এখনও অনেকটা পথ বাকি

এখনও অনেকটা পথ বাকি

এই বইয়ের গল্পগুলো একান্তই আমার। গল্পগুলো যেই সকল লোকজন এবং মুহূর্ত নিয়ে, তাঁরা এবং সে সব ঘটনা আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পেরেছে। যাঁদের স্পর্শে আমার জীবনের মুহূর্তগুলো পূর্ণতা পেয়েছে। এ-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কেউ যদি নিজের জীবনের স্মৃতিগুলো এবং মুহূর্তগুলো স্মরণ করে তবে শত শত না বলা গল্প রয়ে যাবে। বিশেষ করে, যদি কারো জীবন আমার মতো এত ঘটনাবহূল হয়, তার ক্ষেত্রে।

আমার মস্তিষ্কে বহু ঘটনা এখনও অব্যক্ত রয়েছে। ভারত সরকারের দ্বিতীয়বারের মতো পারমাণবিক প্রশিক্ষণকালে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা, অবসর গ্রহণ, শিক্ষকতার প্রতি আমার একাগ্রহ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দিনগুলো—এসব মিলিয়ে বহু চ্যালেঞ্জ এবং শিক্ষা আমি পেয়েছি।

অগ্নি এবং অন্যান্য মিসাইলগুলো সফল নিক্ষেপণের সাথে সাথে মিডিয়ার আলোতে প্রবেশের মাধ্যমে আমার জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো এবং আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে আরো সতর্ক থাকতে হয়েছে। আমার অগ্রাধিকার লক্ষ্যগুলোও বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। প্রথমদিকে আমার কাজ ছিল কেবল করে যাওয়া এবং প্রয়োগ। আর এখন আমার কাজের অধিকাংশই হলো চিন্তা করা, লেখা এবং জীবনের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করা।

বছর কেটে যাওয়ার সাথে সাথে আমি লক্ষ করলাম যে, এখন আমার মূল আগ্রহ হলো, তরুণ প্রজন্মের সাথে কথা বলার মাঝে। আমি বেশ কিছু বই লিখেছি, যেগুলো সাফল্য পেয়েছে। মূলত এর কারণ হলো, পাঠকদের উপলব্ধি। পাঠকরা আমাকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে চেনেন, যার লক্ষ হলো ২০২০ সালে ভারতের গঠন, সেই ব্যক্তি তার মিশন অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং দেশব্যাপী তার ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আমার বই ‘ভারত ২০২০’, ‘উইংস অব ফায়ার’, ‘ইউনাইটেড মাইনস’ এবং বাকিগুলো দেশের পাঠক সমাজ যেভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আমি ভীষণ সন্তুষ্ট।

আমার লেকচার, আর্টিক্যাল, আলাপ-আলোচনা এবং বইয়ের মাধ্যমে নিজের ধ্যান-ধারণা প্রকাশের এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের পাশাপাশি আমি বিভিন্ন প্রযুক্তির ওপর আগ্রহপ্রবণ হয়ে পড়েছি।

.

১৯৯০ সালে ‘ইন্ডিয়ান ভিশন ২০২০’-এর কৌশল নির্ধারণে সাহায্যকালে আমার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ হয়। আমাকে Forecasting and Assessment Council (TIFAC)-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। TIFAC-এর প্রথম মিটিং-এ আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, ২০২০ সাল নাগাদ ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়ের আমরা পরিকল্পনা প্রণয়ন করব। সে সময় বাৎসরিক জিডিপি বৃদ্ধির হার বছরে ৫ কি ৬ শতাংশ ছিল। আর আমরা চিন্তা করছিলাম কীভাবে এই বাৎসরিক জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন ১ শতাংশ করা যায়। এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়। আর আমাদের মিশন পূরণ করতে হলে আমাদেরকে তাই করতে হবে। এই পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখেই কাটগিলে উপস্থিত আমরা সবাই উত্তেজনা অনুভব করছিলাম।

আমরা বহু তর্ক-বিতর্কের পর সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ১৭টি দল, মোট ৫০০ লোকবল নিয়ে কাজ করবে। যাদের কাজ হবে, অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জড়িত ৫০০ লোকের সাথে পরামর্শ করা। কমিটি দুই বছর কাজ করল এবং ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট নাগাদ তখনকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে মোট ২৫টি রিপোর্ট পেশ করল। এটা একটা অসাধারণ ব্যাপার যে, কীভাবে বিভিন্ন বিভাগের লোকজন, একটি বিশেষ লক্ষ্যে জাতীয় উন্নয়নের জন্য একত্রে কাজ করল। TIFAC-এর কাজের পাশাপাশি আমি কৃষি এবং তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সম্পন্ন কাজগুলো সম্পর্কেও ওয়াকেবহাল থাকলাম। আমি ভীষণ আগ্রহ নিয়ে এই কাজ করতাম এবং এই ওয়াকেবহাল থাকার বিষয়টা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়।

.

দেশজুড়ে ভ্রমণ করে বেরিয়ে শিক্ষক, ছাত্র, প্রশাসক এবং কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আমি বুঝলাম কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়ে কাজ করা হলো আমার কাজের প্রথম অংশ মাত্র। যখন কেউ তার লক্ষ প্রকাশ করতে পারবে, এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে এবং সেই লক্ষের পক্ষ নিয়ে তর্ক করতে পারবে, তখন সেটা লক্ষ জীবন ফিরে পাবে।

আমি এ রকমটা করতে চেয়েছিলাম, নাগরিকদের সাথে কথা বলে। আলোচনা করে। আমি যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই মানুষজনের সাথে কথা বলেছি। আমি ভারতকে একটি জ্ঞানকেন্দ্রিক সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছি। এমন একটি দেশ, যেখানে প্রযুক্তি মানুষকে শক্তি এনে দেবে। একই সাথে আমাদের আধ্যাত্মিক দিকটিও ভিন্ন মাত্রা পাবে।

আমি ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করি। সেই সময়টা আমার জন্য বড় এক শিক্ষা হয়ে থাকবে। আমি যখন বুঝতে পারি, ভারত কত বড় এক বিস্ময়। মিডিয়া আমার নাম দিল “জনগণের প্রেসিডেন্ট’। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাকে এই উপাধি দেয়া হয়। আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, এই উপাধিটি পেয়ে আমি সত্যিকার অর্থেই আনন্দ পেয়েছিলাম। যখন আমি আমার যাত্রা শুরু করলাম, আমি বেশিরভাগ সময়ই আমাদের এই অতুলনীয় দেশটি ঘুরে বেরিয়ে, এর মানুষগুলোকে বোঝার জন্য চেষ্টা করেছি। আমি দেখতে চেয়েছিলাম, দেশের কিছু অংশের মানুষের জীবনধারা কেমন। কীভাবে পরিবেশ তাদের জীবনকে গড়ে তুলেছে। তাদের সমস্যাগুলো কী? এবং এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়। বলা হয়ে থাকে যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি প্রাক্তন সকলের চাইতে বেশি ভ্রমণ করেছি। লক্ষ্মদ্বীপ-এর পল্লী থেকে সুদূর উত্তরপূর্ব রাজ্য, সুদূর পশ্চিম অঞ্চল থেকে গভীর দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত প্রায় সব জায়গায়ই আমি গিয়েছি। কেবল লক্ষ্মদ্বীপে যাওয়া হয়নি। এবং সেখানে না যেতে পারার অনুশোচনা এখনও আমাকে ভোগায়। আমি সড়কপথে, আকাশপথে এবং রেলপথে তিনবার যাত্রা করেছি। রেলের প্রেসিডেন্সিয়াল বগি সকল প্রকার আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। যেখানে স্যাটালাইট এবং ডিপিএস সিস্টেমের সুবিধাও রয়েছে। সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমি প্রতিটি কোণ থেকে আমার এই দেশটিকে দেখেছি। এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।

এখন প্রশ্ন হলো : আমি বছরের পর বছর ধরে লাখো লাখো নারী-পুরুষ এবং শিশুদের সাথে দেখা করে কী শিখতে পেরেছি? আমি শিখেছি যে, সামাজিক জীব হিসেবে মর্যাদাবান ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের প্রশ্ন না করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। খোলাখুলিভাবে প্রশ্ন করতে অনেকটা সাহস এবং নির্ভীকতার পরিচয় দিতে হয়। এমনকি স্কুল পড়ুয়া তরুণ ছাত্রদের ক্ষেত্রেও এ- কথা সত্যি। এর মানে এই নয় যে, তারা প্রশ্ন করতে চায় না। তারা দ্বিধা নিয়ে উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করে, প্রশ্ন করার জন্য। একবার খালি প্রশ্ন করার সাহস দেখাতে পারলে, তাদের এই দ্বিধার বাঁধ ভেঙে যায়। তার জায়গায় আগ্রহ এবং কৌতূহল স্থান করে নেয়। আমাকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মহাকাশ, শিল্পকলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কেন আমি জীবনে বিয়ে করিনি। এমনকি এ-নিয়েও প্রশ্ন থাকে যে, আমার চুল কাটার ধরণ এমন কেন?

আমি প্রতিটি প্রশ্নেরই জবাব দেয়ার চেষ্টা করি। যতটা বর্ণনা এবং বিশদ বিবরণ দেয়া সম্ভব দেয়ার চেষ্টা করি। আমি তাদেরকে জানাই যে, আমি নিজেও একজন অন্তর্দ্বন্দ্বকারী। তাদের কাছ থেকেও আমার অনেক কিছু জানার আছে। আমি বুঝতে পারি, একজন ভারতীয় বলতে কী বোঝায়। আমি বুঝতে পেরেছি, আমাদের নিজস্ব জীবনধারা নির্বাহ করার মাধ্যমে আমরা কীভাবে সমাজ গঠন করেছি। আমি এ-ও বুঝতে পেরেছি যে, এই বোধগম্যতা দিয়ে কী হয়।

.

আমার প্রেসিডেন্ট জীবনের সময়কাল অনেক ধরনের রাজনীতি ঘটনাবহুলতায় পরিপূর্ণ। সে সম্পর্কে বিবরণ আমি আমার বই ‘টার্নিং পয়েন্টস’-এ দিয়েছি। দেশের সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদে থাকার জন্য, আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত হই। কীভাবে সংসদ এবং বাকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কাজ করে এবং একজন প্রেসিডেন্ট কীভাবে পরিবর্তন সাধন করতে পারে, এ-নিয়ে আমি বহু চিন্তা-ভাবনা করতাম।

আমার দায়িত্ব শেষ হলে আমি খুশিমনে আমার শিক্ষকতার পেশায় ফিরে যাই। এবং সেই পেশার কারণেই আমাকে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেরাতে হয়। আমি প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকতাম শিক্ষকতা এবং আমার প্রিয় প্রজেক্ট ‘ইন্ডিয়ান ২০২০’ এবং Providing Urban Amenities in Rural Areas (PURA) নিয়ে। আমি বহু শিক্ষার্থীর সাথে পরিচিত হতাম। দেশে এবং বিদেশের বিচিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ করে যাচ্ছিলাম এবং একই সাথে জাতীয় ক্ষেত্রেও অবদান রাখার চেষ্টা করছিলাম। আমি বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রমণ করেছি। সেখানকার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য বৃহৎ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছি।

তারা আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করত। তারা কোন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করবে, সেসব থেকে শুরু করে তাদের জেলা বা শহরের অবকাঠামো নিয়ে পর্যন্ত প্রশ্ন করত। এই বই আমার জীবনধারা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য লেখা নয়। এ-কাজ আমি আগেই করেছি। এই ছোট বইটি হলো, আমার লম্বা রাস্তার মাঝে ছোট একটি বিশ্রামকেন্দ্রের মতো। এটি মূলত এমন একটি জায়গা যেখানে হাইওয়ের পাশে আপনি বসে আছেন এবং অন্যান্য পথচারীকে পার হয়ে যেতে দেখছেন এবং আপনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই বইকে এভাবেও বলা যায় যে, আমার লম্বা রেল ভ্রমণের মাঝে ছোট্ট একটু বিশ্রামের সময়। মাদ্রাজ থেকে দেরাদুনে এক সময় ভ্রমণ করার সময় যে বিশ্রাম আমি গ্রহণ করতাম। এবার আমার চোখ কেবলমাত্র লক্ষ্যের দিকেই নিবন্ধ নয়। এবার আমি পেছনে ফিরে তাকিয়ে আমার মন্ত্রমুগ্ধ জীবনের সূচনার দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হব। আমি দেখতে পাচ্ছি, আমার বাবা নারকেল হাতে বাড়ি ফিরছেন। তার মাথায় চলছে সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা। আমি আমার মায়ের হাতের নড়াচড়াও দেখতে পাচ্ছি। মা কি করে আমাদের জন্য নারকেলের চাটনি এবং বিভিন্ন খাবার তৈরি করছেন। আর আমি খাবারের অপেক্ষায় রান্না ঘরে মেঝেতে বসে অপেক্ষা করছি। আমি আমার চোখ বন্ধ করলেই শুনতে পাচ্ছি, রামেশ্বরামে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন এবং বাতাসের তাণ্ডব। কীভাবে সাইক্লোন রামেশ্বরামে আঘাত হানল। সংবাদপত্র বিলি করতে করতে আমার পায়ের ক্লান্তি, আমি অনুভব করতে পারছি এবং কীভাবে পাঠকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে বের হতাম-তাও দেখতে পাচ্ছি পরিষ্কারভাবে। আমি পরিষ্কারভাবে আমার বাবার কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি। তিনি আমাকে বলছেন,

‘তোমাকে বড় কিছু হতে হলে এখান থেকে দূরে যেতে হবে। সীগাল কী গৃহহীনভাবে সূর্যের কাছে যাওয়ার জন্য আকাশে উড়ে না? তোমাকে পরিবারের মায়া কাটিয়ে উঠতে হবে। নিজের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দূর-দূরান্তে যেতে হবে। আমাদের ভালোবাসা তোমাকে অন্ধ করে দেবে না। আমাদের প্রয়োজনও তোমাকে বেঁধে রাখবে না।’

.

এই বিশ্রামকেন্দ্রে আমি আমার সহযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছি। যাদের সাথে আমি আরেকবার পথ চলতে পারব। লক্ষ্মণ শাস্ত্রী, ইয়াদুরাই সলোমন, আহাম্মদ জালালউদ্দীন, ড. ভিকরম সারাভাই—যাঁরা আমাকে গড়ে তুলতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছেন এবং চিন্তাভ-বন গড়ে দিয়েছেন। তাঁদের সাথে আবারও পথ চলতে চাই আমি। তাঁদের গল্প বলতে গিয়ে, তাঁদের হারানোর বেদনা আমি আরো গভীরভাবে অনুভব করতে পারছি। তাঁরা আমাকে ছেড়ে চলে যাবার পরও তাদের স্মৃতি আমার সাথেই রয়ে গেছে। আর আমার প্রিয় পাঠকেরা, আমি যখন এই সব মহৎ লোকের গল্প আপনাদেরকে শুনিয়েছি, তখন আপনারা নিশ্চয়ই এঁদের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরেছেন? তাঁরা কীভাবে আমার জীবনে এসেছিলেন, তাও নিজের কল্পপটে দেখতে পেয়েছেন। চিন্তা-চেতনা এবং জ্ঞান-বুদ্ধির আদান-প্রদান-আনন্দ এবং রাজনীতির বক্র জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, পড়ালেখা, আবেগ, ক্ষমাশীলতা-এসবই আমার জীবনের অংশ। আমি পুরো বিশ্বের সামনে আমার জীবনকে তুলে ধরলাম। যেকোনো পূর্ণ জীবনই চিন্তা এবং আবেগ-অনুভূতির সমন্বয়ে গঠিত। তাই আমার জীবন সম্পর্কে পড়ে অনেক পাঠকেরই হয়তো স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার স্পৃহা জেগে উঠবে, সহযোগিতা করবে দেশ- জাতির জন্য নতুন কিছু গড়ে তুলতে। আমি বিশ্বাস করি, জীবন নামক বিরাট নাট্যমঞ্চে আমি আমার ক্ষুদ্র ভূমিকাই পালন করেছি। আমার নিয়তি আমাকে পালন করিয়েছে।

1 Comment
Collapse Comments

One of Best book i have ever read.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *