সজনি ও ধনী কে কহ বটে গোরোচনা গৌরী নবীন কিশোরী নাহিতে দেখিনু ঘাটে

চম্পক বরণী বয়সে তরুণী হাসিতে অমিয়া ধারা

বেলি অসকালে দেখিনু ভালে পথেতে যাইতে সে

পথে জড়াজড়ি দেখিনু নাগরী সখীর সহিত যার

একে যে সুন্দরী কনক পুতলী খঞ্জন লোচন তার

বদন সুন্দর যেন শশধর উদিত গগনে হয়

নবীন কিশোরী মেঘের বিজুরি চমকি চলিয়া গেল

তড়িত বরণী হরিণ নয়নী দেখিনু আঙ্গিরা মাঝে

অঙ্গ পুলকিত মরম সহিত অঝরে নয়ন ঝরে

যমুনা যাইয়া শ্যামরে দেখিয়া ঘরে আইল বিনোদিনী

না যাইও যমুনার জলে তরুয়া কদম্বমূলে চিকণকালা করিয়াছে থানা

সোণার নাতিনি কেন আইস যাও পুনঃ পুনঃ না বুঝি তোমার অভিপ্রায়

সোণার নাতনী এমন যে কেনি হইলা বাউরী পারা

ওঝা আনি গিয়া পাছে আছে ভূতা

কালিয়া বরণ হিরণ-পিঁধন যখন পড়য়ে মনে

ঘরের বাহির দণ্ডে শতবার তিলে তিলে আসে যায়

সজনি কি হেরিনু যমুনার কূলে

শ্যামের বদনের ছটার কিবা ছবি

বরণ দেখনু শ্যাম জিনিয়াত কোটি কাম বদন জিতল কোটি শশী

জলদবরন কানু দলিত অঞ্জন জনু উদয় হয়েছে সুধাময়

হাম সে অবলা হৃদয় অখলা ভাল মন্দ নাহি জানি

আজু কেগো মুরলী বাজায় এত কভু নহে শ্যাম রায়

বঁধু কি আর বলিব তোরে (অলপ বয়সে পিরীতি করিয়া)

কি মোহিনী জান বঁধু কি মোহিনী জান (প্রেমমুগ্ধা রাধা)

বঁধু কি আর বলিব আমি মরণে জীবনে জনমে জনমে প্রাণনাথ হৈও তুমি

এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু

দিবস রজনী গুণ গণি গণি কি হৈল অন্তরে ব্যথা

রাধার কি হৈল অন্তরে ব্যথা

সই কে বা শুনাইল শ্যামনাম

এমন পিরীতি কভু দেখি নাই শুনি (প্রেমের তুলনা)

কালা গরলের জ্বালা আর তাহে অবলা (শ্রীকৃষ্ণের বাঁশী)

সুধা ছানিয়া কেবা ও সুধা ঢেলেছে রে (শ্যামসুন্দর)