অমৃত – আর্থার সি ক্লার্ক
বক্তব্য আরম্ভ করার আগে আমি আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই যে, আমার বক্তব্যের মধ্যে এমন অনেক কিছু থাকবে যা শুনে ঘৃণায় আপনাদের বমি পেতে পারে। কারণ সেই সমস্ত কথাগুলো মানুষের চরিত্রের এমন একটা দিক সম্বন্ধে, যা কেউ একটা জাতীয় কমিটির সামনে দূরে থাক এমনকি সাধারণ মানুষের সামনেও আলোচনা করে না। আমি দুঃখিত যে এই সমস্ত অপ্রিয় তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে হচ্ছে। কিন্তু এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। মাঝে মাঝে এমন একেকটা সময় আসে যখন ভদ্রতার মেকি মুখোশটা ছিঁড়ে ফেলার দরকার হয়। এটাও সেইরকম একটা সময়।
ভদ্রমহোদয়গণ, আমি এবং আপনারা সবাই একদল মাংসাশী মানুষের বংশধর। আমাদের পূর্বপুরুষরা সবাই ছিলেন মাংসাশী। আপনাদের মুখের চেহারা দেখেই বুঝতে পারছি যে কথাটার মানে কেউ বুঝতে পারেননি। আশ্চর্যের কিছুই নেই–এটা যে ভাষার কথা সে ভাষাটা আজ দু-হাজার বছর হল অব্যবহার্য হয়ে পড়েছে। কথাটার মানে বলতে গিয়ে আমি সমস্ত মাধুর্য পরিত্যাগ করে রূঢ় সত্যি কথাটাই বলব, যদিও তার জন্যে আমাকে এমন কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করতে হতে পারে যা কোনও ভদ্রসমাজে কেউ উচ্চারণ করে না। এর জন্যে আগে থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
কয়েক শতাব্দী আগেও পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক মানুষের প্রিয় খাদ্য ছিল মাংস–একটা জীবিত কোনও প্রাণীর শরীরের অংশ। না ভদ্রমহোদয়গণ, আপনাদের ঘৃণা জাগানোর জন্যে আমি এ-সমস্ত বলছি না; আমি যা বলছি তার সবই সত্য এবং আপনারা তা ইতিহাস বই দেখে মিলিয়েও নিতে পারেন…।
হ্যাঁ হ্যাঁ, নিশ্চয় সভাপতি মহাশয়, সেনেটর ইরভিং সুস্থ না বোধ করা পর্যন্ত আমি নিশ্চয়ই অপেক্ষা করব। আমাদের মতো পেশাদারেরা প্রায়ই ভুলে যায় যে সাধারণ মানুষ এই মস্ত তথ্যকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে। সেইসঙ্গে আমি এই কমিটিকে আবার সাবধান করে দিচ্ছি যে আমার তথ্য-প্রমাণের সবচেয়ে খারাপ অংশটাই এখনও বাকি আছে। সুতরাং যদি এখানে কারোর এই মস্ত অপ্রিয় তথ্যের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা থাকে তা হলে তিনি দয়া করে বেশি দেরি হয়ে যাবার আগেই সেনেটর মহাশয়ের অনুমতি নিয়ে চলে যেতে পারেন।
আমি আমার বক্তৃতা পুনর্বার শুরু করছি। বর্তমান সময়ের কিছু আগেও মানুষ যা খাবার খেত তা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া শস্য, ফল, প্ল্যাঙ্কটন, অ্যালজি এবং আরও নানা ধরনের উদ্ভিদ। যদিও আমাদের পক্ষে অনুমান করা খুবই কঠিন। হয়ে পড়ে তবুও একথা সত্যি যে আমাদের পূর্বপুরুষদের অধিকাংশ ছিল চাষি। তারা আদিম আর কষ্টকর উপায়ে মাটি আর সমুদ্র থেকে খাবার উৎপাদন করত।
দ্বিতীয় ধরনের খাবার, এবং এবার আমি অপ্রিয় তথ্যে ফিরে আসছি, ছিল মাংস। এটা পাওয়া যেত কয়েক ধরনের জানোয়ার থেকে। আপনারা হয়তো এরকম কয়েক ধরনের জানোয়ারের সঙ্গে পরিচিত– গোরু, শুয়োর, ভেড়া, তিমি। বেশির ভাগ লোকই–দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি–অন্য কোনও খাবারের চেয়ে মাংসই বেশি পছন্দ করত। যদিও শুধুমাত্র ধনীরাই এই মাংস দিয়ে সম্পূর্ণ পেট ভরাতে পারত।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষের কাছেই মাংস ছিল দুর্লভ একটা বিলাসিতা। তাদের দৈনন্দিন খাবারের শতকরা নব্বই ভাগই ছিল উদ্ভিদজাত খাদ্য।
