বসু-বাড়ি – পরিশিষ্ট

পরিশিষ্ট 

এই কাহিনীতে কতকগুনি ইংরাজি চিঠিপত্র, ডায়েরি, দলিল ইত্যাদি আছে। সেগুলির বাংলা অনুবাদ নীচে দেওয়া হল। 

সেন্সর কর্তৃক পরীক্ষিত 

মান্দালয় জেল
১-৩-২৬ 

স্বাক্ষর 
আই. বি. সি. আই. ডি 
বেঙ্গল 

পরম পূজনীয় মেজদাদা, 

আমি জানি না আপনি আমার পূর্বের কয়েকটি চিঠি পেয়েছেন কিনা। আমি ইচ্ছা করেই অনশন সম্বন্ধে কিছু উল্লেখ করিনি কারণ আমার আশঙ্কা ছিল যে তাহলে চিঠি আটকে দেওয়া হবে এবং আপনারা চিন্তায় পড়বেন। যা ঘটল তার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অনশনের কথা লিখলে চিঠি আটকে দেওয়া হবে আমার এই আশঙ্কা অমূলক ছিল না। 

আমি আপনার দীর্ঘ টেলিগ্রাম ২৭-২-২৬ তারিখে বিকাল ৫টায় পাই এবং তৎক্ষণাৎ জরুরী জবাব পাঠাই। সেটি কখন আপনার হাতে পৌঁছেছিল আমি জানি না। 

আমার শারীরিক দুর্বলতা আছে—কিন্তু অন্য দিক দিয়ে ভাল আছি। আমার সম্বন্ধে চিন্তার কোন কারণ নাই। প্রথম কয়েকদিন আমার মাথা ধরছিল এবং মস্তিষ্কের সামান্য গোলযোগ দেখা দিয়েছিল কিন্তু মনে হচ্ছে আমি ধীরে ধীরে অনশনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমি যতটা পারি বিছানায় থাকি যাতে শক্তির অপচয় না হয়। অনশন চলছে এবং বেশ কিছুদিন চলবে। যতদিন পর্যন্ত না আপনি আমার কাছ থেকে সরাসরি জানতে পারেন যে আমি অনশন ভেঙ্গেছি ততদিন আপনি ধরে নিতে পারেন যে অনশন চলছে। 

সামান্য একটু লবণ দিয়ে গরম জল খেলে বেশ চাঙ্গা থাকা যায়। মাথার যন্ত্রণা ও মাথাঘোরা আমার আছে… 

(মান্দালয় থেকে বাবাকে লেখা রাঙাকাকাবাবুর চিঠি.) 

পরিচ্ছেদ-৯ 

.

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
৪৩তম অধিবেশন কলিকাতা 
১৯২৮ 

রেফারেন্স নং ৫০১ 

১ নং উডবার্ন পার্ক
কলিকাতা, ৩রা ডিসেম্বর
১৯২৮ 

শ্রীচরণেষু 
মহাত্মাজি, 

আমি এই সঙ্গে এক তরুণ বন্ধুর চিঠি পাঠাচ্ছি যিনি আপনি কলিকাতায় থাকাকালীন আপনার সেবা করার জন্য উদ্‌গ্রীব। আমি জানি না তাঁকে আপনার মনে আছে কিনা কিন্তু তিনি বেশ কয়েকবার আপনার সেবা করেছেন। আমি তাঁকে কি বলব সে বিষয়ে আপনার নির্দেশ চাই। 

আপনি অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন আপনার ক্যাম্পের জন্য আপনার কয়জন স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজন হবে এবং তাদের কি কি যোগ্যতা থাকা চাই। আমাদের সুবিধা হয় যদি আপনি আমাদের জানান আপনার সঙ্গে কজন আসবেন। 

গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে
আপনার শ্রদ্ধাবনত
সুভাষচন্দ্র বসু 

(মহাত্মা গান্ধীকে লেখা রাঙাকাকাবাবুর চিঠি) 

পরিচ্ছেদ- ১০ 

.

আমি এবিষয়ে নিঃসন্দেহ যে শিশির তার এই অন্যায় বন্দীদশা শান্তমনে ও ধৈর্যের সঙ্গে বহন করবে। সে আমার পুত্র তাই আমি একথা বলছি তা কিন্তু নয়,আমি বলছি কারণ আমি তার মানসিক গঠন জানি…যদি তোমার শিশিরের সঙ্গে দেখা হয় তাকে আমার অন্তরের আশীর্বাদ ও এক উজ্জ্বল ও আনন্দময় ভবিষ্যতের জন্য আমার শুভ কামনা জানাবে। সে যে কোন ‘অন্যায় কাজ করেনি এই “আত্মবিশ্বাস তাকে আনন্দে রাখবে। 

(আমার প্রথম গ্রেপ্তারের পর বাবার চিঠি) 

পরিচ্ছেদ-৫২ 

.

আমার যদি আমার মায়ের মত আধ্যাত্মিক শক্তি থাকত—
“জীবনে তাকে আশাহীন সীমাহীন দুঃখ সহ্য করতে হয়েছে—
মৃত্যু বা নিশার চাইতেও ঘনান্ধকার অন্যায় তিনি ক্ষমা করেছেন
যে শক্তিকে মনে হয়েছে দুর্জয়, তা তিনি তুচ্ছ করেছেন 
ভালবেসেছেন, সয়েছেন 
এবং তা তিনি জীবনান্ত পর্যন্ত করেছেন নম্রতা, ধর্মপরায়ণতা, জ্ঞান ও সহ্যশক্তির সঙ্গে।” সরকারের কাছে একটি মাত্র অনুরোধই তিনি করেছিলেন যে আমাকে যেন একবার তার শয্যাপার্শ্বে উপস্থিত হবার অনুমতি দেওয়া হয়। যেন তিনি একবার শেষ স্নেহের দৃষ্টিপাত করতে পারেন। কিন্তু সেই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়। এতে যে মায়ের হৃদয় ভেঙে যাবে তা আর আশ্চর্য কী 
আমি শিশিরের, দাদার ও গীতার চিঠি চোখের জল ফেলতে ফেলতে পড়েছি আর সেই চোখের জলে আমার মনের ভার কিঞ্চিৎ লাঘব হয়েছে। 

( মাজননীর মৃত্যুর পর বাবার চিঠি) 

পরিচ্ছেদ-৫৪ 

.

তোমার চিঠি থেকে বুঝলাম গ্রেপ্তারের পর শিশিরকে উডবার্ন পার্কে আনা হয়েছিল এবং তাকে তার মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে কয়েক মিনিটের জন্য দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমি বেশ বুঝতে পারছি সেই বিদায় কী করুণ ও বিষাদময় হয়েছিল…। 

শিশির যে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে ধীর ও শান্ত থাকবে তা আমি আশা করেছিলাম। সে যে নিজের চাইতে তার মার জন্যই বেশী চিন্তিত হবে সেও তারই উপযুক্ত। যাদের বিবেক স্বচ্ছ তারা নিষ্ঠুর ও অপ্রত্যাশিত আঘাতে বিচলিত হয় না। মঙ্গলময়ী মা যেন তাকে আশীর্বাদ করেন, তাঁর আশীর্বাদে ওর অপবাদকারী—তা যে বা যারাই হোক না কেন—ধিক্কারে স্তব্ধ হয়ে যাক্ আর সে নিজেকে সম্পূর্ণ অকলঙ্ক বলে প্রতিষ্ঠিত করুক। 

(আমার দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারের পর বাবার চিঠি) 

পরিচ্ছেদ-৫৭ 

.

c/o অ্যাডিশ্যানাল সেক্রেটারি 
ভারত সরকার
(হোম ডিপার্টমেন্ট) 
২৩শে নভেম্বর ১৯৪৪ 

শ্রীচরণেষু মা, 

ইংরেজিতে চিঠি লেখার জন্য ক্ষমা করবেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংরেজিতে লেখাই ভাল।

আমি শুধু আপনাকে জানাতে চাই, যে আমি ভাল আছি, আমার জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই। হজমেরও কোন গোলমাল নেই, কোন চিন্তা করবেন না। 

আপনাদের খবর শীঘ্র পাব বলে আশা করছি। 

(লাহোর ফোর্ট থেকে লেখা আমার পোস্টকার্ড) 

পরিচ্ছেদ-৫৯ 

.

নতুন দিল্লী,
৭ই নভেম্বর, ১৯৪৪ 

নং ৪/৪/৪৩ – এম. এস 
ভারত সরকার
স্বরাষ্ট্র বিভাগ 

১৯৪৪ সালের নিষেধাজ্ঞা ও গ্রেপ্তার বিষয়ক হুকুমনামার ৭ নং ধারা অনুযায়ী নোটিশ (১৯৪৪ সালের ৩নং) 

১৯৪৪ সালের ৩নং হুকুমনামার ৭নং ধারা অনুযায়ী আপনাকে জানানো হইতেছে যে আপনার গ্রেপ্তারের হেতু এই যে,আপনি শিশির বসু ব্রিটিশ ভারতের রক্ষা বিঘ্নিত করার কাজে লিপ্ত ছিলেন, কারণ আপনি বেঙ্গল ভলান্টিয়ার গ্রুপ ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় সুভাষচন্দ্র বসু ও জাপানীদের সাহায্য করার অভিপ্রায়ে সক্রিয় কার্যকলাপে নিজেকে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। 

২। আপনাকে জানানো হইতেছে যে যে আদেশের বলে আপনাকে বন্দী করা হইয়াছে তাহার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করিতে পারেন। আপনি যদি এইরূপ আবেদন করিতে চান তাহা হইলে নীচে যে অফিসারের স্বাক্ষর আছে তাঁহাকে উদ্দেশ করিয়া এবং যে অফিসারের হেফাজতে আপনাকে বন্দী করিয়া রাখা হইয়াছে তাঁহার মারফৎ যত শীঘ্র সম্ভব তাহা দাখিল করুন। 

স্বাঃ আর· টটেনহ্যাম 
অতিরিক্ত সচিব, ভারত সরকার— 
(লাহোর ফোর্টে এই চার্জশীট আমাকে দেওয়া হয়) 

পরিচ্ছেদ-৬০ 

.

জানুয়ারী শুক্রবার ১২, ১৯৪৫ 

অমির ৬ তারিখে লেখা চিঠি পেলাম। সে চিঠিতে জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত শিশিরের কোন খবর পাওয়া যায়নি। 

আমার মনে ঘোর আশংকা হচ্ছে যে শিশিরের গুরুতর কিছু ঘটেছে। মধ্যরাত্রের পর প্রার্থনা করলাম, তারপর শুতে গেলাম। 

.

জানুয়ারী রবিবার ১৪, ১৯৪৫ 

শিশিরের কথা চিন্তা করে আমার মন গভীর আশংকায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলময়ী মা কী তার প্রতি ও আমাদের প্রতি দয়া করবেন না? 

(বাবার ডায়েরি, আমার সম্বন্ধে উদ্বেগ)

পরিচ্ছেদ-৬১ 

.

c/o সুপারিনটেনডেন্ট
ডিস্ট্রিক্ট জেল 
লায়ালপুর পাঞ্জাব 

শ্রীচরণেষু মা, 

এখন আমি লায়ালপুরের ডিস্ট্রিক্ট জেলে আছি। আমি ভাল আছি। গত মাসের ২০ তারিখে ও ২৭ তারিখে আমি যে দুটি চিঠি লিখেছিলাম আশাকরি সে দুটি গন্তব্যস্থানে পৌঁছেচে। এ জায়গায় আমার শরীর কেমন থাকবে এখনি তা বলা যাচ্ছে না তবে মনে হয় জায়গাটির জলহাওয়া ভাল ও স্বাস্থ্যকর। আশাকরি আমার জন্য আপনারা অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করছেন না এবং ওখানে সকলে ভাল আছেন। গীতার লেখা ১৭ই জানুয়ারীর চিঠিই বাড়ী থেকে পাওয়া শেষ চিঠি। সামনের কয়েকদিনের মধ্যে আরও চিঠি পাব আশা করছি। বাবাকে আমার খবর পাঠাবেন এবং জানাবেন যে আমি ভাল আছি, আমার জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার প্রণাম তাঁকে জানাবেন। আমাকে বলা হয়েছে এখন আমি বই আর খবরের কাগজ পেতে পারি। আমি আজকে গীতাকেও চিঠি লিখছি, কয়েকখানা বই যা এখন চাই ওকে জানাচ্ছি। আমাকে বাড়ীর সব খবর এবং সবকিছু কেমন চলছে অবশ্য জানাবেন। আমি ভাল আছি। প্রণাম। আপনারই শিশির 

সেন্সরের সই 

তারিখ ৩-২-৪৫

প্রেরক শিশিরকুমার বসু 

(লায়ালপুর জেল থেকে লেখা আমার প্রথম চিঠি) 

পরিচ্ছেদ-৬২ 

.

আগস্ট শনিবার ২৫, ১৯৪৫ 

আজকের “ইণ্ডিয়ান একপ্রেস” ও “হিন্দু” এক বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষের মৃত্যুর হৃদয়বিদারক খবর বহন করে এনেছে। মঙ্গলময়ী মা, তোমার বেদীমূলে আর কত আত্মত্যাগ আমাদের করতে হবে? ভয়ংকরী মা, তোমার আঘাত যে সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। আর তোমার এই চরম আঘাত যে কঠিনতম ও নিষ্ঠুরতম। এর দ্বারা তোমার কোন অলৌকিক ইচ্ছা পূর্ণ হবে তা তুমি একাই জানো। দুর্বোধ্য তোমার মনোবাসনা। 

চার পাঁচ দিন আগে একরাত্রে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম সুভাষ আমাকে দেখতে এসেছে। সে আমার বাংলোর বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, সে য়েন আকৃতিতে খুব দীর্ঘদেহী হয়ে উঠেছে। আমি তার মুখ দেখার জন্য লাফিয়ে উঠে দাঁড়ালাম আর তার সঙ্গে সঙ্গেই সে মিলিয়ে গেল। সেদিন আমি এই স্বপ্ন কোন বিশেষ অর্থপূর্ণ বলে মনে করিনি,তাই পরদিন ডায়েরিতে এ সম্বন্ধে কিছু লিখেও রাখিনি। কিন্তু, আজ? 

(বাবার ডায়েরি, নেতাজীর মৃত্যুর খবর পাবার পর) 

পরিচ্ছেদ-৬৪ 

.

ডিস্ট্রিক্ট জেল
লায়ালপুর (পাঞ্জাব) 
সোমবার

শ্রীচরণেষু মা, 

শুক্রবার বিকেলে “দি ট্রিবিউন” পত্রিকা আমার কাছে মর্মান্তিক সংবাদ বহন করে এনেছে। আমি কি আর বলব? এক নির্ভীকতম ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে আমরা যেন অন্তত সাহসের সঙ্গে বুক বেঁধে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। তোমারি ইচ্ছা করো হে পূর্ণ। 

আমি বাড়ীর সকলের খবরের জন্য এবং বিশেষ করে বাবার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করব। আমার জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি ঠিক থাকব। 

আমি রমার ও গীতার ১৩ই ও ১৫ই তারিখে লেখা চিঠি পেয়েছি আর পেয়েছি তিনটি ইংরেজি বই। 

প্রণাম সহ 
স্নেহের 
শিশির 

অফিসারের সই 

তারিখ ২৭শে আগস্ট 

প্রেরক শিশিরকুমার বসু 

পরিচ্ছেদ-৬৪ 

(আমার চিঠি, নেতাজীর মৃত্যুর খবর পাবার পর) 

.

আমার আদরের ভাই শিশির, 

তোমাকে আমার অন্তরের ভালবাসা ও স্নেহচুম্বন পাঠালাম। তুমি আবার কবে ভিয়েনায় আসবে আর তখন কী তুমি আমার সঙ্গে জার্মান ভাষায় কথা বলবে? 

তোমার স্নেহের
অনিতা 

(অনিতার ছেলেবেলার চিঠি) 

পরিচ্ছেদ-৭২ 

.

১, উডবার্ন পার্ক 
১০ অক্টোবর ১৯৪৯ 
সোমবার সকাল ৮টা 

স্নেহের শিশির, 

গত পরশুদিন তোমার ২ তারিখে লেখা চিঠি আমি পেয়েছি। আমার ভালবাসা ও বিজয়ার আশীর্বাদ তুমি গ্রহণ করো। মঙ্গলময়ী মায়ের ইচ্ছায় তুমি যেন তোমার পরিবারের অহংকার ও দেশের গৌরব হতে পারো। 

আমি তোমাকে প্রায় তিন হপ্তা চিঠি লিখে উঠতে পারিনি বলে দুঃখিত। শুধু আলস্যই এর জন্য দায়ী। লিখবার মত শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা এবং বিছানায় শুয়ে কিছু সাংবাদিকতার কাজ করার শক্তিও আমার রয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬ তারিখে আমি ইউনাইটেড্ প্রেস অব্ আমেরিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছি। তারা পরদিন জানিয়েছে যে সাক্ষাৎকারটি ভারতের বাইরে টেলিগ্রাফ- যোগে পাঠিয়ে দিয়েছে। কোন ব্রিটিশ খবর কাগজে এটি বার হয়েছে কী? 

(আমাকে লেখা বাবার শেষ বিজয়ার আশীর্বাদ) 

পরিচ্ছেদ-৭৫ 

***

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *