প্ৰথম দিন – বিকাল

বিকাল ৪ টা 

সেলুনের ওই মেয়েটা সাক্ষী হিসেবে বেশ কাজের। সকালে পুলিশকে দেয়া বিবৃতিতে চোখ বুলাচ্ছে সে, মাথাটা নববধূর মত লজ্জায় অবনত। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভুল বর্ণনা এই মেয়েই দিয়েছে। তার দৃষ্টিশক্তির প্রশংসা করতে হয়। মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে নেয়ার সিদ্ধান্তে এখন নিজের পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে করছে আমার। বাইরে হৈ চৈ দেখে ক্যাফের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আরেক কাপ কফি অর্ডার করলাম। 

এদিকে ওই মহিলাও নাকি মরেনি। পুরো ধাক্কা সামনে থাকা গাড়ি সামলেছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে গেছে তাকে। এখন হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি আছে। 

হাসপাতালে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। অন্য কোথাও সরানোর আগেই ক্যাজুয়ালটি বিভাগে যেতে হবে আমার। কিন্তু ছোট একটা কাজ বাকি আছে। মসবার্গটা রিলোড করে নিতে হবে। 

আতশবাজির ওই প্রদর্শনী তো কেবল শুরু ছিল।

রক্তের হোলি খেলা এখনো বাকি। 

.

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *