৪। পারস্পরিক সহমর্মিতায় রাষ্ট্রপতি

৪. পারস্পরিক সহমর্মীতায় রাষ্ট্রপতি

আন্তরিকতা হৃদয় থেকে উৎসারিত
সর্বশক্তিমান ছাড়া কেউ তা দিতে পারে না।

.

আমার জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। এটা এমন একটা প্লাটফরম যেখান থেকে ইন্ডিয়া ২০২০ মিশনকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তবে আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য, শাসকশ্রেণী, শিল্পী, লেখক, যুবসমাজ সহ সমস্ত নাগরিকের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এই লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব। এই মিশনকে সফল করার জন্য সকলকে মুখোমুখি আলোচনায় অংশ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপতির পদ পাবার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এই সুযোগ লাভ করলাম। আমি সামাজিক অঙ্গনের বিশেষ করে যুবক-যুবতী ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম হলাম। এটা ছিল আমার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের বাইরে অতিরিক্ত কাজ। রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সরকার যে পদক্ষেপই নেয় তার প্রত্যেকটি ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। বিল এবং অডিন্যান্স যা কিছুই সংসদে পাশ হয় তাতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন হয় যা থেকে সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষিত হয়। রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার নিজের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা নেই। আমি অনুভব করলাম রাষ্ট্রপতি নাম মাত্র সরকার প্রধান। যদিও বিভিন্ন ফ্রন্টে কাজ করার সুযোগ রাষ্ট্রপতির আছে। রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে সমাজের বিভিন্ন সেকশনের উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন। রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগতভাবে পার্টি কিংবা ক্ষমতায় আসীন জোটের শক্তি যাচাই করতে পারেন। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য না থাকলে তারা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি রাজ্যের গভর্নরদেরকে তাদের রাজ্যের কাজ চালিয়ে যাবার জন্য উপদেশ দিতে পারেন।

রাজ্যের প্রধান হিসাবে তিনি জনগণের আশা আকাঙ্খাকে সংসদে তুলে ধরতে পারেন। আমার লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রপতিভবনকে জনগণের জন্য অধিক সহজলভ্য করে তাদেরকে বোঝানো জাতির সমৃদ্ধির জন্য তাদের অংশগ্রহণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষ্যে জনগণের সাথে আমি সম্পৃক্ত হলাম পারস্পরিক সহমর্মিতায়।

প্রথমে আমি রাষ্ট্রপতিভবনে ই-গভার্ন্যান্স চালু করার পদক্ষেপ নিলাম। কম্পিউটার ব্যবহার করা হলো। আমি অনুভব করলাম এই প্রক্রিয়া আরো দ্রুততার সাথে করা দরকার। আমরা রাষ্ট্রপতির সেক্রেটারিয়েটে আসা ফাইলপত্র, ডকুমেন্ট এবং পত্রাদিকে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে বার কোডে রক্ষিত করার সিস্টেম প্রবর্তন করতে প্রয়াসী হলাম। অন্যদিকে, কাগজের ফাইলগুলো আর্কাইভে সংরক্ষিত থাকবে। তারপর থেকে ইলেকট্রোনিক যন্ত্রে সংরক্ষিত ফাইলগুলো প্রয়োজনে অফিসার, ডিরেক্টর, সরকারের সেক্রেটারি এবং রাষ্ট্রপতির কাছে বিষয়ের গুরুত্ব অনুসারে পাঠানো যাবে।

আমার স্বপ্ন ছিল একটা সিস্টেম চালু করা যার সাহায্যে রাষ্ট্রপতিভবনের সাথে প্রধানমন্ত্রী ও গভর্নরের অফিস এবং মন্ত্রণালয় সংযুক্ত হবে। জিংজি ই- গভার্ন্যান্স সিস্টেমের দ্বারা ডিজিটাল সিগনেচারের মাধ্যমে মেসেজিং নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। আমরা সিস্টেমটা পরীক্ষা করে দেখেছিলাম। এটা বাস্তবায়ন করার অপেক্ষায় ছিলাম। এক সময় আমি আশা করলাম আমার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। আমরা রাষ্ট্রপতির সেক্রেটারিয়েটের নয়টা সেকশনে ই-গভার্ন্যান্স চালু করে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করলাম। স্বাভাবিকভাবে নাগরিকদের কাছ থেকে পাবলিক সেকশন -১ এ আসা কুড়িটা আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। অন্য দিকেই-গভার্ন্যান্স চালু করায় পাঁচ ঘন্টায় চল্লিশটি আবেদনের নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলো। আমি আশা করলাম রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলোতেও এই সিস্টেম চালু করা যেতে পারে।

.

