দুপুর এবং তোমার নিঃসঙ্গতা

দুপুরে বসেছিলে ড্রইং রুমে সোফায়;
বারবার তাকাচ্ছিলে টেলিফোনের দিকে, যদি
দোয়েলের মতো ঝাপ্‌সা অন্ধকারে
ডেকে ওঠে। তোমার বিরাগ আর অভিমান
ঘরকে অধিক পর করে দূর আকাশে
মেঘে মেঘে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। দোয়েল
নীরব ছিল বলে তুমি উষ্মা প্রকাশ করলে
টেলিফোনের প্রতি।
তোমার হাতের দশটি নখ আরো সুঁচোলো
এবং আগ্রাসী হয়ে উঠল মুহূর্তে,
এখন কেউউ সামনে দাঁড়ালেই
হবে রক্তাক্ত, বুঝবে না কি তার কসুর?
কেন তাকে পশুর মতো আহত হ’তে হলো?
তুমি ফুঁসতে ফুঁসতে
এক সময় কেঁদে ফেলবে, দু’হাতে
ঢেকে ফেলবে মুখ।
বাড়ির পরিচারক আর পরিচারিকা
তোমাকে দেখে বিস্মিত হবে, আবিষ্কার করতে ব্যর্থ
হবে তোমার অন্তর্গত যন্ত্রণা, বেদনা।
তোমার অভিমান শুয়ে থাকবে বেড়ালের পাশে,
বৃষ্টিধারা তোমার নিঃসঙ্গতাকে
আরো বেশি শীতল, নিশ্চুপ এবং নিঃসঙ্গ করে তুলবে।

অবসাদ যখন গ্রাস করবে তোমাকে,
তখন তোমার স্তনাগ্রচূড়া
ছুঁয়ে ছুঁয়ে একজন কবির ভালোবাসা
সোনালি মৌমাছির মতো
গুঞ্জরণ তুলবে,
নিদ্রার আলিঙ্গনে মেঘ
হয়ে-যাওয়া তুমি, ক্ষোভ আর অভিমানের
তোষামোদে আচ্ছন্ন তুমি জানবে না।