তবুও ভোরবেলা

চিনি তাকে, পুরোপুরি নয়, আংশিকভাবেই,
বলা যায়। কথা হয় মাঝে মাঝে কখনও পথের
এক কোণে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, কখনও বা নদীতীরে গোধূলিতে
জনহীনতায়, সেইসব কথা কিছু কিছু বুঝি, সিংহভাগ
বোধের আড়ালে থেকে যায়। কোথায় নিবাস তার, জীবিকার
কী ধরন, জানতে পারিনি কোনওদিন। তিনি কি সংসারত্যাগী?

একদিন নিবিড় গোধূলিলগ্নে পথে যেতে যেতে গাঢ় স্বরে
আমাকে বলেন তিনি, ‘একটি অদ্ভুত জীব দ্রুত চেটে চেটে
খাচ্ছে ঘরবাড়ি, পথঘাট এবং দোকানপাট। জীবটির
সমস্ত শরীরে ফুটে উঠছে আক্রোশ, জিভ থেকে
ঝরছে উত্তপ্ত লাভা। বিভীষিকাময়
ধ্বংসের বিষাক্ত কাঁটা বিদ্ধ হচ্ছে ডানে বামে। একটু পরেই
তুমিও শুনতে, পাবে সম্মিলিত সত্তাদীর্ণ ক্রন্দনের রোল
এখানে, সর্বত্র, বলে তিনি অন্তর্হিত অতিদূর গোধূলিতে।

তবুও কিশোরী ছোটে ভোরবেলা প্রজাপতির পেছনে, সরু
গলিতে যুবক গান গায়, ফেরিঅলা ডেকে যায়, বারান্দায়
তরুণ-তরুণী প্রেমালাপ করে, প্রবীণেরা হাওয়া খেতে যান
পার্কে, আমি বই খুলে বসি, দেখি ভাসমান মেঘ।
১৪.১২.২০০০