একটি মামুলি সংলাপ

আমি কি আসতে পারি আপনার কাছে
এ মুহূর্তে? অবশ্য আপনি অনুমতি না দিলেও
বেজায় অপ্রতিরোধ্য আমার এ আসা। কোনও দক্ষ
চতুর পাহারাদারই পারবে না কিছুতে আমাকে
আটকে রাখতে, যদি ইচ্ছে হয় আপনার এই
অন্দরমহলে ঢুকে আপনাকে শৈত্যপ্রবাহে আচ্ছন্ন করে রাখবার।
কোনও চ্যাঁচামেচি, কোনও তিরস্কারই কাজে
আসবে না, এমনকি সব হাতিয়ার ব্যর্থতায় ভীষণ লজ্জিত হবে।

কে তুমি বেয়াড়া লোক, যে আমার সঙ্গে এমন ধৃষ্টতা
দেখাচ্ছো নিঝুম শেষরাতে? ঝাঁঝাঁ শীত
দারুণ আক্রোশে ঠোকরাচ্ছে অস্তিত্বের হাড়মাংস,
তুমি আচানক ঘরে পা রাখার পর থেকে। দোহাই তোমার,
আমাকে রেখো না ধন্দে আর,
মুখোশ সরিয়ে নাও মুখ থেকে, তোমার অচিন
কণ্ঠস্বর কিছু চেনা মনে হয়, যেন স্বদেশে শুনেছি এই
ছায়া-স্বর বহুবার, অথচ এমন
হিমেল ছিল না দূর এই প্রবাসে যেমন আজ
একা ঘরে। বলো, অনাহূত
কে তুমি অতিথি, দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার,
মুক্ত করো সুতীক্ষ্ণ শীতল কুয়াশার জাল থেকে।

পূর্ণ মুক্তি পাবেন কি পাবেন না বলা মুশকিল,
তবে বলি অসঙ্কোচে, কবি আর দার্শনিকগণ
আদ্যকাল থেকে আমাকেই আলো জ্বেলে
অতি কালো নিঃসঙ্গতা বলেই শনাক্ত করেছেন।
২.৫.২০০০