১৬. নিরস্ত্রের যুদ্ধে যাই, শস্ত্র হয় মন

নিরস্ত্রের যুদ্ধে যাই, শস্ত্র হয় মন

১৬ মে।

আমাদের তিনজনের ফেরার টিকিট কাটা হয়ে গেছে। কনফার্মেশন হলে কাল ১৭ মে আমি আর নন্দিন দেশে ফিরে যাচ্ছি। আজ বিকেলের বাসে আমরা সানফ্রান্সিসকো যাব। লেদু কদিন থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সে ডিজনিল্যান্ড, হলিউড, লাস ভেগাস এ–সব দেখে-টেখে যাবে। লস এঞ্জেলেসে সে থাকবে বেভার্লি হিলস্-এ। পৃথিবীর সবচেয়ে পন্ জায়গা। এক স্কোয়্যার ইঞ্চি জমির দাম কত জানো? প্রশ্নোত্তরে সে জানায়, ২০০০ ডলার!

১১ মে, শনিবার সকালে লিভারমোর মন্দিরে রঞ্জন, সুমিতা আর জীয়নের শ্রাদ্ধ হল। শ্রাদ্ধ করালেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রবিচন্দ্রন আয়ার। ওদের তিনজনের ছবির সামনে তামার পাত্রে অ্যাসেস, কুশাসন, কুশের আংটি থেকে কোনও কিছুরই অভাব ছিল না। ছন্দা, এমনকি, প্লাস্টিকের আম্রপল্লবও টাঙিয়ে দিয়েছিল।

১০০০ ডলার তাকে দিতে হবে এই শর্তে অঞ্জন ন্যাড়া হয়েছে। শ্রাদ্ধের সময় চোদ্দ না হলেও, নবদ্বীপের টিকিধারী বোষ্টম ঈশ্বর ভোলানাথ দেবশর্মন থেকে সাত পুরুষের নাম সে বলল। শ্রাদ্ধে রঞ্জনের ধুতি-পাঞ্জাবি আর চটি পরে আমাকে যেতে হয়। ছন্দার নির্দেশমতো শ্ৰাদ্ধান্তে চটি থেকে পা খুলে আমি অঞ্জনের সামনে দাঁড়াই। সে পায়ে হাত দিয়ে আমাকে নমস্কার করল না। উল্টে হোমের ধোঁয়ায় রক্তাভ চোখ তুলে বলল, আস্ক জেফ কোনিগ টু পে মি ওয়ন থাউজান্ড ডলার্স টো-মোরো।

জেফ দাঁড়িয়েছিল পাশেই। সে হাসতে হাসতে তখুনি তাকে একটা চেক লিখে দেয়।

লাঞ্চের প্লেট হাতে জেফ আমাকে একান্তে ডেকে বলল, আজ রাতে মার্সেদের বাড়িতে মিটিং। আমার লিস্ট অনুযায়ী সে রঞ্জনের বন্ধদের আজকের মিটিংয়ে আসতে বলেছে। আজ রাতটা হোটেলে কাটিয়ে ওরা সকালে যে যার জায়গায় ফিরে যাবে। আজ রাতেই ওর গার্জেন এবং সম্পত্তির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ঠিক করতে হবে। এই বিশাল সম্পত্তি, আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ডেও যাবিশাল, এভাবে বেওয়ারিশ পড়ে থাকতে দেওয়া আর উচিত হবেনা। সোমবার কোর্ট খুললেই পিটিশন করতে হবে।

নট দ্যাট, আই অ্যাম পুশিং। জেফ বলল, তুমি আমাকে গার্জেন করতে পার। ডাঃ চ্যাটার্জি কনসিডার্ড মি ট্রাস্ট-ওয়ার্দি ফর দা লাস্ট টেন ইয়ার্স।

আমি বললাম, ধন্যবাদ জেফ। তুমি অনেক করেছ। আমাদের চ্যাটার্জি-পরিবারকৃতজ্ঞ তোমার কাছে। কিন্তু গার্জেন আমি ঠিক করে রেখেছি।

শুধু জেফ কেন, অনেকেই আমাকে আলাদা ডেকে নিয়ে গিয়ে একই কথা বলল। সবাই জেনে গেছে যে, আমি ফিরে যাচ্ছি। বেশ কয়েকজন রেকমেন্ড করল ধূর্জটি পালিতকে। ধূর্জটি মিটিং-এ আসছে রীতিমতো একটি লবি নিয়ে। প্রায় সকলেই এই পিতৃমাতৃহারা অনাথের দ্বিতীয় পিতামাতা হতে আগ্রহী। শুধু ছন্দা আর অমিয় কিছু বলল না।

ফেরার পথে জেফ-এর গাড়িতে আমি আর অঞ্জন। ওর সঙ্গে আমার কথা আছে বলে আর কারুকে গাড়িতে উঠতে দিইনি।

অঞ্জন বাংলায় বলল, বলো।

আজ তোমার গার্জেন ঠিক হবে।

আমি জানি।

তোমার কাকে পছন্দ।

আই লাইক হ্যারি কেলার।

ন্যান্সির বাবা?

হ্যাঁ মাইল পাঁচেক চুপ করে থেকে আমি বললাম, বাট আই ডু নট লাইক হিম।

হু আর ইউ?

ইন দ্যাট কেস, আমি অ্যাম নট লিভিং ইউ. এস. এ। আমি তোমার গার্জেন হয়ে থাকব।

তুমি তোমার মেয়ের জন্যে এসেছ। মেয়েকে নিয়ে যাও। আমি যদি একা থাকতাম, তুমি কি আসতে?

আমি আমার ভাই-এর, ভ্রাতৃবধূর এবং ভাইপোর ফিউনারালে এসেছি।

আমি ইন্ডিয়ান গার্জেন বালোবাসি না। ও আবার বাংলায় বলল। তারপর বলল, আই হেট ইন্ডিয়ান বেগার্স।

একটা চড় মারার জন্যে আমার হাত উঠে গিয়েছিল। তখন যে মারিনি এটা ওর বরাত।

রাতের মিটিং-এ আমি রঞ্জনের বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের বন্ধু চুনীলাল রায়ের নাম প্রস্তাব করলাম। হ্যারিকেমিটিং-এ ডাকিইনি। চুনী বৌ সুজিকে ফোন করে তার অনুমতি নিল। তারপর আমার হাত দুটো ধরে বলল, দাদা, এত বড় গুরুভার…

তুমি ছাড়া আমি ওর কাঁধে হাত রেখে বললাম, রুনুর ছেলেকে আর কার হাতে তুলে দিয়ে যাব চুনী? তুমিই বলো, কাকে।

মিটিং-এর পর রঞ্জনের সেলার খোলা হল। নিজে মদ খেত না। কিন্তু পৃথিবীর সেরা পানীয় ওখানে থরে থরে সাজিয়ে রেখে গেছে। চুনী ওখান থেকে গ্লেন ফিডডিশের একটা বড় বোতল নামাল।

