হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার
হর্ষবর্ধনকে আর রোখা গেল না তারপর কিছুতেই! বাঘ মারবার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠলেন।
আরেকটু হলেই তো মেরেছিল আমায়। তিনি বললেন, ওই হতভাগা বাঘকে আমি সহজে ছাড়ছি না।
কি করবে দাদা তুমি বাঘ নিয়ে? পুষবে নাকি?
মারবো ওকে। আমাকে মেরেছে আর ওকে আমি রেহাই দেব তুই ভেবেছিস?
তোমাকে আর মারল কোথায়? মারতে পারল কই?
একটুর জন্যেই বেঁচে গেছি না? মারলে তারা বাঁচাতে পারতিস আমায়?
গোবর্ধন চুপ করে থাকল, সে-কথার কোন জবাব দিতে পারল না।
এই গোঁফটাই আমায় বাটিয়ে দিয়েছে বলতে কি! বলে নিজের গোঁফ দুটো তিনি একটু চুমরে, নিলেন এই গোঁফের জন্যই বেঁচে গেছি আজ! নইলে ওই লোকটার মতই হাল হতো আমার…
মৃতদেহটির দিকে তিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করেন–গোঁফ বাদ দিয়ে, বেগোঁফের বকলমে ও তো খোদ আমিই। আমার মতই হুবহু। ও না হয়ে আমিও হতে পারতাম। কি হতো তাহলে বল তো?
এই চৌকিদার! হঠাৎ তিনি হঙ্কার দিয়ে উঠলেন–একটা বন্দুক যোগাড় করে দিতে পার আমায়? যতো টাকা লাগে দেব।
বন্দুক নিয়ে কি করবে বাবু?
বাঘ শিকার করব আবার কি? বন্দুক নিয়ে কী করে মানুষ? বলে আমার প্রতি ফিরলেনঃ আমার এই বীরত্ব-কাহিনীটাও লিখতে হবে আপনাকে। যত সব আজেবাজে গল্প লিখেছেন আমাকে নিয়ে। লোক পড়ে হাসে কেবল। সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে আমি শুনেছি।
তার কি হয়েছে? লিখে দেব আপনার শিকার-কাহিনী। এই বাঘ মারার গল্পটাই লিখে দেব আপনার। কিন্তু তার জন্যে বন্দুক ঘাড়ে এত কষ্ট করে প্রাণপণে বাঘ মারতে হবে কেন? বনে-বাদাড়েই বা যেতে হবে কেন? বাঘ মারতে এত হ্যাঁঙ্গামের কী মানে আছে? বন্দুকের কোন দরকার নেই! সাপ-ব্যাঙ একটা হলেই হলো। কলমের কেরামতিতে সাপ ব্যাঙ দিয়েই বাঘ মারা যায়।
মুখেন মারিতং বাঘং? গোবরা টিপপনি কাটে।
আপনি টাকার কথা বলছেন বাবু! চৌকিদার এতক্ষণ ধরে কী যেন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন ছিল, মুখ খুলল এবার তা, টাকা দিলে এনে দিতে পারি একটা বন্দুক দু-দিনের জন্য। আমাদের দারোগা সাহেবের বন্দুকটাই চেয়ে আনতে পারি। বাঘের ভারী উদ্রব হয়েছে এধারে মারতে হবে বাঘটাকে– এই বললেই তিনি ওটা ধার দেবেন আমায়। ব্যাভারের পর আবার ফেরত দিয়ে আসব।
শুধু বন্দুক নিয়ে কি করব শুনি? ওর সঙ্গে গুলি-কার্তুজ-টোটা ইত্যাদি এ-সবও তিনি দেবেন তো? নইলে বন্দুক দিয়ে পিটিয়ে কি বাঘ মারা যায় নাকি? তেমনটা করতে গেলে তার আগেই বাঘ আমায় সাবড়ে দেবে?
তা কি হয় কখনো? বন্দুকের সঙ্গে কার্তুজ-টার্তুজ দেবেন বইকি বাবু।
তাহলে যাও, নিয়ে এসো গে চটপটা। বেশি দেরি কোর না। বাঘ না– মেরে নড়ছি না আমি এখান থেকে। জলগ্রহণ করব না আজ।
না না, বন্দুকের সঙ্গে কিছু খাবার টাবার নিয়ে এসো ভাই।
আমি বাতলাইঃ খালি পেটে কি বাঘ মারা যায়? আর কিছু না হোক, একটু গাঁজা খেতে হবে অন্তত।
আনব নাকি গাঁজা? সে শুধায়।
গাঁজা হলে তো বন্দুকের দরকার হয় না। বনে-বাদাড়েও ঘুরে মরতে হয় না। বন্দুকের বোঝা বইবারও কোন প্রায়াজন করে না। বসেই বাঘ মারা যায় বেশ। আমি জানাই।
না না গাঁজা-ফাঁজা চাই না। বাবু ইয়ার্কি করছে তোমার সঙ্গে। তুমি কিছু রুটি মাখন বিস্কটু চকোলেট এইসব এনো, পাও যদি। গোবরা বলে দেয়।
বন্দুক এলে হর্ষবর্ধন শুধাল–কি করে বাঘ মারতে হয় আপনি জানেন?
বাগে পেলেই মামা যায়। কিন্তু বাগেই পাওয়া যায় না ওদের। বাগে পাবার চেষ্টা করতে গেলে উলটে নাকি বাঘেই পায়।
বনের ভিতরে সেঁধুতে হবে বাবু। চৌকিদার জানায়।
গভীর বনের ভেতরে পা বাড়াতে প্রথমেই যে এগিয়ে এসে আমাদের অভ্যর্থনা করল সে কোন বাঘ নয়, বাঘের বাচ্চাও না–আস্ত একটা কোলা ব্যাঙ।
ব্যাঙ দেখে হর্ষবর্ধন ভারী খুশি হলেন, বললেন, এটা শুভ লক্ষণ। ব্যাঙ ভারী পয়া, জানিস গোবরা?
মা লক্ষ্মীর বাহন বুঝি?
সে তা প্যাচা। দাদা জানান–কে না জানে।
যা বলেছেন। আমি ওঁর কথায় সায় দিই যতো পঁাচাল লোকই হচ্ছে মা লক্ষ্মীর বাহন। প্যাঁচ কষে টাকা উপায় করতে হয়, জান না ভাই?
তাহলে ব্যাঙ বুঝি সিদ্ধিদাতা গণেশের…, না…না বলে গোবরা নিজেই শুধরে নেয়–সে তো হলো গে ইঁদুর।
আমি পয়া বলেছি কারো বাহন টাহন বলে নয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতায়। আমরা প্রথম যখন কলকাতায় আসি, তোর মনে নেই গোবরা? ধরমতলায় একটা মানিব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েছিলাম?
মনে আছে। পেয়েই তুমি সেটা পকেটে লুকিয়ে ফেলেছিলে, পাছে কারো নজরে পড়ে। তারপর বাড়ি এসে খুলে দেখতে গিয়ে দেখলে
দেখলাম যে চারটে ঠ্যাং। মনিব্যাগের আবার ঠ্যাং কেন রে? তার পরে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখি কি, ওমা, ট্রামগাড়ির চাকার তলায় পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া ব্যাঙ একটা।
আর কিছুতেই খোলা গেল না ব্যাগটা।
গেল না বটে, কিন্তু তার পর থেকেই আমাদের বরাত খুলে গেল। কাঠের কারবারে কেঁপে উঠলাম আমরা। আমরা এখানে টাকা উড়িয়ে দিতে এসেছিলাম, কিন্তু টাকা কুড়িয়ে থই পাই না তারপর।
ব্যাঙ তাহলে বিশ্বকর্মার বাহন হবে নির্ঘাত। গোবরা ধারণা করে; যত কারবার আর কারখানার কর্তা ঐ ঠাকুরটি তো। কী বলেন মশাই আপনি? ব্যাঙ বিশ্বকর্মার বাহনই তো বটে?
ব্যাঙ না হলেও ব্যাঙ্ক তো বটেই। বিশ্বের কর্মীদের সহায়ই হচ্ছে ঐ ব্যাঙ্ক। আর বিশ্বকর্মাদের বাহন বোধহয় ওই ওয়ার্ড ব্যাঙ্ক।
ব্যাঙ থেকেই ব্যাঙ্ক। একই কথা। হর্ষবর্ধন উচ্ছ্বসিত হন।ব্যাঙ থেকেও আমার আমদানি, আবার ব্যাঙ্ক থেকেও।
ব্যাঙটাকে দেখে একটা গল্পের কথা মনে পড়ল। আমি বলি–জামপিং ফ্রগের গল্প। মার্ক টোয়েনের লেখা। ছোটবেলায় পড়েছিলাম গল্পটা।
মার্ক টোয়েন মানে? হর্ষবর্ধন জিজ্ঞেস করেন।
এক লেখকের নাম। মার্কিন মুলুকের লেখক।
আর জামপিং ফ্রগ? গোবরার জিজ্ঞাস্য।
জামপিং মানে লাফান, আর ফ্রগ মানে হচ্ছে ব্যাঙ। মানে যে ব্যাঙ কিনা লাফায়।
লাফিং ফ্রগ বলুন তাহলে মশাই।
তাও বল যায়। গল্পটা পড়ে আমার হাসি পেয়েছিল তখন। তবে ব্যাঙের পক্ষে ব্যাপারটা তেমন হাসির হয়েছিল কিনা আমি জানি না। গল্পটা শুনুন এবার। মার্ক টোয়েনের সময়ে সেখানে, ঘোড়দৌড়ের মতন বাজি ধরে ব্যাঙের দৌড় হোত। লাফিয়ে লাফিয়ে যে ব্যাঙ যার ব্যাঙ আর সব ব্যাঙকে টেক্কা দিতে পারত সেই মারত বাজি। সেইজন্যে করত কি, অরন্য সব ব্যাঙকে হারাবার মতলবে যাতে তারা তেমন লাফাতে না পারে লাফিয়ে লাফিরে এগিয়ে যেতে হবে তো–সেইজন্য সবার আড়ালে এক একটাকে ধরে পাথর কুঁচি খাইয়ে বেশ ভারি করে দিত কেউ কেউ।
খেত ব্যাঙ সেই পাথর কুঁচি?
অবোধ বালক তো। যাহা পায় তাহাই খায়।
আমার বিশ্বাস হয় না। হর্ষবর্ধন ঘাড় নাড়েন।
পরীক্ষা করে দেখলেই হয়। গোবরা বলে:–এই তো পাওয়া গেছে একটা ব্যাঙ-এখন বাজিয়ে দেখা যাক না খায় কি না।
গোবরা কতকগুলো পাথর কুঁচি যোগাড় করে এনে গেলাতে বসল ব্যাঙটাকে। হাঁ করিয়ে ওর মুখের কাছে কুঁচি ধরে দিতেই, কি আশ্চর্য, তক্ষুনি সে গোপালের ন্যায় সুবোধ বালক হয়ে গেল। একটার পর একটা গিলতে লাগল টুপটাপ করে। অনেকগুলো গিলে ঢাউস হয়ে উঠল ওর পেট। তারপর মাথা হেঁট করে চুপচাপ বসে রইল ব্যাঙটা। ভারিক্কি দেহ নিয়ে লাফান দূরে থাক, নড়া চড়ার কোন শক্তি রইল না তার আর।
খেলতো বটে, খাওয়ালিও তো দেখলাম, ব্যাটা এখন হজম করতে পারলে হয়।দাদা বললেন।
খুব হজম হবে। ওর বয়সে কত পাথর হজম করেছি দাদা। গোবরা বলে?
ভাতের সঙ্গে এতদিনে যতো কাঁকর গিলেছি, ছোটখাট একটা পাহাড়ই চলে গেছে আমাদের গর্ভে। হয়নি হজম?
আলবৎ হয়েছে। আমি বলি : হজম না হলে তো যম এসে জমত।
ওই দ্যাখ দাদা। আঁতকে চেঁচিয়ে ওটে গোবরা।
আমরা দেখি। প্রকান্ড একটা সাপ, গোখরোই হবে হয়ত, এঁকেবেঁকে এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে।
চৌকিদার বলে-একটুও নড়বেন না বাবুরা। নড়লেই সাপ এসে ছোবলাবে। আপনাদের দিকে নয়, ব্যাঙটাকে নিতে আসছে ও।
আমরা নিস্পন্দ দাঁড়িয়ে দেখলাম, তাই বটে। আমাদের প্রতি ভ্রূক্ষেপ মাত্র না করে সে ব্যাঙটাকে এসে আত্মসাৎ করল।
সাপটা এগিয়ে এসে ধরল ব্যাঙটাকে, তারপর এক ঝটকায় লহমার মধ্যে মুখের ভেতর পুরে ফেলল। তারপর গিলতে লাগলো আস্তে আস্তে।
আমরা দাঁড়িয়ে ওর গলাধঃকরণ লীলা দেখতে লাগলাম। গলা দিয়ে পুরুষ্ট ব্যাঙটা তার তলার দিকে চলতে লাগল, খানিকটা গিয়ে থেকে গেল এক জায়গায়, সেইখানেই আটকে রইল, তারপর সাপটা যতই চেষ্টা করুন না, সেটাকে আর নামাতে পারল না। পেটের ভেতর ঢুকে ব্যাঙটা তার পিঠের উপর কুঁজের নত উঁচু হয়ে রইল।
উটকো ব্যাঙটাকে গিলে সাপটা উট হয়ে গেল শেষটায়। তার মুখখানা যেন কেমনতর হয়ে গেল। খুব তীব্র বৈরাগ্য হলেই যেমনটা হয়ে দেখা যায়। ভ্যাবাচাকা মার্কা মুখে সংসারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে জবুথবু হয়ে নট-নড়নচড়ন সে পড়ে রইল সেইখানেই।
তারপর তার আর কোন উৎসাহ দেখা গেল না।
ছুঁচো গেলার চেয়েও খারাপ দশা হয়েছে সাপটার বুঝলে দাদা? সাপের পেটে ব্যাঙ, আর ব্যাঙের পেটে যতো পাথর কুঁচি। আগে ব্যাঙ পাথরকুঁচিগুলো হজম করবে, তারপর সে হজম করবে গিয়ে ব্যাঙটাকে। সে বোধহয় আর ওদের এজন্মে নয়।
ওদের কে কাকে হজম করে দেখা যাক। আমি তখন বলি, ততক্ষণে আমাদেরও কিছু হজম হয়ে যাক। আমরাও খেতে বসি এধারে।
চৌকিদারের আনা মাখন-রুটি ইত্যাদি খবর-কাগজ পেতে খেতে বসে গেলাম আমরা। সাপটার অদূরেই বসা গেল। সাপটা মার্বেলের গুলির মতনে তালগোল পাকিয়ে পড়ে রইল। আমাদের পাশেই।
এমন সময়ে জঙ্গলের ওধারে একটা খসখসানি আওয়াজ পাওয়া গেল। বাঘ এসে গেছে বাবু। চৌকিদার বলে উঠল, শুনেই না আমরা তাকিয়ে দেখি সত্যিই ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে বাঘটা আমাদের দিকে তাক করে দাঁড়িয়ে।
রুটি মাখন-টাখন শেষ পর্যন্ত বাঘের পেটেই গেল দেখছি। দেখে আমি দুঃখ করলাম।
কি করে যাবে? আমরা চেটেপুটে খেয়ে ফেলেছি না সব, ওর জন্যে রেখেছি নাকি? বলল গোবরা-পাউরুটির শেষ চিলতেটা মুখের মধ্যে পুরে দিয়ে।
যেমন করে পাথর কুচিগুলো সাপের পেটে গেছে ঠিক সেই ভাবে। আমি বিশদ করি।
এক গুলিতে সাবাড় করে দিচ্ছি না ব্যাটাকে। দাঁড়ান না। বলে হর্ষবর্ধন হাতে কী একটা তুললেন–ওমা। এটা যে সাপটা। বলেই কিন্তু আঁতকে উঠলেন বন্দুকটা গেল কোথায়?
বন্দুক আমার হাতে বাবু। বলল চৌকিদার ও আপনি তো আমার হাত থেকে নেননি বন্দুক। তখন থেকেই আমার হাতে আছে।
তুমি বন্দুক ছুঁড়তে জান?
না বাবু, তবে তার দরকার হবে না। বাঘটা এগিয়ে এলে এই বন্দুকের কুঁদার ঘায় ওর জান খতম করে দেব। আপনারা ঘাবড়াবেন না।
হর্ষবর্ধন ততক্ষণে হাতের সাপটাকেই তিনি পাক ছুঁড়ে দিয়েছেন বাঘটার দিকে। সাপটা সবেগে পড়েছে গিয়ে তার উপর।
কিন্তু তার আগেই না, কয়েক চক্করের পাক খেয়ে, সাপের পেটের থেকে ছিটকে ব্যাঙটা আর ব্যাঙের গর্ভ থেকে যাতে পাথর কুচি তীর বেগে বেরিয়ে ছররার মতই বেরিয়ে লেগেছে গিয়ে বাঘটার তার চোখে মুখে নাকে।
হঠাৎ এই বেমক্কা মার খেয়ে বাঘটা ভিরমি খেয়েই যেন অজ্ঞান হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ আর। তার নড়া চড়া নেই।
সর্পাঘাতে মারা গেল নাকি বাঘটা? আমার পায়ে হতজ্ঞান। বাঘটার দিকে এগুলাম।
চৌকিদার আর দেরি না করে বন্দুকের কুঁদায় বাঘটার মাথা থেঁতলে দিল। দিয়ে বললোআপনার সাপের মারেই মারা পড়েছে বাঘটা। তাহলেও সাবধানের মার নেই বাবু, তাই বন্দুকটাও মারলাম তার ওপর।
এবার কি করা যাবে? আমি শুধাই ও কোনো ফোটে তোলার লোক পাওয়া গেলে বাঘটার পিঠে বন্দুক রেখে দাঁড়িয়ে বেশ পোজ করে ফোটো তোলা যেত একখানা।
এখানে ফোটো ওলা কোথায় বাবু এই জঙ্গলে? বাঘটা নিয়ে গিয়ে আমি ভেট দেব দারোগাবাবুকে। তাহলে আমার ইনামও মিলবে–আবার চৌকিদার থেকে একচোটে দফাদার হয়ে যাব আমি এই বাঘ মারার দরুন। বুঝলেন?
দাদা করল বাঘের দফারফা আর তুমি হলে গিয়ে দফাদার। গোবরা বলল– বারে।
সাপ ব্যাঙ দিয়েই বাঘ শিকার করলেন আপনি দেখছি। আমি বাহবা দিলাম ওর দাদাকে।