মৌর্য – ২৯

২৯

চাণক্য ও সুবন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে। সুবন্ধু বললেন, সম্রাট আচার্য ভদ্রবাহুর ওপর অধিকমাত্রায় আস্থাশীল, আপনি তা লক্ষ করেছেন নিশ্চয়ই, আচার্য।

আস্থাশীলতা আর নির্ভরশীলতা এক জিনিস নয়, সম্রাটকে তাঁর প্রশাসনিক লোকজনের ওপরই নির্ভরশীল থাকতে হবে।

চাণক্য সরাসরি বললেন না যে সম্রাট তাঁর ওপরই নির্ভরশীল। সম্রাটেরা আসলে কারও ওপরই নির্ভরশীল থাকেন না, আত্মনির্ভরশীল থাকেন, মনে মনে তা ভাবলেন সুবন্ধু। মুখে বললেন, আমরা সবাই জানি তিনি প্রশাসনিক গুরু হিসেবে আপনার ওপরই নির্ভরশীল। আমি আস্থাশীলতার কথা বলেছিলাম।

তুমি নিশ্চয়ই কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের সেই উক্তির কথা জানো যে একজন রাজা বা সম্রাটের একজন পুরোহিত বা আধ্যাত্মিক গুরু থাকবেন, যিনি রাজা বা সম্রাটের আত্মপরিশোধনের আয়না হিসেবে কাজ করবেন। পরামর্শ দেবেন ভালো কাজের। আমি তাই আচার্য ভদ্রবাহুর প্রতি সম্রাটের আস্থাশীলতাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখি। রাজা কখনো মন্ত্রীর মতো কুটিল প্রকৃতির হবেন না, যে রাজ্যের রাজা মন্ত্রীর ভূমিকা পালন করেন, সে রাজ্যে শান্তি থাকতে পারে না। আমি চন্দ্রগুপ্তকে সেভাবে দেখতে চাই না।

সুবন্ধু সব সময়ই চাণক্যের নীতিকথা শুনে আসছেন, মাঝেমধ্যে ইচ্ছার বাইরেও তাঁকে শুনতে হয়। শুনতে তাঁর আপত্তি ছিল না, যদি চাণক্য যা বলেন, তা মেনে চলতেন। বরং ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। সুবন্ধুর মত হচ্ছে, যিনি মন্দ কাজ করবেন, তিনি ভালো কথা বলবেন না। কিন্তু তা প্রকাশ করার সাহস তাঁর নেই। তাঁকে তাই সুবোধ বালকের মতো সবই শুনতে হয় এবং হজমও করতে হয়।

ঠিক এ সময় গোয়েন্দা নির্জলা প্রবেশ করে। সঙ্গে তার গ্রিকদেশীয় এক গুপ্তচর। এখানে সে ব্যবসায়ী হিসেবে আছে। এই ব্যবসায়ীর কাছে নির্জলার পরিচয় পৌরব্যবাহারিক (পৌর পর্যবেক্ষক)।

সুবন্ধু উঠে চলে যাচ্ছিলেন, চাণক্য হাতের ইশারায় তাঁকে বসতে বললেন।

নির্জলা, বলো কী উদ্দেশ্যে এসেছ?

মাননীয় মহামন্ত্রী, ইনি থেসপাস একজন ব্যবসায়ী। গ্রিকদেশীয় নাগরিক। সম্রাট সেলুকাসের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেল এন্টিগোনাসের বিশ্বস্ত চর। জেনারেল এন্টিগোনাস তাঁকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন দূত হিসেবে।

এন্টিগোনাস কী চান আমাদের কাছে?

গ্রিক গুপ্তচর বলল, সেলুকাসের বিরুদ্ধে আমাদের যে যুদ্ধ চলছে, তাতে আপনাদের সহযোগিতা চাই।

তাতে আমাদের লাভ?

যুদ্ধে জয়ী হলে আমরা তার রাজ্য ভাগাভাগি করব।

ভাগাভাগির রূপরেখা কেমন হবে?

আপনারা আলোচনায় সম্মত হলে আমরা একত্রে বসে তা ঠিক করব।

তোমার কথায় আমি বিশ্বাস করি কীভাবে? তুমি সেলুকাসের চর নও, তা তোমাকে আগে প্রমাণ করতে হবে।

আমি তক্ষশীলায় ব্যবসা করছি পাঁচ বছর যাবৎ। তক্ষশীলায় আপনার লোকজন আমাকে চেনে।

আমি তো বলছি না তোমাকে চেনে না। কিন্তু তুমি যে এন্টিগোনাসের হয়ে কাজ করছ, তার প্ৰমাণ কী?

নির্জলা বলল, আমি খোঁজখবর নিয়েছি, মহামন্ত্রী, তিনি জেনারেল এন্টিগোনাসের লোকই। তারপরও আরও যাচাইয়ের জন্য তাঁকে রাজকীয় নজরদারিতে রাখা যায়।

তা ঠিক বলেছ। সেলুকাসের সাম্রাজ্য ভাগাভাগির জন্য তোমার কাছে কি কোনো প্রাথমিক ধারণা আছে?

মাননীয় মহামন্ত্রী, আমার মনে হচ্ছে যুদ্ধে জয়ী হলে জেনারেল এন্টিগোনাস সেলুকাসের দখল করা ভারতীয় অংশ আপনাদের হাতে ছেড়ে দেবেন।

চাণক্য মনে মনে ভাবলেন, এ জায়গাটা উদ্ধারের জন্যই আমাদের অভিযান। ধরা যাক তা উদ্ধার হলো ভাগাভাগিতে। কিন্তু রাজকুমারী? গ্রিকরা কোনো অবস্থায়ই তাঁকে আমাদের হাতে দিতে রাজি হবে না। আর তাই বিচক্ষণ সম্রাট তা মেনে নেবেন না। আমাদের উচিত হবে অন্য কৌশল অবলম্বন করা। আমরা কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় চুক্তি করতে পারি। কিন্তু তা এখনই বলা উচিত হবে না। মুখে বললেন, দূত, তুমি বিশ্রাম নাও। আমরা ভেবেচিন্তে তোমাকে আমাদের মনোভাব জানাব।

গ্রিক দূত উঠে গেলে নির্জলা তার সংগৃহীত তথ্য চাণক্যের কাছে পেশ করল। বলল, আমাদের গ্রিক গুপ্তচর জানিয়েছে, ওরা আমাদের আক্রমণ করবে না, আমাদের আক্রমণের সুযোগ দেবে। আমরা ভেতরে প্রবেশ করব বিনা বাধায়। আর তখনই তিন দিক থেকে ঘিরে ধরে ভেড়ার পালের মতো আমাদের তাদের ব্যূহে প্রবেশ করানো হবে। তাতে তাদের বিশ্বাস, আমাদের শুধু পরাজয় নয়, ধ্বংস অনিবার্য।

এ রকম মনে করার কি কোনো কারণ আছে?

আছে, এদের সৈন্যসংখ্যা আমাদের অর্ধেক। এ ছাড়া এন্টিগোনাসের আক্রমণকে এই সংখ্যক সৈন্য দ্বারা প্রতিহত করতে হবে।

তাহলে ওর পরামর্শ কী?

তা বলে নি।

আচ্ছা, তুমি এখন রাক্ষসপত্নীর কথা বলো।

রাক্ষসপত্নী ও মলয়কেতুর সেনাপতি যথারীতি গ্রিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। গ্রিকরা এদের পরিকল্পনা দিয়েছে, যা মূল পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত।

কী পরিকল্পনা?

ভেড়ার পালের মতো তাদের ব্যূহের ভেতরে প্রবেশ করলে পেছন থেকে দেশীয় সৈন্যরা ব্যূহের মুখ বন্ধ করে দাঁড়াবে, যাতে করে আমাদের সৈন্যরা পেছনে না আসতে পারে।

পরিকল্পনা মন্দ না। ভালো সংবাদ এনেছ। আমি রাক্ষসপত্নী সর্বাণী ও মলয়কেতুর সেনাপতির মস্তক চাই। বিদেশি শক্তিকে দেশে আনার কাজে যারা লিপ্ত, তাদের সাজা প্রথমেই দিতে হবে। তোমার সঙ্গে এখন একটি হন্তাদল থাকবে। ওদের কাজই হবে ওই দুজনের মস্তক বিচ্ছিন্ন করে আমার হাতে এনে দেওয়া। আমি মস্তক দুটো সম্রাটকে উপহার দেব।

.

রাক্ষসপত্নী ও মলয়কেতুর সেনাপতি সেলুসিয়ায় গেছেন। সেলুকাসের জন্য রাক্ষসপত্নী ভারতীয় স্বর্ণে নির্মিত বাঁটের একটি তরবারি নিয়ে গেছেন। সেলুকাস তরবারি দেখে খুশি হয়েছেন। পাশাপাশি অবাক হয়েছেন ভারতীয় অস্ত্র-ঐতিহ্যের নান্দনিক শৈলী অবলোকন করে। আলেকজান্ডারের সময়ে তক্ষশীলায় এসে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার গভীরতা দেখে ভারতবর্ষ সম্পর্কে তাঁর শ্রদ্ধার ভাব জাগে। মনোমুগ্ধকর ঐশ্বর্যময় এই তরবারি দেখে ভারতীয়দের রুচিবোধ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আবার তাঁর সম্মানজনক একটা মনোভাব তৈরি হয়। যুদ্ধজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ভারতের গৌরবময় সেসব দিকের স্পর্শ পেতে চান। কথাটি তিনি সর্বাণী এবং সেনাপতি মুকুন্দগুপ্তকে বলে তৃপ্তি অনুভব করলেন।

মুকুন্দগুপ্তকে সেলুকাস প্রথম দেখছেন। ভালোভাবে তাকিয়ে বললেন, পার্বত্যরাজের সেনাপতির সৈন্যসংখ্যা কত?

মহামান্য সম্রাট, বারো হাজারের বেশি হবে। সব সৈন্যই মৌর্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।

আমাদের যুদ্ধ পরিকল্পনার কথা আপনাদের জানা আছে বোধ করি।

হ্যাঁ, আমরা অবগত আছি। কিন্তু আমাদের এই স্বল্পসংখ্যক সৈন্য কি বাধা দিয়ে ওদের আটকে রাখতে পারবে?

তা পারবে না। সাময়িকভাবে ওরা বাধাপ্রাপ্ত হবে, বিভ্রান্ত হবে। ওই সময়ই আমাদের সৈন্যরা তাদের পর্যুদস্ত করে ফেলবে।

মহামান্য সম্রাট, আমরা চেয়েছিলাম সামনে থেকে মৌর্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি।

সে সুযোগও পাবে। পশ্চাদপসরণ করতে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ হবে।

সেলুকাসদের পরিকল্পনা ছিল, ভারতীয় সৈন্যরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে নিঃশেষ হয়ে যাবে। মুকুন্দগুপ্তদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভারতীয়দের সঙ্গে তথাকথিত বন্ধুত্বও শেষ হয়ে যাবে। ভারতীয়রা গ্রিকদের বন্ধু হয় কী করে?

রাক্ষসপত্নী সর্বাণী সম্পর্কে কর্নেলিয়ার কৌতূহল ছিল। এবার সাক্ষাৎ হয়ে গেল। কর্নেলিয়া ভালোভাবে দেখলেন রাক্ষসপত্নীকে। রাক্ষসপত্নী দামি দামি অলংকার পরেছেন। তাঁর বিলাসী জীবনের ইতি ঘটে নি রাক্ষসের মৃত্যুর পরও। কথাবার্তার মধ্যেও একধরনের দৃঢ়চেতা ভাব আছে। রাজকুমারীর কৌতূহলটা তিনি উপলব্ধি করেন। বলেন, আপনি মনে হয় রাজপরিবারের কেউ, ভারতীয়দের কখনো ভালোভাবে দেখেন নি

কর্নেলিয়া কিছু বলার আগেই দোভাষী সেলুকাস কন্যাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। রাক্ষসপত্নী ভারতীয় কায়দায় রাজকুমারীকে অভিবাদন জানালেন। বললেন, রাজকুমারী, আমার বোধ হয় এভাবে বলা ঠিক হয় নি, ক্ষমা করবেন।

কর্নেলিয়া রেগে আছেন। তারপরও নিজেকে সংযত করে বললেন, একজন ভারতীয় নারী এসেছেন গ্রিকদের সাথে হাত মেলাতে, এ নিয়ে আমি কৌতূহলী। ভারতীয় নারীদের সাহসিকতার এই দিকটি আমাকে আপনার সম্পর্কে উৎসাহী করে তুলেছে।

ভারতীয় নারীরা অগ্রসর। আপনি কি জানেন মৌর্য সম্রাটের নিজস্ব কোনো পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষী নেই, নারীরাই সে কাজ করেন?

তিনি কি নারীলোভী সম্রাট?

তা হবে কেন? আমার শত্রু তিনি, কিন্তু তাঁকে এমন অপবাদ আমিও দিতে পারি না, নারীর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল তিনি। তবে তাঁর মন্ত্রী চাণক্য ব্যতিক্রম।

কী রকম?

সম্রাটের মতো শ্রদ্ধাশীল ও উদার নয়।

আমি শুনেছি ভারতীয় রাজা-মহারাজারা নারীসঙ্গপ্রিয় ও ভোগাসক্ত। চন্দ্রগুপ্ত তার ব্যতিক্রম কেন?

সঠিক কারণ আমি জানি না। তবে ধারণা করি, মাতার নিষ্ঠুর ব্যবহার নারীর প্রতি তাঁর আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। মাতা তাঁকে শৈশবে ফেলে দিয়ে চলে যান।

কেন?

তাঁর মাতা ছিলেন রাজার সেবায়েত দাসী! অবৈধ সন্তান ধারণ করে বিপদে পড়ে এ কাজ করেছেন বলে লোকজনের ধারণা।

ধারণা তো সঠিক না-ও হতে পারে।

তা পারে।

কিন্তু আমার হিসাব মিলছে না যে তিনি নারীর প্রতি আগ্রহী নন, অথচ নারী রক্ষী রাখছেন, তা কেন হবে?

এটাও চাণক্যের কৌশল। সম্রাটের নিরাপত্তার জন্য এ ব্যবস্থা। পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি নিরাপদ। সম্রাট খুবই সুদর্শন, যেকোনো নারী তাঁকে পছন্দ করবে।

আপনি এ রকম একজন সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কেন?

তাঁর মন্ত্রী চাণক্য আমার স্বামী রাক্ষসকে হত্যা করেছেন। চাণক্য আমার পছন্দের ব্যক্তি চন্দন দাসকেও হত্যা করেছেন। এসব হত্যার প্রতিশোধ আমাকে নিতে হবে।

সম্রাটের বিরুদ্ধে আপনার কোনো অভিযোগ নেই?

আছে। তিনি এ রকম হন্তা একজন মন্ত্রীর কথা শুনছেন।

আপনার রাজ্য হারানোর জন্যও তো তিনি দায়ী।

চাণক্য না থাকলে এ রকমটি হতো না, রাক্ষস চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী হতো।

সম্রাট কি ধর্ম-কর্ম করেন?

তা করেন, একজন ধর্মগুরুও আছে তাঁর, খুবই নামকরা ব্যক্তি। সম্রাট জৈনধর্মে বিশ্বাসী। আর মন্ত্রী?

তাঁর আর ধর্ম কী, শুনেছি ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ছেড়ে আজীবিক ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। এসব ধর্ম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না।

সম্রাটও না?

না।

অদ্ভুত ব্যাপার তো। আপনি?

আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করি। এ ধর্মের অনেক দেবতা।

দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার নাকি আমার বাবাকে বলেছিলেন, ‘সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ।’ আপনারও কি তা-ই মনে হয়?

কর্নেলিয়া এ কথার জবাব না দিয়ে বললেন, আপনার ওপর আমি খুব রেগেছিলাম, কেন জানেন?

কেন?

আপনি নিজের দেশকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে এসেছেন। তার পরিণাম জানেন?

আমরা করদরাজ্যে পরিণত হব, এই তো?

আরও মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে।

তা হোক, কিন্তু চাণক্যের তো পতন হবে। চাণক্য একজন খারাপ মানুষ।

সম্রাটের হবে না?

নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়?

আমার একটি পরামর্শ আছে, আপনারা দেশে ফিরে যান। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করুন। বিদেশিদের ডেকে নিজের ভূমিকে অপবিত্র করবেন না।

আপনি এ কথা বলছেন?

হ্যাঁ, বলছি। আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে, এ জন্য এ কথা বলছি, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, আপনাকেও ক্ষমা করবে না।

কী জানি, ভেবে দেখব।

চাণক্যের লোকজন রাক্ষসপত্নী ও মলয়কেতুর সেনাপতিকে ছদ্মবেশে অনুসরণ করছিল। সেলুসিয়া থেকে ফিরে আসার পথে সিন্ধু অববাহিকায় তাদের অপহরণ করা হয়। সেনাপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং নারী বলে রাক্ষসপত্নীকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *