1 of 2

অর্ধবৃত্ত – ১৭

১৭

আশফাক বাড়ি ফিরেছেন গভীর রাতে। তাকে খাওয়াতে বসিয়েছে নাদিয়া। টেবিলভর্তি নানারকম খাবার। কিন্তু আশফাক তার কিছুই খেতে পারছেন না। এ বাড়ির মেজো ছেলে জাফর কালেভদ্রে বাজারে যায়। যেদিন যায়, সেদিন বাড়িতে মোটামুটি উৎসব লেগে যায়। আজও লেগেছে। খুব ভোরে গাড়ি করে বসিলা নদীর ওপারে গ্রামের ভেতর এক বাজারে গিয়েছিল জাফর। ফিরেছে রাজ্যের বাজার- সদায় নিয়ে। দিনভর তাতে নানা পদের রান্নাও হয়েছে। ফলে সবার খাওয়া দাওয়া শেষে রাতে সেই খাবারের উদ্বৃত্ত অংশ ফ্রিজে স্তূপ করেও রাখতে হয়েছে।

আশফাক মাঝরাতে প্রচণ্ড ক্ষিদে নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন। বাড়িতে ঢোকার আগেই তিনি নাদিয়াকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘ঘরে খাবার দাবার কিছু আছে?’

নাদিয়া বলেছিল, ‘আছে বাবা।’

‘না থাকলে বল, বাইরে থেকে কিছু খেয়ে আসি।’

‘এত রাতে তুমি খাবারের দোকান পাবে কই?’

‘তাওতো কথা। কিন্তু প্রচণ্ড ক্ষিদে পেয়েছে। খাবার গরম করা পর্যন্তও অপেক্ষা করতে পারব না।’

‘তোমার অপেক্ষা করা লাগবে না বাবা। তুমি এসো, এসেই টেবিলে খাবার পাবে।’

আশফাক এসে দেখেন টেবিলজুড়ে নানা রকম খাবার সাজিয়ে রেখেছে নাদিয়া। তিনি হাভাতের মতো খেতে বসলেন। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো, দু-তিন গ্রাস খাওয়ার পর আর খেতে পারলেন না। তার ক্ষিদে হঠাৎ চলে গেছে। মনে হচ্ছে গলা অবধি খাবারে টইটম্বুর। আর কিছু খেলেই তিনি বমি করে ভাসিয়ে দেবেন।

নাদিয়া বলল, ‘কী হলো বাবা, তুমি খাচ্ছো না কেন?’

‘খেতে ইচ্ছে করছে না মা।’

‘খেতে ইচ্ছে করছে না কেন? রান্না ভালো হয়নি?’

‘না, রান্না ভালো হয়েছে। আমারই খেতে ইচ্ছে করছে না।’

‘একটা ডিম ভেজে দেব বাবা? ডিম ভাজি হলেতো আর কিছু লাগে না তোমার!’

‘নাহ। এতরাতে আর ডিম ভাজতে হবে না।’

নাদিয়া অবশ্য বাবার কথা শুনল না। সে ডিম ভেজে নিয়ে এলো। আশফাক সাহেব সেই ডিম ভাজিও খেতে পারলেন না। নাদিয়া বলল, ‘তোমার কী হয়েছে বাবা?’

‘কী হবে?’

‘তোমার কি শরীর খারাপ?

‘শরীর খারাপ হবে কেন?’

‘তোমার চোখ টকটকে লাল।’

‘আমার চোখ টকটকে লাল হবে কেন?

এই প্রথম নাদিয়ার মনে হলো তার বাবার শরীর খারাপ। ভালো রকমের শরীর খারাপ। সে কাছে এসে বাবার কপালে হাত রেখে আঁতকে উঠল। আশফাক সাহেবের গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। শুধু যে গা পুড়ে যাচ্ছে তা-ই না, তার শরীরও কাঁপছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে যেকোনো সময়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যাবেন। এখন এই এত রাতে তাকে নিয়ে একা একা কী করবে নাদিয়া!

সব সমস্যায় সবার আগে মেজো চাচির কথা মনে পড়ে নাদিয়ার। মেজো চাচি কীভাবে কীভাবে যেন মুহূর্তেই সবকিছু ঠিক করে ফেলেন। কিন্তু এতোরাতে মেজো চাচিকে ডাকা ঠিক হবে না। খুব ভোরে উঠে ঋদ্ধিকে রেডি করে নিয়ে তাকে স্কুলে যেতে হয়। যা করার তাকে একাই করতে হবে। সবার আগে নিচতলা থেকে বাবাকে তিনতলায় ওঠাতে হবে। তারা থাকে তিনতলায়। নিচতলায় খাবার ঘর। বাবাকে নিয়ে একা একা তিনতলায় ওঠা সহজ কথা না। নাদিয়া তারপরও আশফাককে তার কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড় করাল। তারপর সিঁড়ির দিকে নিয়ে গেল। আশফাক অবশ্য নাদিয়াকে অনেকটাই সাহায্য করলেন। ফলে যতটা ভেবেছিল ততটা সমস্যা আর হলো না নাদিয়ার

নাদিয়া ঘরে ঢুকে দেখল তার মা হাফসা বেগম ঘুমিয়ে পড়েছেন। হাফসার ঘুমের খুব সমস্যা। শরীরজুড়ে প্রায় সারাক্ষণই ব্যথা থাকে তার। ফলে রাতে সাধারণত কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমান তিনি। তারপরও ঘুম ঠিকমতো হয় না। একটা ঘোরের মতো লাগে। ওই ঘোরটাকেই তিনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। আধো ঘুম আধো জাগরণ। আর্থারাইটিসের তীব্র ব্যথা ভুলে থাকার চেষ্টায় এই সময়টাতে তিনি নানা রকম চিন্তা-ভাবনা করেন। কিছু কিছু বিষয় তিনি তার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি থেকে ভাবার চেষ্টা করেন। কিছু কিছু বিষয় তিনি ভবিষ্যৎ থেকে কল্পনা করার চেষ্টা করেন। অনেকটা স্বপ্নের মতোই ব্যাপার। তবে স্বপ্নের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে, এই সময়ে তিনি যা দেখেন, তা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। স্বপ্ন স্বাধীন।

নাদিয়া মৃদু গলায় ডাকল, ‘আম্মা।’

হাফসা সাথে সাথেই জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, বল?’

‘তুমি ঘুমাওনি?’

‘ঘুমের মতোই।’

‘আচ্ছা।’

‘তোর বাবা এসেছে?’

‘তুমি কী করে বুঝলে?’

হাফসা সামান্য হাসলেন, ‘গন্ধ পেয়েছি।’

‘গন্ধ পেয়েছো?’

‘হ্যাঁ। গন্ধ পেয়েছি।’

‘গন্ধ কী করে পেলে?’ নাদিয়ার গলায় কৌতূহল।

‘তাতো জানি না। তবে পেয়েছি। তোর বাবার গায়ের গন্ধ।’

‘বাবা আছে বাথরুমে। অতদূর থেকে তুমি বাবার গায়ের গন্ধ পেয়ে গেলে?’

‘পেলামতো।’ বলেই একটু থমকালেন হাফসা। তারপর নিজের মনে বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন, ‘কী জানি, আসলে অনেক বছর একা একা থাকি তো। বিছানা থেকে উঠতে পারি না, কিছু করতে পারি না। এ কারণেই হয়তো ঘ্রাণশক্তি, শ্রবণশক্তি বেড়ে গেছে। আগেতো এমন হতো না। এখন হয়। দূরে কেউ হেঁটে গেলেও আমি টের পাই।’

‘কিন্তু কে গেল সেটা কী করে বোঝো?’

‘সবারটাতো পারি না। তোর বাবারটা পারি, তোরটা পারি। তোদের গায়ের গন্ধটাতো আমার চেনা। চেনা না?’

নাদিয়া আর কথা বাড়াল না। সে লক্ষ্য করেছে, ইদানীং মাঝে মাঝেই তার মা খুব অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলেন। মাকে ভালো একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো উচিত। কিন্তু এই কথাটা কারো কাছে বলার সাহস পাচ্ছে না সে। সবাই ভাববে সে তার মাকে পাগল ভাবছে। নাদিয়া এটা চায় না।

বাবাকে মার বিছানায় শুইয়ে মাথায় পানি দিয়ে দিল নাদিয়া। তারপর গা মুছিয়ে দিল যতটা সম্ভব। হাফসার ঘুম পুরোপুরি কেটে গেছে। তিনি তাকিয়ে তাকিয়ে নাদিয়ার কাজকর্ম দেখতে লাগলেন। নাদিয়া বিছানার একপাশে ভাঁজ করে রাখা পাতলা চাদরটা আশফাকের গায়ে টেনে দিতেই হাফসা আঁতকে ওঠা গলায় বললেন, ‘কী করছিস, কী করছিস?’

‘কেন?’ নাদিয়া থমকালো।

‘ওটা ধোয়া না। আমি রোজ শেষ রাতের দিকে গায়ে দিই।’

‘তাতে কী?’

তাতে কিছু না। আলমারি থেকে ধোয়া একটা চাদর দে।’

এত রাতে নাদিয়ার আর কথা বাড়াতে ইচ্ছে করল না। সে আলমারি থেকে ধোয়া একটা চাদর এনে বাবার গায়ে জড়িয়ে দিল। তারপর বিছানার চারধারে মশারিটা গুঁজে দিতে দিতে বলল, ‘তুমি জেগে থাকবে আম্মা?’

‘আমার জেগে থাকা আর ঘুমিয়ে থাকা তো একই কথা।’

‘কিছু লাগলে তবে ডেকো আমাকে।’

‘আচ্ছা।’

নাদিয়া নিজের ঘরে যেতে যেতে আরো একবার ঘুরে বাবাকে দেখে নিল। আশফাক তখন জ্বরের ঘোরে অচেতন কিংবা গভীর ঘুমে।

তার ঘুম ভাঙল পরদিন খুব ভোরে। তিনি চোখ মেলে তাকাতেই দেখেন হাফসা তার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। মাথাটা কেমন ভার ভার লাগছে তার। গলা ব্যথা। তিনি সামান্য হাসার চেষ্টা করলেন। হাফসা বললেন, ‘এখন কেমন লাগছে?’

‘ভালো।’

‘সত্যি ভালো না মিথ্যে ভালো?’

‘ভালো।

‘দেখেতো মনে হচ্ছে না।’

‘কেন?’

হাফসা এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। কেমন রহস্যময় ভঙ্গিতে হাসলেন। এই মুহূর্তে নাদিয়া ঘরে ঢুকল। তার সাথে মুনিয়াও। মুনিয়া বলল, ‘এখন কেমন লাগছে ভাইজান?’

‘জ্বরটা নেই। তবে মাথাভার আর দুর্বল লাগছে খুব।’

‘কাল সন্ধ্যা থেকেইতো টিপটিপ বৃষ্টি। ওই বৃষ্টির মধ্যে আপনি বের হলেন কেন?

‘আমি যখন বের হয়েছি, তখনো ওদিকে বৃষ্টি শুরু হয়নি।’

‘আচ্ছা, টেনশনের কিছু নেই। আপনি কয়েকটা দিন একটু বিশ্রাম নিন। এমনিতেই আপনাকে দেখে খুব ক্লান্ত লাগছে। এই জ্বরের কারণে হলেও কয়েকটা দিন একটু থেকে যান এখানে।’

‘সেই সুযোগ কী আর আছে! কত কাজ যে আটকে আছে ওখানে। আমি না গেলে তার কিছুই হবে না।’

‘কারো জন্য কিছু আটকে থাকেনা ভাইজান।’

‘তা থাকে না। আবার থাকেও।

মুনিয়া আর কথা বাড়াল না। তার এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। সে চলে যেতেই নাদিয়া সকালের খাবার আর ওষুধ খাইয়ে দিল বাবাকে। তারপর সারাদিন আর বিছানা থেকে নামতে দিল না। দুপুর পর্যন্ত একটানা ঘুমালেন আশফাক সাহেব। ঘুম ভেঙে দেখেন তার বাবা আর মা বসে আছেন। তাঁদের সাথে কিছুক্ষণ এটাসেটা নিয়ে কথা হলো। দিনের সময়টুকুতে ভালো ঘুম হওয়ার কারণেই বোধহয় মাথাভার অনুভূতিটা আর টের পেলেন না তিনি। জ্বরটাও আর আসেনি। বিকেলের দিকে শরীরও খানিক ভালো লাগতে লাগল। যদিও ক্লান্ত লাগছে। বাথরুমে গিয়ে একবার মাথা ঘুরিয়ে প্রায় পড়েও যাচ্ছিলেন। তারপরও এগুলোকে পাত্তা দিতে চাইলেন না আশফাক। নাদিয়াকে ডেকে বললেন, ‘আমার যে যেতে হবে মা।’

নাদিয়া বলল, ‘এই শরীরে তুমি কী করে যাবে বাবা?

শরীর এমন কিছু খারাপ করেনি। কিন্তু আমি না গেলে বিপদ। কাল থেকে পরীক্ষা শুরু হবে কলেজে। আমি হচ্ছি পরীক্ষা কমিটির দায়িত্বে।’

এই কথার পর আর বলার কিছু থাকে না। তারপরও নাদিয়া নানাভাবে বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করল। তাতে অবশ্য লাভ কিছু হলো না। যে করেই হোক আশফাককে যেতেই হবে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আশফাকের আর যাওয়া হলো না। তাকে থেকে যেতে হলো সেই রাতটাও। তার থাকার পেছনে কারণ হচ্ছেন তার স্ত্রী হাফসা। আশফাক ভঙ্গুর শরীরেই বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথার ক্রমহ্রাসমান চুলগুলো আঁচড়াচ্ছিলেন। হাফসা শুয়ে ছিলেন বিছানায়। তিনি হঠাৎ স্পষ্ট গলায় বললেন, ‘তুমি এখন যাবে না।’

হাফসার কথা শুনে চট করে পেছন ফিরে তাকালেন তিনি। এমন গলায় শেষ কবে হাফসা তার সাথে কথা বলেছেন আশফাক জানেন না। তিনি বললেন, ‘যাব না মানে?’

যাবে না মানে যাবে না।’

‘তুমি শোনোনি, পরীক্ষা আছে?’

হ্যাঁ শুনেছি। তারপরও তুমি যাবে না।’

‘কেন?’ এবার খানিক কৌতূহল বোধ করছেন আশফাক।

‘কারণ তুমি কাল খুব জরুরি কিছু একটা বলতে এসেছিলে। সেটা না বলেই চলে যাচ্ছো!’

আশফাক যেন চমকালেন, ‘জরুরি কিছু?’

‘হুম।’

‘জরুরি কিছু কী?’

‘সেটাতো আমার জানার কথা না। তোমার জানার কথা।’

‘কিন্তু তুমি কী করে বুঝলে যে আমি জরুরি কিছু বলার জন্য এখানে এসেছি?’ এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না হাফসা। চুপ করে বসে রইলেন। বিষয়টা আরো কৌতূহলী করে তুলল আশফাককে। তিনি আয়নার সামনে থেকে ধীর পায়ে সরে এসে হাফসার পাশে বসলেন। তারপর বললেন, ‘বলো, তুমি কী করে বুঝলে?’

বাইরে তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে খানিক ঝোড়ো হাওয়াও। বিকট শব্দে বজ্রপাত হলো আশপাশে কোথাও। সেই শব্দের প্রতিক্রিয়া জানাতেই যেন জানালার একটা পাল্লা কান ফাটানো শব্দে বাড়ি খেল চৌকাঠে। ঝট করে সেদিকে

তাকালেন আশফাক। সাথে হাফসাও। আশফাক বললেন, ‘বলো।’

হাফসা ফিসফিস করে বললেন, ‘কীভাবে জানি, তা জানি না। তবে আমার মনে হয়েছে, তুমি ওই বৃষ্টি-বাদলার মধ্যে খুব গুরুতর কিছু না হলে ওভাবে আসতে না। তোমার চোখে-মুখে কেমন একটা দিশেহারা ভাব। যেন কিছু একটা নিয়ে খুব চিন্তিত তুমি। একটা ভয় তোমার চেহারাজুড়ে।’

আশফাক কী বলবেন ভেবে পেলেন না। এই মুহূর্তে বাইরে বিকট শব্দে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হলো। ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল সাথে সাথেই। চারপাশ ঘন কালো অন্ধকারে ডুবে গেল। সেই অন্ধকারে হাফসা তাঁর স্বামী আশফাক আহমেদের হাত ধরলেন। কত বছর পর তিনি এভাবে তাঁর স্বামীর হাত ধরলেন কে জানে! কিন্তু তাঁর সেই স্পর্শে আশফাকের সারা শরীর কেঁপে উঠল। কেমন একটা তীব্র ভয় ক্রমশই তাকে গ্রাস করে নিতে লাগল। তিনি অস্ফুট কণ্ঠে বললেন, ‘বলো।’

হাফসা বললেন, ‘কী বলব?’

‘আমি যে জরুরি কথা বলতে এসেছি সেটা তুমি কী করে বুঝলে?’

হাফসা কথা বললেন না। অন্ধকারে সময় যেন স্থির হয়ে আছে। সেই স্থির সময়ে দুজন সন্দিগ্ধ, দ্বিধাগ্রস্ত মানুষ চুপচাপ বসে রইলেন। কেউ কোনো কথা বললেন না। তবে তাঁরা দুজনই যেন পরস্পরের ভেতরটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। নীরবতা ভাঙলেন হাফসা। তিনি শক্ত হাতে আশফাকের হাতখানা চেপে ধরলেন। তারপর ফিসফিস করে বললেন, ‘ মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর তাই না?’

আশফাক চেষ্টা করছেন নিজেকে সাধ্যমতো স্থির রাখতে। তারপরও কথাটা বলতে তার গলা কাঁপল। তিনি কম্পিত গলায় বললেন, ‘কোন মেয়েটা?’

হাফসা মৃদু কিন্তু স্পষ্ট কণ্ঠে বললেন, ‘যে মেয়েটাকে তুমি বিয়ে করেছো!’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *