প্রেম বৈচিত্ত
প্রেম বৈচিত্ত ।। সুহিনী ।।
পিরীতি বলিয়া, এ তিন আঁখর,
ভুবনে আনিল কে।
মধুর বলিয়া, ছানিয়া খাইনু,
তিতায় তিতিল দে।।
সই এ কথা কহন নহে।
হিয়ার ভিতর, বসতি করিয়া,
কখন কি জানি কহে।।
পিয়ার পিরীতি, প্রথম আরতি,
তাহার নাহিক শেষ।
পুন নিদারুণ, শমন সমান,
দয়ার নাহিক লেশ।।
কপট পিরীতি, আরতি বাঢ়ায়া,
মরণ অধিক কাজে।
লোক চরচায়, কুলে রক্ষা দায়,
জগত ভরিল লাগে।।
হইতে হইতে, অধিক হইল,
সহিতে সহিতে মনু।
কহিতে কহিতে, তনু জর জর,
পাগলী হইয়া গেনু।।
এমনি পিরীতি, না জানি এ রীতি,
পরিণামে কিবা হয়।
পিরীতি পরম, দুখময় হয়,
দ্বিজ চণ্ডীদাসে কয়।।
————–
তিতায় তিতিল দে – দেহ তিক্ত হইয়া গেল। আরতি – আশক্তি; অনুরক্তি।
প্রেম বৈচিত্ত লক্ষণঃ–
“প্রিয়ের নিকটে বসি প্রেমময়ী ধনী।
প্রেমের বিহ্বলে প্রিয় কোথা মনে গণি।।
চৌদিকে নেহারি কান্দে বিরহ হুতাশে।
প্রেম বৈচিত্ত ইহ হেরি হরি হাসে।।”
–ভক্তমাল
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
পিরীতি সুখের সাগর দেখিয়া
নাহিতে নামিলাম তায়।
নাহিয়া উঠিয়া, ফিরিয়া চাহিতে,
লাগিল দুখের বায়।।
কেবা নিরমিল, প্রেম সরোবর,
নিরমল তার জল।
দুখের মকর, ফিরে নিরন্তর,
প্রাণ করে টলমল।।
গুরুজন জ্বালা, জলের শিহালা,
পড়সী জীয়ল মাছে।
কুল পানীফল, কাঁটা যে সকল,
সলিল বেড়িয়া আছে।।
কলঙ্ক পানায়, সদা লাগে গায়।
ছাঁকিয়া খাইল যদি।
অন্তর বাহিরে, কুটু কুটু করে,
সুখে দুখ দিল বিধি।।
কহে চণ্ডীদাস, শুন বিনোদিনি
সুখ দুখ দুটি ভাই।
সুখের লাগিয়া, যে করি পিরীতি,
দুখ যায় তার ঠাঞি।।
————–
বায় – হাওয়া। ঠাঞি – স্থান।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
পিরীতি বলিয়া, একটি কমল,
রসের সাগর মাঝে।
প্রেম পরিমল, লুবধ ভ্রমর,
ধায়ল আপন কাজে।।
ভ্রমরা জানয়ে, কমল মাধুরী,
তেঁহ সে তাহার বশ।
রসিক জানয়ে, রসের চাতুরী,
আনে কহে অপযশ।।
সই! একথা বুঝিবে কে?
যে জন জানয়ে, সে যদি না কহে,
কেমনে ধরিবে দে।। ধ্রু।
ধরম করম, লোক চরচাতে,
এ কথা বুঝিতে নারে।
এ তিন আখর, যাহার মরমে,
সেই সে বলিতে পারে।।
চণ্ডীদাসে কহে, শুনল সুন্দরী
পিরীতি রসের সার।
পিরীতি রসের, রসিক নহিলে,
কি ছার পরাণ তার।।
————–
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
পিরীতি পিরীতি, এ রীতি মূরতি,
হৃদয়ে লাগল সে।
পরাণ ছাড়িলে, পিরীতি না ছাড়ে,
পিরীতি গঢ়ল কে।।
পিরীতি বলিয়া, এ তিন আঁখর,
না জানি আছিল কথা।
পিরীতি কণ্টক, হিয়ায় ফুটিল,
পরাণ পুতলী যথা।।
পিরীতি পিরীতি, পিরীতি অনল,
দ্বিগুণ জ্বলিয়া গেল।
বিষম অনল, নিবাইল নহে,
হিয়ায় রহিল শেল।।
চণ্ডীদাস বাণী, শুন বিনোদিনি,
পিরীতি না কহে কথা।
পিরীতি লাগিয়া, পরাণ ছাড়িলে,
পিরীতি মিলায় তথা।।
————–
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
সই! পিরীতি আখর তিন।
জনম অবধি, ভাবি নিরবধি,
না জানিয়ে রাতি দিন।।
পিরীতি পিরীতি, সব জনা কহে,
পিরীতি কেমন রীত।
রসের স্বরূপ, পিরীতি মূরতি,
কেবা করে পরতীত।।
পিরীতি মন্তর, জপে যেই জন,
নাহিল তাহার মূল।
বন্ধুর পিরীতি, আপনা বেচিনু,
নিছি দিনু জাতি কূল।।
সে রূপ সায়রে, নয়ন ডুবিল,
সে গুণে বাহিল হিয়া।
সে সব চরিতে, ডুবল যে চিতে,
নিবারিব কিনা দিয়া।।
খাইতে খেয়েছি, শুইতে শুয়েছি,
আছিতে আছিয়ে ঘরে।
চণ্ডীদাস কহে, ইঙ্গিত পাইলে,
অনল দিয়ে দুয়ারে।।
————–
পরতীত – প্রত্যয়। নিছি – জলাঞ্জলি।
প্রেম বৈচিত্ত ।। ধানশী ।।
পিরীতি বলিয়া, এ তিন আখর,
সিরজিল কোন ধাতা।
অবধি জানিতে, সুধাই কাহাতে,
ঘুচাই মনের ব্যথা।।
পিরীতি মূরতি, পিরীতি রতন,
যার চিতে উপজিল।
সে ধনী কতেক, জনমে জনমে,
যজ্ঞ করিয়াছিল।।
সই! পিরীতি না জানে যারা।
এ তিন ভুবনে, জনমে জনমে,
কি সুখ জানয়ে তারা।।
যে জন যা বিনে, না রহে পরাণে,
সে যে হৈল কুলনাশী।
তবে কেনে তারে, কলঙ্কিনী বলে,
অবোধ গোকুলবাসী।।
গোকুল নগরে, কেবা কি না করে,
অবুধ মূঢ় সে লোকে।
চণ্ডীদাসে ভনে, মরুক সে জনে,
পর চরচায় থাকে।
————–
সিরজিল – সৃজন করিল। যজ্ঞ করিয়াছিল — পাঠান্তর–“ভাগ্যে করিয়াছিল” (প, ক, ত)। অবুধ – নির্বোধ। পর চরচায় – পরনিন্দায়।
প্রেম বৈচিত্ত ।। ধানশী ।।
সুখের লাগিয়া, পিরীতি করিনু,
শ্যাম বন্ধুয়ার সনে।
পরিণামে এত, দুখ হবে বলে,
কোন্ অভাগিনী জানে।।
সই পিরীতি বিষম মানি।
এত সুখ এত, দুখ হবে বলে,
স্বপনে নাহিক জানি।।
সে হেন কালিয়া, নিঠুর হইল,
কি শেল লাগিল যেন।
দরশন আশে, যেজন ফিরয়ে,
সে এত নিঠুর কেন।।
বলনা কি বুদ্ধি, করিব এখন,
ভাবনা বিষম হৈল।
হিয়া দগদগি, পরাণ পোড়নি,
কি দিলে হইবে ভাল।।
চণ্ডীদাস কহে, শুন বিনোদিনি,
মনে না ভাবিহ আন।
তুমি যে শ্যামের, সরবস ধন,
শ্যাম সে তোমার প্রাণ।।
————–
সরবস – সর্ব্বস্ব।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
সুখের লাগিয়া, রন্ধন করিনু,
জ্বালাতে জ্বলিল সে।
স্বাদু নহিল, জাতি সে গেল,
ব্যঞ্জন খাইবে কে।।
সই! ভোজন বিস্বাদ হৈল।
কানুর পিরীতি, হেন রসবতী,
স্বাদ গন্ধ দূরে গেল।। ধ্রু।
পিরীতি রসের, নাগর দেখিয়া,
আরতি বাঢ়াইনু তাতে।
তবে সে সজনি, দিবস রজনী,
অনল উঠিল চিতে।।
উঠিতে উঠিতে, অধিক উঠিল,
পিরীতে ডুবিল দেহ।
নিমে সুধা দিয়া, একত্র করিয়া,
ঐ ছন কানুর লেহ।।
চণ্ডীদাস কয়, হিয়ায় সহয়,
সকলি গরল হৈল।
কিছু কিছু সুধা, বিষগুণা আধা,
চিরঞ্জীবী দেহ কৈল।।
————–
জ্বালাতে জ্বলিল সে — পাঠান্তর-“জ্বালাতে জ্বলিল দে।” লেহ – পিরীতি।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
সুখের পিরীতি, আনন্দ যে রীতি,
দেখিতে সুন্দর হয়।
মধুর পীযুষে, মদন সহিতে,
মাখিলে সে রসময়।।
সই! কিবা কারিগর সে।
এমত সংযোগে, করি অনুরাগে,
কেমতে গঠিল দে।। ধ্রু।
তিন তিন গুণে, বান্ধিলেক ঘুণে,
পাঞ্জর ধসিয়া গেল।
যতন করিয়া, অবলা বধিতে,
আনিল এমনি শেল।।
এমত অকাজ, করে কোন রাজ,
বুঝিতে নারিনু মোরা।
কুলের ধরমে, ত্যজিনু মরমে,
এমনি হউক তারা।।
চণ্ডীদাস কয়, মিছা গালি হয়,
না দেখি জনেক লোকে।
আপনা আপনি, বলহ কাহিনী,
আপন মনের সুখে।।
————–
পীযুষে – অমৃতে।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
আপনা খাইনু, সোণা যে কিনিনু,
ভূষণে ভূষিতে দেহ।
সোণা যে নহিল, পিতল হইল,
এমতি কানুর লেহ।।
সই! মদন সোণারে না চিনে সোণা।
সোণা যে বলিয়া, পিতল আনিয়া,
গড়ি দিল যে গহনা। ধ্রু।।
প্রতি অঙ্গুলিতে, ঝলক দেখিতে,
হাসয়ে সকল লোকে।
ধন যে গেল, কাজ না হইল,
শেল রহি গেল বুকে।।
যেন মোর মতি, তেমনি এগতি,
ভাবিয়া দেখিনু চিতে।
খলের কথায়, পাথারে সাঁতারি,
উঠিতে নারিনু ভিতে।।
অভাগিয়া জনে, ভাগ্য নাহি জানে,
না পূরয়ে সব সাধ।
খাইতে নাহিক ঘরে, সাধ বহু করে,
বিহি করে অনুবাদ।।
চণ্ডীদাস কহে, বাশুলী কৃপায়ে,
আর নিবেদিব কায়।
তবুত পিরীতি, নাহি পায় যদি,
পরাণে মরিয়া যায়।।
————–
ভিতে – ধারে, কিনারায়। বিহি – বিধি।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
কানুর পিরীতি, চন্দনের রীতি,
ঘষিতে সৌরভ ময়।
ঘষিয়া আনিয়া, হিয়ায় লইতে,
দহন দ্বিগুণ হয়।।
সই! কে বলে পিরীতি হিরা!
সোণায় জড়িয়া হিয়ায় করিতে,
দুখ উপজিলা ফিরা।।ধ্রু।
পরশ পাথর, বড়ই শীতল,
কহয়ে সকল লোকে।
মুঞি অভাগিনী, লাগিল আগুনি,
পাইনু এতেক দুখে।।
সব কুলবতী, করয়ে পিরীতি,
এমন না হয় কারে।
এ পাড়া পড়সী, ডাকিনী সদৃশী,
এমত না খায় তারে।।
গৃহের গৃহিণী, আর ননদিনী,
বোলয়ে বচন যত।
কহিলে কি যায়, কি করি উপায়,
পরাণে সহিবে কত।।
নান্নুরের মাঠে, গ্রামের হাটে,
বাশুলী আছয়ে যথা।
তাহার আদেশে, কহে চণ্ডীদাস,
সুখ যে পাইব কোথা।।
————–
মুঞি – আমি।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
কানুর পিরীতি, মরমে বেয়াধি,
হইল এতেক দিনে।
মৈলে কি ছাড়িবে, সঙ্গে না যাইবে,
কি না করিব বিধানে।।
সই! জীয়ন্তে এমন জ্বালা।
জাতি কুলশীল, সকলি ডুবিল,
ছাড়িলে না ছাড়ে কালা।। ধ্রু।
শয়নে স্বপনে, না করিয়া মনে,
ধরম গণিয়ে থাকি।
আসিয়া মদন, দেয় কদর্থন,
অন্তরে জ্বালায় উকি।।
সরোবর মাঝে, মীন যে থাকয়ে,
উঠে অগ্নি দেখিবারে।
ধীবর কাল, হাতে লই জাল,
তুরিতে ঝাপয়ে তারে।।
কানুর পিরীতি, কালের বসতি,
যাহার হিয়ায় থাকে।
খলের খলনে, জারে সেই জনে,
কলঙ্ক ঘোষয়ে লোকে।।
চণ্ডীদাস মন, বাশুলী চরণ,
আদেশে রহুক নারী।
সহিতে সহিতে, কিছু না ভাবিবে,
রহিবে একান্ত করি।।
————–
মৈলে – মরিলে। কদর্থন – কুৎসিত অর্থকরণ।
প্রেম বৈচিত্ত ।। ধানশী ।।
আমরা সরল পিরীতি গরল,
লাগিল অমিয়াময়।
মহানন্দ রতি বিছুরিনু পতি
কলঙ্ক সবাই কয়।।
সই! দৈবে হৈল হেন মতি।
অন্তর জ্বলিল পুরাণ পুড়িল,
ঐছন পিরীত রীতি।। ধ্রু।
মাটি খেদাইয়া, খাল বানাইয়া,
উপরে দেওল চাপ।
আহার দিয়া, মারয়ে বান্ধিয়া,
এমন করয়ে পাপ।।
নৌকাতে চড়াঞা, দরিয়াতে লৈঞা,
ছাড়য়ে অগাধ জলে।
ডুবু ডুবু করি, ডুবিয়া না মরি,
উঠিতে নারি যে কূলে।।
এমতি করিয়া, পরাণে মারিয়া,
চলিল আপন ঘরে।
চণ্ডীদাস কয়, এমতি সে নয়,
তুমি সে ভাবহ তারে।।
————–
বিছুরিনু – ত্যাগ করিলাম। খেদাইয়া – কাটিয়া তুলিয়া। চড়াঞা – চড়াইয়া। দরিয়াতে – সমুদ্রে।
প্রেম বৈচিত্ত ।। সুহিনী ।।
শুন সহচরি না কর চাতুরী,
সহজে দেহ উত্তর।
কি জাতি মূরতি কানুর পিরীতি,
কোথাই তাহার ঘর।।
চলে কি বাহনে, ঠিকে কোন স্থানে,
সৈন্যগণ কেবা সঙ্গে।
কোন অস্ত্র ধরে, পারাবার করে,
কেমনে প্রবেশে অঙ্গে।।
পাওয়া সন্ধান, হব সাবধান,
না লব তাহার বা।
নয়নে শ্রবণে, বচনে তেজিব,
সোঙরি তাহার পা।।
সখী কহে সার দেখি নরাকার,
স্বরূপ কহিবে কে।
অনুরাগ ছুরী বৈসে মনোপরি,
জাতির বাহির সে।
মন তার বাহন, রক্ষক মদন,
ভাবগণ তার সঙ্গে।
সুজন পাইলে না দেয় ছাড়িয়ে,
পিরীতি অদ্ভুত রঙ্গে।।
কহে চণ্ডীদাসে, বাশুলী আদেশে,
ছাড়িতে কি কর আশ।
পিরীতি নগরে বসতি করেছ,
পরেছ পিরীতি বাস।।
————–
ঠিকে – থাকে; অবস্থান করে। বা – হাওয়া। সোঙরি – স্মরণ করিয়া।
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
বিধির কুসুম, যতনে আনিয়া,
গাঁথিনু পিরীতি মালা।
শীতল নহিল, পরিমল গেল,
জ্বালাতে জ্বলিল গলা।।
সেই মালী কেন হেন হৈল।
মালায় করিয়া, বিষ মিশাইয়া,
হিয়ার মাঝারে দিল।।
জ্বালায় জ্বলিয়া, উঠিল যে হিয়া,
আপাদ মস্তক চুল।
না শুনি না দেখি, কি করিব, সখি!
আগুণ হইল ফুল।।
ফুলের উপর, চন্দন লাগল,
সংযোগ হইল ভাল।
দুই এক হৈয়া, পোড়াইলা হিয়া,
পাঁজর ধসিয়া গেল।।
ধসিতে ধসিতে, সকলি ধসিল,
নির্ম্মল হইল দেহ।
চণ্ডীদাসে কয়, কহিলে না হয়,
ঐছন কানুর লেহ।।
————–
প্রেম বৈচিত্ত ।। শ্রীরাগ ।।
ভুবন ছানিয়া, যতন করিয়া,
আনিনু প্রেমের বীজ।
রোপন করিতে, গাছ সে হইল,
সাধল মরণ নিজ।।
সই! প্রেম তনু কেন হৈল।
হাম অভাগিনী, দিবস রজনী,
সিঁচিতে জনম গেল।।
পিরীতি করিয়া, সুখ যে পাইব,
শুনিনু সখীর মুখে।
অমিয়া বলিয়া, গরল কিনিয়া,
খাইনু আপন সুখে।।
অমিয়া হইত, স্বাদু লাগিত,
হইল গরল ফলে।
কানুর পিরীতি, শেষ হেন রীতি,
জানিনু পুণ্যের বলে।।
যত মনে ছিল, সকলি পূরিল,
আর না চাহিব লেহা।
চণ্ডীদাস কহে, পরশন বিনে,
কেমনে ধরিব দেহা।।
————–