আমার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেবার প্রথম দিকে বিভিন্ন রাজ্য ও ইউনিয়ন টেরিটোরিস এর সদস্যদেরকে কয়েক দফায় রাষ্ট্রপতিভবনে ব্রেকফাস্টে দাওয়াত করলাম যাতে উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রাথমিক মতবিনিময় করা যায়। এই মিটিংগুলো ২০০৩ এর ১১ মার্চ থেকে ৬ মে এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হলো। তারা আমার মনের ইচ্ছাগুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন।

প্রত্যেকটা মিটিং এর বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে আমার টিম আর আমি কয়েক সপ্তাহ ব্যয় করি। আমরা প্রত্যেকটা রাজ্যের উন্নয়ন সম্পর্কে সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই করে গবেষণা চালাই। আমরা প্লানিং কমিশন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরগুলোর ও আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সম্পর্কিত ডকুমেন্টগুলো থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করি।

তথ্যাদি পর্যালোচনা করে উপাত্তসমুহ গ্রাফিক ফরম আর মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করি। মিটিংগুলোতে সাংসদদের কাছে তিনটি ক্ষেত্রের উপর গুরুত্ব আরোপ করে আমরা আমাদের রূপরেখা তুলে ধরি। সেই রূপরেখাগুলো ছিল- ১) ভারতের উন্নয়নের জন্য ভিশন বা রূপকল্প ২) নির্দিষ্ট রাজ্য ও ইউনিয়ন টেরিটোরিস এর হেরিটেজ রক্ষণাবেক্ষণ ও ৩) হেরিটেজগুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করা।

বিহারের সাংসদদের সাথে আমাদের প্রথম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। বিহার রাজ্যের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে যেসব তথ্য উপাত্ত সাংসদরা তুলে ধরেন তাতে আমি উৎসাহিত হই। বিহারের সাংসদরা সভার সময় বাড়িয়ে দেবার অনুরোধ জানালে সময় বাড়িয়ে ৬০ মিনিট থেকে ৯০ মিনিট করা হয়। প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বিহারের আসল চিত্র উঠে আসে। অনেক সাংসদ তাদের রাজ্যটির উন্নয়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে বক্তব্য পেশ করেন। মিটিং শেষ হলে আমরা সবাই খুশি হই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মিটিংগুলোর প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি। প্রত্যেক এলাকার অভাব অভিযোগ সম্বন্ধে আমি অবগত হই। সাংসদদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে আমি সাংসদদের সাথে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ পাই। মাঝে মাঝে আমি তাদের সাথে টেলিফোনে কথাবার্তা বলতে কিংবা সাক্ষাতে আলাপ-আলোচনা করতেও সক্ষম হই। বহু সংখ্যক বিশেষজ্ঞদের সাথে ইন্ডিয়া ২০২০ মিশনের বিষয়ে মতবিনিময় করতে থাকি। ব্রেকফাস্ট মিটিং এর ফলে আমি আমার মিশনের ভবিষ্যত সম্পর্কে আশ্বস্ত হলাম। সাংসদরা আমাকে অনেক অনেক আইডিয়া দিলেন। আমি ২০২০ ইন্ডিয়া মিশন সম্পর্কে পার্লামেন্টে এবং বারটা স্টেট অ্যাসেম্বলিতে কমপক্ষে নয়টা বক্তৃতা দিলাম। রাজ্যসমুহের পানি সম্পদ, কর্মসংস্থান, জনস্বাস্থ্য, গ্রামীণ যোগাযোগ, শিক্ষা প্রসার সহ নানা বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সেই সমস্ত আমি সাংসদদের কাছে উপস্থাপন করলাম। আমি কেন্দ্রের ও রাজ্যের চেম্বার অব কমার্সে ইন্ডিয়া ২০২০ ভিশন বাস্তবায়নের জন্য বক্তব্য দিলাম। পরবর্তীকালে আমি ভিশন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উন্নয়নের দশটি দফা পেশ করলাম। এই দশটা দফা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই সম্পর্কে আমি পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করলাম।

এই দশ দফাগুলো হচ্ছে :

১. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য থাকবে না।

২. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে বিদ্যুত ও পানির সমবন্টনের নিশ্চয়তা থাকবে।

৩. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতের মাঝে সমতা বজায় থাকবে।

৪. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে শিক্ষার ক্ষেত্রে মেধাবী প্রার্থীদের জন্য সামাজিক আর অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না।

৫. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রী, বিজ্ঞানী এবং বিনিয়োগকারীদেরকে সহায়তা দানের নিশ্চয়তা থাকবে।

৬. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা থাকবে।

৭. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে সরকার স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত আর জবাবদিহি থাকবে।

৮. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যেখানে সম্পূর্ণরূপে দারিদ্রতা, ও অশিক্ষা দূরীকরণ, মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধরোধ, নিরাপত্তাহীনতার অভাববোধ থাকবে না।

৯. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যা হবে সমৃদ্ধশালী, স্বাস্থ্যবান, নিরাপদ, সুখ শান্তিতে ভরা টেকসই উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডেরর আধার।

১০. এমন একটা দেশ গড়তে হবে যা হবে বসবাসের জন্য সুন্দরতম স্থান যার ফলে এদেশের নেতৃত্বদানকারীদের প্রতি সবাই গর্বিত থাকবে।

ব্রেকফাস্ট মিটিং থেকে একথাই প্রকাশ পেল দেশের নেতাদেরকে দলাদলির উর্ধ্বে থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে। রাষ্ট্রপতিভবন দলাদলি মুক্ত স্থান হতে হবে। জাতি দেখতে পাবে প্রত্যেক সাংসদের জন্য রাষ্ট্রপতিভবনের দ্বার উন্মুক্ত। সাংসদদের সাথে রাষ্ট্রপতিভবনের মিটিংয়ের সুবাদে আমি দুই হাউসে আরো দশবার ভাষণ দেবার সুযোগ পেলাম। আমার বক্তৃতা দেবার কালে সেন্ট্রাল হলে পিনড্রপ নীরবতা বিরাজ করতো। সংসদে আমাকে দু’ধরনের ভাষণ দিতে হয়। একটা ছিল পুরোপুরি সরকারের প্রথাগত ভাণ, উদাহরণ স্বরূপ বলতে হয় পাঁচটা বাজেটকালীন বক্তৃতা, সেগুলোতে সরকারের উপস্থাপনা স্বত্ত্বেও আমি তার মাঝে আমার কিছু চিন্তা চেতনা অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম যার উপর আমি আলোচনা করতে চেয়ে ছিলাম। আর বক্তৃতাগুলো ছিল আমার নিজস্ব ধ্যানধারণা প্রসূত। বাজপেয়ী ও ড. সিং আমার পরামর্শগুলো গ্রহণ করতেন। আমি এই ফোরামে সাংসদদের কাছে ব্যক্ত করেছিলাম জাতি গঠনে তাদের দায়িত্ব আর ভূমিকার কথা। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ১৫০ বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে ২০০৭ এ আমি সাংসদদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দান করি। আমি আমার ভাষণে সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্য দায়িত্ববান হতে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বললাম, ‘সত্যিকারের মুক্তি ও স্বাধীনতা আন্দোলন আজও শেষ হয় নি; আমাদের গল্প আজও ব্যক্ত হয় নি… এখন সময় এসেছে পার্লামেন্ট ও লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির জন্য সেই গল্প বলার। নতুন একটা ভিশন আর নেতৃত্ব আমাদের জাতিকে শুধুমাত্র আলোকিত, একতাবদ্ধ, একই সুরে গাঁথতে এবং সমৃদ্ধশালী করতেই পারে না, আরো পারে জাতিকে সুরক্ষিত আর উন্নত করে সীমান্তের আক্রমণকে প্রতিহত করতে…

জাতীয় নেতৃত্বকে আমাদের জনগণের আস্থা অর্জন কল্পে ন্যাশনাল মিশনের রূপরেখা তৈরি করা এবং তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানো প্রয়োজন। বিগত ষাট বছরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য ভারত গর্বিত। আমরা কিন্তু অতীতের অর্জনের কথা ভেবে শুধুমাত্র তৃপ্ত থাকতে পারি না। প্রযুক্তি, শিল্প ও কৃষিতে সাম্প্রতিক কালে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার কথা না বললেই নয়। আমাদের বহুবিধ চ্যালেঞ্জের জবাব দেবার প্রয়োজন হয়েছে। বহুদলীয় কোয়ালিশন নিয়মিতভাবে সরকার গঠন করে আসছে। স্থিতিশীল সরকার গঠন করা দুই পার্টি সিস্টেমের উপরই নির্ভর করে। গ্লোবাল টেরোরিজম, নতুন ধরনের অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলার সমস্যা মোকাবিলার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। আমি আরো বললাম, সম্মানীত সাংসদগণ, যখন আমি আপনাদের দেখি বিশেষ করে তরুণকে তখন আমি আপনাদের মধ্যে মহাত্মা গান্ধী, ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, সুভাষচন্দ্র বোস, ড. আমবেদকর, আবুল কালাম আজাদ, রাজাজী সহ আমাদের বহু নিবেদিত নেতাদের আত্মার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। আপনারা কি পারেন ভারতের অন্যতম একজন হতে? হ্যাঁ,আপনারাও পারেন ২০২০ এর আগে আপনারা ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, সুখী, শক্তিশালী সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। সম্মানীয় সাংসদবৃন্দ, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাদের আছে কাজ করার অনেক অনেক উদ্যম পার্লামেন্টের ভিতরে এবং বাইরে। ইতিহাস আপনাদেরকে মহান কাজ সমাধা করার জন্য মনে রাখবে। সাহসী আর গতিশীল এই মিশনের জন্য আপনাদেরকে ক্ষুদ্র আর বিভেদমূলক কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

.

যখন আমি অবিরতভাবে স্টেট অ্যাসেম্বলি ও পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যদের কাছে ইন্ডিয়া ২০২০ এর ভিশনকে তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলাম তখন আমার গভর্নরের অফিস ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়েছিল। একই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতিভবনে গভর্নরদের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৩ এবং ২০০৫ এর সময়কালটা এ জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০০৫ এর গভর্নরদের কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিং তার সরকারের ওয়াদা নিশ্চিতকরণ করেছিলেন এই বলে যে ভারত এই উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য কাজ করে যাবে। কনফারেন্সে দেওয়া তার উদ্দীপনাময় বক্তব্য ভুলে গেলেও তিনি যা বলেছিলেন তা বিশেষভাবে আমি স্মরণ করছি উন্নয়ন দ্রুততর করার জন্য এটা তার একটা গুরুত্বপূর্ণ ওয়াদার কথা ছিল। বাজপেয়ী বলেছিলেন যে প্রশাসনিক পদ্ধতি প্রত্যেকটা অংশকে অবশ্যই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে চিহ্নিত করতে হবে এবং আগে ভাগে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাকে উপলব্ধি করা লাগবে। আমি বুঝতে পারি একই লক্ষ্যে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টকে প্রণোদিত করে কাজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। গভর্নরদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের দিয়ে কিছু বলানো একটা অনধিকার ফ্যাশন। মোটের উপর এমন একটা পরিবেশের সৃষ্টি করা যাতে প্রত্যেক অংশ গ্রহণকারী সমস্যাবলী চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করার লক্ষ্যে আলোচনা করতে পারেন।

২০০৫ এর কনফারেন্সের প্রাক্কালে ড. মনোমোহন সিং রাষ্ট্রপতি অফিসের দ্বারা প্রণীত এজেন্ডার উপর ভিত্তি করে তার সমস্ত ক্যাবিনেট মেম্বারদের নিয়ে শিক্ষা, সন্ত্রাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাকসেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন।। গভর্নরদের অবদানের আলোকে প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিং অনেক এলাকার ব্যবস্থাপনা উন্নত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা ছিল রাষ্ট্রপতির নির্দেশিত আশারই প্রতিফলন।

.

কোর্টের কেসগুলো ট্রায়ালকোর্টে ও হাইকোর্টে পেন্ডিং পড়েছিল। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিস্ময়করভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। নতুন কেসগুলো ফাইল বন্দি অবস্থায় ছিল। মিলিয়ন মিলিয়ন কেস পেন্ডিং। কেসগুলো ফয়সালা করার জন্য প্রচুর সময়, অর্থ আর ভোগান্তি তো লেগেই ছিল। ২০০৫ এ আমি অল ইন্ডিয়া সেমিনার অন জুডিশিয়াল রিফরম এ বক্তৃতা দেবার সুযোগ পেলাম। ওই সেমিনারে কোর্টের পেন্ডিং কেসের সম্বন্ধে বিশেষ রেফারেন্স অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমি সেখানে একটা জাতীয় লিটিগেশন পেনডেন্সি ক্লিয়ারেন্স মিশনের প্রস্তাব রাখলাম। বিচার সমাধা করতে দেরি হবার কারণগুলো নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করলাম। সেই কারণগুলো ছিল : ১) প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোর্টের অভাব; ২) প্রয়োজনীয় সংখ্যক জুডিশিয়াল অফিসারের অভাব; ৩)জুডিশিয়াল অফিসাররা কোন কোন কেসের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রূপে বিশেষায়িত নন; ৪) কেস শেষ হতে বিলম্বিত হয় আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি দাখিল সংক্রান্ত বিলম্বে ৫) কোর্টের প্রশাসনিক স্টাফের ভূমিকা।

বিচার-বিশ্লেষণের ভিত্তিতে মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য আমি পরামর্শ দিলাম। লোক আদালত কার্যকর করা; একটা ন্যাশনাল লিটিগেশন পেন্ডেন্সি ক্লিয়ারেন্স মিশন স্থাপন; আরবিটেশন এর মতো কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আমি মতামত দিলাম। আমি আরো পরামর্শ দিলাম হাইকোর্টে পড়ে থাকা মামলার ক্ষেত্রে কতিপয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে। সেই কার্যক্রমের মধ্যে কেসগুলোর সময় বিশ্লেষণ করে শ্রেণিবিন্যাসকরণ। এতে এমন কেস সনাক্ত করা যাবে যেগুলো চালিয়ে যেতে বর্তমানে অনেকেই অনাগ্রহী।

আমার সুপারিশগুলোর মধ্যে ই-জুডিশিয়ারিসও অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমি সক্রিয় কেস ফাইলগুলোকে কম্পিউটারাইজ করারও পরামর্শ দান করি। এর ফলে কেসের বয়স নিরূপণ করে পেন্ডিং কেসগুলোর সংখ্যা হ্রাস করা যাবে। আমাদের প্রয়োজন একটা ডাটাবেস তথ্য ভান্ডার। ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম প্রবর্তনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করা যাবে। অতিরিক্ত কার্যক্রমও নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সের কথা বলা যেতে পারে। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো যেতে পারে। যেসব কেসে আসামীর সংখ্যা সে সবক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্স অতি প্রয়োজনীয়। আইসিটি (ইনফরমেশন এন্ড কমুনেকেশন টেকনোলজি) এর ব্যবহারের ফলে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ ও ক্রাইম সংঘটিত হওয়ার এলাকা চিহ্নিতকরণের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। অনেক দেশ বিশেষ করে সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট কোর্ট চালু হয়েছে। এ সব দৃষ্টান্ত থেকে আমরাও বিচার প্রক্রিয়াকে আইসিটি ভিত্তিক করতে পারি। পরিশেষে আমি নিম্নে উল্লিখিত নয়টি সাজেশন প্রদান করলাম যা থেকে জুডিশিয়াল সিস্টেম আমাদের নাগরিকদের জন্য যথাযথ সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম সমাধা করতে পারবে।

১. বারের বিচারক ও সদস্যদেরকে বিবেচনা করে মামলার সংখ্যার সীমা নির্ধারণ করণ।

২. আমাদের কোর্টগুলোতে ই-জুডিশিয়ারী বাস্তবায়ন করণ।

৩. মামলার শ্রেণি বিভাগকরণ এবং ফ্যাক্ট ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী সেগুলোর গ্রুপ করণ।

৪. আইনের স্পেশিয়ালাইজড ব্রাঞ্চ যেমন মিলিটারি ল, সার্ভিস ম্যাটারেস, ট্যাক্সেশন এবং সাইবার ল এর জন্য আলাদা জজ নিয়োগদানকরণ।

৫. আমাদের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে লিগাল এডুকেশনকে ল স্কুলের ধাঁচে উন্নিত করণ।

৬. বিনা কারণে মামলা মুলতবী রাখলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রাখা।

৭. হাইকোর্ট ও জেলা আদালতগুলোকে সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ মডেল হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। স্বেচ্ছা ভিত্তিতে অতিরিক্ত ঘন্টায় এবং শনিবারে কাজ করার বিধান চালুকরণ।

৮. ‘মাল্টি সেসনস ইন কোর্ট’ চালু করণের লক্ষ্যে জনবল ও ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো বৃদ্ধিকরণ।

৯. পেন্ডিং কেসগুলোর নিস্পত্তি করার জন্য ন্যাশনাল লিটিগেশন পেন্ডেন্সি ক্লিয়ারেন্স মিশন প্রবর্তনকরণ।

এক সময় আমি দেখলাম আমাদের জুডিশিয়ারি এই পরামর্শগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলতে হয়, স্বামী ভারতে আর স্ত্রী আমেরিকায় প্রবাসী এক ডিভোর্সি দম্পতির দীর্ঘদিন পেন্ডিং একটা ডিভোর্স কেস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে শুনে খুশি হলাম।।

.

পৃথিবীর মধ্যে অনুগত, শৃঙ্খলা আর সাহসে বলীয়ান অন্যতম আর্মড ফোর্সের অধিকারী ভারত। রাষ্ট্রপতি আর্মড ফোর্সেস এর সর্বাধিনায়ক। এই ক্ষমতার সুবাদে সেনাবাহিনী সম্বন্ধে আমাকে খবরাখবর রাখতে হতো। আমি সব সময়ই তাদের সাহস, শক্তিমত্তা, সমস্যা আর চ্যালেঞ্জসমূহ সম্বন্ধে জ্ঞাত ছিলাম। আমি আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্সের কিছু সংখ্যক ইউনিট ভিজিট করি। অফিসার ও জওয়ানদের সাথে মতবিনিময় ছিল আমার ভিজিটের অন্যতম উদ্দেশ্য। আমি বিশেষ করে সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্ট যেতে পছন্দ করলাম। এটাই ছিল বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানে আমাদের সৈন্যদল প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে ছিল। আমি বিশাখাপাত্নামের উপকূলের সাবমেরিন অপারেশনও পর্যবেক্ষণ করলাম। সুখোই-৩০ এমকেআই এ প্রায় বাতাসের চেয়ে দ্বিগুণ গতিবেগে উড়ে গেলাম। সে এক উত্তেজনাকর অভিজ্ঞতা। আমি আপনাদের সাথে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

.

আমি ২ এপ্রিল ২০০৪ এ সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্টে অবতরণ করলাম। ঘাঁটিটা ৭,০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এলাকাটা বরফে ঢাকা। তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ সেলসিয়াস, তার সাথে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস। যখন আমি ফিল্ড স্টেশনে পৌঁছিলাম তিনজন সেনা কর্ণাটকের নায়ক, পশ্চিমবঙ্গের উইলিয়াম এবং উত্তরপ্রদেশের সালিম আমার সাথে করমর্দন করলো। তাদের করমর্দনের উষ্ণতায় ওখানকার ঠাণ্ডা দূর হয়ে গেল। আমার মধ্যে আস্থার সঞ্চার হলে এই ভেবে যে আমাদের সেনারা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও শত্রুদেরকে পরাজিত করতে অবশ্যই পারবে। এ ধরনের প্রতিকূলতার মাঝেও অসাধারণ নেতৃত্বই শত্রুদেরকে প্রতিহত করতে সেনাদলকে উৎসাহ দান করে।

.

২০০৬ এর ১৩ ফেব্রুয়ারি তে আমি নেভাল সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুরক্ষক যোগে পানির নিচ দিয়ে একটা জার্নি করলাম। সাবমেরিনটি ৩০ মিটার গভীরতায় চলছিল। স্ক্রুজটি যাত্রা করলো আমি কন্ট্রোল রুম দেখতে গেলাম। নাবিকটি সাবমেরিন কিভাবে কাজ করছে তা ব্যাখ্যা করতে লাগলো। নাভাল স্টাফ চিফ এডমিরাল অরুণপ্রকাশ এবং তরুণ নাবিক আর অফিসারদের সাথে আমি ক্রুজে পানির নিচে দিয়ে ভ্রমণ করে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভ করলাম। পর্যালোচনা কালে আমাকে পানির নিচের যোগাযোগ ব্যবস্থা, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আক্রমণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে দেখানো হলো। তারপর একটা টর্পেডো থেকে ফায়ারিং করে পানির নিচে নৌবাহিনীর শক্তি আমাকে প্রদর্শন করা হলো। আমি জাহাজে নব্বইজন অফিসার এবং নাবিকদের সাথে মিলিত হলাম। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ছিল। তাদের কাজ সহজ ছিল না। তাদের চ্যালেঞ্জিং কাজের জন্য আমি গর্ব অনুভব করলাম। লাঞ্চে আমাকে সুস্বাদু নিরামিষ খাদ্য পরিবেশন করা হলো। পরবর্তী তিরিশ বছরের নৌবাহিনীর সাবমেরিন মিশনের প্ল্যান আমাকে প্রদর্শন করা হলো। তিন ঘন্টা পানির নিচে কাটিয়ে আমরা পানির উপরে ভেসে উঠে তীরে ফিরে এলাম। এটা ছিল আমার স্মরণীয় ভ্রমণ।

.

২০০৬ এর ৮ জুন তারিখে সুখোই ৩০ ফাইটার এয়ারক্রাফটে আমি ভ্রমণ করি। কিভাবে এয়ার ক্রাফ্ট ফ্লাই করতে হবে সে সম্বন্ধে আগের রাতে উইং কমান্ডার অজয় রাঠোর আমাকে একটা নির্দেশনা দিলেন। তিনি আমাকে শেখালেন কিভাবে ওয়েপ্‌ন কন্ট্রোল সিস্টেম চালানোর সাথে সাথে বিমানকেও চালাতে হয়। আমি ইঞ্জিনিয়ার হবার পর ১৯৫৮ থেকে এটা করতে চেয়েছিলাম। সুখোই ৭৫০০ মিটার থেকে ২৫০০০ মিটার উচ্চতায় ঘন্টায় ১২০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে লাগলো। উইং কমান্ডার রাঠোর অন্যদিকে টার্ন নিতে চাইলেন। এয়ার ক্রাফ্ট চালাতে অনেক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। আমার থ্রিজিএস এর গ্রাভিটেশনাল অভিজ্ঞতা ছিল। অবশ্য‍ই জি-সুট এর ব্লাক আউটকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা ছিল। আমি এই এয়ার ক্রাফট যাত্রা থেকে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম। আমি দেশীয়ভাবে নির্মিত মিশন কম্পিউটার, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার, ডিসপ্লে প্রোসেসর এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদির কর্মক্ষমতা অবলোকন করে খুবই খুশি হলাম। আমাকে দেখানো হলো শূন্য থেকে কিভাবে লক্ষ্যবস্তু স্থির করা হয়। এবং কিভাবে গ্রাউন্ড থেকে সিনথেটিক অ্যাপেচার রাডারের সাহায্য নেওয়া হয়, তাও প্রদর্শন করা হলো। উড্ডয়ন ৩৬ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চললো। আমি অনুভব করলাম এটা দীর্ঘকালের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আমি আমাদের প্যারামিলিটারি ফোর্স, রাজ্য পুলিশ পার্সোনল এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথেও মিলিত হলাম। তাদের সবার সেবা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করলো।

রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমি আমার সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের সাথে মিলিত হবার সুযোগ লাভ করেছিলাম। আমি তাদের সাথে মিলিত হয়ে জনগণ, তাদের আশাআকাঙ্খা ও চ্যালেঞ্জকে হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হলাম। গুরুত্বপূর্ণ একটা কমন ন্যাশনাল মিশন বাস্তবায়নের জন্য জনগণ একত্রিত ছিল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *