ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীমুখ নিঃসৃত জীবন্মুক্তির উপায়

দশম অধ্যায়ন – ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীমুখ নিঃসৃত জীবন্মুক্তির উপায়

মহাযোগী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী বিভিন্ন সময়ে বারদী আশ্রমে ভক্তদের উদ্দেশ্যে জীবন্মুক্তির উপায় নির্দেশ করে উপদেশ দিয়েছিলেন। সেই উপদেশামৃত বাবার বিশিষ্ট ভক্তগণ, যথা-যামিনীকুমার মুখোপাধ্যায়, শ্রীহরি বিদ্যালঙ্কার, কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন, ব্রহ্মানন্দ ভারতী, কুলদা ব্রহ্মচারী প্রমুখ লিপিবদ্ধ করে রেখে গেছেন। সেই অমূল্য উপদেশের কিছু সংগৃহীত অংশ এখানে উল্লেখ করা হলো—

ওঁ

 (১) স্মরণ রাখিস–হিন্দুধর্মের প্রকৃত মর্ম হলো, ধর্মই ইহলোক ও পরলোকে একমাত্র সুখের উপায়। হিন্দু মাত্রেরই জীবনের সব কিছুই ধর্মদ্বারা শাসিত হয়ে থাকে। ইহকাল, পরকাল, ঈশ্বর, সমস্ত জীব, সমস্ত জগৎ–এ সব কিছু নিয়েই হিন্দুধর্ম। হিন্দুধর্মই সম্পূর্ণ ধর্ম। এমন সর্বব্যাপী, সর্বসুখময় ও পবিত্র ধর্ম আর নেই। মনে রাখিস–হিন্দুর ঈশ্বর সর্বভূতময়। তিনি সর্বভূতের অন্তরাত্মা। সব জীবেই ঈশ্বর বিরাজ করছেন। জাগতিক প্রেম হিন্দুধর্মের মূল। অচ্ছেদ্য, অভিন্ন জাগতিক প্রেমেই হিন্দুত্বের প্রকাশ। অন্য কোনো ধর্মে এমনটি দেখা যায় না।

(২) তোরা যদি দীর্ঘায়ু হতে চাস্ তাহলে তোদের সদাচারী, শ্রদ্ধাশীল, ঈর্ষাহীন, সত্যবাদী, ক্রোধহীন ও সরল স্বভাব হতে হবে।

(৩) যে লোক নাস্তিক, ক্রিয়া-কর্মহীন, বেদ-বিরোধী, শাস্ত্র-বিদ্বেষী, অধার্মিক, দূরাচার ও নিয়মনীতি অমান্যকারী, সে ইহলোকে অল্পায়ু আর পরলোকে নরকগামী হবেই।

মনে রাখিস–সদাচার দ্বারাই লোকের কীর্তি ও আয়ু বেড়ে যায়। সদাচার থেকে ধর্ম উদ্ভূত হয়, আর ধর্মের প্রভাবেই আয়ু বেড়ে যায়। সৎকর্মের অনুষ্ঠান করে যদি দুঃখ ভোগ করতে হয়, তবুও কায়মনোবাক্যে ওই সৎকর্মেরই অনুষ্ঠান করবি।

(৪) তোরা যদি তোদের মঙ্গল কামনা করিস, তাহলে সর্বোপায়ে তোদের সদাচারী হতে হবে।

(৫) মনে রাখিস-মানব দেহই পরমাত্মার বাসস্থান। বারবার এই কথা স্মরণ করে তোদের দেহকে সর্বদা পবিত্র ও শুচি-শুভ্র রাখতে চেষ্টা করবি।

 (৬) কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহাদি উৎকট পাপের ফল ইহলোকেই মানুষ ভোগ করে। তাই কামে কি কুফল, ক্রোধে কি কুফল, লোভে ও মোহাদিতে কি কুফল তা আলোচনা ও স্থিরভাবে চিন্তা করবি।

(৭) ক্রোধ মানুষের পরম শত্রু। ক্রোধ মনুষ্যত্ব নষ্ট করে। ক্রোধের অধীন হলে মানুষ যে কোনও পাপের কাজ করতে পারে। তাই ক্রোধকে দমন করতে সদাসর্বদা চেষ্টা করবি। ক্রোধ করবি কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।

মনে রাখিস-ক্রোধ উপস্থিত হলে তপস্যা বিনষ্ট হয়, ঈর্ষার উদয় হলে ধর্মলাভ হয় না, মান-অপমানের ভয় থাকলে বিদ্যালাভ হয় না, আর এমন হলে আত্মজ্ঞান লাভ হয় না।

(৮) খলতা, হঠকারিতা, অন্যের অনিষ্ট চিন্তা, অন্যের গুণ সম্বন্ধে অসহিষ্ণুতা, প্রদত্ত বস্তু অপহরণ করা, কঠোর ও কটুকথা বলা, আর নিষ্ঠুর আচরণ করা থেকে নিবৃত থাকতে চেষ্টা করবি।

(৯) অসৎ সংসর্গ সর্বপ্রকারে বর্জন করে চলবি। অসৎ সঙ্গ বলতে শুধু অসৎ চরিত্রের লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা, আলাপ-আলোচনাই বুঝবি না। অশ্লীল পুস্তক পড়া, অশ্লীল কথা শোনা, কুরুচীপূর্ণ সঙ্গীত শোনা সব কিছুকেই অসৎসঙ্গ বলে বুঝবি।

(১০) মনে রাখিস–জরা সৌন্দর্য নাশ করে, মৃত্যু প্রাণ নাশ করে, ঈর্ষা-দ্বেষ ধর্মাচরণ নাশ করে, ক্রোধ সম্পত্তি নাশ করে, অসাধু ও অশিষ্ট লোকের সেবা শীল নাশ করে, কাম লজ্জানাশ করে আর অভিমান সবকিছুই নাশ করে।

(১১) এটা চাই, ওটা চাই, সেটা চাই–এমন শুধু চাই-চাই করবি না। অতি অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে চেষ্টা করবি। তোদের কল্পিত অভাব যেন তোদের সর্বনাশ ডেকে না আনে–এদিকটা খেয়াল রাখবি।

(১২) যখন যে অবস্থাতেই থাকিস না কেন, দুঃখজনক মানসিক সন্তাপ পরিত্যাগ করে সন্তোষ অবলম্বন করতে চেষ্টা করবি।

(১৩) কখনও সন্তাপ করবি না। সন্তাপ থেকে রূপ নষ্ট হয়, সন্তাপ থেকে শক্তি নষ্ট হয়; সন্তাপ থেকে জ্ঞান নষ্ট হয়, আর সন্তাপ থেকে ব্যাধি উৎপন্ন হয়।

(১৪) প্রতিদিন রাতে শোবার আগে তোর সারাদিনের কাজের হিসেব-নিকেশ করবি অর্থাৎ ভালো কাজ কী কী করেছিস, আর মন্দ কাজ কী কী করেছিস? যে-সব কাজ মন্দ বলে মনে হবে সে-সব কাজ আর যাতে না করতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবি। সূর্য উঠলে যেমন আঁধার পালিয়ে যায়, গৃহস্থের ঘুম ভেঙে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বারবার বিচার করলে মন্দ কাজ করবার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাবেই।

(১৫) নিষ্কাম নিরলস কর্মীই যথার্থ সন্ন্যাসী। অলসতার বশবর্তী হয়ে কর্ম পরিত্যাগ করাকে সন্ন্যাস বলা যায় না।

তাই বলছি, শোন্ তোরা-কর্মত্যাগ করলে তোদের কখনও সিদ্ধিলাভ হবে না। ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হবে না। মনে রাখিস–কর্মানুষ্ঠানের প্রধান উপায় গৃহাশ্রম অবলম্বন করা। গৃহাশ্রম সত্যিই অতি পবিত্র আর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ।

ওরে তোরা শোন–তোদের সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হতে হবে না। তোরা যদি গৃহাশ্রম অবলম্বন করে নানা পুণ্য অনুষ্ঠান করিস, তাহলেই তোদের যথার্থ তপোনুষ্ঠান করা হবে। প্রতিদিন যথা নিয়মে দেব-দেবীর পূজার্চনা, পিতৃতর্পণ, ঈশ্বর উপাসনা আর দীক্ষা গুরুর সেবা ও আদেশ পালন করা সহজসাধ্য কাজ নয়। কিন্তু তোরা যদি গৃহাম অবলম্বন করে সেসব কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পারিস, তাহলেই তোদের সিদ্ধিলাভ হবে। শোন, দেবতারা এইসব তপোনুষ্ঠান করেই পরম ঐশ্বর্য পেয়েছেন।

শোন–সকল আশ্রমের মধ্যে গৃহাশ্রমকেই আমি শ্রেষ্ঠ মনে করি। কেন জানিস? অন্য অন্য আশ্রমে, সে ব্রহ্মচর্যাশ্রম কিংবা বাণপ্রস্থাশ্রম অথবা সন্ন্যাসাশ্রমই হোক না কেন, শুধু স্বর্গলাভ হয়। একমাত্র গৃহাশ্রমে কাম ও স্বর্গ দুই-ই লাভ হয়ে থাকে।

যে লোক অহংকার ও মমতা ত্যাগ করতে পারে, সেই লোকই যথার্থ ত্যাগী। শুধু গৃহত্যাগ করলে ত্যাগী হওয়া যায় না। যে লোক গৃহাশ্রমে থেকে শম-দম-ধৈর্য-সত্য, শৌচ, সরলতা, যজ্ঞ, ধর্মাদিকর্ম আর দেবতা-অতিথি-পিতৃগণের অর্চনা অনায়াসে সম্পাদন করতে পারে, সেই লোক ধর্ম-অর্থ-কাম–এই ত্রিবর্গ ফল লাভ করতে পারবে।

শোন–গৃহাশ্রম হল কেল্লা। যখন যুদ্ধই করতে হবে, তখন কেল্লা থেকে যুদ্ধ করাই ভালো। ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে যুদ্ধ, ক্ষুধা-তৃষ্ণার সঙ্গে যুদ্ধ গৃহে থেকে করাই ভালো। আবার এই কলিকালে তোদের অন্নগত প্রাণ, হয়তো কোনোদিন খেতেই পেলি না, তখন বনে বাস করে ঈশ্বর-টিশ্বর সব ঘুচে যাবে। জনক ঋষি, মহর্ষি বেদব্যাস, মহর্ষি বশিষ্ঠ গৃহাশ্রম ত্যাগ করেননি।

(১৬) যে ব্যক্তি অহংকার ও মমতা পরিত্যাগ করতে পারে, সেই যথার্থ ত্যাগশীল। শুধু গৃহত্যাগ করলেই ত্যাগশীল হওয়া যায় না। অতিমান, অতিবাদ, অতি অপরাধ, ক্রোধ, আত্মম্ভরিতা আর মিত্রদ্রোহ–এই ছয়টি দোষ তীক্ষ্ণ বাণস্বরূপ হয়ে মানুষের আয়ু কর্তন করে ও প্রাণ হরণ করে।

মনে রাখিস–যতক্ষণ তোর অহংভাব থাকবে, ততক্ষণই তুই মূর্খ ও বদ্ধ। গুরুকৃপায় যখন তোর ওই অহংভাব ক্ষয় হবে তখন তোর চিত্তশুদ্ধি ঘটবে। চিত্তশুদ্ধি ঘটলেই তোর আত্মতত্ত্ব বোধ হবে। আর তখনই হবি জ্ঞানী ও মুক্ত। শোন–যিনি বাক্য, মন, ক্রোধ, প্রতিচিকীর্ষা (প্রতিশোধ নেবার ইচ্ছা), উদর ও উপস্থের বেগ সহ্য করতে পারেন, আমি তাকে যথার্থ ব্রাহ্মণ ও সাধু মনে করি।

বাচালের মতো অকারণ কথা বলার চেয়ে বা সংযমী হওয়া, মৌনী হয়ে থাকার চেয়ে শুধু সত্য কথা বলা, আর সত্য কথার বলার চেয়ে ধর্ম বিষয়ে সত্য কথা বলা শ্রেয়। আবার ওই ধর্মবিষয়ে সত্যবাক্য যদি লোকের প্রিয় হয়, তার চেয়ে শ্রেয় আর কিছুই নেই।

শোন–অশ্রদ্ধার চেয়ে গুরুতর পাপ, আর শ্রদ্ধার চেয়ে পাপ নাশের প্রধান উপায় আর কিছুই নেই। শ্রদ্ধাবান হতে চেষ্টা করবি, তাহলেই ধর্মলাভ করতে পারবি।

(১৭) দেখ–যেখানে ত্যাগ নেই, আছে মোহ ও আসক্তি, সেখানেই যত দুঃখ, দৈন্য ও অশান্তি। মনে রাখিস–চিন্তা ত্যাগ করাই দুঃখ নিবারণের মহৌষধ। দুঃখ চিন্তা করলে কখনও দুঃখ দূর হয় না, তা ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলে। জ্ঞানের দ্বারা মানসিক দুঃখ আর ওষুধের দ্বারা শারীরিক দুঃখ দূর করতে হয়।

কখনও কুতর্ক করবি না। কুতর্কে হৃদয় শুষ্ক হয়ে যায়। আর বুদ্ধি বিচলিত হয়। তর্ক করে কখনও ব্রহ্মকে/ঈশ্বরকে উপলব্ধি করা যায় না। ব্রহ্ম-ঈশ্বর মানুষের বুদ্ধির অতীত বস্তু।

শোন–উপাসনা হল ভক্তিমার্গের সাধনা, শ্রবণ-মননাদি হল জ্ঞানমার্গের সাধনা, আর প্রাণায়ামাদি হল যোগমার্গের সাধনা। কিন্তু ত্যাগ হল সকল মার্গের সাধনা। ত্যাগ ছাড়া জ্ঞান-ভক্তি-যোগ-কর্ম কোনো মার্গেই সিদ্ধিলাভ হয় না। কেননা ত্যাগই হল সকল সাধনার মূল।

(১৮) শোন তোরা–রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়বি, আমায় স্মরণ করিস। আমিই সকল বিপদ-আপদ থেকে তোদের রক্ষা করব। জানিস জীবের কল্যাণে আমার অর্জিত বিভূতিগুলি আমার অলক্ষিতে প্রকাশিত হয়। তাই আমার কাছ থেকে ধর্মার্থী পাচ্ছে ধর্ম, জ্ঞানার্থী পাচ্ছে জ্ঞান, কর্মার্থী পাচ্ছে কর্ম, ধনার্থী পাচ্ছে ধনসম্পদ, ক্ষুধার্ত পাচ্ছে অন্ন, নিরাশ্রয় পাচ্ছে আশ্রয় আর ব্যাধিগ্রস্থ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাচ্ছে।

(১৯) শোন তোরা–আমি শতাধিক বছর ধরে বহু পাহাড়-পর্বত পরিভ্রমণ করে বড়ো একটা সম্পদ রোজগার করে এনেছি। তোরা সকলে এখন ওই সম্পদ বসে বসে খাবি। শোন তোরা–আমার দয়া ছড়ানো রয়েছে, কুড়িয়ে নিতে পারলেই হলো। তোরা আর দেরি না করে তা কুড়িয়ে নে।

শোন তোরা–আমি তোদের জন্য ভবের বাজারে অক্ষয় দোকান খুলেছি। তোরা যে যেখানে আছিস, আর দেরি না করে ছুটে আয়। যার যত খুশি নিয়ে যা।

(২০) শোন তোরা–আমি এখানে উপদেশ দিতে আসিনি। আমি এসেছি আদেশ করতে। আমার উপরে আদেশকর্তা আর কে আছে রে?

এতকাল কতশত রুগী পেলাম, এখনও পাচ্ছি, আর পরেও পাব। কিন্তু কই ভবরুগীর দেখা তো পেলাম না। আমি কি শুধুই ধন্বন্তরি? শোন তোরা–আমায় সারাদিন এত কাছে পেয়েও কেউ চিনলো না। তোরা সব আমাকে মানুষ ভেবেই মাটি করে ফেললি।

শোন–আমি ধরা দিই বলেই না তোরা ধরতে পারিস। নইলে কার বাপের সাধ্যি যে আমার কাছে ঘেঁসে?

শোন তোরা–উত্তরায়ণে দিনের বেলায় যখন নির্মল আকাশে কিরণ দেবে, তখনই আমি সূর্যরশ্মি অবলম্বন করে ব্রহ্মলোকে চলে যাব। প্রলয়কাল পর্যন্ত সেখানে থেকে প্রলয়ের সময় ব্রহ্মেতে লীণ হব।

শোন–এ দেহটা যেন একটা পাখির খাঁচা। ওরা সব আমায় মানুষ ভাবে। আমার ভুল হয়ে যায়। এ দেহটা যে আছে তা স্মরণে থাকে না।

শোন তোরা–খাঁচা ছাড়লেই কি আমি হারিয়ে যাব? আমি নিত্য, আমার মৃত্যু নেই, বিনাশ নেই, পরিবর্তন নেই, আমার শ্রাদ্ধও নেই।

খাঁচা ছাড়ার পরেও ঠিক এমনি করেই আমি তোদের মধ্যে থাকব। ঠিক এমনি করেই সাড়া দেবো তোদের আকুল ডাকে। খাঁচাটা যে বড্ড পুরনো হয়ে গেছে। এ খাঁচা গেলেই বা কি? আমি তো আছি। আমি আছি সর্বভূতে, সব কিছুতে। আমার বিনাশ কোথায় বল্?

দেখ–আজকাল প্রায়ই যখন দেহ থেকে আগা হয়ে যাই তখন আর ফিরে আসতে ইচ্ছে হয় না। এরপর আমি কোন্ দেহ আশ্রয় করব, তা ভাবছি।

বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী ছিলেন পূর্ণব্রহ্ম। ব্রহ্মজ্ঞানী ব্রহ্মলোকে অবস্থান করেও সর্বলোকেই যাতায়াত করতে পারেন। বাবা লোকনাথ উক্রমণের পরেও ব্রহ্মলোক থেকে সূক্ষ্মদেহে সর্বত্র বিচরণ করেন এবং তার ভক্তদের রক্ষা করেন এবং জীবন্মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে প্রবুদ্ধ করেন। ভক্তদের কাজ কেবল তাঁর অমূল্য উপদেশামৃত পান করে এগিয়ে চলা। তাঁর কথিত অক্ষয় ভাবের বাজার থেকে বাবা ডেকে একটু শুদ্ধভক্তির বিনিময়ে জীবন্মুক্তির অমূল্য সম্পদ কুড়িয়ে নিতে বাবার ভক্তরা এগিয়ে আসুন।

ওঁ