কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত ছিল। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে তাঁরা মনে করতেন যে, বিশ্বের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে পৃথিবী। পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই সূর্য এবং অন্য গ্রহ-নক্ষত্রগুলো আবর্তিত হচ্ছে। সেই তখন এই ভুল ধারণার প্রবল প্রবক্তা ছিলেন দ্বিতীয় শতকের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লডিয়াস টলেমি।
তবে মজার ব্যাপর হলো—সৌরজগৎ সম্পর্কিত এই ভ্রান্ত ধারণাটিই সুদীর্ঘ বারোশো বছর ধরে প্রচলিত ছিল। তাঁদের সবাই এর সমর্থকও ছিলেন। এমনকি ধর্মশাস্ত্রেও একে সমর্থন করা হয়েছিল।
কিন্তু যিনি সর্বপ্রথম এই ভ্রান্ত ধারণাকে খণ্ডন এবং আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক চিন্তাধারার প্রবর্তন করেন, তাঁর নাম নিকোলাস কোপারনিকাস (Nicolus Copernicus)। তাই খুবই সঙ্গত কারণে বলা যায়, কোপারনিকাসই মহাকাশের গ্রহ- নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক মতের প্রথম প্রবর্তক। তিনিই প্রথম বলেন, পৃথিবী নয়, সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হল সূর্য। সূর্যই সমগ্র সৌরজগৎকে আলোকিত করে থাকে।
কোপারনিকাস তাঁর জীবনকালে তাঁর এই মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানের এই সঠিক ধারণার তিনিই প্রথম প্রবক্তা, যা ‘কোপারনিকাসীয় মতবাদ’ (Copernican System) হিসেবে পরিগণিত।
নিকোলাস কোপারনিকাসের জন্ম পোলান্ডের তোরান শহরের এক অভিজাত পরিবারে ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি। জার্মান বংশোদ্ভূত বাবা নিকোলাস কোপারনিগ ছিলেন মস্তবড় ধনী ব্যবসায়ী। মা বারবারা ওয়াকজেনরোড ছিলেন এরম্যালান্ডের বিশপের বোন।
কোপারনিকাসেরা ছিলেন দু ভাই দু বোন। ভাই-বোনদের মধ্যে কোপারনিকাস ছিলেন সকলের ছোট।
মাত্র দশ বছর বয়সেই পিতৃহীন হন তিনি। পিতার মৃত্যুর পর মামা লুকাস ওয়াকজেনরোডই তাঁদের দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মামা ছিলেন একজন ধর্মযাজক ও পণ্ডিত মানুষ। তাই ছোটোবেলায় কোপারনিকাসের ইচ্ছে ছিল তিনিও বড় হয়ে মামার মতোই ধর্মমাজক হবেন।
১৪৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি পোল্যান্ডের ক্র্যাকো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেইকালে রাজধানী ক্র্যাকো ছিল শিল্প-সাহিত্য ও ঐশ্বর্যের দিক দিয়ে গোটা ইউরোপের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
ক্র্যাকো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য সেকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তথা জার্মানি, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, সুইডেন প্রভৃতি দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসত।
এখানে যা কিছু পাঠ্য ছিল, তার বেশিরভাগই ছিল ল্যাটিন ভাষায় রচিত। ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সবার আগে শিখতে হতো ল্যাটিন ভাষা।
কোপারনিকাসও অল্প বয়সেই ল্যাটিন ভাষা শিখে ফেললেন। ক্র্যাকো বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূগোল ও জ্যামিতি শিক্ষা করেন।
এখানে পড়ার সময়ই তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে সেখানকার বিখ্যাত পণ্ডিত অধ্যাপক ব্রডজেভস্কির সাথে। তিনি ছিলেন টলেমির ভূকেন্দ্রিক মতবাদে বিশ্বাসী। তাঁর কাছেই কোপারনিকাস গণিতশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।
ক্র্যাকো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষে ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন। আসার পরই মামা সিদ্ধান্ত নিলেন ভাগ্নেকে এবার গির্জার যাজকের পদে অধিষ্ঠিত করবেন। কিন্তু পরক্ষণেই তাঁর মনে হলো একজন ভালো যাজক হতে হলে কোপারনিকাসকে আরও জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। এ পড়াই যথেষ্ট নয়। এবার তাঁকে বিদেশে পাঠাতে হবে।
১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে মামা তাঁকে ইতালিতে পাঠান। সেখানে তিনি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা, আইন ও ধর্মীয় শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেন। ইতালিতে এসে প্রথমে তিনি বালোনিয়ার আইন স্কুলে ভর্তি হন। এখানেই তিনি দার্শনিক প্লেটোর রচনার সাথে প্রথম পরিচিত হন এবং ইতালির তখনকার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডোমিনিকো নোবার সান্নিধ্য লাভ করেন। এই ডোমিনিকোর সংস্পর্শে এসেই কোপারনিকাস মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
এই সময় তাঁর পড়াশোনার প্রধান বিষয় ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান। তখন নৌবাণিজ্য ব্যাপক প্রসারলাভ রলেও সমুদ্রে জাহাজ চলাচল তখনও পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর।
১৫০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি রোম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তিনি ছেড়ে দেন এই চাকরি। ফিরে আসেন ক্র্যাকোর বিখ্যাত ফ্রুয়েনবার্গ গির্জায়। এসেই কাজ করতে শুরু করেন প্রধান যাজকের পদে।
এর কিছুদিন পর ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার পড়াশোনার জন্য চলে আসেন ইতালিতে। তখনকার পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন আইন ও চিকিৎসাশাস্ত্র।
১৫০৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফেরারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মশাস্ত্রের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি পড়াশোনা করেন ইতালির আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মামার মৃত্যুর পর তিনি ১৫১২ খ্রিস্টাব্দে ফ্লুয়েনবার্গের গির্জার সর্বময় কর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। এই গির্জায় কাজ করার সময়ই তিনি মহাকাশ সম্পর্কে গবেষণার অবারিত সুযোগ পান। তিনি গির্জার দেয়ালের একটি উঁচু চূড়োয় দাঁড়িয়ে আকাশের চন্দ্র, সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহের গতিবিধি লক্ষ করার কাজ শুরু করেন।
যতই এই কাজ এগুতে থাকে, টলেমির মতবাদের প্রতি ততই তিনি সন্দিহান হয়ে উঠতে থাকেন। অবশেষে তিনি টলেমির ভুল ধরতেও সক্ষম হন। তিনি বুঝতে পারেন, আসলে পৃথিবী নয়, সূর্যই হলো সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি আরও বুঝতে পারেন, সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘোরে বলেই ঋতুর পরিবর্তন হয়। আর পৃথিবী তার নিজ অক্ষের ওপর আবর্তিত হয় বলেই দিন ও রাত্রির এই পালাক্রম।
এরপর থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে তাঁর উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। তিনি শুরু করেন পড়াশোনা। প্রাচীন তথ্যাবলি পর্যালোচনা করে জানতে পারেন, দু হাজার বছর আগে পিথাগোরাস সর্বপ্রথম গ্রহ-নক্ষত্রের গতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে গেছেন। পিথাগোরাস বলেছিলেন, সূর্যই হলো মহাবিশ্বের কেন্দ্রস্থল। এটাই ছিল সঠিক তথ্য।
কিন্তু পরবর্তীকালে অ্যারিস্টটল প্রথম সৃষ্টি করেন গোলমালের এবং টলেমি সেই বিভ্রান্তিকে আরও জোরদার করেন দ্বিতীয় শতকে এসে। তাঁরাই পিথাগোরাসের সঠিক মত উলটে দিয়ে ভুল করে বললেন, পৃথিবীই হলো বিশ্বের কেন্দ্র।
কোপারনিকাসের আবিষ্কারের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত এই ভ্রান্ত মতই প্রচলিত ছিল। কিন্তু এই বিভ্রান্তি দূর করে কোপারনিকাস বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী নয়, সূর্যই সৌরজগতের কেন্দ্র। টলেমির মতবাদ সঠিক নয়।
কিন্তু কোপারনিকাস সত্য প্রমাণ করলেও সৎ সাহস ও দৃঢ়তার অভাবে তাঁর এই মতকে তিনি জীবিতকালে প্রতিষ্ঠিত করে পারেননি।
কোপারনিকাস তাঁর এই মতবাদ ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে লিপিবদ্ধ করলেও ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করতে সাহস পাননি। কারণ, তিনি ছিলেন গির্জার একজন ধর্মযাজক। আরও তাঁর গবেষণার ফল ছিল গির্জা ও প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিরোধী। তিনি জানতেন, তাঁর এই মতবাদ প্রচারিত হলে তাঁকে ধর্মদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করা হতে পারে। তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে চাননি।
তাই পাণ্ডুলিপি তৈরি হওয়ার পরও দীর্ঘ তেরো বছর পর্যন্ত তাঁর গ্রন্থ অপ্রকাশিতই থেকে যায়।
অবশেষে এগিয়ে আসেন উইটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক জর্জ জোয়াকিম রেটিকাস। তিনিই কোপারনিকাসের কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি চেয়ে নিয়ে যান এবং দীর্ঘ দু বছর ধরে তা অধ্যয়ন করেন। তিনি অনেক বলে-কয়ে অবশেষে পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশের ব্যাপারে কোপারনিকাসের অনুমোদন লাভ করেন।
এর পর তাঁর তত্ত্বাবধানেই জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোপারনিকাসের বৈপ্লবিক মতবাদ- সংবলিত গ্রন্থ ‘ডে রেভোলিউশনিবাস অরবিউম সেলেস্ট্রম’ বা ‘রেভোলিউশনস’ (De Revolutionibus Orbium Celestum) প্রকাশিত হয় ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে। গ্রন্থটি যখন প্রকাশিত হয়, তখন কোপারনিকাসেরও প্রায় অন্তিম মুহূর্ত। তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে তখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত। মৃত্যুর মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে মুদ্রিত পুস্তকটি তাঁর হাতে পৌঁছয়। এই গ্রন্থে মাধ্যমেই তিনি সৌরজগতের একটি সঠিক নকশা তুলে ধরেন এবং নির্ণয় করে দেখান পৃথিবীর অবস্থান।
৭০ বছর বয়সে কোপারনিকাসের মৃত্যু হয় ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মে।
তাঁর ‘রেভোলিউশনস’’ গ্রন্থটি মোট ছয় খণ্ডে সমাপ্ত। এর প্রথম খণ্ডে আছে পৃথিবীর গোলতত্ত্ব ও গতি সম্পর্কিত বর্ণনা। দ্বিতীয় খণ্ডে আলোচনা করা হয়েছে সূর্যের অয়নবৃত্ত বিষয়ে, তৃতীয় খণ্ডে আছে সূর্যের আপাত গতির বিষয়টি এবং চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ খণ্ড পর্যন্ত অংশে আলোচনা করা হয়েছে যথাক্রমে চন্দ্র ও গ্রহ-নক্ষত্রের ওপর
কোপারনিকাস তাঁর এই বিতর্কিত গ্রন্থটির উৎসর্গপত্রে পোপকে এই বলে অনুরোধ করেছিলেন যে, গণিতশাস্ত্রে বিশেষ জ্ঞান না থাকলে কেউ যেন তাঁর গ্রন্থের সমালোচনা এবং আপন স্বার্থসিদ্ধির জন্য কেউ যেন ধর্মীয় শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করে তাঁর গ্রন্থটির সমালোচনা না করেন।
কিন্তু সেই সমালোচনা থেকে রেহাই পেলেন না কোপারনিকাস। বিতর্কিত গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মারা গিয়ে রক্ষা পান। তিনি নিজে সব ধরনের তর্কবিতর্ক আর সমালোচনার ঊর্ধ্বে চলে গেলেও তাঁর রেখে যাওয়া গ্রন্থ তখনকার সমাজে সৃষ্টি করে প্রবল বিতর্কের।
যে ভয় কোপারনিকাসের মনেও ছিল, অবশেষে তা-ই সত্যে পরিণত হলো। রক্ষণশীল ধর্মযাজক সম্প্রদায় তাঁর এই নতুন মতবাদকে সহজভবে গ্রহণ করলেন না। তাকে তাঁরা ধর্মবিরুদ্ধ বলে ঘোষণা করলেন। শুধু ধর্মযাজকরাই নন, সেকালের অনেক বড় বড় জ্যোতির্বিদও এই নতুন মতবাদের সাথে একমত হতে পারেননি। যেমন, সেকালের প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহেও এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি ছিলেন টলেমি প্রচারিত মতবাদের সমর্থক।
কোপারনিকাস গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে যেসব তথ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, তা ছিল অনেকাংশে সঠিক। যদিও পরবর্তীকালে কোপারনিকাসীয় মতবাদের কিছু কিছু ভ্রান্তি সংশোধন করা হয়েছে। তবু মূল তথ্যগুলো ছিল অভ্রান্ত।
যেমন, কোপারনিকাস বলেছিলেন, সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীসহ অন্য যেসব গ্রহ কক্ষপথে ঘোরে তা বৃত্তাকার; কিন্তু পরবর্তীকালে উন্নত যন্ত্রপাতির সাহয্যে পরীক্ষা করে আধুনিককালের বিজ্ঞানীরা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন যে, পৃথিবীর কক্ষপথ বৃত্তকার নয়, উপবৃত্তাকার।
তবু সেই আদিকালে যখন টেলিস্কোপও আবিষ্কৃত হয়নি, সেই তখন অতটা নির্ভুল গণনা করা কারও পক্ষেই সম্ভব ছিল না। কোপারনিকাসের হাতে তো যন্ত্রপাতি কিছুই ছিল না; তিনি গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন কেবল গাণিতিক পদ্ধতিতে এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করে। সেখানে এই সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি তেমন বড় কথা নয়।
তাই আজও আধুনিক বিজ্ঞানীদের কাছে কোপারনিকাসীয় মতবাদ একটি মস্ত বড় বিষয়। পরবর্তীকালে আরও উন্নত গবেষণার মাধ্যমে কেপলার (১৫৭১–১৬৩০), গ্যালিলিও (১৫৬৪–১৬৪২), এবং নিউটনের (১৬৪২–১৭২৭) মতো বিজ্ঞানীরা কোপারনিকাসের মতবাদকে নির্ভুলভাবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। আর তাই আজও তাঁকে অভিহিত করা হয় আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্থপতি।