দুপুরে ব’সে

দুপুরে আছেন ব’সে শিমূলের ডালে একজন
পাখি আলেমের মতো। মনে হয়, এখনই ওয়াজ
করবেন শুরু স্মিত কণ্ঠস্বরে। তার সে আওয়াজ
বুঝিবা গচ্ছিত কল্যাণের জন্য; চকিতে বিজন
পথ স্নাত সুরে আর দুপুরের জরির বসন
ঝলমলে, কম্পমান। দশদিক কী মোহন সাজ
পরে, পান্থ কবি চমৎকৃত নৈসর্গিক কারুকাজ
দেখে; শূন্যতায় কবিতার বীজ করেন রোপণ।

একদিন মৌতের গুহায় তাকে চ’লে যেতে হবে
অনিচ্ছায়; প্রতিধ্বনি, মেঘের নেকাবে-ঢাকা চাঁদ,
বান্ধবীর মেধাবিনী চক্ষুদ্বয়, হ্লদের আহ্লাদ
ক্রমশ বাজতে-থাকা টেলিফোন, বারান্দার টবে
প্রষ্ফুটিত গোলাপ-কিছুই পারবে না আটকাতে,
অসিত ডানায় ঢেকে মৌত পৌঁছে দেবে আখেরাতে।
৩০।৪।৯০