২৩. ডিম যখন মহার্ঘ হয়

২৩. ডিম যখন মহার্ঘ হয়

উৎসুক হয়েছেন কিছু পাঠক এবং অবশ্যই পাঠিকা। কেচ্ছা শুনতে চায় সবাই। এই কলকাতায় যদি একটা পি-এন-পি সি ক্লাব করা যায়, নির্ঘাৎ তার সেক্রেটারি হবেন এক ললিতা মহিলা।

পি-এন-পি-সি বস্তুটা কী? যাঁরা জানেন, তারা মুচকি হাসছেন, যাঁরা জানেন না, তাদের অবগতির জন্যে জানাই-পরনিন্দা পরচর্চা—সংক্ষেপে পি-এন-পি-সি।

যাকগে, যাকগে, মূলে ফিরে আসা যাক। শেকড় তাহলে এই ডিম। যত অনর্থ ঘটাচ্ছে এই ডিম। ডাইনো ডিমের মতোই লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে ছাড়ছে… অনিক্স পাথরেব ডিম।

আমি, টেলিফোন নামিয়ে রেখে, সবুজাভ নয়নার চোখে চোখ রেখে বললাম, কল্পনা, কেসটা ডিম চুরি নিয়ে।

কল্পনা আইভরি গ্রীবা বেঁকিয়ে বললে, কী বলতে চান?

আমি তার চোখের চাহনি এড়িয়ে গিয়ে নাকের পাথরটার দিকে তাকিয়ে বললাম, আমি সব জানি।

কী জানেন?

জহুরি দণ্ডপথ বিশ্বাস করে যে ডিম দান করে গেছিলেন রবিকে, তুমি তা চক্ষুদান করতে গেলে কেন?

দপ করে জ্বলে উঠল কল্পনা রূপসীর রূপময় সবুজ চোখ–আমাকে যে দান করতে হয়েছে অনেক। প্রতিদান তখন পাইনি। পরে নিলাম।

হকচকিয়ে গেলাম ভেতরে। বাইরে রইলাম প্রশান্ত–তোমাকে দান করতে হয়েছে?

আজ্ঞে?

কাকে?

জহুরি দণ্ডপথকে।

অতি কষ্টে কণ্ঠস্বরকে নিষ্কম্প রেখে বললাম, কী দান?

অঙ্গসেবা।

অর্থ?

তখন, কল্পনা যে কাহিনি শুনিয়ে গেল, অতি সংক্ষেপে তা যযাতির লাম্পট্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *