বাতাসবাড়ি জ্যোৎস্নাবাড়ি – ৭

সাত

কথা চলছিল থেমে থেমে। দুই বাক্যের ভিতরে শান্ত নীরবতা ঢুকে পড়ছিল। সময় নিয়ে শীর্ণকায় বলল, গল্প হলে চলে আসত, গল্প নয় বলে এমন কিছু ঘটতে পারে না, গল্পেই এসব ঘটে। একজন খুনি হয় অন্যজন সাধু। 

অনুপম মানুষটিকে তাকিয়ে দেখতে দেখতে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নাম? 

শীর্ণকায় বলল, আমি বিজনকুমার সিংহ, আমার বাড়ি খুব দূরে নয়, শালবনি। 

শালবনি! অনুপম স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন, কে বিজনকুমার সিংহ? কন্যা বুবুলকে বলেছিলেন, শালবনিতে যাবেন বন্ধুর বাড়ি। বন্ধুর নাম বিজনকুমার সিংহ। লোকটা খুব পড়ুয়া। বইয়ের সংগ্রহ ছিল অতুল। লোকটা তবু একটি খুন করেছিল। সেই উপন্যাসটির নাম, ‘ঘাতক’। পপুলার নভেল ঠিক নয়। অনেক জটিলতা ছিল তার ভিতরে। সেই বিজন! তাঁকে চিনে তাঁর সামনে এসে বসেছে। শীর্ণকায় আচমকা উঠল, স্যরি, আমি ফোন ফেলে এসেছি, কল আসতে পারে। বলতে বলতে লোকটি, যে ছিল আসলে এক প্রকৃতিপ্রেমী কিন্তু খুন করতে বাধ্য হয়েছিল, সে উঠেই যায়। যাকে খুন করেছিল সে একজন পাপী। দিনের পর দিন একটি ফুলের মতো মেয়েকে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করত। তিনি বললেন, ঘাতক বিজনকুমার সিংহ, বসুন ফোন আসবে না। ঘাতক বিজনকুমার সিংহ বলল, আমি ঘাতক নই, আমি পরিত্রাতা, ঘুরে আসি। 

আপনি আর আসবেন না। অনুপম বললেন। 

কে বলল আসব না? লোকটি ঝুঁকে পড়ে জিজ্ঞেস করল। 

অনুপম জিজ্ঞেস করলেন, সেই মেয়েটি কোথায়?

কার কথা জিজ্ঞেস করছেন? 

সেই মেয়েটি, কী নাম ছিল যেন, নাতাশা। 

চুপ করে থাকে লোকটি। তারপর বলল, আমি জানি না, তার কথা তো আর লেখেনি লেখক। 

আজ এখানে কার আসার কথা? 

তাঁকে আমি চিনি না, কিন্তু তিনি আসবেন। 

অনুপম চুপ করে থাকলেন। গোয়েন্দা বলেছিল, মেয়েটি হয়তো আত্মহত্যা করত, লোকটির মৃত্যুতে সে বেঁচেছিল। বিজনকুমার সিংহ তাকে রক্ষা করেছিল। বিজন লোকটিকে খুব ভালো চিনত। মেয়েটিকেও। মেয়েটি ভাউচারে পেমেন্ট পাওয়া কম্পিউটার অপারেটর। লোকটি অফিসের সর্বময় কর্তা। লোকটি মেয়েটির চাকরি পাকা করে দেবে বলে তাকে দিনের পর দিন, সেই ছবি তুলে, দিনের পর দিন তাকে বাধ্য করত…। শেষে মেয়েটি সব বলে বিজনকুমার সিংহকে। বিজন সিংহ লোকটিকে হত্যা করে মধ্যরাতে এক বাংলোয় হানা দিয়ে। বিজনকে চিনতই না অফিসের কর্তা। মেয়েটিও জানত না বিজনকুমার সিংহ ঘটিয়ে দিতে পারেন এমন ঘটনা। গোয়েন্দা তদন্ত করতে করতে পৌঁছে গিয়েছিল প্রকৃতিপ্রেমী বিজনকুমার সিংহর কাছে। সমস্তটা জেনে পুলিস কেস ফাইল চাপা দিয়ে দিয়েছিল। ভালো লোকটাকে আর গ্রেপ্তার করেনি। কিন্তু এ হল গল্প। রহস্য উপন্যাস। এই সত্য কি জীবনে ঘটতে পারে? শালবনি এই শহর থেকে বাসে একঘণ্টার পথ। যাবেন কি? গিয়ে কী হবে? বিজনকুমার কি সত্যি? লোকটা চলে যেতে লাগল। ওয়েটার ডিনার নিয়ে এল। সাজিয়ে দিতে লাগল টেবিলে। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, যিনি গেলেন, তাঁর কত নম্বর রুম? 

কার স্যার? ওয়েটার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কে গেলেন?

ওই বিজনকুমার সিংহ কত নম্বর রুমে উঠেছেন? 

কোন গেস্ট স্যার? 

এই যে এখানে বসে ছিলেন? 

কখন? জিজ্ঞেস করল ওয়েটার। 

এখনই, তুমি এলে আর তিনি গেলেন, তোমার পাশ দিয়ে তো বেরিয়ে গেলেন! 

কই গেলেন? বিস্মিত হয়ে ওয়েটার তাঁকে দেখছে। 

বিস্মিত হতে হতে বিস্ময় সংবরণ করলেন অনুপম। চুপ করে গেলেন। ওয়েটার কথা বাড়াল না। তাঁর দিকে তাকাতে তাকাতে ফিরে গেল। ডিনার শেষে তিনি রিসেপশনে গেলেন। দুষ্কৃতী হানায় কতজন গ্রামবাসী মারা গেছে ছত্তিশগড়ে তা নিয়ে টিভিতে খবর হচ্ছে। একজন সরপঞ্চ মারা গেছে গত সপ্তাহে। মাওবাদী অ্যাকশন। তারপর পাহাড়তলির একটি গ্রাম আগুনে ভস্মীভূত। সালোয়া জুডুম না মাওবাদী, না আধা সামরিক বাহিনী মাওবাদী খুঁজতে গিয়ে এই কাজ তা ধরা যাচ্ছে না। কিন্তু গ্রাম পুড়ে ছাই। তিনি দেখলেন কিছু সময়। গাছ পর্যন্ত পুড়েছে অনেক। ওই অঞ্চলে অনেকদিন বৃষ্টি নেই। অগ্নির অপেক্ষায় ছিল যেন গ্রামটি আর তার লাগোয়া বনভূমি। বনভূমিতে আগুন লেগেছে কারণ বনের ভিতর রাষ্ট্রদ্রোহীরা আত্মগোপন করে থাকতে পারে। তিনি রিসেপশনে বসা যুবকটিকে জিজ্ঞেস করলেন, বিজনকুমার সিংহ কোন রুমে আছেন? 

নামটি একবার জিজ্ঞেস করে রিসেপশনিস্ট কম্পিউটার সার্চ করে বলল, এই নামে তো কেউ নেই স্যার। 

তিনি সরে এলেন। একা ফিরলেন নিজের ঘরে। ফিরতে ফিরতে মনে হচ্ছিল লোকটি আছে। হোটেলের সব ঘর ভিতর থেকে কিংবা বাইরে থেকে বন্ধ। বিজনকুমার সিংহ আছে হয়তো কোথাও। নাকি সে চলেই গেছে, তার সঙ্গে যার দেখা হওয়ার কথা তা হয়ে যেতে। ঘরে ঢুকে বিছানায় কাত হয়ে ভাবছিলেন, তাহলে বিজনকুমার সিংহর সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা ছিল এই শহরে। আর বিজনকুমারেরও তাই। দেখা হয়ে গেছে। আর দেখা হবে না। গল্পটা মিলে গেছে। এমন একটা কথা ছিল হয়তো। কথাটি জন্ম নিয়েছিল নিজের মেয়ে বুবুলের সঙ্গে বাক্যালাপের সময়। বুবুলকে তিনি বানিয়ে বলেছিলেন, শালবনিতে যাবেন বন্ধু বিজনকুমার সিংহর কাছে। বিজনকুমার সিংহ কে? বুবুল বিস্ময় প্রকাশ করেছিল। আজ যেন সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আসলে সমস্তটাই তাঁর কল্পনা। একা জীবনে কত রকম মায়া আর পরাবাস্তবতা জন্ম নেয়। 

পরদিন সকালে গত সন্ধ্যার সেই রিকশওয়ালা এল। তাকে নিয়ে তিনি শহর পরিক্রমায় বেরলেন। রবিবার। শহরের ঘুম যেন দেরিতে ভেঙেছে। রিকশওয়ালা হ্যাঁন্ডেলের গায়ে লোহার কাঠি বাজাতে বাজাতে চলল। লোকটি অদ্ভুত। মাঝে মাঝে জামার বুক পকেট থেকে একটি হুইসল বের করে বাজিয়ে চারপাশে জানান দিচ্ছে। অনুপম আপত্তি জানাতে সে বলল, দেবেন মল্লিকবাবু জানুক আপনি আবার ফিরে এয়েছেন। যাবেন স্যার মৌহা সিনিমা হলের দিকে। হুইসল মারলেই মল্লিকবাবু বেরিয়ে আসবে ঘর থেকে। বনবন করতে করতে রিকশর চাকা ঘুরতে লাগল। ছুটতে লাগল রিকশ। তিনি রিকশওয়ালাকে মিশন কম্পাউন্ডের কথা বললেন। রিকশ ছুটল মিশন কম্পাউন্ডের দিকে। কিছুই চেনা যাচ্ছে না। সব আলাদা। সেই মিশন কম্পাউন্ড আর এখনকার মিশন কম্পাউন্ডে কোনও মিল নেই। একেবারে আলাদা। চার্চটি আছে। তা বাদে কত ঘর কত বাড়ি। সেই পুরনো নিঝুমতা আর নেই। কোথায় যাবেন স্যার? জিজ্ঞেস করল কৃষ্ণকায় যুবক রিকশওয়ালা। অমল সেনগুপ্তর নাম করতে সে মাথা নাড়তে লাগল। তারপর জিজ্ঞেস করল, নতুন এসেছে? তিনি মাথা দোলাতে সে জামার বুক পকেট থেকে হুইসল বের করে বাজিয়ে দিল। বাজাতে আশপাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ জানালা খুলল। একতলা দুতলা তিনতলা বাড়ির কোনও কোনও জানালার পাল্লা খুলে গেল। কে এল? এই রিকশওয়ালাকে কে না চেনে এই শহরে? এই রিয়াজুদ্দিন সারাদিন কাউকে না কাউকে খুঁজে বেড়ায়। তার রিকশ কোনও কোনওদিন সেই প্যাসেঞ্জারই পায় যে শহরে আসে কাউকে না কাউকে খুঁজতে। ঠিকানা নিয়ে আসে তেলচিটে কাগজে। কিছু স্পষ্ট কিছু অস্পষ্ট! কিছু মনে রাখা কিছু ভুলে যাওয়া মানুষের মুখ খুঁজতে সে হুইসল বাজিয়ে বাজিয়ে পল্লির ভিতরে অচেনা কাউকে নিয়ে ঢুকে পড়ে। সুতরাং চায়ের দোকানের মানুষ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। অমল সেনগুপ্ত! অমল সেনগুপ্তর কি এখন বেঁচে থাকার কথা? তখনই তিনি মধ্য ষাট। তাঁর এখন যে বয়স। তারপর চল্লিশ বছর গেছে। মানে অমল সেনগুপ্ত এখন ১০০ পার। রিকশওয়ালা চায়ের দোকানে খোঁজ নিয়ে কোনও পাত্তা করতে পারল না। মনে হয় সেই বাড়িই নেই। ভেঙেচুরে বহুতল। আচ্ছা তপোমিতা দত্ত? দত্ত না বসু? জানালা খুলছে যেন এক পুরনো বাড়ির। তার গ্রিল ধরে এক বিস্মিত মুখ। বছর তিরিশ-বত্রিশ। নাকি সত্তর-বাহাত্তর? তপোমিতা! কেউ কেউ আছে এই শহরে কেন সব শহরে, এই হুইসলের শব্দের জন্য কান পেতে। সকাল থেকে বারবার অন্যমনস্ক হয়। হুইসল হুইসল। শ্যামের বাঁশি। ওগো শোনো কে বাজায়। কতদিন পরে ভ্রমর এসেছে পদ্মবনে! সেদিনের সোনাঝরা সন্ধ্যা। 

তিনি ফিরতে ফিরতে ভেবেছিলেন বিজনের সঙ্গে আবার দেখা হয়ে যেতে পারে। হল না। দেবেনের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে, হল না। তাই শহর ত্যাগ করবেন মনে মনে সেই সিদ্ধান্ত নিলেন। রিয়াজুদ্দিন বলল, আর এক-দুদিন টায়েম দেন স্যার, ঠিক খুঁজে বের করব। 

কাকে খুঁজে বের করবে? 

রিয়াজুদ্দিন হাসে, যারে আপনি খুঁজাখুঁজি করছেন। 

বিজনকুমার সিংহ, আমার ফোন নম্বর নাও, পেলেই মিসড কল দেবে, আমি চলে আসব। 

আর কেউ না, মল্লিকবাবু?

তপোমিতা দত্ত। 

ঠিক আছে স্যার, হবে, আপনার নাম ফোন নম্বর দিয়ে দেব তাঁদের, তাঁরাই ফোন করবে। 

তিনি ভেবেছিলেন ত্যাগ করবেন শহর, কিন্তু তা হয় না। আচমকা ফোন এল সাড়ে বারোটা নাগাদ। অচেনা নম্বর। কে? আমি শোভন, কোচবিহার থেকে আসছি শোভন, বড়মামা তুমি কোথায়? 

কেন? সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসা তাঁর। 

এসে দেখছি তোমার ফ্ল্যাট বন্ধ, ট্রেন চার ঘণ্টা লেট, দশটা নাগাদ পৌঁছেছে, খুঁজে খুঁজে এয়েছি, কিন্তু তুমি নেই। 

আমি তো কলকাতার বাইরে। নির্লিপ্ত গলায় বললেন অনুপম।

বাহ, তুমি যে বাইরে যাবে বলোনি তো, মা তো বুধবার তোমাকে ফোন করেছিল, আমি ঝামেলায় পড়ে গেলাম। 

অনুপম বললেন, তোমার মা ফোন করেনি তো।

আমি এখন কোথায় থাকি? 

না বলে এলে কেন? অনুপম জিজ্ঞেস করলেন।

তুমি তো বাইরে যাবে বলোনি। 

কবে এগজাম? অনুপম জিজ্ঞেস করলেন। 

সামনে, মানে পরের মাসের প্রথমে। শোভন বলল। 

তখন এসো। বললেন অনুপম,আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি, অনেকবার বলছিল, আমি এখন ফিরব না। 

কিন্তু আমি যে এসে পড়েছি বড়মামা, তুমি কবে আসবে বলো, আজ আমি কোথাও থেকে যাব, কাল এসো। 

অনুপম জিজ্ঞেস করলেন, আমার এই মোবাইল নম্বর দিল কে? 

পেয়ে গেলাম, ভবতোষ আঙ্কেল দিল, ভবতোষ কুণ্ডু, তোমার বন্ধু 

শোভন আজ সাড়ে এগারোটা নাগাদ রানি বিধুমুখী রোডে পৌঁছয়। ফ্ল্যাটবাড়ি খুঁজতে গিয়ে ভবতোষ কুণ্ডুর সঙ্গেই চা-দোকানে দেখা। ভাগ্নে পরিচয় শুনে ভবতোষ তাঁর অনুপস্থিতির খবর দিয়ে তাকে নিয়ে হাউজিং কমপ্লেক্সে যায়। কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞেস করে ডুপ্লিকেট চাবি আছে কি না। থাকার কথা। কিন্তু নেই মানে কেয়ারটেকার চেপে গেছে। তখন ভবতোষ কেয়ারটেকারকে বলে যে কোনও একটি বন্ধ ফ্ল্যাট খুলে অনুপম স্যারের ভাগ্নেকে আশ্রয় দিতে। কিন্তু কেয়ারটেকার বলে বিলেত থেকে পারমিশন না এলে হবে না। শুনে শোভন তাকে মারবেই ঠিক করেছিল। তার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। এমন বেয়াদপি সে সহ্য করবে কেন? তার কথায় না বলার সাহস কারও হয় না। কিন্তু ছেড়ে দিয়েছে বড়মামার বদনাম হবে বলে। বড়মামা বলে দিলে কেয়ারটেকার হাউজিংয়ের কমিউনিটি হলের গেস্ট রুমে থাকতে দিতে পারে। তারপর বড়মামা ফিরে এলে সে তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে ঢুকবে। অনুপম বললেন, কোঅপারেটিভের একটা আইন আছে, কমিউনিটি হলে তাঁর গেস্ট রাখতে হলে বিলেত থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। ফ্ল্যাটের মালিক তাঁর কাছে রাখতে পারেন, গেস্ট রুমে অতিথি বিনা পারমিশনে কেউ রাখতে পারেন না। কিন্তু শোভন বলল, হবে মামা, ওকে একশো টাকা ধরিয়ে দিলেই হয়ে যাবে, চাঁদির কাছে সবাই জব্দ, ও তাই চায় মনে হয়। তখন ভবতোষ কুণ্ডু ফোন নিল, স্যার আপনার ভাগ্নে তো বিপদে পড়েছে, কী করব? 

অনুপম বললেন, আপনার বাড়িতে কদিন রাখুন, আমি নেক্সট উইকে ফিরব। 

সে কী স্যার, আপনার ভাগ্নে আমার বাড়িতে থাকবে কোথায়, জায়গা নেই বলেই আমি রাস্তায় ঘুরি, কেয়ারটেকার গেস্ট রুমে রাখুক স্যার। 

অনুপম স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর গলায় বললেন, ওর এগজাম পরের মাসে, না বলে এত তাড়াতাড়ি এল কেন? 

ভবতোষ কুণ্ডু বলল, এখানে চাকরির জন্য এসেছে, আপনি ইয়েস করুন স্যার, পার্টির প্রোগ্রাম আছে বলে আগে এসেছে স্যার, আপনার ভাগ্নে ফেলনা কেউ না, পার্টির লোক। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *