তবুও হলো না

কী বিপুল আয়োজন আজ
চতুর্দিকে, মানুষে মানুষে থই থই পথ, গাছের ভেতর থেকে
গান আসে ভেসে; নীলিমার আমন্ত্রণ
জাগায় আমার কাঁধে
শিহরণ, বহু শতাব্দীর চঞ্চলতা
পাখির মুখোশ নিয়ে ক্রীড়াপরায়ণ।
কাঁধ ফুঁড়ে এক জোড়া ডানা, অভ্রময়,
প্রকাশিত, চকিতে উদ্ভট। আশপাশ
মনুষ্য-বর্জিত, তবু কী-যে কোলাহল। সদ্যজাত
ডানা মাটি ছোঁয়,
চোখ ঘোরে মেঘমেঘালিতে,
যেখানে নানান স্তরে ফুটে আছে অনিন্দ্য কুসুম, ঘুম আনে,
নান্দনিক শেকড়ে পরাগ
ছড়ায় নিয়ত, ছুঁতে চাই। মাটি ছেড়ে
সেদিকে যাবার সাধ মঞ্জরিত পালকে; প্রয়াস,
কোনো দূর প্রজাতির সঞ্চয়ের উপহার, বৈফল্যে বিমূঢ়।
আমার সত্তার চেয়ে ঢের বেশি ভারী
একজীড়া ডানা শৈশবের মতো খুব
উড্ডয়নপ্রিয়,
আমার স্বপ্নের ভেতরেও নীলিমাকে স্পর্শ করে,
দেখে নেয় বিস্ময়ের ঘোরে বেহেস্তের উদ্ভাসন,
তবুও হলো না ওড়া, হলো না এখনো