর ওপর চোখ পড়ল ওর। পেশি কেটে টপটপ করে পড়ছে রক্ত। কাতানা এতই ধারালো, ত্বক ও পেশি কেটে দেয়ার সময় ব্যথা পায়নি ও।

‘পরেরবার কেটে নেব তোর মাথা, টেরও পাবি না,’ খলখল করে হাসল ওরে চিচিওয়া।

খুনিটার কথা ঠিক, ভাবছে রানা। কাছে চলে এসেছে ফায়ার ব্রিগেডের ট্রাক। ল্যাণ্ড করছে হেলিকপ্টার। ওই দুই যন্ত্রের আগমন ওকে দিল বাঁচার আশা। ‘ওরে চিচিঙ্গা, তোমার বদলে আমি হলে এখন মানে মানে কেটে পড়তাম! জেলে গেলে বাকি জীবনেও কাজে আসবে না হুয়াঙের পয়সা!’

এ কথায় আরও খেপল চিচিওয়া। তলোয়ার বাগিয়ে তেড়ে এল ওর দিকে। প্রাণ বাঁচাতে সরল রানা। প্রেতাত্মা আর নিজের মাঝে রেখেছে ফোর্কলিফ্ট। বুঝে গেছে, বেশিক্ষণ পালিয়ে বাঁচবে না। ওর চাই সত্যিকারের কোনও অস্ত্র।

কথাটা ভাবতেই ফোর্কলিফটের খাঁচায় হাত ভরে পিছিয়ে নিল একটা কন্ট্রোল। ছোট চাকায় ভর করে চরকির মত ঘুরল গাড়িটা। ওর একটা দাঁড়ার বাড়ি খেয়ে ছিটকে পেছনের মেঝেতে গিয়ে পড়ল ওরে। তাতে কী, ছুটে আসছে হুয়াঙের লোক।

ফোর্কলিফটের খাঁচায় ঢুকে রিভার্স গিয়ার ফেলল রানা, পিছিয়ে গেল দ্রুত বেগে। মুহূর্তের জন্যে হতবাক হয়েছে হুয়াঙের লোক ও ওরে চিচিওয়া। তেড়ে গিয়ে পলাতক রানাকে ধরবে কি না ভাবছে। এদিকে ডকের মেঝেতে নেমেছে হেলিকপ্টার।

মাত্র কয়েক মুহূর্তে আবারও ওয়্যারহাউসে ঢুকে পড়েছে রানা। ভাবছে, এবার ঘিরে ফেলবে হুয়াঙের লোক। কিন্তু তখনই উঁচু বাক্স ও নানান ইকুইপমেন্ট ছিটিয়ে সগর্জনে এসে ওর পাশে থামল হিনার দশ চাকার চোরাই ট্রাক।

তেড়ে যেতে গিয়ে মস্তবড় ট্রাক দেখে ব্রেক কষে থেমে গেছে হুয়াঙের লোক ও চিচিওয়া। হতাশ চোখে দেখল ট্রাকের ক্যাবে উঠে পড়ল রানা। পরক্ষণে তাদের দিকেই ছুটে এল ট্রাক। সবার আগে ঘুরেই বিরাট এক লাফ মেরে ওয়্যারহাউস থেকে বেরোল চিচিওয়া। পিছু নিল অন্যরা। পাঁচ সেকেণ্ড পর আধখোলা গেট উড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে এল দশ চাকার ট্রাক। রাস্তা ধরে আসছে আগুন নির্বাপক গাড়িগুলো।

‘কমপাউণ্ড থেকে বেরোও,’ তাড়া দিল রানা, ‘পুলিশ দেখলেও থামবে না।’

তুমুল গতি তুলছে হিনা। পকেট থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে সোহেলকে কল দিল রানা। ‘তুই কই? ওরা হেলিকপ্টারে তুলে নিয়েছে উবোন হিমুরাকে।’

‘দেখেছি,’ জবাবে বলল সোহেল। ‘পিছু নেব টেইল নম্বর দেখার জন্যে। কিন্তু কিছুটা যাওয়ার পর হয়তো সামনে রাস্তা থাকবে না।’

‘তুই তা হলে যাচ্ছিস কোথায়?’

‘দক্ষিণ-পশ্চিমে উপসাগরের দিকে।’

.

রানার কারিশমা ছিল রেস ট্র্যাকে, সোহেল জাদু দেখাচ্ছে ভিড় ভরা রাস্তায়। নানান গাড়ি, পথচারী ও ছোটবড় গর্ত এড়িয়ে উড়ে চলেছে জিটি-আর। মাঝে মাঝে সামনে পড়ছে ধীরগতি বাস। তখন হেলিকপ্টার দেখতে পাচ্ছে না সোহেল। বাধা হয়ে উঠছে গাছের সারি। কিছুক্ষণ পর আরও দূরে চলে গেল যান্ত্রিক ফড়িং।

সামনে ওয়ান ওয়ে রোড। নিয়ম না মেনে পাহাড়ি রাস্তায় ঝড়ের বেগে নামতে লাগল সোহেল। বুঝে গেল, সামনেই উপকূলীয় সড়ক। কিছুটা যেতেই বড় এক বাড়ির কারণে দেখল না হেলিকপ্টার। তখনই ওর ওপর চড়াও হলো ছোট এক গাড়ি। মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে হর্ন বাজাতে শুরু করে পাশের নর্দমায় নামল সোহেল। আরেকটু হলে উড়িয়ে দিত ফায়ার হাইড্রেন্ট। আবার উঠে এল রাস্তায়। কিছু দূর যাওয়ার পর পেল টু ওয়ে রাস্তা।

‘কই তুই?’ ঘাড় বাঁকা করে দূর আকাশে চোখ বোলাল। কোথাও নেই হেলিকপ্টার। তবে ক’সেকেণ্ড পর দেখল যান্ত্রিক ফড়িঙের রঙিন বাতি। ওটা চলেছে সাগরের দিকে।

নতুন আরেকটা রাস্তা পেয়ে প্রচণ্ড গতি তুলল সোহেল। কিন্তু এক শ’ গজ যেতে না যেতেই হেডলাইটের আলোয় দেখল, রাস্তার শেষে ঝিকমিক করছে সাইনবোর্ডের সবুজ অক্ষর। কড়া ব্রেক কষে থামল ও। রাস্তা শেষ। আর তিন ইঞ্চি এগোলে গাড়ি গিয়ে পড়বে পঞ্চাশ ফুট নিচের সাগরে!

গাড়ি থেকে নেমে চোখে বিনকিউলার তুলল সোহেল। মাত্র কয়েক মুহূর্ত দেখা গেল কপ্টারের বাতি, তারপর হারিয়ে গেল সব আলো রাতের আঁধারে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *