১১। বিপদ
রাজকীয় আতিথেয়তায় স্নানাহারের পর অগস্ত্যরা ক্লান্ত শরীর নিয়ে সন্ধ্যাবেলাতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। যখন তাদের ঘুম ভাঙল তখন ভোর হচ্ছে, টানা প্রায় তিনটি প্রহর ঘুমিয়েছে তারা! তবে এখন যেন শরীরে গ্লানির আর লেশমাত্র নেই। অগস্ত্যর মন বেশ ফুরফুরে লাগছিল। অতিথিশালার ঘরের লাগোয়া অলিন্দের কাছে এসে দাঁড়িয়েছিল সে। কখন যে ইরতেনসেনু তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার খেয়াল নেই। ভোরের এই সময়টায় সামান্য শীতল হাওয়া বয়ে যায় নীলনদের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমের দিকে।
ইরতেনসেনু সোহাগের বশে অগস্ত্যর গা ঘেঁষে এসে দাঁড়াল। দিগন্তের দিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থাকতে থাকতে সে বলল, ‘আকাশের সূর্য তো একটিই, কিন্তু দু’দেশের সূর্যোদয়ের কেমন তফাত লক্ষ করেছ অগস্ত্য? এই সূর্য রক্তিম লালবর্ণের, তার শরীর থেকে বিচ্ছুরিত আলোয় নদীর ওই তীরের বালিকে কেমন তরল সোনার মতো লাগছে। আবার ভারতবর্ষের সূর্যোদয় অন্যরকম, কিছুক্ষণ আগে ভারতের পূর্ব আকাশে যে সূর্য দেখা দিয়েছে তার রঙ গেরুয়া। মনে হয় যেন দিগন্তে গাঢ় হলুদ বর্ণের উত্তরীয় কেউ বিছিয়ে রেখেছে।
‘মিশরের শ্রেষ্ঠতমা বিদুষীর চোখে কোন সূর্যটি বেশি সুন্দর?’
ঠাট্টার সুরে বলল অগস্ত্য।
‘অবশ্যই এই সূর্যটি। তার সঙ্গে আমার পরিচয় কত কত বছরের, এই সৌন্দর্যের মুগ্ধতা আমার কোনওদিন কাটবে না। সর্বশক্তিশালী আমুন-রা দিনের কেবল এই সময়টিতেই এমন স্নিগ্ধরূপে দেখা দেন। এই সময়ে মিশরবাসী আমুনের দিকে চোখ মেলে তাকাতে পারে, কার্নাক আর থীবসের মন্দিরে পূজার শুরু হয়। জানো অগস্ত্য, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন রোজ ভোরেবেলায় কার্নাকের মন্দিরে আমুন-রা’র পূজা দেখতে যেতাম। সূর্যের প্রথম কিরণ যখন মন্দিরের গাত্র স্পর্শ করত তখন মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে ভেসে আসত প্রধান পুরোহিতের জলদগম্ভীর কণ্ঠের মন্ত্রপাঠ। এখনও গায়ে কাঁটা দেয় সেই মুহূর্তের কথা ভাবলে। আমি পরে বিজ্ঞানের সাধক হয়েও মাঝে-মাঝেই আসতাম কার্নাকের মন্দিরে, এই সময়টার যেন আলাদাই জাদু আছে।’
যেন নিজের অন্তরেই বিলীন হয়ে গিয়ে কথাগুলো বলছিল ইরতেনসেনু। আকস্মিক কী যেন মনে পড়ে যেতেই তার মুখে লেগে থাকা প্রশান্তি ম্লান হয়ে গেল। বাস্তবের রূঢ়তা যেন তাকে মাটিতে টেনে নামিয়ে আনল। অধৈর্য্য চোখে ইরতেনসেনু অগস্ত্যর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ছিঃ, এখন আমি অতীতের স্মৃতিচারণে ডুবে রয়েছি। এদিকে যে কারণে দেশের মাটিতে ফিরে আসা তাকেই বিস্মৃত হতে বসেছিলাম প্রায়। গতকাল এই প্রাসাদে প্রবেশের পর থেকেই নিজেদের বিলাসেই যেন ব্যস্ত হয়ে আছি। চল অগস্ত্য, আমরা এক্ষুণি ফারাওয়ের দর্শনপ্রার্থী হই, তিনি নিশ্চয়ই অধীর আগ্রহে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।’
ফারাও হাতসেপসুত সত্যিই অধীরতার সঙ্গে নিজের মন্ত্রণাকক্ষে ইরতেনসেনুর অপেক্ষা করছিলেন। কত রাত ভালোভাবে ঘুমোতে পারেননি তিনি। যে বিপদ তাঁর সম্মুখে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার উপস্থিতিতে দু’চোখের পাতাকে এক করাও দুরূহ হাতসেপসুতের পক্ষে। এখন তিনি ফারাওয়ের রাজকীয় বেশভুষা পরিহিতা নন, একটি ফিনফিনে শ্বেতশুভ্র বস্ত্র তার গায়ে। ফারাওয়ের মুখে অন্যান্য দিনের মতো প্রসাধন নেই, তাই তার চোখের নীচের কালিমাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তার মুখ দেখে মনে হচ্ছে যেন হাতসেপসুতের বর্তমান বয়স চল্লিশ নয়, সত্তর। দুশ্চিন্তার বলিরেখা তাঁর কপালে এবং নাকের দু’পাশে স্পষ্ট।
হাতসেপসুত এই মিশরের অধিপতি। কিন্তু এমনটা যে কোনদিন হবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। ফারাও প্রথম তুতমোসের কন্যা হাতসেপসুত। তাঁর মৃত্যুর পর সৎ ভাই দ্বিতীয় তুতমোসে মিশরের সিংহাসনে বসেন, তাঁর সঙ্গে হাতসেপসুতের বিবাহ হয়। কিন্তু মাত্র তিরিশ বছর বয়সেই দ্বিতীয় তুতমোসে প্রাণ হারান। সেই সময় মিশরের সিংহাসনের দাবিদার দু’বছর বয়সি তৃতীয় তুতমোসে। এত ছোট বালক ফারাওয়ের দায়িত্ব সামলাবে কী ভাবে?
প্রতিটি ক্ষণে আশেপাশের শত্রু দেশগুলি মিশরের দিকে নজর রাখছে তখন, সামান্য দূর্বল মুহূর্ত পেলেই তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে থীবসের রাজধানী দখল করতে। এই সময় এক নিতান্ত বালকের হাতে তো সাম্রাজ্যের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যায় না, তাই হাতসেপসুত এগিয়ে এসেছিলেন। প্রচলিত সব ধারণাকে ভেঙে দিয়ে নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন মিশরের ফারাও হিসাবে। তাঁর সময়ে দেশে শান্তি ফিরে এসেছিল। প্রতিবেশী অসিরি আর মিতানিরা ফারাওয়ের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে চলছিল। হাতসেপসুত ফারাও হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে মিশরের শান্তি সমৃদ্ধির কোন অভাব ছিল না, কিন্তু আচমকাই যেন এক বিরাট অভিশাপ নেমে এল ফারাওয়ের সিংহাসনের উপরে।
ইতিমধ্যে হাতসেপসুত বার তিনেক দাসীদের পাঠিয়ে ইরতেনসেনু ঘুম থেকে উঠেছেন কিনা তার খবর নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর কঠোর নির্দেশ ছিল, কোনওভাবেই যেন ইরতেনসেনুকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা না হয়। এত দীর্ঘ যাত্রার দরুন ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট বিশ্রামের প্রয়োজন। ফারাও তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিলেন। খানিক আগে মন্ত্রণাকক্ষে উপল প্রবেশ করে, তার হাতে ধরা একগোছা আঙুরে কামড় দিয়ে রানির দিকে তাকিয়ে মাথা নীচু করে তাঁকে অভিবাদন জানায় উপল। তারপর নিজের মনেই আঙুর খেতে খেতে মন্ত্রণাকক্ষের একটি আসনে বসে পড়ে সে। যেন সেও হাতসেপসুতের মতোই ইরতেনসেনুদের অপেক্ষা করছে।
খানিকক্ষণ পর কক্ষে ইরতেনসেনু এবং অগস্ত্যকে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সামান্য লজ্জিত চোখে ফারাওয়ের দিকে তাকিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানাল ইরতেনসেনু। হাতসেপসুত হাসি মুখে তাকে বললেন, ‘তোমাদের ঘুম কেমন হল? কোনও অসুবিধা হয়নি তো?’
‘না মহামান্যা, আমাদের কোনও অসুবিধা হয়নি। শরীর মন দুইয়েই এখন ক্লান্তির রেশমাত্র নেই।
এই কথা বলার সময় মন্ত্রণাকক্ষে উপস্থিত বাকিদের দিকে চোখ যাচ্ছিল ইরতেনসেনুর। সে উপলকে দেখতে পেল, হাতের আঙুরের গোছা শেষ করে সে তখন সামনে রাখা থালা থেকে একটি ন্যাশপাতি তুলে নিয়ে তাতে কামড় বসিয়েছে। আর একজনকে দেখে সামান্য অবাক হল ইরতেনসেনু। সে হল বাকারি। বাকারির বয়স ইরতেনসেনুর কাছাকাছি, তার আকার মাঝারি। তার চোখ দুটি প্রায় গোলাকার, চোখের মণি নীল বর্ণের। বাকারিকে দেখতে অনেকটা তার পিতার মতো, কিন্তু সেই মানুষটি এই মন্ত্রণাকক্ষে উপস্থিত নেই কেন?
ইরতেনসেনু হাতসেপসুতকে জিজ্ঞাসা করল, ‘মন্ত্রী সেনেনমুতকে দেখছি না তো। তিনি কোথায়?
হাতসেপসুতের মুখে কালো ছায়া এসে পড়ল। তিনি বললেন, ‘সেনেনমুতের আত্মা জীবনের অন্য পাড়ে যাত্রা করেছে ইরতেনসেনু।
মানে! সেনেনমুত মারা গেছেন! ইরতেনসেনু কিছুক্ষণ বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে রইল হাতসেপসুতের দিকে, যেন নিজের কানকেই সে বিশ্বাস করতে পারছে না। ইরতেনসেনু শৈশবকালের প্রথম কিছু বছর কেটেছিল থীবসের একটি অনাথ আশ্রমে, সেখান থেকে তার সাত বছর বয়সে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন সেনেনমুত। নিজের কন্যার মতো তাকে বড় করেন তিনি।
পিতা ও মাতার যে স্নেহ থেকে ইরতেনসেনু বঞ্চিত হয়েছিল তার কিছুটা যেন তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেনেনমুত। সেই মানুষটি না থাকলে ইরতেনসেনু কোনওদিন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পেত না, তার বিজ্ঞানীসত্তার বিকাশে এই সেনেনমুতের অবদান অপরিসীম। সেই পিতৃসম মানুষটি মারা গেছেন! ইরতেনসেনুর চোখের জল আঝোরে ঝরতে লাগল তার দু’গাল বেয়ে, সে বালিকার মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। হাতসেপসুত সিংহাসন থেকে উঠে ইরতেনসেনুর পাশে এসে দাঁড়ালেন, দু’হাতে নিজের বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলেন তাকে। কান্না থামার পর ধরা গলায় ইরতেনসেনু হাতসেপসুতকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কবে? কীভাবে?’
‘দু’মাস আগে। এক অজানা রোগ কেড়ে নেয় সেনেনমুতকে। দেশের সেরা চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। এখন তাঁর স্থানে দেশের মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন বাকারি।
বাকারি সেই সময় ইরতেনসেনুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যথিত গলায় সে বলল, ‘পিতার মৃত্যুর আঘাত আমি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি ইরতেনসেনু। তুমি ছিলে তাঁর কন্যাসমা, আমি বুঝতে পারছি তোমার কষ্টটা।’
ইরতেনসেনু বাকারির মুখের দিকে তাকাল, তার চোখে তখনও জল লেগে রয়েছে। অনাথাশ্রম থেকে সেনেনমুতের বাড়ি আসার পর থেকে সে বাকারির সঙ্গে বড় হয়েছে। তাদের দুজনের স্বভাবের অন্তর অনেক। ইরতেনসেনু নিজেকে বিদ্যা এবং বিজ্ঞানে নিয়োজিত করলেও তাতে বাকারির কোন আগ্রহ ছিল না। তার ইচ্ছা ছিল রাজ্য পরিচালনায়, কূটনীতিতে। পিতা সেনেনমুতের মতো মহামন্ত্রী হওয়ার বাসনা তার ছিল ছোটবেলা থেকেই। আজ সে তাই হয়েছে।
চোখের জল মুছে ইরতেনসেনু বাকারিকে তার মন্ত্রীত্বপদ প্রাপ্তির জন্য অভিবাদন জানাল। নিজেকে সামলে নিয়ে আসন গ্রহণ করল সে। সেনেনমুতকে হারানোর শোক কাটতে সময় লাগবে। কিন্তু ফারাওয়ের এখন তাকে প্রয়োজন। সে এবারে ফারাওয়ের দিকে তাকিয়ে বলল।
‘আপনার মুখে এবং শরীরে মালিন্যের ছাপ স্পষ্ট। আপনি আমাকে কী কারণে দেশে আসতে বললেন তা যদি এবার অনুগ্রহ করে জানান। আপনার গুপ্ত পত্র পেয়েই আমরা যাত্রা শুরু করে দিয়েছিলাম। গতকালের দিনটি ক্লান্তি নিবারণে কেটে গেল। দয়া করে জানান কী হয়েছে।’
হাতসেপসুত নিজেই ইরতেনসেনুকে ডেকে এনেছেন। কিন্তু ইরতেনসেনুর এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে যেন সামান্য ইতস্তত বোধ করলেন। এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তিনি জানেন, যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তা থেকে হয়তো একমাত্র ইরতেনসেনুই তাঁকে উদ্ধার করে আনতে পারবেন। তাহলে দ্বিধা কেন? হাতসেপসুত নিজের মনেই নিজেকে প্রশ্নটি করলেন।
দ্বিধা আসলে তাঁর অন্তরে। তিনি ফারাও, তাঁর ধমনীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আমুন-রার আশীর্বাদ। সেই তাঁরই রাজত্বকালে এমন অভিশাপ এই শহরের উপরে নেমে আসবে তা কে জানত। হাতসেপসুত এখন ক্ষণে ক্ষণে নিজেকেই প্রশ্ন করেন, সত্যিই তিনি ফারাও হওয়ার যোগ্য তো? এক নারী হয়ে মিশরের সিংহাসনে বসে তিনি কি আমুন-রাকে অসন্তুষ্ট করেছেন?
ফারাও হাতসেপসুতকে চুপ করে থাকতে দেখে বাকারি মুখ খুলল, ‘এক গুরুতর সমস্যার মধ্যে আমরা পড়েছি ইরতেনসেনু। এমন এক সমস্যা যার জন্য মহামান্যা ফারাওকে মিশরের সিংহাসন থেকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে। আর কোন মিশরীয়ই হয়তো এই সিংহাসনে আরোহণ করতে পারবে না। খবরটি এখনও পার্শ্ববর্তী দেশগুলির কাছে পৌঁছয়নি, আমরা যতটা সম্ভব গোপন করে রেখেছি তাকে। এমনকী এই শহরেরও হাতে গোনা কয়েকজন মানুষই জানে এর অস্তিত্বের কথা। কিন্তু আমার ভয় এই গোপনীয়তাকে রক্ষা করতে না পারলে খবরটি দেশের বাইরে পৌঁছতে সময় লাগবে না, তখন প্রতিবেশী শত্রু দেশের আক্রমণ হবে কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
‘কিন্তু কী ঘটেছে?’
ইরতেনসেনুর মুখে অস্থিরতার ছাপ স্পষ্ট।
বাকারি এবার আড় চোখে একবার উপলের দিকে তাকাল, অগস্ত্যকে সে আগে থেকেই চেনে, থীবসের সূর্যগ্রহণের দিন ঘটে যাওয়া অলৌকিক কাণ্ডের সাক্ষী ছিল সে। ইরতেনসেনু বলল, ‘ওর নাম উপল। ও অগস্ত্যের ভাতৃসম। তার সাহায্য ছাড়া এত দ্রুত আমরা এই দেশে পৌঁছতেই পারতাম না। তুমি নিশ্চিন্তে কথাটি বলতে পারো। গোপনীয়তার শৃঙ্খল এই ঘরের মধ্যেই রক্ষিত থাকবে, আমি কথা দিচ্ছি।
বাকারি আরও একবার উপলের দিকে সন্দেহভাজন চোখ তাকিয়ে ইরতেনসেনুর দিকে মুখ ফেরাল, তারপর নীচু গলায় কেটে কেটে বলল, ‘পুন্তের একটি গাছ মৃত। কোনভাবেই তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ইরতেনসেনুর মেরুদণ্ড দিয়ে হিমেল স্রোত খেলে গেল। এত বড় সর্বনাশ কীভাবে ঘটল!