স্টোনম্যান – ৪

০৪.

 কর্নেল তার সংক্ষিপ্ত স্টেটমেন্ট সই করে বললেন, “তা হলে আদিবাসী গ্রামগুলোতে আপনারা ধরপাকড় শুরু করবেন মিঃ পাণ্ডে?”

পাণ্ডে বললেন, “নিশ্চয়। আমরা ওদের সমিতির চাঁইগুলোকে আজ রাতেই ধরে ফেলব। তারপর থার্ড ডিগ্রিতে চড়ালে সব কথা বেরিয়ে আসবে।”

“প্লিজ মিঃ পাণ্ডে!” কর্নেল বললেন, “অন্তত একটা দিন আমাকে সময় দিন। তারপর আপনারা নিজের পথে চলবেন।”

পাণ্ডে হাসলেন। “আপনি রহস্যভেদী মানুষ। সর্বত্র রহস্য খুঁজে পান। আশা করি, কানও ক্লু খুঁজে পেয়েছেন?”

“হয়তো পেয়েছি, কিংবা পাইনি। আমাকে সিওর হতে দিন মিঃ পাণ্ডে। আগামীকাল সূর্যাস্ত পর্যন্ত।”

“কিন্তু ততক্ষণে অপরাধীরা গা ঢাকা দেবে।” পাণ্ডে গোঁফে তা দিয়ে বললেন ফের, “কর্নেল! একটা আদিবাসীদের রিচুয়্যাল কিলিং। থানার রেকর্ডে আছে, একসময় এভাবে ওরা ননট্রাইবালদের বলি দিত দেবতার থানে।”

 “মিঃ পাণ্ডে!” হঠাৎ উঠে দাঁড়ালেন কর্নেল। “পাথরটা একবার আমি দেখতে চাই।”

পাণ্ডে উঠলেন। একটু হেসে বললেন, “তখন তো দেখেছেন!”

“দেখেছি বলেই আবার দেখতে চাইছি। আপনি দেবতার বলি কথাটা বলায় আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসে গেল।”

মহাফেজখানার ভেতর একটা টুলে পাথরটা রাখা ছিল। কর্নেল পকেট থেকে আতস কাঁচ বের করে পাথরের ওপর কী সব খুঁটিয়ে দেখতে থাকলেন। পাণ্ডে বললেন, “ওজন করা হয়েছে। কত ওজন জানেন? প্রায় তেইশ কিলোগ্রাম।”

কর্নেল সাবধানে পাথরটার তলা কাত করে দেখেই বললেন, “মাই গুডনেস!”

 “কী ব্যাপার?”

 “এটা বীভৎস একটা মূর্তির মাথা।”

পাণ্ডে হাসতে লাগলেন। হ্যাঁ স্টোনম্যান বলা চলে তা হলে। তাই না?”

“বলা চলে মিঃ পাণ্ডে!” কর্নেল বেরিয়ে এলেন। ফের বললেন, “আগামীকাল সূর্যাস্তের মধ্যে আমি এ রহস্য জেনে ফেলব মিঃ পাণ্ডে! আই প্রমিজ।”

চন্দ্রকান্ত ওদের নিয়ে লনে অপেক্ষা করছিলেন। কর্নেলকে দেখে বললেন, “মিঃ পাণ্ডে ইজ রাইট, কর্নেল সায়েব! ব্যাপারটা আমিও জানি। এ শহরের সবাই জানে। তবে শিকারি জীবনে এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে আমার খুব ভাব ছিল, সে তো আপনিও জানেন। তাই আমি এদের ধারিয়া ফসে নিয়ে গিয়েছিলাম।”

কিংশুক বলল, “তাই আমার সন্দেহ হচ্ছিল, ফসে কোনও টুরিস্ট নেই কেন? এলাকার সব ফসে লোকেদের ভিড় হয়। ধারিয়া ফল্স একেবারে নির্জন।”

গাড়িতে উঠতে গিয়ে রোমেনা হঠাৎ বলে উঠল, “বিনু! তোমার আঁচল ছিঁড়ল কী করে?”

বিনীতা আঁচলটা দেখে নিয়ে আস্তে বলল, “লক্ষ্য করিনি তো। কাঁটাঝোপে কখন আটকে ছিঁড়ে গেছে।”

দীপিতা বলল, “তুই যা ছোটাছুটি করছিলি!”

কিংশুক একটু হাসল। “অ্যানথ্রোপোলজি স্টাডি করে বেড়াচ্ছিল।”

 বিনীতা চটে গিয়ে বিকৃত স্বরে বলল, “স্টপ ইট।”

 চন্দ্রকান্ত বললেন, “কর্নেল সায়েব! আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আমরা ফিরব।”

কর্নেল বললেন, “থ্যাঙ্কস মিঃ রায়! আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। এরা সবাই টায়ার্ড অ্যান্ড টেরিবুলি শচ্ছ! আমি রিকশোয় ফিরব’খন। তো– সুপর্ণের দাদাকে ট্রাঙ্ককল করা হয়েছে কি?

“থানা থেকে চেষ্টা করলাম। সরাসরি লাইন না পেয়ে মিঃ পাণ্ডেকে বললাম লালবাজারে জানিয়ে দিতে। লালবাজার সুপর্ণের দাদাকে মেসেজ পৌঁছে দেবে।”

গাড়ি স্টার্ট দিলেন চন্দ্রকান্ত। কর্নেল তার পাশে এসে বললেন, “একটা রিকোয়েস্ট মিঃ রায়!”

“বলুন!”

“আগামীকাল সকাল নটায় আমি ধারিয়া ফসের কাছে আদিবাসীদের থানে। অপেক্ষা করব! আপনি এদের সবাইকে নিয়ে সেখানে ওই সময় যাবেন।”

“কী ব্যাপার?”

কর্নেল একটু হেসে বললেন, “সুপর্ণকে সত্যিই স্টোনম্যান খুন করেছে। আমি সেটা প্রমাণ করব।”

গাড়ির ইঞ্জিন গরগর করছিল! গাড়ির ভেতর সবাই চুপ। একটু পরে চন্দ্রকান্ত শ্বাস ছেড়ে বললেন, “হ্যাঁ যাব। সবাইকে নিয়ে যাব। আমরাও জানতে চাই কে খুন করল সুপুকে।”

কর্নেল রাস্তায় গিয়ে একটা রিকশো ডাকলেন।

 চন্দ্ৰকান্তের গাড়ি এগোল বাড়ির দিকে। সারা পথ কেউ কোনও কথা বলল না।…

.

আদিবাসীদের থানের পেছনে উঠে গেছে একটা টিলা। টিলার মাথায় একটা ন্যাড়া বিশাল পাথরে বসে অপেক্ষা করছিলেন কর্নেল নীলাদ্রি সরকার। দাঁতের ফাঁকে চুরুট, চোখে বাইনোকুলার। উজ্জ্বল শারদ-রোদে দূরে চন্দ্ৰকান্তের সাদা গাড়িটা আসছে। আঁকাবাঁকা খোয়া-বিছানো রাস্তাটার সংস্কার হয়নি কয়েক বছর। এলাকায় ঝাড়খণ্ডীদের আন্দোলন, একটা কারণ। অন্য কারণ এ রাস্তায় টুরিস্ট আসা বন্ধ হয়ে গেছে।

নটা বাজার পনের মিনিট আগেই এসে পৌঁছুলেন চন্দ্রকান্ত। কিংশুক, রাতুল, রোমেনা, দীপিকা, বিনীতা সবাই এসেছে। প্রতিটি মুখে চাপা উত্তেজনা থমথম করছে। চন্দ্রকান্ত আজ সঙ্গে তার রাইফেল এনেছেন।

কর্নেল তাদের অভ্যর্থনার ভঙ্গিতে থানের কাছে নেমে এলেন! “মর্নিং অল অব য়ু!”

চন্দ্রকান্ত গম্ভীর মুখে বললেন, “মর্নিং!”

 কর্নেল হাসলেন, “রাইফেল কেন মিঃ রায়?”

 চন্দ্রকান্ত গলার ভেতর বললেন, “আই মাস্ট কিল দ্য ব্লাডি স্টোনম্যান।”

“মিঃ রায়! কলকাতায় কোন সাংবাদিক কিংবা পুলিশ অফিসার স্টোনম্যান কথাটা চালু করেছেন। পাবলিক নিয়েছে। কিন্তু এ হল ভাষার ওপর অত্যাচার।” কর্নেল নিভে যাওয়া চুরুট জ্বেলে বললেন, “অবশ্য ভাষা আগে, ব্যাকরণ পরে। স্টোনম্যানের মতো আরেকটি শব্দ আছে, আয়রনম্যান। বাংলায় লৌহমানব বলা হয়। লোহার মতো কঠিন যে মানুষ। সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে ব্যাকরণ এই শব্দটা নিতে পারে। কিন্তু স্টোনম্যান? পাথরের মতো মানুষ অর্থে সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে একেও ব্যাকরণ পাতে নিতে আপত্তি করবে না। অথচ কলকাতার স্টোনম্যান মানে, পাথর দিয়ে যে মানুষ খুন করে। ভাষার ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার মিঃ রায়!”

চন্দ্রকান্ত বললেন, “আপনি কী বলতে চাইছেন?”

“ধারিয়া ফলস এলাকার স্টোনম্যানকে আমরা আক্ষরিক অর্থে নিতে চাই! স্টোনম্যান মানে, পাথরের মানুষ। বরং পাথরে তৈরি মানুষ বললে আরও স্পষ্ট হয় কথাটা।” কর্নেল টিলা বেয়ে উঠতে উঠতে বললেন, “আসুন মিঃ রায়! তোমরাও এস। দেখাচ্ছি।”

চন্দ্রকান্ত তাড়া দিলেন, “চলো সব!”

কিংশুক ও রাতুল আগে, তারপর রোমেনা ও দীপিতা, তাদের পেছনে বিনীতা টিলা বেয়ে উঠতে থাকল। ঝোঁপঝাড়ে ঢাকা টিলাটার ঢাল প্রায় পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি কোণ সৃষ্টি করছে সমতল থেকে। প্রায় কুড়ি ফুট ওঠার পর একটা বুড়ো-ঝকড়া গাছ এবং তলায় ঘন ঝোঁপ। ঝোঁপের ধারে টুকরো-টুকরো নানা গড়নের পাথর পড়ে আছে। কর্নেল সেখানে দাঁড়িয়ে বললেন, “বিনীতা তুমি নৃবিজ্ঞানের ছাত্রী! দেখ তো এগুলো চিনতে পারো কি না?”

সে কিছু বলার আগেই রাতুল বলল, একটা পাথরের মূর্তি-টুর্তি ভেঙে পড়ে আছে।”

“কারেক্ট।” কর্নেল বললেন, “গতকাল বিকেলে আমি যখন তোমাদের জিজ্ঞেস করলুম, কেউ নীচের ওই থানের কাছে এসেছিলে কি না, সবাই বললে, আসোনি। কিন্তু একজন এসেছিলে। তার মানে একজন মিথ্যা বলেছ।”

চন্দ্রকান্ত ওদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “কে সে?”

 কেউ জবাব দিল না।

কর্নেল আস্তে বললেন, “মিথ্যা বলা তার পক্ষে স্বাভাবিক। কারণ সে ভাবতে পারেনি একটুর জন্য এমন সাংঘাতিক অঘটন ঘটে যাবে।”

রোমেনা কান্নাজড়ানো গলায় বলে উঠল, “দ্যাটস অ্যান অ্যাকসিডেন্ট।”

চন্দ্রকান্ত তার দিকে তাকালেন। “তুমি এসেছিলে?”

 রোমেনা দু হাতে মুখ ঢেকে মাথা নাড়ল।

“তবে কে?”

কর্নেল বললেন, “পুলিশ-চোর খেলার পুলিশ হয়ে সে চোর খুঁজতে থানের ওই দিকটায় এসেছিল। সেখান থেকে এই পাথরের মূর্তির ভগ্নাবশেষ তার চোখে পড়ে। সে খেলা ভুলে ঝোঁপের ভেতর দিয়ে এখানে চলে আসে। মূর্তির মাথাটা সে তুলে সোজা করার চেষ্টা করে। সেই সময় তার হাত ফসকে তেইশ কিলো পাথরের মাথা–স্টোনম্যানেরই মাথা বলা উচিত–সোজা নিচে গড়িয়ে যায়। থানের আড়ালে সুপর্ণ লুকিয়ে ছিল। সে খুঁড়ি মেরে বসে ছিল সম্ভবত। তাই পাথরটা গিয়ে তার মাথায় পড়ে। রোমেনা ঠিকই বলেছিল, “দ্যাটস অ্যান অ্যাকসিডেন্ট। সে জানত না সুপর্ণ নীচে আছে।”

চন্দ্রকান্ত ক্রুদ্ধ স্বরে বললেন, “কে সে?”

কেউ জবাব দিল না। কর্নেল পকেট থেকে একটা জিনিস বের করে বললেন, “কী ঘটেছে দেখা মাত্র সে ছুটে নেমে যায় এবং তখন কাটাঝোপে তার শাড়ির আঁচলের এই টুকরোটা–”।

“বিনু! তুই!” চন্দ্রকান্ত চমকে উঠে বললেন।

রোমেনা বিনীতাকে ধরল। সে মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিল। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল বিনীতা। “আমি–আমি ভাবিনি এমন হবে।”

রোমেনা ভাঙা গলায় বলল, “রাত্রে আমাকে বিনু সব কথা বলেছে! ওর কোন দোষ নেই।”

কর্নেল বললেন, “অ্যানথ্রোপলজির ছাত্রীর পক্ষে এটা স্বাভাবিক। সে ট্রাইব্যাল দেবতার মূর্তি দেখতে পেয়ে খেলা ভুলে পরীক্ষা করতে এসেছিল। তবে হ্যাঁ, বিনীতার নার্ভ স্ট্রং।”

চন্দ্রকান্ত হতাশভাবে বললেন, “সুপুর মৃত্যু ঘটানোর জন্য আইনত বিনু দায়ী। এখন ওকে কী করে বাঁচাব বুঝতে পারছি না।”

বিনীতা চোখ মুছে বলল, “আমি পুলিশকে সব বলব। আমার শাস্তি হোক।”

রোমেনা বলল, “ফরগেট ইট বিনু! আমিও সুপর্ণের মৃত্যুর কারণ হতে পারতুম।”

রাতুল বলল, “আমিও হতে পারতুম।”

কিংশুকও বলল, “আমিও। অ্যাকসিডেন্ট ইজ অ্যাকসিডেন্ট। এতে কিছু করার নেই।”

দীপিতা ফুঁসে উঠল। “আমি এখানে এলে পাথর টানাটানি করতুম না। বিনু একটা ইডিয়ট!”

চন্দ্রকান্ত চোখ মুছে বললেন, “হয়তো ট্রাইব্যাল দেবতার অভিশাপ। আমরা নন-ট্রাইবালরা ওদের ওপর যুগ যুগ ধরে উৎপাত করেছি।”

কর্নেল বললেন, “এবার আমারা থানে নেমে যাই চলুন। এই শাড়ির আঁচলের টুকরোর মতো আর একটা জিনিস আপনাদের দেখাব। সেটা ঐ ডোবাটার কাছে ঝোঁপের ভেতর পড়ে আছে।”

বিনীতা বলল, আমার রুমালটা!”

সবাই নামতে থাকল। চন্দ্রকান্ত ক্রুদ্ধস্বরে বললেন, “রুমাল ফেলে রেখেছিস কেন হতচ্ছাড়া মেয়ে?”

কর্নেল বললেন, “বিনীতার নার্ভ স্ট্রং। সে যখন দেখল, যা হবার হয়ে গেছে, তখন সে রুমালে সুপর্ণের মাথার রক্ত মাখিয়ে থানে ঘষে রক্তমাখা রুমালটা ওখানে ফেলে গিয়েছিল। নৃবিজ্ঞানের ছাত্রী। ট্রাইব্যাল রিচুয়্যাল কিলিং বা বলির খুঁটিনাটি তথ্য তার জানা।”

নীচে নেমে সেই ছোট্ট ডোবার ধারে একটা ঝোঁপ থেকে শুকনো রক্তমাখা রুমালটা কুড়িয়ে নিলেন কর্নেল। শুকনো পাতা কুড়িয়ে আগুন ধরালেন। সেই আগুনে আঁচলের টুকরো আর রুমালটা পুড়িয়ে দিলেন। হাসতে হাসতে বললেন, “প্রমাণ লোপও বেআইনি। কিন্তু অ্যাকসিডেন্ট।”

চন্দ্রকান্ত বললেন, “কিন্তু পুলিশ তো আদিবাসীদের ওপর খামোকা জুলুম চালাবে।”

কর্নেল বললেন, “নাহ্। আমি পুলিশকে বুঝিয়ে দেব, পাথরটা কোনও বুনন জন্তুর পায়ের চাপে হঠাৎ নিচে গিয়ে পড়েছে।”

“এ জঙ্গলে তো বুনো জন্তু নেই!”

“এ জঙ্গলে এখনও সম্বর আছে। আর সম্বরের স্বভাব হল শিঙ দিয়ে পাথর ওপড়ানো। এই দেখুন! গতরাতে এখানে এসে ফলসের কাছে গাছের ডালে আমার ক্যামেরা পেতে রেখেছিলুম। শাটারে নাইলনের সুতো টানা ছিল, জন্তুদের জল খেতে নামার পথে। সম্বরের পায়ে লেগে শাটার ক্লিক করেছে। ফ্লাশে চমৎকার ছবি উঠেছে।” কর্নেল একটা ছবি বের করলেন। “ভোরে ডেভালাপ করে প্রিন্ট করেও ফেলেছি। সব সরঞ্জাম আমার সঙ্গে থাকে, আপনি তো জানেন।”

সবাই ছবিটার দিকে ঝুঁকে পড়ল। একটা সম্বর শিঙ দিয়ে পাথর ওপড়ানোর চেষ্টা করছে ধরিয়া ফলসের ধারে।

চন্দ্রকান্ত বললেন, “হ্যাঁ সম্বরদের এ স্বভাব আছে। তবে ঠিক পাথর ওপড়ানোর চেষ্টা বলা ঠিক হবে না। আসলে ওরা”।

কর্নেল তার কথার ওপর বললন, “আসলে ওরা শিঙ ধারালো করতে চায়। কিন্তু তা-ই করতে গিয়ে পাথর খসে পড়ে পাহাড়ের গা থেকে। আশাকরি, এই ছবি দেখে, মিঃ পাণ্ডে আমার থিওরি মেনে নেবেন। চলুন, এবার ফেরা যাক।”….