ত্র্যহস্পর্শ

ত্র্যহস্পর্শ

বক্রেশ্বর মুখুজ্যের সব কিছুই যেন বাঁকা, যে কাজ সরল পথে সবাই করে তিনি ঠিক তার উলটোটি করবেন, এ না হলে তাঁর যেন মন ভরে না। তাঁর মতো একগুঁয়ে লোকও সহজে চোখে পড়ে না, একবার যা ঠিক করেছেন করবেন, তা থেকে তাঁকে টলানো শিবেরও অসাধ্য। বেস্পতিবারের বারবেলায় তিনি শুভ কাজে হাত দেবেন, চৈত্র সংক্রান্তি কিংবা পয়লা ভাদ্রে যাত্রা করবেন, মঘা, অশ্লেষা নক্ষত্রে তাঁর কোনো বাছবিচার নেই— যাকে বলে অলক্ষুণে এক মানুষ। কিন্তু আশ্চর্যের কথা, এত সব অশাস্ত্রীয় কাজ করেও তাঁর কিন্তু কখনো কোনো অঘটন ঘটেনি। তিনি ঠাট্টা করে তাই সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেন, ‘ওগুলো হল সব বুজরুকি, স্রেফ সরল মানুষদের ঠকিয়ে বামুন-পুরুতদের রুজি-রোজগারের একটা পথ।’

তবে একবার তাঁকে হার মানতে হয়েছিল, সেটা তাঁর বিয়ের সময়। একটা শুভদিন দেখেই তাঁর মা-বাবা বিয়ের লগ্ন ঠিক করেছিলেন, সেটা তিনি পালটাতে পারেননি। বাবার মুখের ওপর কথা বলার সাহস তাঁর ছিল না, তিনিও ছিলেন বড়ো মেজাজের মানুষ। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যেই বউ মারা গিয়েছিল, আর বক্রেশ্বর বলেছিলেন যদি তাঁর কথামতো ওই অলক্ষুণে দিনে মানে পাঁজির নির্দেশমতো শুভদিনে বিয়েটা না হত, তবে তাঁর বউ বেচারি আজ বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকত। এসব নিয়ম মানার ব্যাপারে তাঁর এত ঘেন্না এসে গেছিল যে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার কথা তিনি মুখেও আনেননি। চল্লিশটা বছর তো এভাবেই কাটিয়ে দিলেন।

সেই বক্রেশ্বরবাবুর জীবনেই একটা দারুণ অঘটন ঘটে গেল। পাঁজিতে যাত্রা নাস্তি এমন একটা ত্র্যহস্পর্শ দিনক্ষণ দেখে তিনি আসানসোলের কাছে একটা জায়গায় রওনা দিলেন। ওখানে তাঁর পুরোনো বন্ধু অনাদি চাটুয্যে অনেকটা জায়গাজমি নিয়ে পোলট্রি খুলে বসেছেন, ভালো ব্যাবসা। বক্রেশ্বরবাবুকে মাঝে মাঝেই তিনি চিঠি লেখেন ওখানে যাবার জন্য, এমনকী লেগ হর্ন মুরগির মাংস খাওয়াবারও লোভ দেখিয়েছেন। এতদিন যাই যাব করে যাওয়া হয়ে ওঠেনি, ইদানীং শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না, খিদে হয় না, ডাক্তারবাবু কিছুদিনের জন্য বাইরে কোথাও চেঞ্জে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। লেগ হর্নের মাংসে খিদেটা যদি আবার চাড়া দিয়ে ওঠে তবে রোগটাও সারবে।

বক্রেশ্বর যখন ট্রেন থেকে নামলেন, তখন সন্ধে পেরিয়ে গেছে। আসানসোলের পরে ছোটো একটা স্টেশন। এখানে মেল ট্রেন থামে না তাই একটা প্যাসেঞ্জার ট্রেনেই আসতে হয়েছিল। বাইরে বেরিয়ে কোনো সাইকেল রিকশা বা অন্য কোনো গাড়ি তাঁর চোখে পড়ল না। একটু মুশকিলেই পড়লেন। মনে পড়ল অনাদি চিঠিতে লিখেছিল স্টেশন থেকে সোজা পথ ধরে কিছুটা গেলেই একটা দু-মুখী রাস্তার মোড়ে এসে পড়বেন, ডানহাতি রাস্তা ধরে তাঁকে যেতে হবে। মাইল দু-আড়াইয়ের মতো দূরত্ব। ওটুকু তিনি হেঁটেই চলে যেতে পারবেন। সঙ্গে একটা টর্চ থাকা উচিত ছিল, খুব ভুল হয়ে গেছে। ছোটো সুটকেসটা হাতে নিয়ে তিনি হাঁটা দিলেন। পথে লোকজন চোখে পড়ল না, ঘুটঘুটে অন্ধকার। সন্ধে থেকে অমাবস্যা পড়বে জেনেও যাত্রা করবার অসুবিধেটা এই প্রথম হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বক্রেশ্বরবাবু; কিন্তু সহজে দমবার পাত্র তিনি নন, নিজের মনোবলের ওপর তাঁর দারুণ আস্থা। মিনিট সাতেক হাঁটার পরই আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল, তারপরই নামল বৃষ্টি। বেশ বড়ো বড়ো ফোঁটা আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামাল হাওয়া। আশেপাশে মাথা বাঁচাবার একটা আস্তানাও চোখে পড়ল না। অগত্যা বক্রেশ্বরবাবু দৌড়ুলেন। সেই কবে ছোটোবেলায় দৌড়েছিলেন, তারপর এই প্রথম। বেশ মজাই লাগছিল।

