৮ম অধ্যায় – নীলনদের গান : প্রাচীন মিশরীয় ধর্মীয় সংগীত

৮ম অধ্যায় – নীলনদের গান : প্রাচীন মিশরীয় ধর্মীয় সংগীত

মুখবন্ধ

প্রাচীন মিশরীয় ধর্মীয় সংগীত বহুযুগ ধরে মিশরীয় ধর্ম সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য ও মহার্ঘ্য অংশরূপে পরিচিত। মিশরীয় সংগীতের দেবতা হলেন—’থথ’ যিনি সর্বপ্রথম মিশরীয় লোকসংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনে সংগীতের প্রচলন ঘটান। নানান মিশরীয় গুহাচিত্রে এঁকে বীণাবাদনরত অবস্থায় দেখা যায়। বহু পণ্ডিত ও সংগীতজ্ঞদের মতে প্রাচীনতম এই সভ্যতাতেই সর্বপ্রথম বাদ্যযন্ত্রের, যেমন—বীণা, হার্প, বাঁশি, ক্ল্যারিওনেটের ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায়। ইজিপ্সিয়ান লোকসংগীত যার একটি বৃহৎ অংশ সনাতনী সুফি ‘জিকর’-এর অন্তর্গত ইজিপ্সীয় ধর্মীয় ভাবধারায় বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।

সাধারণত আধুনিক মিশরীয় সংগীতে নানান লোকায়ত সংস্কৃতি যেমন তুর্কি, আরবি ও পাশ্চাত্য সংগীতের মেলবন্ধন পাওয়া যায়। আরবি সংগীত মূলত সিরিয়াতে সপ্তম শতাব্দীতে ‘উমেদ’ বা ‘উমায়াদ’ শাসনতন্ত্রে সূচনা হয়। প্রাচীন আরবি সংগীতে বস্তুত বাইজানটাইন, ভারতীয় ও পারসিক সংগীতের প্রভাব গভীরভাবে পরিলক্ষিত হয়। আবার এই সাংগীতিক ধারাগুলি যথাক্রমে প্রাচীন গ্রিক, সেমিটিক ও প্রাচীন ইজিপ্সীয় সংগীতে অনুপ্রাণিত।

পৃথিবীর তিনটি প্রাচীনতম পুথি বা গ্রন্থের অন্যতম হল মিশরীয়দের মৃতের লিপি বা The Egyptian book of the dead। মিশরীয়দের মৃতের লিপি হল অবিস্মরণীয় কিছু প্রাচীন মন্ত্রের এক অনবদ্য সংকলন। এর মধ্যে কিছু এলিজি (শোকগাথা), বীরগাথা (Heroic epic) এবং কিছু জাদুমন্ত্র (Magical witchcraft rhymes) আছে। আছে কিছু প্রার্থনাও। এইসব মন্ত্রগুলি ‘হায়রোগ্লিফিকস’ নামক চিত্রলিপিতে ‘প্যাপিরাস’-এর ওপর লেখা। এগুলি বেশির ভাগই Pyramid text যা বিভিন্ন ইজিপ্সীয় মন্দির ও সমাধিধারে খোদিত থাকত। মূলত ইজিপ্সীয় পুরোহিত যাজক সম্প্রদায়ের লোকেরা এগুলি সুর করে করে, গেয়ে গেয়ে পড়তেন।

১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ইজিপ্সিয়ান বা মিশরীয় পপসংগীত মিশরীয় জনজীবনে আধুনিকতার এক নতুন জোয়ার আনে, বিশেষত তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে। মূলত এই পপসংগীত আধুনিক মিশরের লোকসংগীতের এক বিবর্তিত রূপ যা মূলত নানান সামাজিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গাওয়া হত। এই জনপ্রিয় মিশরীয় পপসংগীতে মহম্মদ মুনীর ও আমির দীয়াবের নাম উল্লেখযোগ্য। পপসংগীত ও তার আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ধর্মীয় সাংগীতিক ধারাবিবর্তনও লক্ষণীয়, যার মধ্যে প্রাচীন ইসলামিক আচার-অনুষ্ঠান দেখা যায়। এই একই সময়ে ‘নে’ (ইজিপ্সিয়ান বাঁশি), ‘আউদ’ (তারযন্ত্র) ইত্যাদির বহুল প্রচলন মিশরীয় ধর্মীয়- সংগীতে পাওয়া যা সত্যিই অভাবনীয়।

মিশরের আধুনিক লোকসংস্কৃতি

প্রাচীন মিশরের ধর্মীয় সংগীতের আখ্যান নানান পৌরাণিক লেখার উদ্ধৃত। এর মধ্যে দশম শতাব্দীতে আবু আল-ফারাবির লেখা ‘কিতাব-উল-মিউসিকি আল কবীর’ উল্লেখযোগ্য। আল-গাজালীর নানান লেখাতেও মিশর ও আররি সংগীতের আখ্যান পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এর বহুল পরিবর্তন ঘটে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় মিশরীয় সংগীতে এক নতুন দিগদর্শন উন্মুক্ত হয়। এই সময়েই আব্দুল হামুলী, আলমায, মাহমুদ ওসমান-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই সকল অসাধারণ মিশরীয় সংগীতকারেরা প্রাচীন লোকসংগীত শিল্পী খেদিভ ইসমাইলের অনুগামী যিনি নিজে সৈয়দ দরবেশ, উম খুলতুম, মহম্মদ ওয়াহাব, জাকারিয়া আহমেদ প্রমুখ ইজিপ্সীয় সাংগীতিক কিংবদন্তীদের সংগীত রচনায় অনুপ্রাণিত ছিলেন।

বস্তুত আধুনিক ইজিপ্সীয় লোকসংগীতের ধারায় সবচেয়ে বেশি অবদান যাঁর তিনি হলেন বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতজ্ঞ সৈয়দ দারবেশ, যিনি প্রথম প্রাচীন ইজিপ্সিয়ান লোকসংগীতের সঙ্গে পাশ্চাত্যের আধুনিক সংগীতের সমন্বয় ঘটান। প্রাচীন ইজিপ্সিয়ান ধর্মীয় সংগীতকে আরও একবার নতুন করে জনসমক্ষে দারবেশই নিয়ে আসেন। আজও এঁর রচিত নানান গান, দোঁহা, মরসিয়া মিশরীয় ইসলামিক সমাজের নানান আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এঁর সমসাময়িক ‘কুলখুম’ আরেক জ্যোতিষ্ক। এঁকে মিশরীয় লোকধর্মীয় সংগীতের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত শিল্পীরূপে জানি। এছাড়াও আদ-অল হালিম হাফিজ আরেক অনন্যসাধারণ সংগীতজ্ঞ যিনি প্রথম ইজিপ্সিয়ান জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে তার সংগীত রচনার মাধ্যমে উদবুদ্ধ করে থাকেন।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় মিশরীয় সংগীতের ধার্মিক প্রেক্ষাপটে আধুনিকতার ঢেউ ওঠে। ইজিপ্সীয় সংগীতকারেরা তাদের মূল থেকে বিচ্যুত না-হয়ে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও সমাজতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জোয়ার আনেন। আধুনিক পপসংগীতের পাশাপাশি উঠে আসে প্রাচীন লোকসংস্কৃতি ও ইজিপ্সীয় ধর্মীয় সংগীত চেতনা যার মধ্যে ‘ফেলাহীন’, ‘নুবিয়ান’ ও ইজিপ্সীয় বেদুইন-দের লোক-ধর্মীয় সংগীত উল্লেখযোগ্য। আব্দুল ইসকানদ্রাণী ও আইদিল গার্নিনি-র মতো বিখ্যাত সংগীতজ্ঞদের প্রভাবে এই সংগীত এক বিশেষ ‘মোকাম’ অর্জন করে।

প্রকারভেদ

প্রাচীন মিশরের নানাবিধ বৈচিত্র্যের পাশাপাশি মিশরীয় লোকধর্মীয় সংগীতের জগতেও বিপুল পরিবর্তন এসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া একে করে তুলেছে আরো সমৃদ্ধ। নিম্ললিখিত আলোচনায় বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত ও বিবর্তিত মিশরীয় ধর্মীয় সংগীতের নানা প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হল :

১. কপটিক ·(coptic)

মূলত মিশরীয় খ্রিস্টান গোষ্ঠীকে বলা হয়ে থাকে ‘কপটিক’। প্রাচীন মিশরীয়-খ্রিস্টান চার্চে এই ‘কপটিক’ বা মিশরীয় খ্রিস্টান সংগীতের প্রচলন হয়। ‘কয়্যার’ সংগীত হিসেবেই এটি গাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষত এই ‘কপটিক’ সংগীতে নানান ধরনের বাদ্যযন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, যার মধ্যে—’ক্রিম্বাল’ ও ‘ট্রায়াঙ্গল’ উল্লেখযোগ্য। বাইবেল ও মিশরের লোকায়ত নানান স্তোত্র বা স্তুতি এই ‘কপটিকে’ গাওয়া হয়ে থাকে। প্রাচীন মিশরের নানান সাংগীতিক ধারা যার মধ্যে সিরিয়ান (মিশরীয় কপটিক চার্চে ‘স্যামি’ নামে পরিচিত) ও বাইজানটাইন (‘রুমি’ বা ‘রোমান’ নামে মিশরীয় কপটিক চার্চে পরিণত) ইত্যাদির এক অভূতপূর্ব সংমিশ্রণ ও সুরমূর্ছনা এই প্রাচীন মিশরীয় ধর্মীয় সংগীতের ইতিহাসে পাওয়া যায়।

২. সাইদি

ষোড়শ শতকের প্রথম ভাগে মিশরীয় ধর্মীয় সংগীতে ‘সাইদি’-র উল্লেখ পাওয়া যায়। মূলত ‘সাইদি’-রা হল মিশরের উত্তরখণ্ডের একটি বিশেষ জনগোষ্ঠী এবং এদের লোকসংগীত ও এদের নামে অর্থাৎ ‘সাইদি’১০ নামে পরিচিত। এদের সংগীতে প্রাচীন মিশরের নানান ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মাচরণের প্রসঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। বহু প্রাচীন যন্ত্রসংগীত ও কণ্ঠসংগীতের এক অসাধারণ যোগসূত্র ‘সাইদি’তে পাওয়া যায়। একই সঙ্গে প্রাচীন পুথি থেকে নির্বাচিত ধর্মীয় স্তুতি ও মন্ত্রোচ্চারণও ‘সাইদি’-র অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বিখ্যাত ‘সাইদি’ সংগীতকার—মেকাল কেনাওরী-র নেতৃত্বে ‘Les Musicines du nil’ (নীলনদের গান) নামক একটি জনপ্রিয় ‘সাইদি’ সংগীতগোষ্ঠীর প্রবর্তন হয় যা বিশ্বসংগীতের দরবারে মিশরীয় লোকসংগীতকে প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যান্য বিখ্যাত ‘সাইদি’ সংগীতকারদের মধ্যে—আহমেদ ইসমাইল, ওমর গাজাওয়ী, সোহার মাগদী প্রমুখ উল্লেখনীয়।

৩. নুবিয়ান

মূলত দক্ষিণ মিশরের ও উত্তর সুদানের প্রাচীন জনগোষ্ঠী হল—’নুবিয়ান’১১। এদের বেশ কিছু অংশ কায়রো ও মিশরের অন্যান্য শহরে বিস্তৃত। মিশরের অন্যতম প্রাচীন লোকধর্মীয় সংগীত হল ‘নুবিয়ান’ সংগীত যা আজও মিশরের নানান অঞ্চলে শুনতে পাওয়া যায়। বিখ্যাত ‘নুবিয়ান’ সংগীতকারেদের অন্যতম আলি হাসান কুবান ও মহম্মদ মুনির এই প্রাচীন লোকধর্মীয় সংগীতের সঙ্গে আধুনিক জ্যাজ ও পপের সার্থক মেল ঘটান। এই বিশেষ লোকধর্মীয় সংগীতটি মূলত ইজিপ্সীয় আরাবিক ও প্রাচীন নোবিন ভাষায় চর্চিত হয়ে থাকে। পরবর্তীকালে বিখ্যাত মিশরীয় সংগীতজ্ঞ হামজা আল-দিন-এর তত্ত্বাবধানে ‘নুবিয়ানে’ আন্তর্জাতিকরণ ও প্রভূত ব্যাপ্তি লাভ হয়।

৪. শাবীহ

প্রাচীন মিশরের অন্যতম প্রাচীন লোকধর্মীয় সংগীতধারা হল—’শাবীহ’। পূর্বউল্লিখিত অন্যান্য প্রাচীন মিশরীয় সংগীতধারাগুলির মতোই এর বৈশিষ্ট্য। পরবর্তীকালে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে এতেও আধুনিকতার ছাপ পড়ে। মূলত ‘শাবীহ’১২ প্রাচীন মিশরীয় সমাজ, ধর্ম, লোকাচার ও জনসংস্কৃতিকে তুলে ধরে। বিভিন্ন ধর্মীয় ভাবধারার মেলও এই ‘শাবীহ’-তে দেখা যায়। হাসান হাকিম ও সাবান আদেল রহিমের মতো বিখ্যাত ‘শবীহ’ সংগীতকারদের অনুদানে আজ এটি অতিশয় সমৃদ্ধ ও ধর্মীয় ভাবধারাকে পরিলক্ষিত করে।

৫. আল জিল

‘আল জিল’-এর প্রথম নথিকরণ হয় সত্তরের দশকে। মূলত এটি একটি প্রাচীন মিশরীয় ধর্মীয় নৃত্য-শৈলী। কিংবদন্তি আছে বিখ্যাত মিশরীয় রানি নেফারতিতি নাকি এই নৃত্যে বিশেষ পারঙ্গমা ছিলেন। প্রাচীন মিশরীয় নানান পুথিতে ‘আল জিল’১৩-এর উল্লেখ পাওয়া যায় এবং নানান ইজিপ্সীয় দেবদেবীদের মনোরঞ্জনের জন্য এই নৃত্যশৈলীর প্রচলন হয়েছিল। আজও নানান ইজিপ্সীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে—’আল জিল’-র ব্যবহার হয়ে থাকে। উত্তর আধুনিককালে পপ, রক ও র‌্যেগে জাতীয় বহিঃদেশীয় লোকসংগীতের প্রভাবে এটি বিশেষ প্রভাবান্বিত হয়।

পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রভাব

মূলত ঊনবিংশ শতকের একেবারে প্রথমভাগে সমাজতন্ত্রের হাত ধরে পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয় সংগীতের (western classical music) সঙ্গে মিশরীয়দের পরিচয় ঘটে। ধীরে ধীরে মিশরীয় যন্ত্রসংগীতে পিয়ানো, বেহালার সঙ্গে সঙ্গে নানান ড্রামস ও ক্ল্যারিওনেটের ব্যবহার শুরু হয়। তার অনেক আগেই অবশ্য প্রাচীন কগটিক চার্চ সংগীতের সাথে সাথে পাশ্চাত্য দর্শন, সাহিত্য ও সংগীতের সাথে মিশরীয়দের পরিচয় ঘটেছিল। এই সময়ে মিশরে প্রথম ‘অপেরা’র প্রচলন ঘটে। এক্ষেত্রে ‘গিওসফ ভাদি’-র মিশরীয় নাটক আইদা ১৪ (Aida) বা আদা প্রথম মঞ্চস্থ হয় ডিসেম্বর ২৪, ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে কায়রোতে।

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এক ঝাঁক নতুন মিশরীয় সংগীতকার যেমন—ইউসুফ গ্রেইস, আবুবকর খয়রাত, হাসান রশীদ প্রমুখ মিশরীয় লোক এবং ধর্মীয় সংগীতে বিরাট বিবর্তন আনেন। পরবর্তীকালে এই সাংগীতিক ধারা গামালি আবদেনারহিম, রাগেহ দাউদ, আহমেদ আল-সায়েদী ও মহম্মদ আবদেলফতাহ প্রমুখ প্রতিভাধর সংগীতজ্ঞদের হাত ধরে প্রভূত বিবর্তনের মাধ্যমে সর্বজনবিদিত হয়।

উপসংহার : পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা মিশরের সাংগীতিক ইতিহাস যথেষ্টই রোমাঞ্চকর। ইজিপ্সিয়ানদের বিখ্যাত পৌরাণিক পুথি—মৃতের লিপি থেকে আধুনিক শাবীহ ১৫ পর্যন্ত এই বিবর্তনের ধারা সর্বদাই পৃথিবীকে নতুন নতুন সংগীত ও তার প্রকৃত সুরদৃষ্টি দিয়েছে। প্রাচীন ইজিপ্সীয় ধর্মাচারণের সময় থেকে জাত এই বিশেষ সাংগীতিক ধারাটি আজও পৃথিবীর কাছে এক অপার বিস্ময়। প্রাচীন ইজিপ্সীয় গুহাচিত্রে ও এই সভ্যতার সাংগীতিক রূপের পরিপূর্ণ প্রতিফলন দেখা যায়। আজও এই প্রাচীন সংগীত পুরাকাল থেকে তার সামাজিক, রাজনৈতিক দর্শন ও সাংগীতিক ভাবাদর্শের জগতে সমানভাবে অবিরত সৃষ্টির জয়ডঙ্কা বাজিয়ে চলেছে এবং আশা করা যায় নীলনদের এপার-ওপার দু-কূল ছাপিয়ে এই সংগীত বিচরণ করবে গোটা পৃথিবীর বুকে। আমরা আশাবাদী। ইজিপ্সীয় মতে এই আশাবাদেরও একটি সাংগীতিক চেহারা বর্তমান, চিরমলিন ও অবিনশ্বর।

***

৮ম অধ্যায়
 নীল নদের গান : প্রাচীন মিশরীয় ধর্মীয় সংগীত

১. lan Shaw (2004) ; The Oxford History of Ancient Egypt, OUP, 978019280487, p. 153

২. Scott L. Marcus (2006) The Music in Egypt, OUP, 9780195146455, p. 59

৩. Ibid, p. 116

৪. Robert P. Winston (2008) ; The Egyptian book of the Dead, Penguin, 978001490455502, pp. 24-27

৫. Scott L. Marcus, p. 134

৬. Sayed Hussein Nassir and Mehdi Aminrazavi (2007) ; An Anthology of philosophy in Persia, vol. 1, 1, 1B. Tauris, p. 135

৭. Virginia Danielson (1998) ; The voice of the Egypt, University of Chicago Press, 9780226136127, p. 95

৮. Ibid, pp. 186-188

৯. Scott L. Marcus, p. 98

১০. Ibid, p. 127

১১. lan Shaw, p. 289

১২. Ibid, pp. 299-302

১৩. Irena Lexova (1999) ; Ancient Egyptian Dances, Dover Press, 9780486409061, pp. 37-39

১৪. Ibid, p. 56

১৫. Ibid, p. 137

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *