নবকুমার বিছানার সঙ্গে মিশিয়ে আছেন।
নবকুমার হয়তো আশা ছেড়েই পড়ে আছেন।
ওদের বাড়িতে খবর দেবার পর থেকেই প্রতি মুহূর্তে অপেক্ষা করছেন, আশা করছেন, দরজাটা বাতাসে নড়লেও চমকাচ্ছেন, আবার বারেবারেই হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে বলছেন, সে আর এসেছে!… আসবে না। কক্ষনো। আসবে না।
এমনি অনেক যন্ত্রণাময় মুহূর্ত পার করে, অনেক হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে যখন নবকুমার প্রায় শেষ নিঃশ্বাসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, তখন সহসা শুনতে পেলেন, এসেছে!
এসেছে সুবর্ণ!
নবকুমারের মেয়ে!
নবকুমারের জীবন থাকতে সে কোনোদিন এল না।
নবকুমারের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো, নবকুমার ক্ষীণকণ্ঠে কি যে বললেন, বোঝা গেল না।
তারপর নবকুমার আর একটু সচেষ্ট হলেন, আস্তে আস্তে ভেঙে ভেঙে কথা বললেন, বোঝা গেল না।
নবকুমার বললেন, সেই এলে শুধু সব যখন শেষ হয়ে গেল!
সুবৰ্ণ ড়ুকরে কেন্দে উঠতে পারতো, কিন্তু সুবৰ্ণ তা করল না।
সুবৰ্ণ শুধু মাথাটা নিচু করলো।
সুবৰ্ণ কাঁপা কাঁপা ঠোঁটটাকে কামড়ে ধরলো।
নবকুমার বললেন, আমি আর বেশিদিন নেই সুবর্ণ, বুঝতে পারছি ডাক এসেছে।
সুবৰ্ণ মাথা তুলে একবার তাকালো, আবার মাথাটা নিচু করলো।
নবকুমার আস্তে থেমে থেমে বললেন, জানি ক্ষমা চাওয়ার কথা আমার মুখে আনা উচিত নয়, তবু এই শেষকালে তোর কাছে একবার ক্ষমা না চেয়ে মরতেও তো পারছি না!
বাবা! সুবর্ণ রুদ্ধকণ্ঠে বলে, ও কথা বলে আমায় শাস্তি দেবেন না বাবা!
শাস্তি নয় রে সুবৰ্ণ, এ একেবারে সত্যিকার অপরাধীর কথা! যে অপরাধ আমি তোর কাছে করেছি—
সুবৰ্ণ আরো কাছে সরে আসে, আরো রুদ্ধকণ্ঠে বলে, তাই যদি হয়, তার শাস্তিও কম পান নি বাবা!
তা বটে! নবকুমারের নিষ্প্রভ দুটি চোখ দিয়ে আর এক ঝলক জল গড়িয়ে পড়ে, সে কথা। মিথ্যে নয়! এক-এক সময় মনে হতো, বুঝি বা লঘু পাপে গুরু দণ্ডই হয়েছে আমার! আবার যখন তোর জীবনটা দেখেছি, তখন মনে হয়েছে, নাঃ, এ দণ্ড আমার ন্যায্য পাওনা! তবে একটা কথা বলে যাই রে, যা করেছি, না বুঝে করেছি। বুঝে জেনে অত্যাচার করতে করি নি! কিন্তু সেই একজন তা বুঝল না কোনোদিন-
নবকুমার থামলেন, জলের গ্রাসের দিকে তাকালেন।
সুবৰ্ণ জল দিতে গেল, দিতে পেল না, সাধনের বৌ এগিয়ে এসে তাড়াতাড়ি মুখের কাছে গেলাসটা ধরে বলে উঠলো, এই যে বাবা, জল খান।
নবকুমার মুখটা কোঁচকালেন।
নবকুমার আধ ঢোক জল খেয়ে সরিয়ে দিলেন, তারপর বললেন, ক্ষমা করতে যদি পারিস তো—
বাবা, আপনি চুপ করুন। আমি সব বুঝতে পারছি। আপনার কষ্ট, আপনার দুঃখ, সব বুঝেছি।
নবকুমার একটা নিঃশ্বাস ফেললেন, তারপর বললেন, ক্ষমা চাইলাম, সারা জীবনে তো পারি নি, এখন এই মরণকালে—তবু আমার নিজের জন্যে তোকে ডাকি নি সুবৰ্ণ, ডেকেছিলাম। এইটা দিতে! হাতটা তোশকের তলায় ঢুকিয়ে একটু বুলিয়ে নিয়ে টেনে বার করলেন একটা ভারী খাম। বললেন, এইটা আগলে নিয়ে বসে আছি, তোকে দেব বলে!
সুবৰ্ণ হাত বাড়ায় না।
সুবৰ্ণ কি এক সন্দেহে আরক্ত হয়ে ওঠে।
সুবৰ্ণ অস্ফুটে বলে, কী এ?
নবকুমার বোধ করি বুঝতে পারেন। তাই তার সন্দেহভাজন করেন। সামান্য একটু হাসির গলায় রূঢ় ভয় নেই, দলিল নয়, দানপত্র নয়। শুধু চিঠি।
চিঠি।
হ্যাঁ– নবকুমার কাঁপা গলায় বলেন, তোর মার চিঠি!
মার চিঠি!
সুবৰ্ণর মার চিঠি!
কাকে লেখা?
সুবৰ্ণকে নয় তো!
হুঁ, তাই আবার হয়? হতে পার? সুবর্ণর এত ভাগ্য?
কি জানি কি!
সুবৰ্ণ তাই নিষ্পলকে তাকিয়ে থাকে। নবকুমার হাতের উল্টোপিঠে চোখটা মুছে নিয়ে বলেন, চিরদিনের একবৰ্গগা মানুষ, কি ভেবে কি করে কেউ বোঝে না। কখনো কোনো বার্তা করে না। তোর ছোড়দা যাই। ওদিকে কাজ নিয়েছে, তাই জানতে পারি বেঁচে আছে। হঠাৎ একবার তার হাত দিয়েই দুটো চিঠি পাঠালো, একটা আমাকে লেখা, একটা তোকে লেখা—
বাবা, আপনার কষ্ট হচ্ছে, একসঙ্গে বেশি কথা বলবেন না।
না রে সুবর্ণ, আর আমার কোনো কষ্ট নেই, তুই ক্ষমা করিস আর নাই করিস, আমি যে তোর কাছে ক্ষমা চাইতে পারলাম, এতেই মনটা বড় হালকা লাগছে। এবার শান্তিতে মরতে পারবো।… হ্যাঁ সেই চিঠি-
হ্যাঁ, সেই চিঠির একখানা নবকুমারের, একখানা সুবর্ণর।
একবগ্গা সত্যবতীর নাকি কড়া নিষেধ ছিল তার জীবৎকালে যেন এ চিঠি খোলা না হয়। মৃত্যুসংবাদটা অবশ্যই পাবে নবকুমার, তখন সুবৰ্ণরটা সুবৰ্ণকে পাঠিয়ে দেবে, নিজেরটা খুলে পডবে।
সে সংবাদ এসেছে—
না, শেষরক্ষা হয় নি।
সুবৰ্ণ স্তব্ধ হয়ে বসে থাকতে পারে নি। সুবৰ্ণ তীব্ৰ তীক্ষ্ণ একটা ডাকের সঙ্গে ভেঙে পড়েছিল। ডাক নয়। আর্তনাদ! বাবা!
শুধু ওই!
শুধু বাবা বলে একটা তীব্র আর্তনাদ! তারপর স্তব্ধতা।
পাথরের মূর্তির মত স্তব্ধতা!
পাশের ঘরে প্রবোধ তখন তার শালাজকে প্রশ্ন করছে, কী হয়েছিল বললেন?… কিছু হয় নি? আশ্চর্য তো! একেই বলে পুণ্যের শরীর! তবে আপনাদেরও বলি-যতই যেমন হোক মা বলে কথা! মরে গেল, আপনারা একটা খবর দিলেন না! বলি চতুর্থটাও তো করতে হতো আপনার ননদকে!
হ্যাঁ, প্ৰবোধ এসে পড়েছে বৈকি। ঊর্ধ্বশ্বাসেই ছুটে এসেছে, সুবৰ্ণলতার নিরুদেশ সংবাদে।
শালাজ মৃদুস্বরে বলে, কি বলবো বলুন? হাত-পা বাধা যে! কড়া হুকুম, দেওয়া ছিল তাঁর মৃত্যুখবর না পাওয়া পর্যন্ত যেন বাবার চিঠিটা খোলা না হয়, আর ঠাকুর ঝির চিঠি ঠাকুরবিকে দেওয়া না হয়। আর চতুর্থী করার কথা বলছেন? সেও তো হুকুম ছিল, তার জন্যে কেউ যেন অশৌচ পালন না করে।
প্ৰবোধ কৌতূহলী হয়ে বলে, সন্ন্যাস নিয়েছিলেন বুঝি?
না না, তা তো কই শুনি নি! নাকি বলেছিলেন, বহুকাল সংসারকে ত্যাগ করে এসেছি, তার সুখ-দুঃখের কোনো দায়ই নিই নি, এতকাল পরে মরে তাদের গলায় এত বড় একটা দুঃখের দায় দিতে যাব কেন?
তা ভাল! প্ৰবোধ বলে, ওই মানুষটির সৃষ্টিছাড়া বুদ্ধির জন্যেই দু-দুটো সংসার মজলো! এই তো শ্বশুরমশায়েরও তো গঙ্গাপানে পা দেখতে পাচ্ছি।–
সাধনের বৌ বলে, তা সেও ওই একই কারণ! যেই না খবর এল ওনার কাশীলাভ হয়েছে, শ্বশুর ঠাকুর যেন একেবারে ভেঙে পড়লেন। বলতে গেলে সেই যে শুয়ে পড়ছিলেন, সেই শোয়াই এই শেষ শোয়া! কবরেজ তো বলছে, বড় জোর আর দু-চারটে দিন!
প্ৰবোধ কখনো শালাজ রসের আস্বাদ পায় নি, তাই প্ৰবোধ কথা থামাতে চায় না, কথার পিঠে কথা গেথে গেথে চালিয়ে যায় আলাপ, আর সেই সূত্রেই জানতে পারে, রোগবালাই কিছুই ছিল না। নবকুমারের, এখনো এই বয়সেও এতগুলি করে খেতে পারতেন, নিজে বাজারে না গিয়ে থাকতে পারতেন না, আর গিয়ে রাজ্যের শাক-পাতা কিনে কিনে এনে বলতেন, রাঁধো, আর সেইগুলো খেয়ে হজম করতেন। মেজাজটা অবিশ্যি তিরিক্ষি ছিল, তা তো বরাবরই ছিল। সুধীরবালা বিয়ে হয়ে পর্যন্তই তো দেখছে, সর্বদাই যেন মেজাজ টিঙে চড়ে বসে আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য, শক্তি ছিল। অথচ স্ত্রী মারা যেতেই একেবারে গুঁড়ো হয়ে পড়লেন।
প্ৰবোধ এসব শুনে-টুনে হেসে মন্তব্য করে, ভেতরে ভেতরে এখনো এত ছিল?
সাধনের বৌ মৃদু হাসে।
প্ৰবোধ আবার বলে, তবে উচিত ছিল পায়ে ধরে সোধে নিয়ে আসা!
বৌ মাথা নাড়ে।
মাথা খুঁড়লেও আসতেন না। শুনেছি তো প্রকৃতির কথা। তাঁর নিজের ছেলের কাছেই শুনেছি। একেবারে অন্য ধরনের-
হুঁ, মেয়েটিও তাই হয়েছেন! প্ৰবোধ আক্ষেপ করে বলে, আপনার কাছে বলেই বলছি— আপনার ননদটিও ঠিক তাই। একেবারে দ্রা। আমি শালা চিরকাল চোর হয়ে আছি মহারাণীর মেজাজের কাছে। অথচ এই তো আপনি–দিব্বি সোজাসুজি!
কী করে জানলেন? শালাজ হাসে, জন্মে তো একবার দেখলেন?
তাতে কি? পাকা রাধুনীরা হাঁড়ির একটা ভাত দেখলেই বুঝতে পারে কেমন সেদ্ধ হয়েছে। যাক, শ্বশুরমশাইয়ের অবস্থা তাহলে শেষাবস্থা?
তাই তো বললে কবরেজ। তা বয়েসও তো হয়েছে—
প্ৰবোধ কথাটা লুফে নেয়। হেসে ওঠে।
তা বটে! তবে কিনা রোগবালাই হল না, পত্নীশোকে প্ৰাণটা গেল, এটাই যা দুঃখের কথা! ত্ৰেতাযুগে রাজা দশরথের পুত্ৰশোকে প্ৰাণ গিয়েছিল, আর কলিযুগে এই আমাদের শ্বশুর ঠাকুরের পত্নীশোকে- টেনে টেনে হাসতে থাকে প্ৰবোধ, যেন ভারী একটা রসিকতা করেছে।
ঠাকুরঝিকে কি রেখে যাবেন?
ঠাকুরজামাইকে জামাইজনোচিত জলখাবারে আপ্যায়ন করে শালাজ প্রশ্ন করে।
প্ৰবোধ হাত উল্টে বলে, সে আপনার ঠাকুর ঝির মার্জি! যদি বলেন, থাকবো, পৃথিবী উল্টে গেলেও রদ হবে না। যদি বলেন, থাকবো না, পায়ে মাথা খুঁড়লেও বদলাবে না–
সুধীরবালা হাসে, আপনি মজা তাহলে বেশ মজার আছেন বলনু?
হুঁ, সে কথা আর বলতে! মজা বলে মজা! তবে আপনার কি মনে হয়? আজ রাত্তিরের মধ্যেই। কিছু হয়ে-টয়ে যাবে?
সুধীরবালা মাথা নাড়ে।
বলে, আজি-কালের মধ্যেই কিছু হবে বলে অবিশ্যি মনে হয় না। কেন, এক রাত্তিরও গিন্নীকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না বুঝি?
কী যে বলেন? এই বয়সে আবার অন্ত—, প্ৰবোধ হ্যাঁ-হ্যাঁ করে হাসতে থাকে, তা ছাড়া আপনার ঠাকুরঝিটি তেমনি কিনা! একটি পুলিশ সেপাই!
প্ৰবোধেরও একটা দুঃখের দিক আছে বৈকি। প্ৰবোধ দেখে সংসারের সবাই দিবি সহজ স্বাভাবিক, শুধু বেচারা প্ৰবোধের বৌটাই সৃষ্টিছাড়া। আজীবন এই দুঃখেই জ্বলে মলো বেচারা।
এই তো একটা মেয়েমানুষ! সুবৰ্ণলতার মত অত রূপ না থাক, দিব্বি মেয়েলী লাবণ্য রয়েছে, মেয়েলী কথাবার্তা, প্ৰাণটা সহজ হয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। আর সুবৰ্ণ? তার দিকে যেতেই তো ভয় করছে! বাপ-বেটিতে কোনোকালেও মুখ দেখাদেখি নেই, অথচ মরছেন খবর শুনে দিশেহারা হয়ে একা ছুটে এলেন! কত বড় দুর্ভাবনা গলায় গেথে দিয়ে এলি তা ভাবলি না!
প্ৰবোধ যেন কেউ নয়!
প্ৰবোধকে যেন চিনতে পারছে না!
কে বলতে পারে নিয়ে যাওয়া যাবে, কি বুরাপের রোগশয্যা আঁকড়ে পড়ে থাকবে!
বিপদের ওপর বিপদ!
এই সময় আবার মাতৃশোক-সংবাদ!
মার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ ছিল না, অথচ ভেতরে ভেতরে তো ভক্তির সমুদুর ভরা ছিল প্ৰাণে।
তা কপালই বলবো।
একই সঙ্গে মাতৃপিতৃ-বিয়োগ!
মা মরেছে আজ দশ-বিশ দিন, খবর নেই বার্তা নেই। এখন একেবারে—
প্ৰবোধেরই গেরো!
গেরো কি সোজা? তিনি যতই বলে যান, তার মরণে কেউ যেন অশৌচ না নেয়, সমাজ তা মানবে? এখুনি তো প্ৰবোধকে মায়ের কাছে ছুটতে হবে-নিয়মকানুন জানতে। তারপর পুরুতবাড়ি!
বেঁচে থেকে কোনোকালে উপৃগার করলেন না। শ্বশুর-শাশুড়ী, এখন মরে যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছেন।
একেই বলে পূবর্জন্মের শক্ৰতা।
প্ৰবোধের দিক থেকে এসব যুক্তি আছে বৈকি।
কিন্তু সুবর্ণ!
সুবৰ্ণ কোন যুক্তি দিয়ে ক্ষমা করবে তার মাকে?
মরে গিয়ে তবে সুবৰ্ণকে উদ্দিশ করে গেল মা? চিঠিখানা পড়ে উত্তর দেবার পথটা পর্যন্ত না থাকে?
কেন? কেন? কেন মা আজন্ম এভাবে শত্রুতা করল। সুবর্ণর সঙ্গে?
ত্যাগই তো করেছিলে, মরে গেল তবু জানতে পেল না। সুবৰ্ণ, এখন তবে আবার কেন একখানা চিঠি দিয়ে আগুন জ্বলিয়ে যাওয়া?
প্ৰবোধের ভয় অমূলক।
সুবৰ্ণ থাকতে চাইল না।
সুবৰ্ণ বাপের পায়ের ধুলো নিয়ে চলে গেল। বললো, এই শেষ দেখা দেখে গেলাম বাবা। শাপ দিয়েছিলে মরা মুখ দেখতে, সেটুকু থেকে যে অব্যাহতি পেলাম, সেই পরম ভাগ্যি।
আর আসবি না?
সুবৰ্ণ তার সেই বড় বড় চোখ দুটো তুলে বললো, আর কী করবো বাবা? আর আসতে ইচ্ছে নেই। মনে জানবো একই দিনে মা-বাপ হারিয়েছে হতভাগী সুবর্ণ।
অভিমানে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছিল।
যেন সেই পরলোকগতার পিছু পিছু গিয়ে ফেটে পড়ে বলতে ইচ্ছে করছে—কেন? কেন? কী অপরাধ করেছিল তোমার কাছে সুবর্ণ যে এত বড় শাস্তি দিলে তাকে?