সেই দু-মুখী রাস্তাটার মোড়ে তিনি পৌঁছেও গেলেন, তারপর আবার নির্দিষ্ট পথ ধরলেন। আর দৌড়ুতে পারছেন না, হাঁপ ধরে গেছে তবু দৌড়ুচ্ছেন। এই অবস্থাতেও তিনি মনোবল হারাননি, বরং ভাবছিলেন বেশ জগিং হচ্ছে, খিদেটাও মনে হচ্ছে যেন চাড়া দিয়ে উঠছে। অনাদিকে বলবেন একটা আস্ত লেগ হর্ন তাঁর একার চাই, মুরগির মাংসের ওপর তাঁর লোভের কথা এতদিনেও অনাদি ভোলেনি, সেটা মনে করে তাঁর মুখে মৃদু কৌতুকের আভাস খেলে গেল।

কিন্তু পথ যে ফুরোয় না! এতক্ষণেও কি মাইল দু-আড়াই পথ পার হননি! তারপরই অদূরে আলো চোখে পড়ল। একটা দুটো নয়, আলোর মালা। ব্যাপার কী! তিনি কি ভুল করে অন্য কোথাও চলে এলেন নাকি? অনেকটা জায়গা জুড়ে আলো, মনে হয় কারখানা-টারখানা হবে। কিন্তু এখন অত ভাববার সময় নেই, এখন শুধু আশ্রয় চাই। তিনি সেই আলো লক্ষ করে ছুটলেন। ভেজা কাকের মতো তাঁর চেহারা হয়েছে, একটু শুকনো কিছু চাই।

বক্রেশ্বরবাবু যা ভেবেছিলেন, তাই। অনেকটা জায়গা জুড়ে দেয়াল ঘেরা, মস্ত এক লোহার গেট, সেখানে পাহারাদার দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে আলো। সেই আলোয় চোখে পড়ল ডাঁই করা কয়লা তবে কি এটা কোল মাইন। আসানসোল কয়লাখনি অঞ্চল বলেই তিনি জানেন, হয়তো এটা তারই একটা। তিনি একটু ইতস্তত করলেন, পাহারাদার কি তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেবে? হয়তো এসব জায়গায় সাধারণের প্রবেশের অধিকার নেই। কিন্তু এখন তাঁর আশ্রয় চাই, অতসব ভাবলে চলবে না। বুক ঠুকে তিনি গেটের দিকে এগিয়ে গেলেন। আশ্চর্য, দারোয়ান তাঁকে বাধা দিল না, হয়তো তাঁর পোশাক দেখে ভেবেছে ওখানকার কোনো অফিসার। একটু এগুতেই চোখে পড়ল কুলি কামিনরা মাথায় করে ঝুড়ি ভরা কয়লা বয়ে আনছে। লরি বোঝাই হচ্ছে কয়লা, একটা ক্রেনও চোখে পড়ল। খানিকটা দূরে ঘটাং ঘটাং শব্দ হচ্ছে, বোধ হয় খনি থেকে কয়লা তোলা হচ্ছে।

বাঁ-দিকে ছোটো আপিসের মতো একটা ঘর দেখে তিনি ঢুকে পড়লেন। একজন প্রৌঢ় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান চেয়ারে বসে টেবিলে কী সব খাতাপত্তর দেখছিলেন। বক্রেশ্বরবাবুর পায়ের শব্দে তিনি মুখ তুললেন, সেখানে স্পষ্ট বিরক্তির চিহ্ন, একটু কর্কশ গলায় বললেন, ‘কী চাই?’

বক্রেশ্বরবাবু অল্প কথায় তাঁর অবস্থা বুঝিয়ে বললেন। বন্ধুর বাড়ি যাবেন বলে কলকাতা থেকে এসেছেন, অন্ধকার আর বৃষ্টিতে পথ হারিয়ে ফেলেছেন। রাতের মতো একটু আশ্রয় চাই।

সাহেব রুক্ষ গলায় বললেন, ‘তোমাকে আমি কেন আশ্রয় দেব? তোমরা স্বাধীন হয়ে ধরাকে সরা দেখছ, আমাদের সব কিছু কেড়ে নিচ্ছ! ব্রিটিশ রাজত্বে আমরা নিরাপদ ছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। শুনছি আমার জায়গায় একজন ইন্ডিয়ান আসবে।’

বক্রেশ্বরবাবু প্রথমে হকচকিয়ে গেলেন, তারপর বললেন, ‘এ তুমি কী বলছ সাহেব? ভারতবর্ষ তো সবার জন্য, তোমরা এখানে যত নিরাপদ আর কোথাও তেমন নও। ইন্ডিয়াই তোমাদের দেশ, এটাই তোমাদের মাতৃভূমি।’

‘নো-নো,’ অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সাহেব গর্জন করে টেবিলে এক ঘুসি মারলেন, ‘দ্যাট ক্যান নেভার বি…’

তাঁর কথা শেষ হবার আগেই বাইরে একটা কোলাহল শোনা গেল, তারপরই কুলিদের সর্দার গোছের একজন হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে বলল, ‘সাহেব সর্বনাশ হয়েছে, দু-নম্বর খাদের মুখ ধসে পড়েছে, যারা নীচে ছিল সব চাপা পড়েছে।’

সাহেবের মুখের চেহারা সঙ্গেসঙ্গে বদলে গেল, মুখ দিয়ে শুধু একটা কথাই বেরুল, ‘মাই গড।’ তারপরই তিনি চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠে ছুটে বেরিয়ে গেলেন, বক্রেশ্বরের দিকে ফিরেও তাকালেন না। তিনি কী করবেন বুঝতে না পেরে একটা চেয়ারে ধপ করে বসে পড়লেন।

বাইরে থেকে চিৎকার কোলাহল কানে ভেসে আসছে, ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। খনি দুর্ঘটনার কথা বক্রেশ্বর কাগজে পড়েছেন, কখনো তার মুখোমুখি হননি, তাঁর বুকের ভেতর কেমন যেন দাপাদাপি শুরু হয়ে গেল।

ধারেকাছে কোথাও যেন প্রচণ্ড গর্জনে বাজ পড়ল।

আরেকটা শব্দ বক্রেশ্বরবাবুর কানে এল, গুর গুর গুর গুর চাপা একটা শব্দ। মাটি কাঁপছে নাকি। আবার বাজ পড়ল, তারপরই পর পর কয়েকটা বিস্ফোরণের শব্দ। বক্রেশ্বরবাবু চেয়ার থেকে ছিটকে দরজা দিয়ে একেবারে মাটিতে আছড়ে পড়লেন, তখুনি চোখে পড়ল আগুনের লেলিহান শিখা। শুধু মাটির গর্ভেই ধস নামেনি, আগুন লেগেছে কোথাও। আবার একটা বিস্ফোরণের শব্দ হল আর সঙ্গেসঙ্গে জ্ঞান হারালেন বক্রেশ্বর মুখুজ্যে।

জ্ঞান যখন হল তখন আকাশ ফিকে হয়ে এসেছে। বক্রেশ্বর উঠে বসলেন, একটা মাঠের মাঝখানে তিনি শুয়ে আছেন জামাকাপড় কাদায় মাখামাখি। এদিক-ওদিক তিনি তাকালেন। কী আশ্চর্য! গতকাল রাতে সেই খনি দুর্ঘটনার পর চারদিকে যে ভয়াবহ দৃশ্য তিনি দেখবেন ভেবেছিলেন তার কিছুই তো নেই! শুধু ফাঁকা মাঠ। তবে হ্যাঁ, এদিকে ওদিকে কিছু মাটির ঢিবি, ভাঙা ইটের স্তূপ চোখে পড়ল।

বক্রেশ্বর উঠে পড়লেন। খানিকটা যাবার পরই একজন গ্রামবাসীর সঙ্গে দেখা। তাকে গন্তব্যস্থলের কথা বলতেই সে বলল তিনি উলটো পথে এসেছেন। তারপর তাঁর পোশাকের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কী ব্যাপার বাবু, কাদায় পড়ে গেছিলেন নাকি?’

‘হ্যাঁ, রাত্রে ঠাওর পাইনি,’ বক্রেশ্বর জবাব দিলেন, তারপরই প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা, এখানে কি আগে কয়লাখনি ছিল?’

‘হ্যাঁ, সে তো অনেক বছর আগের কথা,’ লোকটি অবাক হয়ে বলল, ‘একটা ভীষণ দুর্ঘটনায় সব ধ্বংস হয়ে গেছে, কত লোক যে মরেছে তার হিসেব নেই। তা আপনি হঠাৎ সেকথা শুধোচ্ছেন কেন?’

‘এমনি,’ বক্রেশ্বরবাবু জবাব দিলেন। সমস্ত ব্যাপারটা তাঁর কাছে একটু একটু করে স্বচ্ছ হয়ে আসছে। এবার আর অনাদি চাটুজ্যের বাড়ি পৌঁছুতে তাঁর অসুবিধা হল না। আসলে অন্ধকারে আর বৃষ্টিতে ডান হাতি রাস্তাটা বুঝতে পারেননি, বাঁ-দিকের পথ ধরেছিলেন তাই এই বিপত্তি।

অনাদি চাটুজ্যে তাঁর অবস্থা দেখে চোখ কপালে তুললেন, ‘এ কী কাণ্ড! আমাকে আগে জানালে স্টেশনে থাকতাম। এমন আছাড় খেলে কোথায়!’

‘পরে কথা হবে,’ বক্রেশ্বর মৃদু হাসলেন, ‘সারারাত এই ভেজা আর কাদামাখা পোশাক পরে আছি, নিমুনিয়া না ধরে।’

ঈষদুষ্ণ গরম জলে খানিকটা ইউক্যালিপটাস অয়েল ঢেলে স্নান করতেই শরীরটা চাঙ্গা হয়ে উঠল। খিদেও পেয়েছে প্রচণ্ড। চাটুজ্যে গিন্নি চটপট গরম গরম ফুলকো লুচি, আলুভাজা আর ডবল ডিমের মামলেট বানিয়ে আনলেন।

চাটুজ্যের মুখেই বক্রেশ্বরবাবু শুনলেন ওই খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৮ সালে, স্বাধীনতা পাবার ঠিক পরেই। আগে ওটার মালিকানা ছিল এক ইংরাজ কোম্পানির, স্বাধীনতার পর এক মাড়োয়ারি ভদ্রলোক কিনে নিয়েছিলেন। এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সাহেব ম্যানেজার ছিলেন। খুব কাজের লোক, অনেকদিন ধরে ছিলেন, কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি নিজের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। নিজেকে তিনি শাসক গোষ্ঠীর বলে মনে করতেন, কিছুতেই পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। শোনা যায় ভারতীয় মালিকের সঙ্গে তাঁর বনছিল না। তারপরই এক রাত্রে ঘটেছিল এই ভয়ানক দুর্ঘটনা। কয়লাখনির ইতিহাসে অমন দুর্ঘটনা বিরল, দেশ-বিদেশের কাগজে এ নিয়ে খুব লেখালেখি হয়েছিল। কী করে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল জানা যায়নি, সম্পূর্ণ খনিটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। কেউ কেউ এমন কথাও বলেছিলেন যে ম্যানেজারই ইচ্ছে করে ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল। আরও একটা কথা জানতে পারলেন বক্রেশ্বরবাবু, উনিশশো আটচল্লিশের তেরোই জুনের রাতে ঘটেছিল ওই দুর্ঘটনা, গতকাল ছিল সেই তেরোই জুন।

কাহিনি শেষ করে অনাদি চাটুজ্যে বললেন, ‘তোমার যত সব অনাচ্ছিষ্টি কাণ্ড, কাল ছিল ঘোর অমাবস্যা তায় অশ্লেষা, অমন খারাপ দিনে রওনা দিতে আছে! আমার তো ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে।’

‘কেন?’ বক্রেশ্বর মুখুজ্যে অবাক হয়ে বললেন, ‘পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ গতকাল এক জায়গা, এক দেশ থেকে আরেক দেশে যায়নি? সবাই কি পাঁজি দেখে ঘরে বসে ছিল?’

কিন্তু একটা ব্যাপার তিনি নিঃসন্দেহ, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সাহেব ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নন। নিজের চোখে তিনি দেখেছেন, দুর্ঘটনার কথা শুনে তাঁর চোখে-মুখে কেমন উদবেগ ফুটে উঠেছিল, নিজের প্রাণের মায়া না করে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। সাহেব কি সেইটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন!

1 Comment
Diptarka Samanta June 5, 2025 at 2:28 am

Nice

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *