2 of 3

প্রশ্ন

প্রশ্ন

কেউ তো প্রশ্ন করে না, সারাটা জীবন তুমি কি করে এলে? আমরা আসি, আমরা চলে যাই। খাই দাই। খানিক হাসি, খানিক কাঁদি। হলহল করে অজস্র বাজে কথা বলি। নিজে ভুগি অন্যকে ভোগাই। সকলেই কর্মবীর ধর্মবীর হবেন এমন কোন কথা নেই। তা হওয়াও যায় না। প্রারব্ধ বলে একটা কথা আছে। জন্মজন্মান্তরের সাধনায় মানুষ এক জন্মে এসে ফল পায়। জন্মান্তর আমাদের মানতেই হয়। একই মানুষ, একই রকম দেখতে, কেউ পুরুষ, কেউ মহাপুরুষ। কেন? কেউ আসে ভাল সংস্কার নিয়ে, কেউ আসে কাপুরুষ হয়ে। কেন? মহাজীবনের সমস্ত লক্ষণই বাল্যাবস্থা থেকে ফুটে ওঠে। তাই বা কি করে হয়! সাত বছরের ছেলে পাকা তবলিয়া, কি পাকা গাইয়ে, কি পাকা সেতারী। কেউ লেখাপড়ায় এত ভাল যে, যা শোনে তাই মনে রাখে। শ্রুতিধর। শৈশব থেকেই কেউ ঈশ্বরীয় কথা শুনতে ভালবাসে। উদার পরোপকারী আদর্শনিষ্ঠ। বিজ্ঞান বলবে, ওসব হলো ব্রেনের ব্যাপার ‘জিন’-এর কেরামতি। বিজ্ঞান পরকাল মানে না। ইহকালেই সব শেষ। কোন এক পুরুষের প্রতিভা বংশগতির ধারায় ঘুরতে ঘুরতে এই পুরুষে এসে ভর করে। এর কোন নিয়ম নেই। বলা যায় না কিছু। বিজ্ঞান যাকে ‘জিন’ বলছে, হিন্দুধর্ম সেটাকেই বলছে পূর্বজন্মের সংস্কার। মহাপুরুষ, মহামানব আকার আকৃতির দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারেন জীবটি কি সংস্কার নিয়ে এসেছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মহেন্দ্রনাথের (শ্রীম) দিকে তাকিয়ে বলছেন : “দেখ, তোমার লক্ষণ ভাল ছিল, আমি কপাল, চোখ এসব দেখলে বুঝতে পারি” …। এই যে জীবের লক্ষণ, যা ঠাকুর শ্রীমর মধ্যে দেখলেন, এইটিই হলো পূর্বজন্মের সংস্কার, সেইসঙ্গে পিতামাতার সৎ ও শুদ্ধ জীবনের দান। ঠাকুর শ্রীমকে জিজ্ঞেস করছেন : “আচ্ছা, তোমার পরিবার কেমন? বিদ্যাশক্তি, না অবিদ্যাশক্তি।” ঠাকুর জানতে চাইছেন, জীবনপথে স্ত্রী স্বামীকে সাহায্য করবেন কি না। বংশে শুভ কর্মকারী, আত্মজ্ঞানসম্পন্ন সন্তান আসার পথ খোলা আছে কি না! আবার শ্রীম ঠাকুরের ঘরে নরেন্দ্রনাথকে প্রথম দর্শনের বিবরণটি লিখেছেন এইভাবে, “একটি ঊনবিংশতিবর্ষ বয়স্ক ছোকরাকে উদ্দেশ্য করিয়া ও তাঁহার দিকে তাকাইয়া ঠাকুর যেন কত আনন্দিত হইয়া অনেক কথা বলিতেছিলেন। ছেলেটির নাম নরেন্দ্র, কলেজে পড়েন ও সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে যাতায়াত করেন। কথাগুলি তেজঃপরিপূর্ণ। চক্ষু দুটি উজ্জ্বল। ভক্তের চেহারা।” ঠাকুরের যিনি কৃপাধন্য হবেন তিনিও তো মহামানব, মহাসাধক। তিনিও তো আধার চিনবেন।

এই আরেকটি শব্দ পাওয়া গেল, ‘আধার’, যে আধারে জীবাত্মার বসবাস। এই আধার অর্জন করতে হয় সাধনায়। পিতামাতার সাধনা। নিজের পূর্ব জন্মের সাধনা। ‘ঈশ্বর সর্বভূতে আছেন।’ ঠাকুর বলছেন নরেন্দ্রকে—”তবে একটা কিন্তু আছে। ঈশ্বর সর্বভূতে আছেন। তবে ভাল লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে; মন্দলোকের কাছ থেকে তফাতে থাকতে হয়। বাঘের ভিতরেও নারায়ণ আছেন, তা বলে বাঘকে আলিঙ্গন করা চলে না।” পরে আরো একটু ব্যাখ্যা করে ঠাকুর বলছেন : “শাস্ত্রে আছে আপো নারায়ণঃ—জল নারায়ণ। কিন্তু কোন জল ঠাকুরসেবায় চলে; আবার কোন জলে আঁচানো, বাসন মাজা, কাপড় কাচা কেবল চলে, কিন্তু খাওয়া বা ঠাকুরসেবা চলে না। তেমনি সাধু, অসাধু, ভক্ত সকলেরি হৃদয়ে নারায়ণ আছেন। কিন্তু অসাধু অভক্ত দুষ্ট লোকের সঙ্গে ব্যবহার চলে না। মাখামাখি চলে না। কারো সঙ্গে কেবল মুখের আলাপ পর্যন্ত চলে, আবার কারো সঙ্গে তাও চলে না। ঐরূপ লোকের কাছ থেকে তফাতে থাকতে হয়।”

তাহলে অমৃতের পুত্র ভেবে তামসিকতায় ভেসে গেলে ঘৃণাই কুড়োতে হবে। স্বভাব অনুযায়ী নিজের ঘোঁটালেই সঙ্গীসাথী খুঁজতে হবে। যাঁরা চেনেন তাঁরা তফাতেই রাখবেন। যে জগৎ সুন্দরের সত্যের পুণ্যের, মানুষ হয়েও সেই জগৎ থেকে দূরেই থাকতে হবে। নারায়ণ হয়ে ও দুষ্ট নারায়ণ হয়ে নিজের স্বভাবের চক্রেই ঘুরতে হবে। ঠাকুর পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন—সব মানুষই কি সমান? না সমান নয়। “ঈশ্বরের সৃষ্টিতে নানারকম জীবজন্তু, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে, মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃতের ন্যায় ফল হয় এমন আছে, আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে, সাধু আছে, অসাধুও আছে; সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।”

“জীব চার প্রকার—বদ্ধজীব, মুমুক্ষুজীব, মুক্তজীব ও নিত্যজীব।”

ঠাকুর এই চার প্রকার ব্যাখ্যা করছেন! “নিত্যজীব—যেমন নারদাদি। এরা সংসারে থাকে জীবের মঙ্গলের জন্য, জীবদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য। বদ্ধজীব— বিষয়ে আসক্ত হয়ে থাকে, আর ভগবানকে ভুলে থাকে—ভুলেও ভগবানের চিন্তা করে না। মুমুক্ষুজীব—যারা মুক্ত হবার ইচ্ছা করে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ মুক্ত হতে পারে, কেউ পারে না। মুক্তজীব—যারা সংসারে কামিনী-কাঞ্চনে আবদ্ধ নয়—সাধুমহাত্মারা; যাদের মনে বিষয়বুদ্ধি নাই আর যারা সর্বদা হরিপাদপদ্ম চিন্তা করে।”

ঠাকুরের ছিল উপমা দেবার, জ্ঞানকে নীতিগল্প করে তোলার ঐশ্বরিক ক্ষমতা। অমন যুগাবতার কি আর আসবেন! একঘর ভক্ত বসে আছেন উন্মুখ হয়ে। আছেন শ্রীম, নরেন্দ্র। ঠাকুর হাসতে হাসতে বলছেন : “যেমন জাল ফেলা হয়েছে পুকুরে। দু-চারটে মাছ এমন সেয়ানা যে কখনো জালে পড়ে না— এরা নিত্যজীবের উপমাস্থল। কিন্তু অনেক মাছই জালে পড়ে। এদের মধ্যে কতকগুলি পালাবার চেষ্টা করে; এরা মুমুক্ষুজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছই পালাতে পারে না। দু-চারটে ধপাঙ, ধপাঙ করে জাল থেকে পালিয়ে যায় তখন জেলেরা বলে—ঐ একটা মস্ত মাছ পালিয়ে গেল। কিন্তু যারা জালে পড়েছে, অধিকাংশই পালাতে পারে না; আর পালাবার চেষ্টাও করে না। বরং জাল মুখে করে পুকুরের পাঁকের ভিতরে গিয়ে চুপ করে মুখ গুঁজড়ে শুয়ে থাকে—মনে করে আর কোন ভয় নাই, আমরা বেশ আছি। কিন্তু জানে না যে, জেলে হড়হড় করে টেনে আড়ায় তুলবে। এরাই বদ্ধজীবের উপমাস্থল।”

বদ্ধজীবের মনে প্রশ্নই আসে না, দিন তো যায়, আমি কি করলুম! ফেলে আসা বছরে, চিন্তায় কর্মে আমি কি করে এলুম। এই প্রশ্ন তো তাঁর করুণাতেই জাগে। যিনি জালে জড়ান, তিনিই তো মুক্তির পথ করে দেন। পথ খোঁজার আগে আসে প্রশ্ন, যেমন বজ্রের আগে বিদ্যুৎ। বদ্ধজীব সম্পর্কে ঠাকুরের পর্যবেক্ষণ অসাধারণ—”বদ্ধজীবেরা সংসারের কামিনী-কাঞ্চনে বদ্ধ হয়েছে, হাত-পা বাঁধা। আবার মনে করে যে, সংসারের ঐ কামিনী ও কাঞ্চনেতেই সুখ হবে, আর নির্ভয়ে থাকবে। জানে না যে ওতেই মৃত্যু হবে। বদ্ধজীব যখন মরে তার পরিবার বলে, ‘তুমি তো চল্লে, আমার কি করে গেলে?’ আবার এমনি মায়া যে, প্রদীপটাতে বেশি সলতে জ্বললে, বদ্ধজীব বলে, ‘তেল পুড়ে যাবে, সলতে কমিয়ে দাও।’ এদিকে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে রয়েছে। বদ্ধজীবেরা ঈশ্বরচিন্তা করে না। যদি অবসর হয় তাহলে হয় আবোল-তাবোল ফালতো গল্প করে, নয় মিছে কাজ করে। জিজ্ঞাসা করলে বলে, আমি চুপ করে থাকতে পারি না তাই বেড়া বাঁধছি। হয়তো সময় কাটে না দেখে তাস খেলতে আরম্ভ করে।”

তিনি যাকে জন্মচক্রে ঘোরাবেন, তাকে একটা অহঙ্কার দেন। বদ্ধজীবের অহঙ্কার—আমি যা করছি ঠিক করছি, বেশ করছি। যে যা করছে সব ভুল। আমার ঘড়িই ঠিক চলছে। এইভাবেই একদিন জীবনদীপ ফুস।

ভক্তি ভগবানের সম্পত্তি নয়, ভক্তি ভক্তের সম্পত্তি। ভগবানের সম্পত্তি কৃপা। অবশ্য ভগবানের কাছ থেকে কৃপা না এলে কেউ ভক্ত হতে পারে না, কেউ ভক্তিলাভ করতে পারে না। কেমন করে এই কৃপালাভ করব! যে কৃপায় আমি ভক্ত হব। আমার ভক্তি হবে। বিষয় বাসনা থেকে, তুচ্ছ জাগতিক ব্যাপার থেকে আমার মন উঠে যাবে। মনভ্রমরা গিয়ে বসবে তাঁর চরণকমলে। সত্যযুগের পথ ছিল ধ্যান। ত্রেতায় যজ্ঞ। দ্বাপরে পরিচর্যা অর্থাৎ অৰ্চনা-মার্গ কলির পথ ধ্যান যজ্ঞ অৰ্চনা নয়, নামগান। দুহাত তুলে হরিনাম সঙ্কীর্তন। কলৌ তদ্ধরিকীর্তনাৎ। নাম নিতে নিতে নামী নামকারীকে গ্রাস করবে। তখন আসবে বিশ্বাস। বিশ্বাস থেকে আসবে ভক্তি। তখন নামমাত্রেই ‘দু-নয়নে বহে অশ্রুধারা’!

এই তো সাধনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল। সাধন ছাড়া তো সিদ্ধি আসে না। সারাদিন হাহা করে ঘুরলুম। জীবিকার চরকায় তেল দিয়ে নানারকম দৈহিক ভোগের ব্যবস্থা করলুম। আবোল তাবোল পড়লুম, গুচ্ছের বকলুম, মধ্যযামের আগেই চিৎপাত শয্যায়; কারণ বড়ই ক্লান্ত। এই দিনলিপির কোথায় আছে তাঁকে পাবার সামান্যতম চেষ্টা। অথচ আমরা চাই। তাঁকে চাই, যাঁকে পেলে আর কোন কিছুর পাওয়ার বাসনা থাকে না। সে কি অতই সহজ। “বিনা প্রেমসে না মিলে নন্দলালা।” ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলতেন : “তাঁর দিকে এক পা এগোলে তিনি একশ পা এগিয়ে আসেন।” সেই একটা পা তো এগোতে হবে! বসে বসে গটরা করলে হবে না। গ্রাম্যকথায় সময় নষ্ট করলে, সময় তো আমার জন্য বসে থাকবে না।

টুসকি মেরে পরমার্থ লাভ হয় না। হলে বিষয় আর বিষয়ী—দুটোই লোপ পেত। ঠাকুর রামকৃষ্ণ যেমন বলেছেন—”মনে, বনে, কোণে। প্রথম অবস্থায় একটু নির্জনে বসে মন স্থির করতে হয়। তা নাহলে অনেক দেখে শুনে মন চঞ্চল হয়। যেমন দুধে জলে একসঙ্গে রাখলে মিশে যায়, কিন্তু দুধকে মন্থন করে মাখন করতে পারলে জলের সঙ্গে মেশে না, সে জলের ওপর ভাসে; তেমনি যাদের মন স্থির হয়েছে তারা যেখানে সেখানে বসে সর্বদা ভগবানকে চিন্তা করতে পারে।” ঠাকুর একদিন বারান্দায় বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ মণিকে নিভৃতে নিয়ে বলছেন : “ঈশ্বরচিন্তা যত লোকে টের না পায় ততই ভাল।”

নিভৃতে নিরালায় গোপনে মনকে সাবধানে শেখাতে শেখাতে, পিতা যেভাবে চঞ্চল বালককে হাত ধরে ধরে পথ চলেন সেইভাবে চলতে হবে। কেউ যেন বুঝতে না পারে। মন যখন বাঁদরের মতো ছটফট করবে তখন বিচার।

এ কোন হতাশার কথা নয়। চিরন্তন, অভিজ্ঞতাসঞ্জাত প্রশ্ন। নিত্য অনিত্যের সন্ধান। যেসব বস্তু নিমেষে ছেড়ে চলে যেতে হয়, তার জন্যে সারাজীবন অনর্থক ছোটাছুটি, কোস্তাকুস্তি করার কি মানে হয়। ভাড়াবাড়ি আর নিজের বাড়ি। “তোমার ঐ দেওয়ালটায় যে নোনা ধরে গেছে গো! কিছু করবে না?” “সে ভাই বাড়িওয়ালা বুঝবে। আমি ভাড়াটে আজ আছি কাল নেই। নিজের বাড়ি হলে দেখা যাবে। দেয়ালে প্লাস্টিক পেন্ট লাগাতুম। পরের বাড়িতে পয়সা খরচ করে অর্থনষ্ট।”

নিজের বাড়ি হলো এই পঞ্চভূতের দেহমন্দির। মন হলো বিগ্রহ। বিগ্রহের সেবা না করলে হয়ে দাঁড়াবে গ্রহ। মন আবার দেহবাড়ির মালিক, বাড়িওয়ালা। এই বড় ‘আমি’র সঙ্গে ভাড়াটে ছোট ‘আমি’র সুসম্পর্ক নাহলেই নিত্য চুলোচুলি। দরজা-জানালা খুলে পড়ে যায়, ছাদের চাবড়া খুলে পড়ে, জল আসে না কলে, বাড়িওয়ালা নির্বিকার; কারণ সম্পর্ক অতি তিক্ত। ওঁচা ভাড়াটের যা হয়।

নির্জনে মিনিট পাঁচেক দাঁড়াও। দুটো পা মাটিতে। ফুটখানেকের বেশি জায়গা নেয়নি। শূন্যে দেহকাণ্ড পাঁচফুট কয়েক ইঞ্চি উঠেছে। পৃথিবীতে এই তো আমার স্থিতি। আমার একটা নাম আছে। সেইটাই হলো এই বোতলের লেবেল! আমি ভিটামিন না ফিনাইল। ভিটামিন হলে খাবে, ফিনাইল হলে বাথরুম পরিষ্কার করবে। এই নামের আগে পরে আরো একসার নাম পূর্বপুরুষ, উত্তরপুরুষ। এই হলো আমার শৃঙ্খল। আমার প্রারব্ধ। আমার বন্ধন। এক নামের টানের মুতোঘাসের চাবড়ার মতো খানিকটা উঠে আসে একসঙ্গে। এইটুকুই আমার পরিচয়। এই শৃঙ্খলই আমাকে ঘোরায়, জ্বালায়, পোড়ায়। মৃত্যুর পর সামান্য তিনটে লাইন—অমুকচন্দ্র তমুক, চল্লিশ বছর এই প্রতিষ্ঠানে গোলাম ছিলেন। এক স্ত্রী, দুই পুত্রকন্যা রেখে পরপারে চম্পট। এই তার সম্পদ। বড় ‘আমি’র কাঁচকলা। বড় আমি হলো ইলেকট্রিক লাইন। সেই লাইনে অজস্র টুনি। একটা ফিউজ হলো তো বয়েই গেল। মেকানিক এসে বাল্বটা পালটে দিলে। অক্ষত আলোর মালা সারারাত জ্বলে। ভবে আসা খেলতে পাশা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *