চিরন্তন সংশয়ের শীতকাল

চিরন্তন সংশয়ের শীতকাল

যদিও কোনো ঋতু অবিশ্বাস থেকে মুক্ত ছিলো না তবুও শীতকালকে সব সময় মনে করা হতো চিরন্তন সংশয়ের সময়। এ শীতকালকে ঘিরে সবার মনে কেনো জানি একটা সন্দেহের দানা বেঁধেছিলো। তারপরেও বর্ণনার জন্য এ সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছিলো। বস্তুত সবার মনে এটা উদয় হয়েছিলো। ঘোষণা করা হলো, সকল লোক যেনো শরতের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে তাদের দৃষ্টির পরিবর্তে এবং বলে যে, ‘বেশতো এখানে শীত বিরাজ করছে। তারা যেনো বলে যে, ‘সংশয়ের আবহাওয়া, এটা নয়?’ অথবা তুমি কি মনে করো যে এই বছর কোনো সংশয় আসছে?’ বিজ্ঞ পণ্ডিতেরা মনে করেছিলেন যে উচ্চস্বরে চিৎকার করবে, ‘এ বছরের চারটি ঋতু বৈচিত্র্য তা হলো বসন্ত কাল, গ্রীষ্মকাল, শরতকাল এবং সংশয়ের কাল এবং তাই হয়।’

এভাবে পণ্ডিত এ.কে. প্রতিরোধের কোনো কথা ছাড়াই এটা বললেন। তার তৃতীয় পত্রে তিনি এটা জানালেন। এ.কে. বর্ণনা দিলেন এটা ছিলো বিদ্রোহী জেকব হার যিনি ছিলেন প্রথম প্রতিষ্ঠাতা যিনি এ বিষয়ে প্রথমই চিন্তা করেছিলেন। আর এ বিষয়ের কথা বলেছিলেন সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে যা তাকে পুরোপুরি সার্বভৌমত্বের অধিকারে পূর্ণ করেছিলো। তিনি এ বিষয়ে পিরামিডের নির্মাণে শীতকালে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন। তবে ‘সংশয়’ শব্দের পরিবর্তে তিনি ‘সময়’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। যখন এটা পুরোপুরি নির্মিত হলো তখন যেনো সে গর্ভবতী হয়ে পড়লো। জেকব হার চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং তিনি ফিরে আসলেন। এটা তার জন্য উচিত ছিলো সময় মতো ফিরে আসা। তিনি শেয়াল এবং কুকুরের ছুটে চলার মতো নন। তিনি ছিলেন ঠিকই সমস্ত প্রতিরোধ থেকে আলাদা, যেটা এ.কে. দ্বারা ঘটেছিলো। (এগুলো ছিলো, জেকব হার-এর একাদশতম খোঁজাকরণের সুপারিশ।) তার সকল তদন্ত সমাপ্ত ছিলো না যখন বসন্তকাল এসে পড়লো, তখনো। যেহেতু শীতকাল ছিলো তার চিরন্তন সংশয়ে পূর্ণ। তাই শীতকালকে বলা হতো ঋতুর সন্দেহের আর অপূর্ণতার সময়। আর গ্রীষ্মকালে জলবায়ু নানা ধরনের বিস্ময়ে পূর্ণ। জনগণ তাই শীতকালকে ভয় পায়। এ বিষয়ে জেকব হারও বিস্তারিত বলেছেন।

শীতকাল কেবল তার প্রকৃতিররূপ যা বজায় রাখে একেবারে সাধারণ ভাবে, যা ঘটে, যা ঘটতে পারে আর জনগণ তাকে অভিশাপ মনে করে। একটি নির্দিষ্ট উৎসে শুরু হয় এবং শেষ হয়। আর স্মৃতি জমা করে সাগরের জলরাশির কিনারায়।

স্বাভাবিকভাবে দালানের জন্য এ সময়টা তদন্ত করা খুবই ভালো। এ সময়ে মাধ্যাকর্ষণ নীতি নির্ভর করে সময়ের দোষের স্থানের উপর। তবে কখনো কখনো এটা দূষণীয় বলে গণ্য হয়। এটার জন্য সময় প্রয়োজন হয় দুই অথবা তিন সপ্তাহ। তবে এ সময়ে সহজেই এটা নির্মাণ করে পূর্ণ করা সম্ভব হয়। অন্যভাবে বলা যায় যে, এটা ৪০ বছর পূর্বে সংশয়ের মাঝে থাকলেও এখন সেটা নয়। এখন এটা ৫০ বছর অর্থাৎ অর্ধশতাব্দী নির্ধিদ্বায় পেরিয়ে যাবে। একমাত্র ভূমিকম্প হলে সেটা আলাদা কথা। তখনই কেবল ঝুঁকি এবং উদ্বিগ্নতার কথা বলা যেতে পারে। তা ছাড়া নয়।

শীতকালের তদন্ত ছিলো মধ্যম পর্যায়ের পরিধি পর্যন্ত। এর সাত বছর পূর্বে ফিরে গেলে মনে হবে যে গড়ে এটা সম্পূর্ণরূপে যথেষ্ট। আর তা অবশ্যই দুই প্রজন্ম অতিক্রম করবে।

পিরামিডের ব্যাপারে সবচেয়ে কৌতুহল কোটি? যা অনেক এবং অবতল দখল করে নেয়। তদন্তের এক মিনিটকে মনে হয় দুটি মহাকাল। যা সত্যই (সৈনিকদের কবর, হত্যার দৃশ্য ইত্যাদি) এবং অবাস্তব বিষয় আর বলা হয় অসম্ভব মহাকাল (তিনি চেয়েছিলেন শাশুড়ির সহযোগী এবং অন্যান্যদের), নতুন তদন্ত ছিলো অন্যের নয় কিংবা হতে পারে অন্যদের। কিন্তু উভয়টি ঘটে একই সময়।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিলো তথ্যে ভরা। তাদের এই ঘোষণা অনুসন্ধানে আরো সহায়তা করেছিলো। আর দৃশ্যমান হয়েছিলো পিরামিড। যার চূড়া দেখা গিয়েছিলো সোপান থেকে সোপান অতিক্রম করা। কতো শত সোপান ছিলো। ছিলো তৃতীয় তলা। তার অক্ষ ছিলো শোয়ানো। আর তার আত্মা ছিলো পাথরের আচ্ছাদিত। তার চার পাশে কল্পনা।

কিন্তু পিরামিডের এ খেলাটি ছিলো কেবল সময়ের এবং অসময়ের আবর্তনকে ঘিরে। কিন্তু এ পিরামিড ছিলো হৃদয়ের, চেতনার, চিন্তার এবং অনেক গবেষণার ফসল। এটা একদিনে কিংবা এক মুহূর্তের ছিলো না। তবে একথা সত্য বলা যায় যে, যদি না সুন্দর সকাল, সকল হৃদয়ের অন্তঃস্থলের চিওপসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যা তার পছন্দের, হোক না অচিন্তার কিংবা ফারাও’র, তার দুঃসাহসিক কর্মের। যদি তিনি পিরামিড তৈরির নির্দেশ দিতেন, তিনি যদি স্তর থেকে স্তরে এমন কি নগ্ন পায়ে হেঁটে হলেও। তবুও তা সমাধা হতো।

জীবন্ত আত্মা যেনো হতবুদ্ধি হয়ে পড়লো। কয়েকটি গজ মাত্র দূরে, ডানে এবং নিচে কেবল এর সন্ন্যাসীর মস্তকের মতো পাথর। এটা তার কেবল জীবনের দুটি অংশ। হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে। হয়তো বা সে মৃত কিংবা জীবিত। যে হেঁটে বেড়ায় ভূত হয়ে মানুষের কাঁধ থেকে অন্য কাঁধে। মানুষ তাকে দেখে না। সে দেখার দৃশ্যত চোখ কারো নেই।

আর স্বাভাবিকভাবে কে-ই বা এটা জানতে পেরেছিলো যে এটা শুরু হবে আর পূর্ণিমার রাতে তাকে দেখা যাবে। আবু সীবের প্রাণীগুলো সেই পাথরকে অনুসরণ করেছিলো। আর এই সেই সাকারা মরুভূমি যেখানে মমফিজ অবস্থান করছে। আরো অন্য কিছু বলতে গেলে বলা যায়, এর চেয়ে আর বড় কোনো সাক্ষী নেই। গিজার কারেসনেভ জাদুঘর পুরোটা রাত এখানে বসে ব্যয় করেছে এ পিরামিডের অবস্থান পাথর আর ইতিহাস জানতে, আর এ স্থানটি তার ভ্রমণ এখন চূড়ান্ত হয়েছে। পিরামিডটি সমাপ্ত হয়েছে। সাক্ষীরা পিরামিডের বিষয়ে যা যা বলেছে আর তারা যা দেখেছে সব কথা সংগ্রহ করা হয়েছে, সংগ্রহের কোনো তথ্য-উপাত্ত বাদ রাখা হয় নি। বিশেষভাবে এর উপর সকল বিষয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। ফেরী এবং নৌপথ শাখার প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের সনদ নেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করেছেন এবং এ বিষয়ে তথ্য, উপাত্ত, সম্ভাবনা, বৈশিষ্ট্য, ভুল-ত্রুটি, সত্যতা সকল বিষয়ে বলেছেন। দুইশতো এবং চার হাজার তিরানব্বই খণ্ড পাথরের কথা বলা হয়েছে। আর এ পাথরকে স্থাপন করা হয়েছে সংকেত এন৯২৩০৮১০৩৯৩৬-এ।

এই উপাত্তকে মনে হতে পারে কিন্তুৎকিমাকার কিংবা অদ্ভুত ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু এ বিষয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে যে এই পিরামিডের ভেতর এর সঠিক নাম্বারটি অবশ্যই লুকিয়ে আছে।

বেশির ভাগ লোকজনই মনে করে যে, এটাই প্যাপিরাজ সেটা গোপন তথ্য উপাত্ত ধারণ করে আছে যা আমাদের কাছে হুমকি স্বরূপ কিংবা ভয় দেখাতে চায়, অথবা অন্য কোনো কিছু যা ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে। জেকব হার এ বিষয়ে বার বার নির্দেশনা পাচ্ছেন।

এ সংখ্যাটি বেমানান মনে হতে পারে এর একটি আনুষ্ঠানিক সমতা রয়েছে যা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। কমপক্ষে সাধারণ লোকজন জানে যে পাথরগুলো কীভাবে খণ্ড খণ্ড করে স্থাপন করা হয়েছে। এর স্থাপন, গঠন, আকার, আয়তন, বিন্যাস এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

ছোট বালিকেরা পথের পাশে কাদা মেখে যেমন কোনো কিছু তৈরি করে। এই পিরামিড সে বৈশিষ্ট্যে গঠিত। মাঝে মাঝে আক্রমণকারী আক্রমণ করে তা মাথা দিয়ে আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলতো এবং বলতো, কে পারে শেষ করতে এবং একে অপরকে ধর্ষণ করতে।) কিন্তু তখন আনুষ্ঠানিকভাবে তা অতিক্রম করেছে যা কিছু ভালো তা সংগ্রহ করা হয়েছে ঠিক কেন্দ্রের মাঝেই। পরিদর্শক এক শ্রমিক (যে ডকের জায়গাগুলোর পাথরের নিরাপত্তা বিধান করেছে, যে তার নিচে পুতুলের মতো স্থির দাঁড়িয়ে থেকেছে)। ঠেলাওয়ালা, ধাক্কাওয়ালা এবং তত্ত্বাবধায়নকারীরা পাথর খাদের চূড়ান্ত স্থানে পৌঁছানো পর্যন্ত।

সামান্যের চেয়ে একটু অধিক যা চারশো’র বেশি মানুষ নয় যারা এটি করেছে, আর ছয়শো এসেছে বহিরাগত। যেহেতু পাথরগুলো সাত বছর ধরে স্থাপন করা হয়েছে আর তাদের দুর্ভাগ্য অর্থাৎ আত্মাসহ দেহকে পাথরের নিচে চাপা দিতে হয়েছে এটা তাদের জন্য বিশ্বে খুব বড় কিছু নয়। তারা তাই তাদেরকে পরিবার, সহকর্মী ও পানশালার সাথীদেরসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়। তবে তাদের জন্য দুই থেকে তিন হাজার লোক প্রার্থনা করে যারা মিশরের সৎ মানব বলে গণ্য।

কিন্তু এরূপ শান্ত্বনার প্রতিফলন বেশি দিন স্থায়ী হলো না। পাথরের প্রকৃত দুঃখগুলো কেবলই চাপা পড়ে থাকলো। দুটি বিজ্ঞাপন জারি করা হলো দুটি পৃথক সংখ্যা দিয়ে। আর তা ছিলো কেবল দুটি পাথর খণ্ডেরই কথা। এর ভেতরেই কেবল সকল কথা লুকিয়ে থাকলো। অন্যভাবে বলা যায় যে, এটা স্পষ্টতই পরিপরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো যেখানে পাথরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু সহজেই তা কল্পনা করা গিয়েছিলো। (গোপনীয়তা, শত্রুকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা ইত্যাদি) আর এ সংখ্যাটি দেওয়া হয়েছিলো মূলত ভুল। যেখানে সারির কথা বলা হয়েছে যা সেখানে অবস্থান করছিলো। এবং এটা অবশ্যই সেই অক্ষ আর শূন্যে অবস্থানে নিয়ে গিয়ে ছিলো।

এটাই যথেষ্ট ছিলো যে, সমস্ত মিশর এবং মিশরবাসী এ বিষয়ে নূয়ে পড়েছিলো। সতেজ গুজব কেবল বাতাসের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলো। মানুষ নানা ধরনের মুখরোচক কথায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিলো। তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো বিভিন্ন সংখ্যা নিয়ে। লোকজন বলাবলি করলো যে, সাম্প্রতিক লেক অনুযায়ী বলা যায় যে, পাথরগুলো নিচে নিচে থরে থরে সাজানো ছিলো। আর তার স্তর ছিলো পনেরো, তা ছিলো সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। কারো উপর নির্ভরশীল নয়। পাথরগুলোকে কেবল অন্তর্ভুক্ত করা হলো বিভিন্নভাবে। কিন্তু সমস্ত সারি, সারির নাম্বার ছিলো একশো চার অথবা তাই মনে হয়েছিলো। তখন অন্য পাশের পাথরের কথা উল্লেখ ছিলো। অন্য সারিগুলো ছিলো তার অর্ধেক। তবে সেগুলোকে অনিরাপদ মনে হয়েছে। লোকজন এ বিষয়ে খুব খুশিই হয়েছিলো। তারা আবু গারিবে কাজ করেছিলো দশম অথবা ঊনবিংশ সারিতে অথবা ভুল দরোজোর কাজের কাছে, আর তারা সেখানে যথাযথভাবে পৌঁছেছিলো। (হায়! আমাদের সময়েই এটা খুব ভালো কাজ হয়েছে। আমাদের কর্মচারীগণ কোনো কাজ দেরিতে করে নি।) তখন তারা দ্রুত সহজে পালাতে গেলো। তাদের সারিতে তদন্তের জন্য যাওয়া হয়েছিলো আর তাদের মাথা ছিলো সিক্ত তোয়ালে দিয়ে আবৃত। তারা তাদের মনকে হারাবার ভয়ে ভীত ছিলো।

এর মধ্যে কাউকেই গ্রেফতার করা হয় নি। তা সত্ত্বেও কোনো ভালো লক্ষণ দেখা যায় নি। তারা কেবল চিন্তা করলো যে, এটা ছিলো অপরিবর্তিত যেখানে রাস্তা এবং পাথর বানানো হয়েছিলো। সবার আগে সুগন্ধি দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলো। তারপর পর্যায়ক্রমে ট্যানারি, পানশালা এবং সরাইখানা বন্ধ করে দেওয়া হলো।

‘আমি দেখি মিশরকে। কিন্তু সকল মিশরীয় কোথায় গেলো। সকল দোষ গিয়ে পড়লো সুমেরীয় বিদেশ মন্ত্রীর ঘাড়ে। চিওপস কে নিয়ে ঘোড়াগুলো কেবল বহন করে নিয়ে গেলো। অভ্যর্থনা জানানো হলো তাকে।

পথিকেরা তাকে সব জানালো, তাকে তার প্রশ্নের উত্তর দিলো মদ্যপায়ীরা। অর্থাৎ যারা তার সাথে কথা বলতে আগ্রহী ছিলো।

‘তুমি কি জানো মিশরীয়রা কোথায় গিয়েছে?’ সে উত্তর দিলো অশ্রুসিক্ত এবং অলপক নয়নে দৃষ্টিপাত করে যে দিকে পানশালা ছিলো। ‘আমার সর্বচিন্তার উপরে, যেখানে ছিলো তা। সেখানে তুমি যা করতে বা হতে চাও?’

সে মন্ত্রীর স্ত্রীর দিকে আনন্দে তাকালো এবং তাকে তার অন্তস্থলের আবেগময় উচ্ছ্বাস দিয়ে আছন্ন করলো। আবেগ দিয়ে তাকে ঘিরে রাখলো।

কেউই তদন্ত থেকে বাদ পড়লো না। যাকেই ধরা হলো তার কাছ থেকে আদায় করা হলো সত্যাসত্য ঘটনা। সে মুহূর্তেই কেবল এ ঘটনার সত্যতা বের করা সম্ভব ছিলো। তারা বেহেশতে থেকে তা উদ্ধার করলো। (চাকাটি ছিলো সন্দেহে পূর্ণ যা ব্যাবিলনের দূতকে বহন করেছিলো। আর যা বিষ সহ সরবরাহ করেছিলো সেই হোরহমায়াকে) তারা সেই কবিতাকে নিয়ে ছিলো ‘দ্য ওল্ড কোরি’ যা লেখা হয়েছিলো নেবোনিনিফ কর্তৃক। তারা এটাকে রচনা করেছিলো অ্যামেন হারনেসিফ অনুসরণে। তারা দোষারোপ করেছিলো। তারা এ কবিতার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলো।

তখন সমস্ত আলো যা ছড়িয়েছে চাঁদ
তুমি আবার স্মরণ করতে পারো তোমার যৌবনকালের দিনগুলো
যখন তুমি জন্ম দিয়েছো পিরামিডের।

কিন্তু তখনো এটাকে মনে হচ্ছিলো সুন্দর এবং বুদ্ধির বহিঃপ্রকাশ। এটা কেবল বুঝতে কষ্ট হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো সুমেরীয় দূতের স্ত্রীর ছোট্ট পোশাকটির মতো যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে প্যাপিরাস। আর তদন্তে দেওয়া হয়েছিলো দরিদ্র বোকার সেটকা। বিশেষভাবে চুলকে করা হয়েছিলো দোষারোপ যা একদিন পিরামিডকে নির্দেশ করবে। তারা একত্রে আবার প্রশ্ন করে বসবে ‘সুতরাং আমরা তোমার চুলকে টেনে বের করে আনবো। তখন তুমি কোনো অস্বীকার করতে পারবে?’ আর তখন তোমার মনের উত্তর হবে ‘আমি কিছুই যুক্ত করবো না আমার বলার কিছুই নেই, নেই বিষয়ের কোনো কিছু। এটা কেবল জন্ম দিয়েছে দাঁড়ি, চোখ এবং দাঁত!”

নিজেই তার চোখ এবং দাঁতগুলো টেনে বের করলো যা তাকে বোকার মতো দেখালো। অথচ সে নিজেকে কোনো পরামর্শ দেয় নি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *