পিলখানা
মন-টন খুব খারাপ। তা আর হবে না? পুজোর সময়ে হাওড়ার এই গলিতে আটকা আছি। আটকা কেন, একরকম বলতে গেলে কয়েদি আসামী হয়েই আছি। জেলখানার বন্দীরাও এর চেয়ে খারাপভাবে থাকে না। বেরুতে দেয় না, কথা বলবার লোক নেই, দেয়ালের ওই ছোট চার কোনা জানলাটা খুলে দিনে তিনবার আমার খাবার চুকিয়েই, আবার দড়াম্ করে বন্ধ করে দেয়, পাছে আমার গায়ের জল-বসন্তের বীজ ওদের গায়ে লেগে যায়। বাড়িতে তো দেখে এলাম, মা রোজ রাতে বৃষ্টির সঙ্গে এক খাটে শুয়ে ঘুমোচ্ছ।
নাকি আমার পড়ার ব্যাঘাত হতে পারে। গায়ে গুটি গুটি মতো বেরুলে পড়ার কী করে ব্যাঘাত হয় বুঝলাম না। আর পুজোর ছুটিতে কেউ পড়ে নাকি? তা কে শোনে! অমনি বলা নেই কওয়া নেই, আমাকে বগল-দাবাই করে এনে খুড়ো-দাদু এইখানে পুরেছে। কী খারাপ খেতে দেয় কী বলব। সবটাতে তেঁতুল-গোলা। তা হলে নাকি জল-বসন্ত হয় না। যত সব বাজে কথা।
এখন সন্ধে হয়ে গেছে, আজ ষষ্ঠী, দূরে কাদের বাড়িতে পুজো হচ্ছে, কাছেও পুজো হচ্ছে, সব জায়গায় হচ্ছে, বাজনা বাজছে। কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছি না। আমার জানলার নীচের গলিটা আসলে এই বাড়ির নিজস্ব গলি। বেশ চওড়া। ওদিকের বাড়ির সব জানলা ইট দিয়ে গেঁথে বন্ধ করা। নাকি একশো বছর আগে দুই শরিকে হাতি ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। সায়েব হাকিম এসে এই ব্যবস্থা করেছিল। তাই ওদের নাকি এখনো রাগ আছে, বলে সায়েব ঘুষ খেয়েছিল। এদের সঙ্গে কথা বন্ধ।
এই বাড়িটা নাকি দুশো বছরের পুরোনো। এই পাড়াটাই দুশো বছরের হবে, খোলা খোলা নর্দমা, রাস্তা থেকে বাড়িতে ঢুকতে সিঁড়ি দিয়ে না-উঠে, এক ধাপ করে নামতে হয়। সেদিন খুব বৃষ্টি হল আর রাস্তায় সব জল সক্কলের বাড়ির একতলায় গিয়ে জমা হল। জিনিসপত্র সব উঁচু-উঁচু তক্তপোষে তোলা, পা উঠিয়ে বসে যে যার কাজ করে যেতে লাগল, কারো কোনও অসুবিধা হল না। দুশো বছরের অভ্যেস। বাড়িতে এই সময়ে আমরা খাই। গরম গরম হাতরুটি করে দেয় পিসিমা, আমরা ছক্কা ও আলুরদম দিয়ে খাই। তার পর একটা বড় কলা, কিংবা আম, কিংবা আতা খাই। এই গলিটার ভিতর দিকে একটা আতাগাছ দেখতে পাই, তাতে বড়-বড় আতা পেকেছে। মা থাকলে…! যাক গে, আমার এগারো বছর বয়স হয়ে গেছে, আজকাল আমি আর কাঁদি-টাদি না। কিন্তু এরা রাতে আমাকে চিনি না-দিয়ে দুধসাবু দেয়, তা নইলে নাকি আমার জল-বসন্ত হবে। সে কখন খাওয়া হয়ে গেছে, আবার আমার খিদে পেয়েছে।
