অর্ধবৃত্ত – সাদাত হোসাইন (উপন্যাস)
Ordhobritta – Sadat Hossain
প্রথম প্রকাশ : একুশে বইমেলা ২০২০
প্রচ্ছদ – চারু পিন্টু
উৎসর্গ
এ. এফ. এম বদরুল আলম
ও
লতিফা খানম
এমন মায়াময় ছায়াবৃক্ষ হয়েই থাকুন,
আগলে রাখুন দুঃখ ও দহনের মরুপথ।
.
জীবনের সবচেয়ে সহজ এবং জটিল সমীকরণের নাম সম্পর্ক। মানুষ জন্মায় সবচেয়ে সহজ সম্পর্ক নিয়ে। যেখানে ভান নেই, কপটতা নেই, জটিল সব হিসেব-নিকেশ, সমীকরণ নেই। কিন্তু বাকিটা জীবন সে জটিল থেকে জটিলতর সম্পর্কের গলিঘুঁজিতে ঘুরে বেড়ায়। এই সময়ে সে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত হতে থাকে। তার কেবলই মনে হতে থাকে, সে তার চারপাশের জগৎটাকে চিনতে পারছে না। কিংবা চিনতে পারছে না নিজেকেই। সম্পর্কের সংযোগ থেকেই শুরু হয় নানাবিধ সংকট। যে চার দেয়ালের ঘর বন্ধন তৈরি করে, সেই দেয়ালই আবার হয়ে ওঠে বিভেদের বেড়াজাল।
তাহলে ‘অর্ধবৃত্ত’ আসলে কী?
অর্ধবৃত্ত মূলত সেইসব সম্পর্কের সংযোগ, সংকট ও সমীকরণের গল্প। দেয়াল ও দ্বিধার গল্প। বিভেদ ও বন্ধনের গল্প। যার আদ্যোপান্ত জুড়ে রয়েছে জীবন। সম্পর্ক যদি জীবনের কেন্দ্র হয়, জীবন তবে বৃত্ত।
প্রশ্ন হচ্ছে, সেই জীবন কী, পূর্ণ না অর্ধবৃত্ত?
সাদাত হোসাইন
শ্যামলী
১৪.০১.২০২০
.
‘আমার কোনো বন্ধু নেই,
যার কাছে আমি নিজেকে ভেঙেচুরে, খুচরো পয়সার মতো জমা রাখতে পারি।
যে আমাকে যত্ন করে সঞ্চয় করবে, প্রয়োজনে ফিরিয়ে দেবে একটা একটা আধুলি।
সত্যি বলতে আমার কোনো বন্ধু নেই।
বন্ধু বলতে জেনেছি যাদের, তারা কেবল পথ চলতে সঙ্গী ছিল।
দূরের পথে ট্রেনে যেমন থাকে, পাশের সিটে। গল্প হয়, দু পেয়ালা লেবু চায়ের দাম মেটাতে ‘আমি দিচ্ছি, আমি দিচ্ছি’ যুদ্ধ হয়। সিগারেটের বাড়িয়ে দেয়া টুকরো ফুঁকে, ‘এই যে নিন ফোন নম্বর, এদিকটাতে আবার এলে ফোন করবেন,’ বলা শেষে অচেনা এক স্টেশনে উধাও হয়।
এই যে আমি পথ হাঁটছি, রোজ ঘাটছি বুকের ভেতর কষ্ট, ক্লেদ,
এই যে আমি ক্লান্ত ভীষণ, বুকের ভেতর জমছে কেবল দুঃখের মেদ,
তবুও আমার নিজের কোনো বৃক্ষ নেই।
প্রবল দহন দিনের শেষে, যার ছায়াতে জিরোবো ভেবে ফিরে আসার ইচ্ছে হয়,
তেমন একটা ছায়ার মতন, আগলে রাখা মায়ার মতন আমার কোনো বন্ধু নেই।
একলা দুপুর উপুড় হলে বিষাদ ঢালা নদীর মতন,
একলা মানুষ ফানুশ হলে, নিরুদ্দেশ এক বোধির মতন,
হাতের মুঠোয় হাত রাখবার একটা কোনো মানুষ নেই।
আমার কোনো বন্ধু নেই।
আমি কেবল কোলাহলে ভিড়ের ভেতর হারিয়ে যাই,
ভুল মানুষে, যত্নে জমা ফুলগুলো সব বাড়িয়ে যাই,
হাওয়ায় ভাসা দীর্ঘশ্বাস বাতাস ভেবে,
নির্বাসনের একটা জীবন মাড়িয়ে যাই। আমার কোনো বন্ধু নেই,
যার কাছে আমি নিজেকে ভেঙেচুরে, খুচরো পয়সার মতো জমা রাখতে পারি।
যে আমাকে যত্ন করে সঞ্চয় করবে, প্রয়োজনে ফিরিয়ে দেবে একটা একটা আধুলি।’
এইসব বইও জনপ্রিয় হয়।
হায়রে রুচির দুর্ভিক্ষ!
কিছু রুচিশীল বইয়ের নাম জানাবার আবদার রইল। অসাধারণ কিছু বইয়ের নাম জানার প্রত্যাশা রইল।
মুখে রুচি আসে,,,,,এমন কিছু বই এর নাম জানাবেন প্লিজ দাদা।