যদি আমরা গোটা ব্যাপারটা ঠান্ডা মাথায় আর আবেগহীনভাবে চিন্তা করি এবং আমি আশা করি যে সেনেটর ইরভিংও সেইভাবে চিন্তা করার মতো অবস্থায় আছেন–আমরা দেখতে পাব যে মাংস দুর্লভ আর দামি হওয়াটা আশ্চর্যের কিছু ছিল না। কারণ মাংস উৎপাদনের রীতিটাই ছিল বড় জবরজং–এক কিলো মাংস উৎপাদনের জন্যে একটা জানোয়ারকে কম করে দশ কিলো উদ্ভিদজাত খাবার খেতে হত– উদ্ভিদজাত খাবার যা মানুষ নিজেই সোজাসুজি খেতে পারত। আমাদের পূর্বপুরুষরা রুচিবোধসম্পন্ন মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার না করে দেখলেও এই প্রথা উঠে গেল। কারণ বিংশ শতাব্দীতে population explosion হল। এই সময়ে একজন মাংস খেলে অন্তত দশজনকে উপোস করতে হত।
সৌভাগ্যবশত, Biochemist-রা এই সমস্যার সমাধান করে ফেললেন। হয়তো আপনারা জানেনও এই সমাধান হল মহাকাশবিজ্ঞানের অসংখ্য আবিষ্কারের মধ্যে একটি। সব খাবার–উদ্ভিদজাত অথবা প্রাণিজ কয়েকটা অতি সাধারণ জিনিস দিয়ে তৈরি হয়। কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সামান্য পরিমাণে সালফার ও ফসফরাস এই আধডজন বস্তু, এবং আরও অসংখ্যভাবে একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেকটা খাবার যা মানুষ খেয়েছে বা খায়নি, সেগুলো তৈরি করে। চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করার সমস্যার সম্মুখীন হয়ে একবিংশ শতাব্দীর Biochemist-রা আবিষ্কার করলেন জল, পাথর, হাওয়া ইত্যাদি সাধারণ জিনিসকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে কী করে খাবার, তৈরি করতে হয়। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটাই ছিল বোধহয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। অবশ্য এতে আমাদের এত গর্বিত হবার কিছুই নেই। উদ্ভিদেরা আমাদের কয়েক কোটি বছর আগে থেকেই এইভাবে খাবার তৈরি করা শেখে।
কেমিস্টরা এখন যে-কোনও খাবার তৈরি করতে সক্ষম হলেন, তা সে খাবার প্রকৃতিতে পাওয়া যাক আর না-ই যাক। বোধ করি না বললেও চলবে যে এই পদ্ধতি অবলম্বন করার সময়ে অনেক ভুল এমনকি দুর্ঘটনা পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে। বড় বড় শিল্পসাম্রাজ্য তৈরি হল, আবার ভেঙে পড়ল। চাষবাস আর পশুপালনের থেকে আজকের বিরাট বিরাট স্বয়ংক্রিয় খাবারের কারখানার মধ্যে যে অদলবদল হল তা সবার পক্ষে সুখকর ছিল না, কিন্তু তার দরকার ছিল এবং তার জন্যে আমরা আজ অনেক সুখী। আজকে দুর্ভিক্ষ আর উপবাসের ভয় তো নেই-ই, উপরন্তু আমরা যতরকম খাবার খেতে পারছি ততরকম খাবার কোনও সময়ের কোনও জাতই খায়নি।
এ ছাড়া মানবিক দিক দিয়ে বিচার করলে আমরা আরও অনেক কিছু লাভ করেছি। আমরা আর খাদ্যের প্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ জীবন্ত পাণী হত্যা করি না। তা ছাড়া কসাইখানা মাংসের দোকান ইত্যাদি ঘৃণ্য জায়গাগুলি পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গেছে। যদিও আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস, তবুও ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে তারা কী করে এই সমস্ত ঘৃণ্য জায়গাগুলিকে বরদাস্ত করতে পারতেন।
তবুও–অতীতের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলা একেবারেই অসম্ভব। আমি আগেও বলেছি, আমরাও মাংসাশী; আমাদের রুচি আর ভিন্ন ভিন্ন খাবারের প্রতি ভালোবাসা কয়েক কোটি বছর ধরে অর্জন করে আসছি। আমাদের ভালো লাগুক বা না-লাগুক কয়েকশো বছর আগেও আমাদের প্রপিতামহরা গোরু-শুয়োর-ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির মাংস খেতেন– অবশ্য যখন তাঁরা পেতেন তখনই এবং আমরা আজও এটা খেতে ভালোবাসি। ওহো! সেনেটর ইরভিং, আপনার পক্ষে বাইরে থাকাই ভালো। অবশ্য এ-সমস্ত অপ্রিয় কথাগুলো এমন সোজাসুজি বলা আমার পক্ষে হয়তো উচিত হয়নি। আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা হচ্ছে যে আমরা যে সব কৃত্রিম খাবার খাই তাদের অধিকাংশ ফরমুলা সত্যিকারের খাবারের সঙ্গে এবং এমনকি কয়েকটা কৃত্রিম খাবারের সঙ্গে সত্যিকার খাবারগুলোর স্বাদের এমন মিল আছে যে কোনওরকম রাসায়নিক বা অন্য পরীক্ষাদুটোর মধ্যে কোনও তফাত বের করতে পারে না। অবশ্য এই অবস্থাটা খুবই যুক্তিসঙ্গত আর অপ্রতিরোধ্য। আমাদের মতো প্রস্তুতকারকরা সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকৃত খাবারগুলোকে মডেল হিসেবে ব্যবহার কবে, তাদের স্বাদ আর গঠন আমরা তৈরি করি।
অবশ্য আমরা এই সমস্ত খাবারের এমন নতুন নতুন নাম দিয়েছি যা এই সমস্ত খাবারে জন্তুর কিম্বা শারীরিক উৎপত্তি সম্বন্ধে কোনও আভাসই দেয় না। আপনারা এখন রেস্টুরেন্টে গেলে মেনুতে যে-সমস্ত খাবারের নাম পাবেন সেগুলো হয় একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আমরা বের করেছি আর নয় সত্যিকারের ফরাসি নামের একটু ভিন্ন রূপ যা খুব কম লোকই বুঝতে পারবে। যদি আপনাদের কোনওদিন নিজস্ব সহ্যশক্তির সীমারেখা খাঁটিয়ে জানার ইচ্ছে হয় তা হলে আপনারা খুব চিত্তাকর্ষক কিন্তু প্রচণ্ড অপ্রীতিকর একটা এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। লাইব্রেরি অব কংগ্রেস-এর একটা গোপন বিভাগে আগেকার সমস্ত অখ্যাত রেস্টুরেন্টগুলোর, এমনকি হোয়াইট হাউসের ভোজগুলোর মেনুগুলো পর্যন্ত রাখা আছে বর্তমান সময়ের পাশে। এই মেনুগুলো এমন। অমার্জিত সরল শবব্যবচ্ছেদের রিপোর্টের মতো করে লেখা যে এগুলো একেবারেই অবোধ্য। এই মানুষগুলো আমাদের কয়েক বছরের আগেকার পূর্বপুরুষদের মধ্যে পার্থক্যটা যত পরিষ্কার করে ফুটিয়ে তোলে ততটা বোধহয় আর কিছুই তুলতে পারে না।
হ্যাঁ, সভাপতি মহাশয়, আমি এবার আমার মূল বক্তব্যে আসছি। যা যা বললাম তার কোনওটাই অপ্রাসঙ্গিক নয়, যদিও সমস্তটাই অপ্রিয়। আমি আপনাদের খিদে নষ্ট করে দেবার চেষ্টা করছি না। আমি খালি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা Triplanetary food corporation-এর বিরুদ্ধে যে-অভিযোগ আনতে চাই তারই ভিত্তিটা তৈরি করছিলাম মাত্র। এই সমস্ত তথ্যগুলো না বুঝলে আপনারা হয়তো মনে করবেন যে আমার এই অভিযোগ মিথ্যা এবং এই মিথ্যা অভিযোগের কারণ হল যে আমার প্রতিষ্ঠান বাজারে চালু হবার ফলে অ্যামব্রোসিয়াপ্লাস মার খাচ্ছে।
ভদ্রমহোদয়গণ! প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন খাবার আবিষ্কৃত হচ্ছে। এদের সবার সম্বন্ধে খবর রাখা মুশকিল। এরা মেয়েদের ফ্যাশনের মতো আসে আর যায় এবং একহাজার খাবারের মধ্যে একটা খাবার চিরস্থায়ী হয়ে যাওয়ার নজির খুবই বিরল। তাই সেই দিক দিয়ে বিচার করলে আমি স্বীকার করতে বাধ্য হব যে Ambrosia Plus সিরিজের খাবারগুলো সমস্ত খাবার তৈরির ইতিহাসে সবচেয়ে কৃতিত্ব লাভ করেছে। আপনারা সবাই এর জনপ্রিয়তার কথা জানেন। এটা চালু হবার পর বাজারে আর অন্যকিছু চলছে না।
আমার প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রত্যেকটা খাবার প্রকৃত আর কৃত্রিম দুই-ই-যা মানুষ কোনওদিন খেয়েছে তার টেপ আছে। এমন সমস্ত খাবারের টেপ আছে যার নামও আপনারা কোনওদিন শোনেননি–স্কুইড ভাজা, মধু দেওয়া পঙ্গপাল, ময়ূরের জিভ আমাদের বিরাট লাইব্রেরিভরতি মস্ত খাবারের স্বাদ আর তাদের গঠন হল আমাদের। ব্যাবসার মূলধন। এবং অনান্য প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে একই কথা খাটে। এই লাইব্রেরি থেকে যতরকমভাবে কল্পনা করা যায় ততরকমভাবে আইটেম নিয়ে আর মিশিয়ে খাবার তৈরি করি; এবং খুব একটা কষ্ট ছাড়াই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা বাস্তবে যে-সমস্ত খাবার বাজারে ছাড়েন আমরা তা নকল করতে পারি।
কিন্তু Ambrosia Plus আমাদেরকে বেশ কিছু সময়ের জন্যে ধাঁধাঁ লাগিয়ে দিয়েছিল। এটাকে ভাঙার পর প্রোটিন আর ফ্যাট-এর পরিমাণ থেকে বোঝা গেল এটা মাংস–কিন্তু তবুও এটাকে কোনওকিছুর সঙ্গে মেলাতে পারলাম না। এই প্রথমবার আমার Biochemist-রা ব্যর্থ হলেন; এঁদের মধ্যে একজনও বলতে পারলেন না খাবার এত সুন্দর স্বাদের হওয়ার কারণ কী–সবাই জানি এই স্বাদ এত চমৎকার যে এর কাছে অন্য সব খাবার নীরস, বিস্বাদ মনে হয়। এবং তাই তো হওয়া উচিত… কিন্তু না, আমি বড় তাড়াতাড়ি এগোচ্ছি।
সভাপতি মহাশয়, খুব শিগগিরই Triplanetary food corporation-এর সভাপতি আপনার সামনে আসবেন অবশ্য খুবই অনিচ্ছার সঙ্গে, এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আপনাদেরকে বলবেন যে Ambrosia Plus তৈরি করা হয় বাতাস, জল, চুনাপাথর, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি দিয়ে। এগুলো অবশ্য সবই সত্যি, কিন্তু এটা সমস্ত ব্যাপারটার সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ আমরা তাঁর গোপন তথ্য বের করে ফেলেছি–যা অন্যান্য গোপন সমাধানের মতো জানার পরে খুব সহজ হয়ে যায়।
আমি সত্যিই আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রশংসা না করে পারছি না। তিনি শেষ পর্যন্ত অপর্যাপ্ত পরিমাণে মানবজাতির জন্যে সবচেয়ে সুসম্পূর্ণ খাবার তৈরি করতে পেরেছেন। এতদিন ধরে এই খাবারটির পরিমাণ ছিল খুবই অপর্যাপ্ত আর তাই যে কয়েকদিন সামান্য লোক এই খাবারটা খেয়েছে তারা তা প্রচণ্ড ভালোবাসে। তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছে আর কোনও খাবারই এর মতো এত সুস্বাদু নয়।
হ্যাঁ, Triplanetary-র Biochemist-র একটা দারুণ সুন্দর প্রাযুক্তিক কাজ করেছেন। এখন আপনারা নৈতিক আর দার্শনিক দিকটা বিচার করবেন। আমি যখন আমার তথ্যগুলো দিতে আরম্ভ করি তখন একটা পুরোনো ভাষার শব্দ ব্যবহার করেছিলাম– মাংসাশী। এখন আমি এইরকম আর একটা শব্দ ব্যবহার করব। শব্দটা ব্যবহার করার আগে এটার বানানটা বলে দিই–ন–র–খয়ে আকার দ–ক…