আমি আসবার আগে পিসিমা বলেছিল এটাই নাকি আমাদের পৈতৃক বাড়ি। দুশো বছর ধরে আমরা সবাই এখানেই জন্মেছি, এখানেই মরেছি। ভাব একবার! একতলার ছাদ বেজায় নিচু, কিন্তু দোতলা-তিনতলার ছাদগুলো এমনি উঁচু যে রাতে ভালো করে দেখা যায় না। দেয়ালে লাগানো-আলো অতদূর পৌঁছয় না। যা-কিছু ওখানে আঁকড়ে-মাকড়ে ঝুলে থাকতে পারে, তার পর এক সময় সুবিধা বুঝে ঝুপ করে আমার ওপর প’লে, আগে থাকতে আমি টেরও পাব না। এ ঘরের সঙ্গে লাগোয়া স্নানের ঘর। ঘরের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি দেওয়া থাকে। নইলে বাড়ির অন্য ছেলেদের মধ্যে দিয়ে রোগ ছড়ায়। খুড়ো-দাদু একবার করে এসে আমাকে পড়ায়। রাতে ঘরটা অন্ধকার হয়ে যায়, গলিতে বাতি নেই। ছিল একসময় নিশ্চয়, দেয়ালে মস্ত একটা ব্র্যাকেট গাঁথা ছিল। রাতে আমার ভয় করে ঘুম ভেঙে যায়। বলেছি না, মন-টন খুব খারাপ। বাবাকে একটা চিঠি লিখতে পারলে হত। এই আলোতেই লিখতে পারতাম, যদি একটা পোস্টকার্ড পেতাম।
আমার আবার কম মন খারাপ হলে ঘুম আসে না, বেশি মন খারাপ হলে বেজায় ঘুম পায়। ঘুমিয়েই পড়েছিলাম প্রায় কারিকুরি-করা উঁচু খাটটার ওপর, এমন সময় মনে হল কোথায় টুংটাং করে আস্তে আস্তে অনেকগুলো ঘণ্টা বাজছে আর নাকে এল কেমন একটা অদ্ভুত জানোয়ারপানা গন্ধ। নিশ্চয়ই বুড়ো চৌধুরী এ-বছর পুজোয় যাত্রার বদলে সারকাসের ব্যবস্থা করেছেন। আমাকে অবিশ্যি কোনোটাই দেখতে দেবে না। এক যদি বাবা কোনোরকমে টের পেয়ে— নাঃ, শব্দটা বড্ড বেশি কাছে এসে পড়েছিল।
অমনি উঠে পড়ে ছুটে গেলাম জানলার কাছে। বাইরে তাকিয়ে আমার চক্ষুঃস্থির। একটা-দুটো নয়, গলি দিয়ে একটার পর একটা কুড়িটা হাতি আসছে, প্রত্যেকের ঘাড়ে মাথায় ফাট্টাবাঁধা মাহুত আর গলায় ঘন্টা। দেয়ালের পুরনো ব্র্যাকেটে কে একটা সেকেলে লণ্ঠন ঝুলিয়েছিল, তারই আলোতে হাতিগুলো সাবধানে এগুচ্ছিল, পা-ফেলার কোনো শব্দ হচ্ছিল না, কিন্তু গলায় ঘন্টাগুলো একটু একটু দুলছিল, তাই শব্দ হচ্ছিল।
“হেই! হেই!” প্রথম হাতিটা আমার জানলার নীচে পৌঁছেই থেমে গেল। এ-বাড়ির একতলাটা এত নিচু, আর হাতিটা এত উঁচু যে, মাহুত আর আমি একেবারে মুখোমুখি হয়ে গেলাম। দেখলাম বুড়োমতো, গায়ে গেঞ্জি, কানে মাকড়ি। চোখাচোখি হতেই সে বলল, “ওকী। চোখে জল কেন ছোটকর্তার? কেউ কিছু বলেছে?”
আমি চোখ মুছে বললাম, “জল কোথায়? ও তো ঘাম বেরুচ্ছে। আমার খিদে পেয়েছে।”
লোকটা হাসতে লাগল, “খিদে পেয়েছে তো হুকুম করুন। চোদ্দোপুরুষের গোলাম হাজির থাকতে ভাবনা কী? এই মোতি, কী নিয়েছিস মোড়ের মাথার বাগান থেকে, দিয়ে দে বলছি।”
হাতিটা শুঁড় তুলে আমার কোলে এই বড়-বড় দুটো পাকা আতা দিয়ে চোখ মিটমিট করতে লাগল, ঠিক যেন হাসি পেয়েছে।
আমি খুশি হয়ে বললাম, “তোমরা বড় ভালো। তোমার নাম কী? কোথা থেকে আসছ?”
সে বলল, “আমি হাইদার, ছোটকর্তা, ওই যে গলির ও মাথাটা এখান থেকে দেখা যায় না, ওইখানে আমাদের পিলখানা। সেখানে কুড়িটা হাতি থাকে। রোজ এই সময় বড় পুকুরে জল খাওয়াতে নিয়ে যাই। এই সময় পথঘাট ফাঁকা থাকে। দুটো-একটা হাতি আছে ভিড় দেখলে এখনো ঘাবড়ায়। এরা সব বর্মী হাতি কিনা, আগে কখনো শহর দেখেনি। এবার চলি, কেমন? আতা ধুয়ে খেও, মোতি শুঁড়ে করে এনেছে তো।”
আমি বললাম, “কাল আবার আসবে তো?”
হাইদার বলল, “রোজ রোজ আসব, এই সময়, তুমি কিন্তু মন খারাপ করোনি। পালঙ্কের তলায় ওই কাঁঠাল-কাঠের তোরঙ্গটা খুলে দেখ-না কেন, তোমাদের চোদ্দ পুরুষের জমিয়ে রাখা কত মজার জিনিস আছে ওতে।”
আমি বললাম, “তাই নাকি? কেউ কিছু বলবে না তো?”
হাইদার বলল, “তোমার জিনিস তুমি হাঁটকাবে, কে আবার কী বলবেটা শুনি? এই বাড়িতে একশোটা ঘর, একশোটা শরিক। এ-ঘরটা তোমাদের তা জানতে না?”
হাতির সারি চলতে শুরু করল, গুনে দেখলাম মাঝে-মাঝে একটা করে বাচ্চা হাতি, সব নিয়ে কুড়িটা। আতা দুটো ধুয়ে খেয়ে ফেললাম। কী ভালো যে কী বলব।
পরদিন সকালে উঠে গলি দেখে বুঝবার জো ছিল না যে, রাতে ওখান দিয়ে কুড়িটা হাতি গেছে। তারা কখন ফিরেছিল, কে জানে। লণ্ঠনটাকেও দেখলাম নামিয়ে রেখেছে। একবার ভাবলাম খুড়ো-দাদুকে হাতির কথা জিজ্ঞাসা করব। তার পরই মনে পড়ল বুড়ো চৌধুরীর সঙ্গে খুড়োদের একশো বছর কথা বন্ধ। তাদের ভাড়া করা হাতি রাতে খুড়োদের গলি দিয়ে খুড়োদের বড় পুকুরে জল খেতে যায় শুনলে খুড়ো তো রেগে চতুর্ভুজ হবেন, তার ওপর হয়তো এ পথটাও বন্ধ করে দেবেন। তা হলে হাইদারের সঙ্গে আর দেখা হবে না।
ভারি খিটখিটে খুড়ো-দাদু, হাতির কথা তাঁকে কোনোমতেই বলা যায় না। তবু পড়তে বসে জিজ্ঞাসা করলাম, “গলির ও-মাথায় কারা থাকে খুড়ো-দাদু?”
বেজায় রেগে গেলেন, “তোর তাতে কী দরকারটা শুনি? পড়াশুনোয় মন নেই, কেবল চারদিকে চোখ।” বলে এমনি হাঁড়িমুখ করে বসে রইলেন যে, আমি তখন কিছু বলতে সাহস পেলাম না।
উনি চলে যাবার সময় শুধু বললাম, “একটা পোস্টকার্ড দেবেন খুড়ো-দাদু? বাবাকে একটা চিঠি লিখব।”
“ওঃ! আমার বাপের ঠাকুরদা এলেন! যা খবর নেবার আমিই নিয়ে থাকি। সবাই ভালো আছে। তাই নিয়ে তোকে মাথা ঘামাতে হবে না।”
বললাম, “বাইরে থেকে ছিটকিনি দেবেন না। আমি বেরোব না।”
খুড়ো-দাদু বললেন, “তার পর নিখোঁজ হয়ে গেলে তোর বাবাকে কী বলব শুনি।” এই বলে বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে চলে গেলেন।
দুপুরে খাটের তলায় তোরঙ্গটা টেনে বের করে খুললাম। আশ্চর্য সব জিনিসে ভরতি। পুরোনো বাঘবন্দী খেলার ছক-কাটা বোর্ড, রবার-ছেঁড়া গুলতি, হলদে হয়ে যাওয়া পড়ার বই, ছেঁড়া কাপড়-চোপড়। আমার একটা-ফোটো। দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আমার এত পুরোনো ফোটো কী করে হবে? পিছনে আমার মতো হাতে লেখা মনি রায়। বাবার নাম। তা হলে বাবার ফোটো। এ-ঘরে বাবা কি ছোটবেলায় থাকতেন? সারাদিন বসে অনেক পড়াশুনা করে ফেললাম।
কী করে বাবাকে একটা চিঠি লেখা যায়?
সন্ধের আগেই আমার দুধসাবু পৌঁছে দিয়ে, খুড়ো-দাদুরা সপ্তমী পুজো দেখতে গেলেন। তখন আমি জানলার কাছে বসে খুব খানিকটা কেঁদে নিলাম।
“হেই! হেই!— এই দেখ! এ কী কাণ্ড!”
মুখ তুলে দেখি একেবারে নাকের সামনে হাইদারের মুখ। আজ মোতি হাতিকে কিছু বলতে হল না, শুঁড় বাড়িয়ে নিজের থেকেই আমার হাতে আতা গুঁজে দিল। ওর গুঁড়ে হাত বুলিয়ে দেখলাম কী নরম, কী মোলায়েম। মোতি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে লাগল। তার পিছনে হাতির সারি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দুলতে লাগল।
হাইদার বলল, “কী হয়েছে বলবেনি?”
অমনি তাকে সব কথা বলে ফেললাম। শুনে হাইদার একটুক্ষণ চুপ করে বলল, “পোস্টকাট আবার কী?”
মুখ্যু বেচারি পোস্টকাট জানে না। জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমরা বাড়িতে চিঠি লেখ না? তাকেই বলে পোস্টকাট।”
হাইদার বলল, “চিঠি? চিঠি কে নিয়ে যাবে কর্তা? বছরে একবার নিজেই চিঠি হয়ে চলে যাই। কিন্তু তোমার জন্য তো একটা কিছু করতে হয়। আচ্ছা যদি ঘর থেকে ছেড়ে দিই, একা-একা বাড়ি যেতে পারবে?”
“খুব পারব, নিশ্চয়ই পারব। কিন্তু ওরা তো সদর দরজায় তালা দিয়ে গেছে, কী করে খুলবে?”
হাইদার হা-হা করে হেসে উঠে বলল, “শুনলি তো মোতি? কই, লাগা দিকিনি! জানলা থেকে সরো কর্তা!”
সঙ্গে সঙ্গে মনে হল মোতি হাতি হাঁটু দিয়ে একতলার দেয়ালটা একটু ঠেলে দিল, আর অমনি পড় পড় মড় মড় করে দেয়াল ভেঙে, জানলা ভেঙে, নীচের রাস্তা অবধি দিব্য একটা সাঁকোর মতো হয়ে গেল। আমি আর অপেক্ষা করলাম না, অমনি পড়ার ব্যাগটা বগলে পুরে এক দৌড়ে নেমে এলাম। হাতির লাইন সুদ্ধু হাইদার ততক্ষণে হাওয়া। কোথাও ওদের দেখতে পেলাম না।
আমি ছুটে মোড়ের মাথায় গিয়ে বাস ধরলাম। যখন বালগঞ্জে আমাদের বাড়িতে পৌঁছলাম, তখন হয়তো রাত নটা, বাবাদের খাবার দিচ্ছিল। আমাকে দেখে বাবার চক্ষু চড়কগাছ। মা হয়তো বকবেন বলে তৈরি হচ্ছিলেন, আমি ছুটে গিয়ে বাবার কোলে মুখ গুঁজে কেঁদেকেটে একাকার করলাম।
আমার গলার আওয়াজ শুনে বুন্টিও ঘর থেকে বেরিয়ে এল, কিছুতেই আর গেল না, বলল, “আমি সেরে গেছি, কেন যাব?” বলে হাউমাউ করে সেও বাবার কোলে মুখ গুঁজে কান্না জুড়ে দিল। ভারি ছিঁচকাঁদুনে হয়েছে মেয়েটা।
ঠিক তখনি আমাদের জন্য পুতুল, হকি-স্টিক, বেলুন, মুড়ি-ল্যাবেঞ্জুশ, শোনপাপড়ি নিয়ে জ্যাঠামশাই এলেন। আমরা বাবার গেঞ্জিতে চোখ-টোখ মুছে ফেললাম।
অনেক রাতে বাবার পাশে শুয়ে ঘর বন্ধ থাকার কথা, হাইদার আর মোতি হাতির কথা বাবাকে বললাম।
বাবা অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর বললেন, “তোর জ্যাঠামশাই যখন তোর মতো, আমি একটু ছোট, আমাদের মা-বাবা বর্মা থেকে আসার পথে জাহাজসুদ্ধ নিখোঁজ হয়ে যান। ঐ ঘরে আমরাও মাস তিনেক ছিলাম। বড় দুঃখকষ্টে ছিলাম রে। তখনো রোজ রাতে হাইদার আসত, হাতির সারি নিয়ে। আমাদের ফল-টল খেতে দিত। একদিন হঠাৎ বলল, কাল তোমাদের মা-বাবা আসবে দেখো। ওমা, সত্যিই তাই। ঝড়ে পড়ে জাহাজ আসতে দেরি হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল জাহাজডুবি হয়েছে। আরো কিছুদিন ছিলাম ওই বাড়িতে, কিন্তু হাইদার আর হাতিরা আর আসেনি।”
আমি বললাম, “তোমরা কেন গলি দিয়ে পিলখানায় গিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করলে না?”
বাবা আস্তে-আস্তে বললেন, “পিলখানা? পিলখানা কোথায় পাব রে? সে তো আরো একশো বছর আগেই ভেঙেচুরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছিল।”
বললাম, “আর দেখোনি, বাবা?”
বাবা বললেন, “না রে, শুধু দুঃখী লোকেরা ওদের দেখতে পায়।”