অনেক রাত অবধি রঞ্জন-সুমিতাকে নিয়ে মজার মজার গল্প হল। সবাই কিছু না কিছু বলল। চুনী বলল, লন্ডনে থাকতে, বুঝলেন দাদা,সুজিকে ভালবাসতাম আমরা দুজনেই। সুজি অনেকদিন মন ঠিক করতে পারেনি। দুজনের সঙ্গেই ডেট করত। তারপর একদিন বিকেল বেলা, সাইকেল নিয়ে আমরা তিনজনে একটা নদীর ধারে বেড়াতে গেছি। ফাগুন মাস। বুঝলেন দাদা। যতদূর দুচোখ যায় শুধু চেরি, চেরি, চেরি… শুধু চেরির ক্ষেত। বুঝলেন দাদা। কেউ কোত্থাও নেই। আমি আর সুজি একটা উত্নাই বেয়ে তরতরিয়ে অনেকটা নেমে গেছি, এমন সময় সেই ফাঁকা মাঠে, সেই বিশাল চেরি-ক্ষেতের মাঝখানে, বেশ চেঁচিয়ে, বুঝলেন দাদা, সুজি আমাকে প্রপোজ করল। ব্যস, আর কথা নেই। সাইকেলের মুখ ঘুরিয়ে চড়াই ভেঙে উঠে এসে আমি রঞ্জনকে বললাম, তখন দারুণ হাঁফাচ্ছি, সুজিঃ, সুজিঃ, সুজিঃ, আমাকে প্রপোহোজ করেছে। কীঃ বহলব, তুই বহল। একটু জেলাস হয়নি। বুঝলেন দাদা। হি হ্যাড আ লার্জ হার্ট–মাচ মাচ লার্জার দ্যান মাইন…

চুনী খুব তাড়াতাড়ি ড্রাঙ্ক হয়ে পড়ল।

বাড়ির পিছনের মাঠে যাওয়ার দরজা দিয়ে বেরিয়ে সবাই যখন একে একে গাড়িতে উঠল, তখন রাত কত তা জানি না। এখানে এসে এই প্রথম আমি মদ খেয়েছি। বেশ নেশা হয়েছে আমার। আমি মাঠের শেষে সাদা কাঠের বেড়া পর্যন্ত হেঁটে গেলাম। আজ বেশ শীত। হিম পড়ছে। আল কাপিতানের পিছনে আজ পূর্ণিমার চাঁদ। গোটা সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালা ঝকঝক করছে।

তারপর একখণ্ড ঘন কালো মেঘ এসে চাঁদের প্রায় সবটা ঢেকে দিল। সরে যেতে সময় নিল অনেকক্ষণ।

শোওয়ার আগে নন্দিন আমাকে বলল, এক হাজার ডলার নিয়ে অঞ্জন রিনো নেভাদায় গেছে। এখনও ফেরেনি।

সেখানে কী হয়?

সে একটা ছোটখাটো লাস ভেগাসের মতো। সমুদ্রের ধারে। সেখানে সারারাত জুয়ো খেলা হয়।

কত দূর এখান থেকে?

তা একশো মাইল তো হবেই।

ফিরবে কী করে?

বন্ধুদের সঙ্গে পোর্সাটা নিয়ে গেছে। পোর্সাতে এক ঘণ্টার ড্রাইভ। বন্ধুদের সঙ্গে ফিরবে। যেন এর চেয়ে স্বাভাবিক আর কিছু হয় না। এমনভাবে নন্দিন বলল, ন্যান্সি ভাল ড্রাইভ করে।

১৬ মে।

ভোর রাতে রাস্তার দিকের গ্লাস প্যানেলে টোকা।

নন্দিন, ওপেন দা গ্যারাজ।

ওই, অঞ্জন এসেছে। নন্দিন ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসল, আজকাল এইরকম রাত করে বাড়ি ফিরত। আমি গ্যারাজ খুলে দিতাম। কাকিমা সব জানত। ছোটকাকাকে বলতে বারণ করেছিল। বলতে বলতে সে সুইচ বোর্ডের একটা বোতাম টেপে। ঘড়ঘড় করে বাইরে গ্যারাজের শাটার ওঠার শব্দ।

দরজা খুলে আমি করিডোরের মুখে গিয়ে দাঁড়াই।

অঞ্জন?

কী। বলো।

কোথায় গিয়েছিলে?

রিনো নেভাদা।

কেন?

গ্যাম্বলিং। হোয়াই?

তোমার সঙ্গে কথা আছে। বসো এখানে।

হোয়াই?

তুমি জুয়ো খেলতে গেলে, টাকা কোথায় পেলে?

বাবার পেজে ঘড়ি উল্টে ও বলল, আমরা তোমাদের মতো গরিব নই।

আমার নেশা না কমে ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। মাথা টলে যাচ্ছে মাঝে মাঝে।

শোনো। তোমার বাবার ক্লাসমেট চুনীলাল রায় তোমার গার্জেন হয়েছেন।

চলে যাচ্ছিল। নিজের ঘরের দরজা পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার কথা শুনে ফিরে এল।

আমার মুখে প্রায় মুখ ঘষে জানতে চাইল, অ্যান্ড হু আর ইউ টু ডিসাইড দ্যাট?

আমি তোমার ন্যাচারাল গার্জেন। বিয়িং নিয়ারেস্ট কিন টু ইওর ফাদার।

আই হ্যাভ নো রিলেশানস ইন ইন্ডিয়া। নাইদার ড় আই নিড অ্যান ইন্ডিয়ান গার্জেন, মাটিতে পদাঘাত করে ও বলল, আই হেট ইন্ডিয়ানস। আই হেট বেগার্স।

বাট ইওর পেরেন্টস ওয়্যার ইন্ডিয়ানস।

দ্যাটস হোয়াই আই হেট দেম অলসো। আই হেট মাইসেলফ বিকজ আই হ্যাভ অ্যান ইন্ডিয়ান বডি। দিস ইন্ডিয়ান শিট! বলে নিজের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কাঁপিয়ে ও একটা বাতকর্মের শব্দ করে।

আমার পা দুটো ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করেছে। শেকড় থেকে গাছের পাতায় যেভাবে মাটির রস উঠে আসে, সেভাবে পায়ের পাতা থেকে লক্ষ লক্ষ কোষের সঙ্কোচন ও প্রসারণ পদ্ধতিতে আমার মাথায় রাগ উঠে আসছে। দশতলা থেকে লাফাবার আগে আত্মহত্যাকামী যেভাবে না-না, আমি লাফাবনা ভাবতে ভাবতে তবু লাফায়, সেভাবে ওর গালে একটা সপাটে চড় মারব বলে… চেঁচামেচি শুনে লেদু ওর ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। ওর খুনি চোখমুখ দেখে

নন্দিন এই সময় বলে ওঠে, বাবা, তুমি চলে এসো।

শাট আপ, ইউ বিচ!–অঞ্জন।

মাথার মধ্যে এক মুহূর্তের লোডশেডিং। আলো জ্বলে উঠলে দেখলাম, আমার শক্তিসর্বস্ব দিয়ে ওর গালে আমি একটা থাপ্পড় মেরেছি।

টাচ মি ওয়ন্স এগেন, অ্যান্ড ইউ ডাই।

নন্দিন চিৎকার করে ছুটে এল আমাদের মাঝখানে। কিন্তু ততক্ষণে ওর গালে আর-একটা থাপ্পড় আমার মারা হয়ে গেছে।

সর তুই, ভাগ! ওকে ঠেলে মাটিতে ফেলে দিয়ে শুয়োরের বাচ্চাকে আমি আজ দেখে নেব বলতে বলতে চুলের মুঠি ধরে আমি ওকে কাছে টেনে আনি। মেঝে থেকে রঞ্জনের চটি খুলে আমি ওকে পেটাতে থাকি। বাঞ্চেৎ ছেলে! মারা আমি থামাতে পারি না, বাপ-মাকে পুড়িয়ে এসে শালা তুমি পার্টিতে যাও? আমি অনেক সহ্য করেছি—আজ তোর বাঁদরামি আমি ঘোচাব…

মারতে মারতে আমি ওকে মাঠে নিয়ে যাই। মারা আমি থামাতে পারি না। যত মারি, মারার প্রবণতা তত বেড়ে যায়।

 

১৬ মে।

ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জেফ-এর ফোন।

অঞ্জন কোথায়?

বাড়ি নেই।

তুমি করেছ কী। ক্যালিফোর্নিয়ার আইনে মাইনরকে মারা গুরুতর অপরাধ। এখানে মাইনরকে বাড়িতে একা রেখে গেলে শাস্তি হয়। এভরি মাইনর হিয়ার, হু ইজ অ্যান আমেরিকান সিটিজেন, তার টু গার্ডিয়ান হল ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা। সরি টু সে, তোমাকে কিছুদিন মার্সে কাউন্টি জেলে থেকে যেতে হতে পারে।

এ আমি কী করলাম। রঞ্জনের বন্ধুরা সকলেই মার্সেদ ছেড়ে চলে গেছে এক চুনী ছাড়া। ছন্দাঅমিয়ও নেই। এখন কেউ আমাকে রক্ষা করতে পারে না।

মাথার চুল দুহাতে টেনে ধরে আমি মেঝের ওপর বসে পড়ি। কাল সোমবার ১৭ মে সকাল ১০টায় আমাদের কোর্টে গিয়ে পিটিশন দেওয়ার কথা। লিভিং রুমে উকিল এসে কাগজপত্র ঠিকঠাক করছে।

সকাল ১০টায় পুলিস আমাকে কোর্টে হাজির করল।

রবিবার সারাদিন অঞ্জন বাড়িতে এল না। শুনলাম হ্যারিদের বাড়িতে আছে। সে ফোনে আমাকে যাচ্ছেতাই গালাগালি করল। পুলিস আমাকে ঠিক অ্যারেস্ট করল না। তবে প্রচুর থমকে গেল। সোমবার সকাল ১০টায় জাজের সঙ্গে মার্সের্স কোর্টে দেখা করতে বলে গেল।

জাজ ওয়াল্টার গার্ডনার রঞ্জনের টেনিস কোর্টের বন্ধু। আদালত কক্ষে নয়, তিনি আমার সঙ্গে দেখা করলেন তাঁর চেম্বারে। আমার সঙ্গে গেল জেফ, আমার উকিল জন ব্রিড আর চুনী। লেদু ভয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।

একজন বিচারপতি যে এত সুপুরুষ, সজ্জন, মৃদুভাষী আর স্বর্ণকেশ হতে পারেন, এটা ছিল কল্পনাতীত। দেখতেও রোগা ছিপছিপে প্রেমিক-পুরুষের মতন। একটা ডাভ-গ্রে থ্রি-পিস স্যুট পরে উনি কফি খাচ্ছিলেন। আমাদের জন্যে কফি আনতে বললেন। কেউ আমাকে বলেনি, উনি কিছু বলার আগেই আমি মাথা নিচু করে নিজের থেকে ক্ষমা চাই। বিচারপতি স্মিতচক্ষে হেসে বললেন, আই অ্যাপ্রিসিয়েট ইওর কনসার্ন ফর ইওর নেফিউ। এত দুরে এভাবে, আত্মীয়স্বজনের মধ্যে তো শুধু তুমিই এসেছ। অ্যান্ড আই নো হোয়াই। তোমার মনের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি তবে আমার মনে হয় গার্জেন ঠিক করে দিয়ে তুমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরে যাও। ফিউনারাল এক্সপেন্স থেকে তোমাদের তিনজনের টিকিট কেটে দেওয়ার নির্দেশ আমি দিচ্ছি। কোনও শাস্তি আমি তোমাকে দিচ্ছি না। তুমি কোনও দোষ করোনি।

বেলা বারোটার মধ্যে গার্জেন-অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে চুনী শপথ নিল। সে কিছুদিন এখানে থাকবে। দেনা-পাওনা মিটিয়ে সে অঞ্জনকে এখন তার কাছে নিয়ে গিয়ে রাখবে। ওর মতে, সবার আগে দরকার অঞ্জনকে একজন ভাল সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো, ও আমাকে বলল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *