জিন

আমাকে ধরেছে জিন, মনে হয়, ঘন সন্ধেবেলা,
যখন ছিলাম শুয়ে অন্ধকার ঘরে। কলিজার
ভেতরে চিৎকার শুনি, যেন কোনো লাউডস্পীকার
মাতমের প্রতিধ্বনি। জ্যোৎস্না নাড়াচাড়া প্রিয় খেলা
ঝুলে-থাকা বারান্দায়; নেচে বলি, ‘আমি কার চেলা?’
আসলে কারোরই নই, অবহেলে বিষাক্ত কাঁটার
উপর কখনো হাঁটি, কখনো-বা জলন্ত অঙ্গার
হাতের তালুতে নিয়ে কাছে পিঠে ছুঁড়ে মারি ঢেলা।

কোথায় শক্তির উৎস আমার, জানি না। জাদুগর
ব’লে নেই পরিচিতি, উন্টাপান্টা ক’রে কত কিছু
হো-হো হাসি, আমি অন্য কারো দৃষ্টি আর কণ্ঠস্বর
পেয়ে যাই রাতারাতি। দর্পণ নাদান, মুখ নীচু;
কপোতের ঘাড় ভেঙে ব’সে থাকি একা, গমগীন,
হঠাৎ উল্লাসে মত্ত আমার ভেতরকার জিন।
২৯।৪।৯০