মোমের আগুন

মোমের আগুন

আমার বউ নন্দিনী ফ্যামিলি প্ল্যানিং প্রচারক। প্রচারক শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ আমার জানা নেই। নন্দিনীর কাজ হল গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে টো টো করা। আর দুটি বা তিনটি সন্তান, সুখী ইনসান–এই সরকারি বাণী প্রচার করা। কিছুদিন আগে রাজস্থান সরকারের কাছ থেকে নন্দিনী আমন্ত্রণ পেল–জয়পুরে ফ্যামিলি প্ল্যানিং সেমিনার হচ্ছে। সব প্রদেশ থেকেই অভ্যাগতরা আসছেন। নন্দিনীর আসা চাই। নন্দিনী রাজি হয়ে গেল।

আমি গেলাম না ছুটি পেলাম না বলে। নন্দিনী সহকর্মীদের সঙ্গে গেল রাজপুতদের দেশে। পরে চিঠি পেলাম। সেমিনার নামক প্রহসন শেষ হয়েছে। ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের বাজেট খসিয়ে ওরা এখন রাজপুতানা দেখতে বেরিয়েছে। তার পরেই একটি চিঠি এল বিকানীর থেকে। নন্দিনী লিখছে?

প্রিয়তম স্বামী আমার,

তুমি তো জান, ভূত দেখতে আমি ভালোবাসি। ভালোবাসি বলেই ভূতরা আমায় দেখা দেয় না। নিরুপায় হয়ে এর ভূতের গল্প পড়ি। সম্প্রতি এমন একটা ঘটনা আমার জীবনে ঘটল যা আমার ভূতদর্শনের সাধ জন্মের মতো মিলিয়ে দিয়েছে। আমার ধাত ছেড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সেমিনার করতে এসে সবারই দেখি ফুর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ। সরকারি পয়সা ফুট কড়াই হচ্ছে হোক, পো-পোয়াতীর ভাবনা সোয়ামীরা ভাবুক–আমরা ঘুরি দেশ। এই মন্ত্র সম্বল করে আমরা তো জয়পুর থেকে আজমীর হয়ে চিতোরগড়ে এলাম। তারপর উদয়পুর, মাউন্ট আবু ঘুরে গেলাম যোধপুর। সবশেষে বিকানীরে। মরুভূমির দেশ বিকানীর। এখানে এসেই আমার স্নায়ু জখম হবার উপক্রম হয়েছে। বেলা তিনটে নাগাদ একাই মরুভূমির দিকে গিয়েছিলাম। আমার সৃষ্টিছাড়া খেয়ালের সঙ্গে কারো মেজাজ খাপ খায় না। আমি ভালবাসি মরুভূমি, কাঁটাঝোঁপ, জঙ্গল আর ভাঙা কেল্লা। ওরা ভালোবাসে প্রাসাদ আর সরোবর। বাগিচা আর ফোয়ারা। আমি চাই রুক্ষ, ধূসর, পরিত্যক্ত অঞ্চল। যেখানে মানুষ যেতে ভয় পায়। যেখানকার ধূ-ধূ শূন্যতা বুক কাঁপায়। যেখানকার ভয়াল বন্যতা রক্ত হিম করে দেয়। আমার এই বাউণ্ডুলে বিদঘুঁটে মেজাজের সঙ্গে তুমি পরিচিত।

বিকানীর থেকে একটা উটের পিঠে চেপে মরুভূমির কিনারায় তাই একাই এলাম। উট ছেড়ে দিলাম। ঠিক করলাম, একা-একা মরুভূমির সূর্যাস্ত দেখব। কঁকড়ার গর্ত দেখব, বালির কান্না শুনব। তারপর ফিরে এসে যোধপুর বিকানীর সড়ক ধরে যে-কোনও গাড়িতে চেপে শহরে আসব।

উট থপথপ করে বিদেয় হতেই আমি বালিয়াড়ি পেরিয়ে এগিয়ে চললাম। ছোট ছোট বালির পাহাড় ডিঙোনোর মধ্যে সে যে কি আনন্দ, হে পতি দেবতা, তা তোমায় বোঝাতে পারব না। সে এক আশ্চর্য শিহরন। পায়ের নীচে বালি সরে যাচ্ছে। চড়াইতে উঠতে গিয়ে মাঝে মাঝে হুমড়ি খাচ্ছি কিন্তু তার মধ্যেই যে রোমাঞ্চ, যে পুলক, যে মুক্তির উল্লাস–তা শুধু উপলব্ধির বিষয়। কী ভাবছ? স্নায়ু সত্যিই জখম হয়েছে? পাগল হয়েছি? আজ্ঞে না মশাই–।

বালির পাহাড় ডিঙোতে ডিঙোতে হঠাৎ একটা পরিত্যক্ত গাঁয়ে পৌঁছোলাম। মরুভূমির গ্রাম। বুঝতেই পারছ অবস্থাটা। খান কয়েক কাঠামো আর ভাঙাচোরা ইটের গাঁথনি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ল না। একটা কেল্লার ধ্বংসস্তূপ দেখলাম। সূর্যের পড়ন্ত আলোয় ভাঙা পাথরের বুকে যেন আর এক চিরে দেখলাম। শৌর্য, বীর্যের ইতিহাস যেন মূর্ত হয়ে উঠল।

হেঁটে হেঁটে পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। ভাঙা পাঁচিলের আড়ালে ছায়ায় বসলাম। ঝোলা থেকে রুটি মাখন আর ডিম বার করলাম। খেয়ে দেয়ে সামান্য ঝিমুনি এসেছিল। মুক্ত পরিবেশে মনটাও নির্মেঘ হয়ে গিয়েছিল। আচমকা চোখ খুলে দেখলাম গোধুলির আলোয় আকাশ রাঙা হয়ে গিয়েছে।

এবার ফেরা দরকার। যে দিক দিয়ে এসেছিলাম, সেই দিকেই পা বাড়ালাম। দিব্বি কিছু দূর গেলাম। ইতিমধ্যে আলো আরও নিভে এল। বালির ওপর পায়ের ছাপ দেখে দেখে হাঁটছিলাম। অন্ধকার গাঢ় হতে সে ছাপও আর দেখতে পেলাম না। তারপর বুঝলাম, আমি পথ হারিয়েছি।

উঁচু উঁচু বালিয়াড়ির মধ্যে আমি একা দাঁড়িয়ে রইলাম। চারপাশে জমাট অন্ধকারের মতো বালির পাহাড় আমার ওপর ঝুঁকে রইল। ভয় ডর আমার বড় একটা নেই। কিন্তু সেদিন আমি অস্বস্তি অনুভব করলাম। তাছাড়া চারদিক এমন নিথর নিস্তব্ধ যে মাথার মধ্যে যেন মহাশূন্যের শূন্যতা অনুভব করলাম। সে এক বিচিত্র অনুভূতি।

ঠিক এই সময়ে দেখা হল সুরুচির সঙ্গে। সুরুচিকে তোমার মনে পড়ে?

দশ বছর আগে ধূমকেতুর মতো ছায়াছবি মহলে যে মধ্য গগনে উঠে গিয়েছিল। সুরুচির মতো প্রতিশ্রুতিময়ী চিত্রতারকা সিনেমা লাইনে বড় একটা দেখা যায়নি। প্রতিটি ছবি হিট করার পর অকস্মাৎ সুরুচি রূপোলি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিল। কারণ সেই চিরন্তন। কোনও এক হিজ হাইনেস মহারাজা নাকি সুরুচির পাণিপীড়ন করে এবং সুরুচি তখন মহারাজার কণ্ঠলগ্না হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।

সেই সুরুচির সঙ্গে দেখা হল বিকানীরের প্রান্তে মরুভূমির মধ্যে। সুরুচি দূর থেকে মাথা হেঁট করে আমার দিকেই আসছিল। আমি বিজন প্রান্তরে মানবী দেখে দৌড়ে গিয়েছিলাম। গিয়েই চেনা-চেনা ঠেকেছে। তারার আলোয় সুরুচিও আমার চোখে চোখ রেখেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি চিনেছি। ওই চোখ ভোলবার নয়, সুরুচির সম্বল ছিল শুধু ওই চোখ। শুধু চোখের মধ্যে দিয়ে মনের সব ভাষাও ফোঁটাতে পারত। কথার প্রয়োজন যত না ওর অতলান্ত চাহনিই যা বলবার তা বলত।

সুরুচি সেই চাহনিই মেলে ধরল আমার ওপর। দেখলাম, দুই চোখে গভীর বিষাদ।

আমি সচমকে বললাম–আপনি? সুরুচি দেবী?

হ্যাঁ, নিষ্প্রাণ গলায় বলল সুরুচি। পথ হারিয়েছেন?

সুরুচি চিরকালই কম কথা বলে। সেদিনও বলল। বাকিটুকু আমি হৃদয় দিয়ে অনুভব করলাম। সুরুচি আমাকে সঙ্গ দিতে চাইছে। আমাকে পথ দেখাতে চাইছে। কোনও কথা বললাম না! উত্তর যেন নিষ্প্রয়োজন। সুরুচি যেন মনের কথা মন দিয়ে পড়ে। পাশাপাশি দুজনে হাঁটলাম। মানুষের সঙ্গ যে এত মধুর হতে পারে, সেইদিন সেই প্রথম জানলাম। হে পতি দেবতা, দোষ নিও না! সত্যি কথাই বললাম। তখনকার অনুভূতির কথাই বললাম।

জিগ্যেস করলাম–আর কদ্দূর?

মৃদুস্বরে সুরুচি বলল–আমার বাড়ি কাছেই। আপনার পথেরও শেষ সেইখানে।

আমি কিন্তু আপনাকে বেশি বিরক্ত করতে চাই না।

বিরক্ত হব না। বাড়িতে পঞ্চাশটা শোবার ঘর আছে। ব্যবহার করা হয় মাত্র দুটি। আমি আর স্বামী ছাড়া কেউ থাকে না।

আপনার স্বামী মানে হিজ হাইনেস–

রাজা ভৈরব নামেই ওঁকে সবাই চেনে।

আমি গেলে মনে মনে অসন্তুষ্ট হবেন না তো?

না। আমরা মানুষ ভালোবাসি৷ বলে হাসল সুরুচি। তারার আলোয় ঝিকিমিকি দাঁতের সারি দেখলাম। দেখলাম, চিত্রতারকার জৌলুস এখনও বজায় রেখেছে সুরুচি।

একটা বালিয়াড়ি পেরোতেই একটা প্রাসাদ দেখলাম। বেশ বড়। অন্ধকারে বেশ খানিকটা জমাট অন্ধকার ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ল না। সামনের ফটকে কেরোসিন তেলের বড় বাতি জ্বলছে দেখলাম।

সবিস্ময়ে বললাম-ইলেকট্রিক লাইন এখানে আসেনি?

না, সংক্ষিপ্ত জবাব দিল সুরুচি। একটু থেমে বলল–উনি পছন্দ করেন না।

বাড়ির মধ্যে ঢুকে রাজা ভৈরবের পছন্দের আরও নমুনা দেখলাম। বড় বড় শামাদানে জ্বলছে বিস্তর মোমবাতি। কোথাও কেরোসিনের প্রদীপ। বিশাল বড় লণ্ঠনগুলো ঝুলছে–কিন্তু বাতি জ্বলছে না।

ঘরের পর ঘরে গালিচা আর অয়েল পেইন্টিং, পাথরের মূর্তি আর ইস্পাতের হাতিয়ারের সমাবেশ।

একতলায় খাবার ঘরে আমি বসলাম। একসঙ্গে বারো মোমবাতির আলোয় শিশমহলের মতো ঝলমল করতে লাগল ঘরটা। ভালো ভালো খাবার সাজিয়ে দিল সুরুচি। এত অল্প সময়ে এত সুখাদ্যের আয়োজন দেখে অবাক হলাম।

ঘরের এককোণে বড় ডিভান পাতা ছিল। আমি সেখানে বসলাম। সুরুচি বলল–আমি যাচ্ছি। বলে পাশের ঘরে গেল। ফিরে এল একটা ট্রে নিয়ে। রূপোর ট্রে। দু-গেলাস গরম দুধ আর দু-পাত্র সোনালি মদিরা নিয়ে ওপরে চলে গেল।

আমি ডিভানে গা এলিয়ে দিলাম। শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম, শূন্য পুরীর শূন্যতা কেন? রাজা আর রানী ছাড়া প্রাসাদে আর কেউ নেই কেন? দাসদাসী ছাড়া প্রাসাদ কি মানায়? এ কেমনতর রাজ পরিবার? ভাবতে-ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

হঠাৎ উঠে বসলাম আমি। জানলা দিয়ে দেখলাম চাঁদের আলো মেঝেতে পড়েছে। আর দেখলাম ধোঁয়া ঢুকছে। পটপট শব্দ হচ্ছে।

ধড়মড়িয়ে জানলায় গিয়ে দাঁড়ালাম। আগুনের লাল আভা দেখে চমকে উঠলাম। দোতলায় আগুন লেগেছে। সিঁড়ির দিকে দৌড়ে গেলাম। উঠতে পারলাম না। সিঁড়িতে আগুন ও ধোঁয়া দুর্ভেদ্য বেড়াজালের সৃষ্টি করেছে।

বৃথাই চেষ্টা করলাম। সুরুচি দেবীর নাম ধরে ডাকলাম। কারও সাড়া না পেয়ে দৌড়ে বাইরে চলে এলাম। ঊধ্বশ্বাসে দৌড়োতে লাগলাম। আশ্চর্য এবার কিন্তু অল্পক্ষণের মধ্যেই যোধপুর-বিকানীর সড়ক দেখতে পেলাম। চাঁদের আলোয় দৌড়োতে দৌড়োতে কতক্ষণ পরে যে বিকানীর পৌঁছলাম–তা বলতে পারব না। স্টেশনের সামনে চৌকিদারের কাছে হাঁপাতে হাঁপাতে আগুন লাগার খবর দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

জ্ঞান ফিরে আসতে দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি। মাথার কাছে ডাক্তার দাঁড়িয়ে। ঘরে আর কেউ নেই।

চোখ মেলতেই ডাক্তার বলল–কী হয়েছিল?

আমি বললাম কী হয়েছিল। জিগ্যেস করলাম আগুন নেভাতে দমকল গেছে কিনা। ডাক্তার হাসল। বলল–মরুভূমিতে আগুন লাগলে আর নেভে না। তা ছাড়া এখানে দমকল কোথায়?

তাহলে? সব পুড়ে যাবে যে?

পুড়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেই পুড়ে গেছে।

সে আবার কি কথা?

আপনি যে বাড়িতে গিয়েছিলেন, সে বাড়িতে এখন আর কেউ থাকে না। পাঁচ বছর আগে সেখানে থাকত রাজা ভৈরব আর রানী সুরুচি। রাজা ছিল বিকৃত মস্তিষ্ক এবং খেয়ালী। রানীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। তাই একদিন রাজাকে মেরে রাজ সম্পত্তি হাতানোর প্ল্যান করে।

আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে লাগলাম।

ডাক্তার বলল–একদিন রাত্রে দু-গেলাস গরম দুধ আর মদ নিয়ে রাজার কাছে গেল রানী। খুব যত্ন করে রাজাকে খাওয়াতে গেল। রাজার সন্দেহ হল! কেন না, যত্ন করে কিছু করা রানীর কুষ্ঠিতে লেখেনি। দাস-দাসী না থাকায় সুরুচি দেবী খুবই অশান্তিতে ছিলেন। তাই সুরার সঙ্গে দুধ দেখে রাজার সন্দেহ হয়। রানী দুধ নিয়ে গিয়েছিল বিষের গন্ধ ঢাকবে বলে। পেস্তাবাদাম মেশানো দুধ নিয়ে হঠাৎ খাতিরের বহর দেখে অপ্রকৃতিস্থ রাজার খটকা লাগল।

বিষ?

হ্যাঁ। দুধে বিষ মেশানো ছিল। পাশে শামাদানে জ্বলন্ত মোমবাতি ছিল। দরজার বাইরে পেট্রোলের টিন ছিল। রানীর প্ল্যান ছিল, বিষ খাইয়ে আগে রাজাকে খুন করা। তারপর পেট্রোল ঢেলে শামাদান উল্টে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। সবাই জানবে, হঠাৎ আগুন লেগে রাজা ভৈরব পুড়ে মরেছে। রানীকে কেউ সন্দেহ করবে না।

কিন্তু রাজার মনে খটকা লাগল। তাই রানী যেই অন্য দিকে ফিরেছে, রাজা অমনি দুধ অর সুরার গেলাস পালটা পালটি করে দিল। রানী সেই দুধ খেয়ে রাজার সামনেই মারা গেল। দারুণ উত্তেজিত রাজা শামাদান নিয়ে যেই ঘর থেকে বেরোতে যাবে, অমনি পেট্রোলের টিনে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। পেট্রোল গড়িয়ে গেল মেঝেতে–শামাদানের জ্বলন্ত মোমবাতি ছিটকে গিয়ে পড়ল পেট্রোলে। সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ করে আগুন লেগে গেল দোতলায়। ফলে রাজা জ্যান্ত পুড়ে মরল। আর পুড়ল রানীর মৃতদেহ।

ডাক্তার থামতেই আমি শুধোলাম–এ গল্প কবেকার?

পাঁচ বছর আগেকার।

আপনি কী করে জানলেন?

কেন না, দুধে আমিই বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলাম। রানী সুরুচির সঙ্গে আমার গোপন প্রেম ছিল। কিন্তু খবরদার, এ কথা যেন পাঁচ কান না হয়। বলেই ডাক্তার আমার সামনেই অদৃশ্য হয়ে গেল।

* উল্টোরথ পত্রিকায় প্রকাশিত। ভাদ্র, ১৩৭৭।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *