চাঁদের অমাবস্যা – ১৩

তেরো 

দীর্ঘ রাত্রির নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে নানারকম মৃদু সঙ্কুচিত আওয়াজ শুরু হয়েছে : দিনাগমনের বেশি দেরি নাই। 

শীতটা কনকনে মনে হয়। তার হাড়ে-মজ্জাতে সে-শীত হানা দিলেও যুবক শিক্ষক নিশ্চল হয়ে শুয়ে অপেক্ষা করে। চৌকির নিকটে টিনের বাক্সটি তৈরি, টেবিলের ওপরটা শূন্য, ঘরের কোণ থেকে দড়িটা অদৃশ্য হয়ে গেছে। 

তারপর আকাশের ধূসর আলো কিছু পরিস্ফুট হয়ে উঠলে মুয়াজ্জিনের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। এবার যুবক শিক্ষক উঠে পড়ে দরজার নিচে দুইধাপ সিঁড়ির ওপর বসে ওজু করে। একবার সে দাদাসাহেবের জানালার দিকে তাকায়। তাঁর ঘরে আলো। মুহূর্তের মধ্যে যুবক শিক্ষকের ভেতরটা ব্যথায় মুচড়িয়ে ওঠে। দাদাসাহেব আজ নির্মম কথাটি জানতে পারবেন। 

ঘরের কোণে এখনো অন্ধকার। সে-অন্ধকারে নক্‌শা-কাটা শীতলপাটির জায়নামাজ বিছিয়ে দাঁড়াতেই সে ভেজানো দরজার কাছে একটি আওয়াজ শোনে। মাথাটা ঈষৎ সরিয়ে দেখে, সেখানে কাদের দাঁড়িয়ে। কিন্তু তাকে দেখেও সে যেন দেখে না। কোনো কথা না বলে তার দিকে পিঠ দিয়ে সে নামাজ পড়তে শুরু করে। কাদেরের অস্তিত্বের আর কোনো মূল্য নাই যেন। যুবক শিক্ষক তার মনে যে অত্যন্ত গুরুতর একটি কর্তব্যবোধের ভার বোধ করে, তার তলে কাদের নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। 

বড়বাড়িতে আসার পূর্বে নিয়মিতভাবে নামাজ পড়ার অভ্যাস যুবক শিক্ষকের ছিল না। আজকাল অন্ততপক্ষে সকাল-সন্ধ্যায় নামাজটা পড়ে। তবু ঠিক মনঃপ্রাণ দিয়ে পড়ে যে তা নয়। তার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার না করলেও তা সে সম্পূর্ণভাবে বোঝে না। কিন্তু আজ সে হঠাৎ অত্যন্ত নিঃসঙ্গ এবং অসহায় বোধ করে বলে নামাজ পড়তে দাঁড়ালেই তার মন একটি তীব্র ভাবোচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। সে যেন আর তোতার মতো মুখস্থ-করা বুলি আবৃত্তি করে সারশূন্য কর্তব্যপালন করছে না : যাঁর সামনে সে দাঁড়িয়েছে তাঁর উপস্থিতি সে অন্তর দিয়ে অনুভব করছে, তার বক্তব্য তাঁর কর্ণগোচর হচ্ছে তাতেও তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে না। 

মনে যে-অপরিচিত ভাবোচ্ছ্বাসের উদয় হয়, তাতে কিছু আশান্বিত হয়ে সে নিঃশব্দে সূরা আল্‌-খালাক পড়ে। অসংখ্যবার পড়েও যে-সূরাটি তার মনে কখনো আলোড়ন সৃষ্টি করে নাই, আজ সে-সূরার প্রতিটি শব্দ সহস্র অর্থে ঐশ্বর্যশালী হয়ে ওঠে। তাতে আশ্রয়-রক্ষার জন্যে নিঃসহায়ের যে-আকুল আবেদন, সে- আবেদনের মর্মার্থও সহসা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। তার সাহায্যের দরকার। সঙ্কটের সময় কেবল দাদাসাহেবের কাছেই সে যেতে পারত। আজ সে- দরজা বন্ধ। 

কিন্তু যুবক শিক্ষক শীঘ্র এ কথা উপলব্ধি করে যে, ভাবাপ্লুত হয়ে সজ্ঞানে প্রার্থনা করেও সে মনে কোনো শান্তি পাচ্ছে না। শীঘ্র তার মনে হয়, হয়তো কাদেরের উপস্থিতিই তার অশান্তির কারণ। কেন সে আবার এসেছে? কী তার বলার বাকি? যুবক শিক্ষকের সামনে কঠিন কর্তব্য। সে-কর্তব্যপালনের জন্যে তার শান্তি ও সাহসের প্রয়োজন। কাদের কেন তাকে বিরক্ত করতে এসেছে? যুবক শিক্ষকের মতো সে-ও যদি আজ নিঃসহায় নিঃসঙ্গ বোধ করে, তার জন্যে তার নির্দয় অন্তরই দায়ী। সে অন্তর মরুপ্রান্তরের মতোই ধু-ধু করে। সেখানে কোনো উদ্ভিদের জন্ম হলেও সে-উদ্ভিদ শীঘ্র কণ্টকাকীর্ণ হয়। সেখানে যদি ক্ষীণ আর্তনাদ জাগে, সে-আর্তনাদ চতুর্দিকের বালুরাশি অতিক্রম করতে পারে না। না, কাদেরের কোনো আবেদন থাকলেও তার কানে তা পৌঁছুবে না। 

অশান্তি কাটে না দেখে যুবক শিক্ষক আরেকটি সূরা পছন্দ করে। কেন সেটি পছন্দ করে তা বোঝে না, কিন্তু তৃষ্ণার্তের মতো অধীরভাবে নিঃশব্দে তা আওড়াতে থাকে। দ্রুতভাবে তার ঠোঁট নড়ে, মনের গহ্বর থেকে সূরাটির শব্দগুলি অনর্গল ধারায় কিন্তু অশ্রোতব্যভাবে ঝরতে থাকে, তার চোখে চঞ্চলতা আসে। আবু লাহাবের শক্তি ধ্বংস হবে, সে ধ্বংস হবে : তার ধনসম্পত্তি তাকে রক্ষা করতে পারবে না। লেলিহান আগুনে সে নিক্ষিপ্ত হবে, তার স্ত্রী—কাষ্ঠবাহক স্ত্রী—তার গলায় তালতন্তু তৈরি ফাঁস-দড়ি পড়বে। সূরাটি পড়তে পড়তে তার বুকের স্পন্দন দ্রুত হয়ে ওঠে, কিন্তু আবৃত্তিতে একটু স্খলন হয় না, মনে কোনো ভয়ও জাগে না। কেন সে সূরাটি পড়ছে? তার চোখে কাদের কি আবু লাহাব -দম্পতিতে রূপান্তরিত হয়েছে? তাদের পাপ কি তার পাপের সমতুল্য? তাদের যে-শাস্তিবিধান কেতাবে লিখিত, সে-শান্তিবিধানই কি যুবক শিক্ষক তার জন্যে কামনা করে? অথবা পাপীর শাস্তি যে অনিবার্য সে-বিষয়ে তার মনকে সে কি নিশ্চিত করতে চায় যাতে তার সম্মুখে যে-কঠোর কর্তব্য সে-কর্তব্যপালনে তার মধ্যে কোনো দুর্বলতা দেখা না দেয়? 

যুবক শিক্ষক বুঝতে পারে না। মনে সে শান্তিও পায় না। নিমীলিত চোখে ভক্তিমান শান্তচিত্ত ব্যক্তির মতো সে নামাজ পড়ে, কিন্তু সেটি বাহ্যিক রূপ। ভেতরে অশান্তির জ্বালা। 

অবশেষে নামাজ শেষ করে মাটিতে বসেই কাদেরের দিকে মুখটা সামান্য ফেরায়, কিছু বলে না। কাদের এবার তার খনখনে গলায় প্রশ্ন করে, ‘কী ব্যাপার?’ 

যুবক শিক্ষক বুঝতে পারে, কাদের তার প্রস্থানোদ্যোগ লক্ষ করে। তার কারণ জানতে চায়।

সামনের দেয়ালটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। সেদিকে তাকিয়ে যুবক শিক্ষক নীরব হয়ে থকে। তার উত্তরের কোনো প্রয়োজন নাই। কাদের কিছু না বলে কতক্ষণ চুপ করে থাকে। মনে হয় সে আর কিছু বলবে না, কিছু ঘটবেও না। তারপর অকস্মাৎ বিষম ক্রোধে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সে অস্ফুটকণ্ঠে বিড়বিড় করতে শুরু করে। যুবক শিক্ষক তার কথা বুঝতে পারে না, বুঝবার চেষ্টাও করে না। কেবল তার ক্রোধটা দমকা হাওয়ার মতো তার গায়ে ঝাপটা দিলে সে অকারণে দুর্বল বোধ করতে শুরু করে। 

তারপর কাদের নীরব হয়ে কেমন দম খিচে থাকে যেন। অবশেষে কৃত্রিম সংযত গলায় প্রশ্ন করে, ‘কজন চাই? সাক্ষী। কজন চাই?’ 

সামনের দেয়ালের রক্তিমাভা দেখা দিয়েছে। সে রক্তিমাভার অর্থ যুবক শিক্ষক যেমন বোঝে না, তেমনি কাদেরের কথারও অর্থ সে বোঝে না। নিস্পন্দভাবে সে বসে থাকে : সে যেন স্তূপাকার হাড়মাত্র। 

কাদেরের সংযম স্থায়ী হয় না। সে এবার গর্জে ওঠে, ‘ক-জন সাক্ষী চাই? তারা বলবে কোথায় আপনাকে দেখেছে।’ 

এবার যুবক শিক্ষক বুঝতে পারে, কাদের তাকে ভয়-প্রদর্শন করছে। কিন্তু এবারও কিছু না বলে সে পূর্ববৎ নিশ্চল হয়ে বসে থাকে। তবে আরেকটি কথা বুঝতে পেরে সে স্বস্তিই বোধ করে। সে মুখ খুলে কথাটি যদিও বলে নাই, কাদের তার সঙ্কল্পটি অনুমান করতে পেরেছে। তাকে মুখ খুলে কথাটি বলতে হবে না। 

যুবক শিক্ষকের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর না পেলে কাদের হয়তো হতাশ হয়েই এবার নীরব হয়ে পড়ে। মনে হয়, দমকা হাওয়া নিঃশেষ হয়ে গেছে। ঘরময় নীরবতাটি অবিচ্ছিন্ন থাকলে এক সময়ে যুবক শিক্ষকের মনে হয়, হয়তো কাদের কখন নিঃশব্দে উঠে চলে গেছে। তাকিয়ে দেখবে কি দেখবে না সে-কথা ভাবছে, এমন সময় নিতান্ত অপরিচিত গলায় আস্তে প্রশ্ন করে, ‘মেয়েলোকটাকে চিনতেন?’ 

কাদেরের কণ্ঠস্বর তাকে এতই বিস্মিত করে যে তার মুখ হতে আপনা থেকেই একটা উত্তর বেরিয়ে আসে। সে বলে, ‘না।’ 

‘সে বেঁচে নাই বা কীভাবে মরেছে, তাতে আপনার কী? 

প্রশ্নটির জন্যেই হোক বা তার কণ্ঠস্বরের জন্যেই হোক যুবক শিক্ষকের মনে এবার একটা সন্দেহের সৃষ্টি হয়। কাদের তার জন্যে কোনো প্রকারের ফাঁক তৈরি করছে যেন। থেমে কাদের আবার বলে, ‘কিন্তু দুর্ঘটনাটির কথা কাউকে বললে আমার কী হবে জানেন?’ সে যেন অবোধ শিশুর সঙ্গে কথা বলছে। যুবক শিক্ষক আরো সতর্ক হয়, কিন্তু উত্তরটা শুনবার জন্যে তার শ্রবণেন্দ্রিয়ও সজাগ হয়ে ওঠে। পূর্ববৎ কণ্ঠে কাদের বলে, ‘ফাঁসি।’ থেমে আবার বলে, ‘তাতে আপনার লাভ কী হবে?’ 

প্রথমে কোনো প্রতিক্রিয়াই যুবক শিক্ষক অনুভব করে না। তারপর সে বুঝতে পারে, হঠাৎ তার সমস্ত শরীর অতিশয় দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন ক্ষিপ্রগতিতে সে-দুর্বলতা সমস্ত শরীরে বিস্তারলাভ করে যে সে তা প্রতিরোধ করার কোনোই চেষ্টা করে না। কিন্তু কাদের যে- শব্দটি উচ্চারণ করেছে সে-শব্দটিতে সে এমন তীব্রভাবে আঘাত পাবে কেন? কথাটা কি সে একবারও ভাবে নাই? না, কথাটা সে ভাবে নাই। অন্ততপক্ষে, স্পষ্টভাবে ভাবে নাই। সে তার কর্তব্যের কথা ভেবেছে, কিন্তু পরিণামের কথা স্পষ্টভাবে ভাবে নাই। সে কি মনে করেছিল কথাটি তার এলাকার বাইরে? না, কথাটি ভাবতে তার সাহস হয় নাই? 

যুবক শিক্ষক তার মুখের পার্শ্বদেশে কাদেরের দৃষ্টি অনুভব করে। একটা উত্তরের আশায় কাদের তার দিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। একটা উত্তর দেয়ার প্রয়োজনও সে নিজেই বোধ করে কিন্তু কী করে উত্তর দেবে? তার মনে হয়, কাদেরের দৃষ্টির তলে সে যেন গলে যাচ্ছে। একটি কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষ ক্রমশ একটি দায়িত্বহীন মানুষে, একটি বুদ্ধিমান মানুষ নির্বোধ মানুষে পরিণত হচ্ছে। যা সে শক্ত করে ধরেছিল তা যেন হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে। না, তার প্রতি ভাগ্যের নির্মমতা সত্যিই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাঁশঝাড়ে একটি মৃতদেহ দেখেই তার নিস্তার নাই, একটি মানুষের জীবনমৃত্যুর দায়িত্বও তাকে নিতে হবে। 

যুবক শিক্ষকের কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলেও হয়তো তার মুখে বিহ্বলতার ভাব লক্ষ করে কাদের আশ্বস্ত বোধ করে। এবার বড়বাড়ির ছোকরাটি সকালের নাস্তা-পানি নিয়ে এলে কোনো কথা বলে, যেন আলাপ-আলোচনার মধ্যখানে বক্তব্য অসমাপ্ত রেখে কাদের হঠাৎ উঠে চলে যায়। যুবক শিক্ষক যখন সে-কথা বুঝতে পারে তখন সে অতি বিস্মিত হয়ে দরজার দিকে তাকায়। দরজাটি অর্থহীনভাবে শূন্য মনে হয়।

কথা শেষ না করে এমনভাবে কাদের চলে গেল কেন? সে কি তাহলে বুঝতে পারে নাই যে আজই সকালে তার নিষ্ঠুর কীর্তির কথা প্রকাশ করবে বলে সে মনস্থির করেছে? কথাটা অবশ্য বিশ্বাস হয় না। তবে যুবক শিক্ষককে নীরব থাকবার জন্যে স্পষ্টভাবে অনুরোধ করে সে তার বক্তব্যটি সম্পূর্ণ করে নাই কেন? 

অবশেষে একটি কথা যুবক শিক্ষকের কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে এবং তা তার কাছে বিশেষ অর্থপূর্ণ মনে হয়। কাদের তাকে ভয় দেখিয়েছে, পরিণামের কথা বলেছে, কিন্তু বাঁশঝাড়ের কথাটি প্রকাশ না করার জন্যে একবারও অনুরোধ করে নাই। কেন? কারণ এ-কথা সে জানে যে, যুবক শিক্ষক একবার তার কাজের পরিণাম বুঝতে পারলে কথাটি প্রকাশ করা উচিত হবে কি হবে না তা সে নিজেই বুঝতে পারবে, নিষেধের প্রয়োজন হবে না। কাদের কি তার বুদ্ধিবিবেচনায় গভীর আস্থা প্রকাশ করে নাই? 

জায়নামাজে বসেই যুবক শিক্ষক স্থির হয়ে থাকে। সময় কাটে। টেবিলের ওপর চা কিছুক্ষণ ধোঁয়া ছেড়ে থেমে গেছে, বাইরে উঠানে রোদ পড়েছে। 

যুবক শিক্ষকের সন্দেহ থাকে না, কোথায় কী যেন গোলতাল পাকিয়ে উঠেছে, সে যেন নিজের উদ্দেশ্যই ভালোভাবে বুঝতে পারছে না। সে কী চায়? কেনই-বা তার মধ্যে একটুতেই এমন বিহ্বলতা দেখা দেয়? অথচ মাঝে মাঝে রাগান্বিত হলেও কাদেরকে এমন সুস্থির এবং আত্মনির্ভরশীল মনে হয় কেন? সে যেন সব জানে, সব বোঝে তাছাড়া, একটি নারীর মৃত্যুর অর্থই-বা কী? 

অবশেষে যুবক শিক্ষক উঠে দাঁড়ায়। দেহের অসীম দুর্বলতা তার মনেও গভীর অবসাদ সৃষ্টি করেছে। সে যন্ত্রচালিতের মতো বড়বাড়ির অভিমুখে রওনা হয়। সে জানে, অন্যান্য দিনের মতো সে ছেলেমেয়েদের পড়াতেই যাচ্ছে। 

না, তার সঙ্কল্পে কোনো পরিবর্তন হয় নাই। তবে আজ সকালে সে দাদাসাহেবকে কথাটা না বলে সন্ধ্যাবেলায়ই বলবে। ইতিমধ্যে এত দেরি হয়েছে, আরেকটু দেরি হলে তেমন ক্ষতি কী? বিষয়টি আবার ভেবে দেখা প্রয়োজন। তার বিবেচনায় যদি কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে তবে একবার বলে ফেললে পরে শোধরানো সহজ হবে না। অবশ্য ভুলভ্রান্তির কোনো সুযোগ সে দেখতে পায় না। তবু বিষয়টি অতি গুরুতর। তার সিদ্ধান্তের যথার্থতা সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়া ভালো। 

একটি কথায় সে নিজেই কিছু বিস্মিত না হয়ে পারে না। বাঁশঝাড়ের ঘটনাটি প্রকাশ করায় কিছু বিলম্বের সুযোগ পেয়ে সে এমন স্বস্তিবোধ করছে কেন? 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *