নরেন হরেন সাধু মানুষ

নরেন হরেন সাধু মানুষ

একটা ছিল লোক। ঢ্যাঙা মতো, রোগা মতো, কালো মতো, অনেক কিছুর মতো সেই লোকটার ছিল একটা জমি। জমির উপর একটা বাড়ি ছিল। হ্যাঁ, একটা ছিল বাড়ি। সেই বাড়িটার সামনে একটা বাগান। ফুল ছিল, ফল ছিল, আর ছিল একটা নিম গাছ। একটা ছিল নিম গাছ। তার ডালে ছিল আর কেউ। একজন নয় দুজন। তারা সন্ধে হলেই পা দুলোত। দুঃখী দুই ভবঘুরে। যখন বেঁচেছিল, কালীঘাট যাবে বলে বেরিয়েছিল দুই বুড়ো। হরেন সাধু আর নরেন সাধু। তারা কোথাকার লোক, কোথা থেকে এল এই লোকটার বাড়ি, তা কেউ জানে না। তারা যে আছে তা লোকটা ছাড়া কেউ জানে না। এই যে সেই লোক, সন্ধে হতে তার মনে হচ্ছিল, তার বাগানের নিম গাছের ডালে হাড়-খটখটি পা দোলে। কার পা আর কার পা? ডান পা না বাম পা? সে বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে ডাক দিল, এই তোরা কারা, দিসনে কেন সাড়া?

পায়ের দোলা বন্ধ হলো, হরেন নরেনের ভিতর হরেন বলল, আমাদের অত সাহস নেই বাপু, সাড়া দিতে ভয় করে।

তুই দেখছি আচ্ছা ভীতু! লোকটা অবাক হলো। সূয্যি ডোবার পর সে তো ভূত নিরোধক লৌহ কবচ পরে গ্যাঁট হয়ে বসেছে আর নিজের পাদুটি টান টান করে ছেড়ে দিচ্ছে। কেন এমন করা, না তার হাঁটুর মালাইচাকিতে ব্যথা। খ্যাঁচ খ্যাঁচ লাগে। এক ভবঘুরে এসে তাকে এই জ্ঞান দিয়ে গেছে। এতে তার উপকার হচ্ছে মনে হয়। এখন নিম গাছের ডালে কাদের পা দোলে, তা তাকে জানতে হবে। তার বাড়ি, তার বাগান, তার গাছ, সুতরাং তার জানবার অধিকার আছে বৈকি। কত কিছু জানে সে, কোন গাছে কটা পাখি, কোথায় চাক বেঁধেছে মৌমাছি।

এই তোদের নাম কী?

আমি নরেন, ও হরেন।

কে হরেন?

ও হরেন।

লোকটা খুব মেজাজি, বকুনির গলায় বলল, যার নাম তাকে বলতে দে।

আঁজ্ঞে ও আমার চেয়েও ভিতু, কথা বলতেই চায় না। নরেন বলল।

ভয়ের কী আছে, আমি তো মানুষ।

নরেন বলল, আঁজ্ঞে, মানুষ তো আমরাও হতে চাই।

লোকটা বলল, মানুষ মরে ভূত হয় জানি।

নরেন বলল, মানুষ হয় কী করে স্যার?

তখন অন্ধকারে যেন বজ্রপাত হলো, কড়কড় করে মেঘ ডাকল, কে একজন নিম ডাল থেকে বলে উঠল, সে বলেছিল ভূত মরে মানুষ হয়।

আরিব্বাস, গা কেঁপে উঠল এমন গলা, কী আওয়াজ! এ কে?

নরেন বলল, আঁজ্ঞে হরেন, আমরা যমজ বন্ধু।

বন্ধু না ভাই? লোকটা জিজ্ঞেস করল।

কী জানি কী ছাই, একটা কিছু হবেন। আবার সেই গুমগুমে গলায় স্বর বেরোল।

লোকটা বলল, বলছিলি না ও খুব ভীতু?

ইয়েস স্যার, আমি নিজিই খুব ভীতু, আমার চেয়ে বেশি ও।

লোকটা বলল, ভীতুর অমন হেঁড়ে গলা, ওর গলা শুনলে তো আমার হাঁটুতে খিঁচ লাগছে।

নরেন বলল, আঁজ্ঞে তার জন্য ওর কিছু করার নেই, ও নিজেই নিজের গলা শুনে হার্ট ফেল করে মরেছে, আর ও মরলে আমি একা একা ভয়ে ভয়ে মরে গেছি।

লোকটা বলল,খুব বাজে গলা,ভূত হয়ে ভয় দেখাতে এয়েছিস আমাকে?

আঁজ্ঞে না, ও নিজেই ভীতু, নিজের গলা শুনে কাঁপে, আবার কাঁপতে কাঁপতে কেঁদেই ফেলে, তখন নিজের কান্না শুনেও কাঁপে, আবার কাঁপুনিতে কেঁদে ফেলে, তাতেও ভয়ে…।

থাক থাক আর বলতে হবে না, বুঝেছি। লোকটা হাত তুলে থামালো নরেন ভূতকে।

স্যার আপনি রাগ করবেন না, আমরা এখেনে আশ্রয় পেয়ে খুব ভালো আছি, এমন নিম গাছ, এমন থমথমে জায়গা আমাদের মনোমত হয়েছে, নিমের তেতো গন্ধ আমাদের খুব ভালো লাগে, শুধু একটা অসুবিধে আছে, আপনি যদি দেখতেন স্যার। নরেন বলল।

আপনার দয়ার হেদয় স্যার, আপনি পাআআআরেন্নন্ন। বজ্র কণ্ঠে হরেন বলল।

উফফ,চুপ চুপ চুপ, গাছে যে পাখিরা আছে সব পালাবে। লোকটা বলল।

নরেন বলল, পালিয়েছে স্যার।

তার মানে? লোকটা অবাক।

আমরা আসার পর পাখিরা পালিয়েছে নিম ডাল থেকে। নরেন বলে।

আমি তাহলে ভোরে পাখির কাকলি শুনি না? লোকটা জিজ্ঞেস করে।

আপনার ঘুম খুব গাঢ় স্যার, ঘুমুলি সাড় থাকে না। নরেন বলল।

হুঁ, এক ঘুমে রাত কাবার করে দিই। লোকটা বলল।

নরেন বলল, রাত্তিরে কথা বলি আমরা ফিসফাস, পাখিরা ভয়েই উড়ে গেছে।

লোকটা বলল, এই তোরা কবে এয়েছিস?

তিনদিন স্যার, গেল অমাবস্যার দিন।

হুঁ,সেই কারণে রাতে কড়কড়ি শব্দ হয়, আমার ঘুম ভেঙে গেছে কদিন।

নরেন বলল, স্যার আমাদের একটা নিবেদন আছে।

লোকটা বলল, বলে ফেল।

স্যার,আমরা আপনার বাড়ি পাহারা দিই,চোর এসে ফিরে গেছে দুদিন।

ফুল চোর?

স্যার, আমাদের আবেদন শোনেন। নরেন বলে।

শুনতিই হবে স্যার, না হলি আমাদের এখেনে থাকা হবে না। বাজখাঁই গলায় হরেন বলল।

বল, বলে ফেল। লোকটা হাঁই তুলল। ঘুম এসে যাচ্ছে। অন্ধকার হলেই তার চোখ জুড়িয়ে আসে। ঘুমতে সে খুব ভালোবাসে। ঘুমের ভিতর স্বপ্ন আসে। ভালো স্বপ্ন হলে, মন খুশি হয়ে যায়। প্রথম রাতের স্বপ্নটা ভালো হয়, পরের রাতে ভয়ের হয়, কিংবা হয় না। ভয়ের হলে মেজাজ খিঁচড়ে যায়। গতকাল রাতে সে স্বপ্ন দেখেছিল, মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটছে, তখন আকাশে মেঘ এল, বাজ পড়তে আরম্ভ করল। কোথায় পালাবে? পালাবার পথ নেই। ছুটতে ছুটতে শেষ রাতে ঘুম ভেঙে গেল। এখন বোঝা গেল, এই দুই মক্কেল তখন ফিসফাস করছিল। কী বলতে চায় এরা?

নরেন বলল, তুই বল হরেন।

হরেন হেঁড়ে গলায় বলল, আমি বললে স্যার ভয় পাবে, আমারও কান্না পাবে।

আরিব্বাস, থামরে তুই থাম। লোকটা থামালো হরেন কে। হরেন না যেন, পাঞ্জাব লরির হর্ন।সে থামল। তখন নরেন বলল, রাগ করবেন না তো স্যার?

আরে তোরা বল তোদের আবেদন কী?

স্যার আপনি একা থাকেন? নরেন জিজ্ঞেস করল।

কেন আর কাউকে কি দেখা যায়? লোকটা বেজায় অবাক হলো।

আমাদের মনে হয়, আপনারা দুই জন, যমজ বন্ধুর মতো যমজ ভাই। নরেন বলে।

উফফ,মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। বলছে কি মাথামোটা ভূত? একবার লোকটা নিজে বের হয়, আর একবার তার মতো আর একজন বের হয়। একজন লাল জামা পরে বের হয়, আর একজন বের হয় নীল জামা পরে। তারা তাই জানে দুইটা লোক থাকে এই বাড়িতে। লোকটা অবাক হলো দুই ভূতের ধারণার কথা শুনে। তার নিজের তো দুটি জামা, লাল জামা, নীল জামা। কখনো এটা পরে, কখনো ওটা পরে। কিন্তু সে তো একাই পরে। একাই দুরকম পরে। কখনো প্যান্ট আর লাল জামা। কখনো পায়জামা আর নীল জামা। সেই কথা বলতে নরেন ভূত মাথা নাড়তে লাগল, পা নাড়তে লাগল, গাছ নাড়তে লাগল, শেষে কঙ্কাল হাত কচলাতে লাগল, আপনি স্যার, আপনার ভাইরে বারণ করে দেবেন ভোরবেলায় হরিনাম করতে।

এ আবার কী কথা। ভোরবেলা হরি হরি করে কে? কেউ না। সে তখন ঘুমায়।চিন্তার কথা। তার মানে তার কোনো যমজ আছে, যে নীল কিংবা লাল জামা পরে শেষ রাত্তিরে হরি হরি করে। তাতে ভূত দুই বন্ধুর খুবই অসুবিধে হয়। কিন্তু এরা যে আর একটা কথা বলছে, শেষ রাত্তিরে ফুল তুলতে এসে সে হরি হরি সে থামায় না। তখন তাদের খুব ভয় করে। স্যার সেই লোকটা কি আপনি না আপনার ভাই? অন্ধকারে লাল আর নীলে কিছু তফাৎ ধরা যায় না। সবই কালো মনে হয়।

লোকটা এইবার সিধে হয়ে বসল। তার মানে, শেষ রাতে কে আসে ফুল তুলতে। ফুল চোর। ফুল চোর ভূতের ভয় তাড়াতে হরি হরি করে। লোকটা বলল, বাগানের ফুল তুলতে আসে যে, সে আমি হই বা আমার ভাই হোক, তোমরা ভয় দেখিয়ে তাড়াতে পার না?

মানুষদের খুব ভয় লাগে স্যার।

ওরে আমার ভুতুরে, মানষিরে ভয় করে, তাহলে ভূত হয়েছিস কেন?

আমরা আবার ফুল বাগানে থাকি, সারাদিন ধরে লাল নীল ফুল দেখি আর বেশি ভয় করে। নরেন বলল।

ওরে আমার কীর্তিমানরে, ফুল বাগানে তোরা ভয় করিস!

হরেন আর পারে না,সে ফুল শুনলেই কেঁদে ওঠে,স্যার গো,ফুল বাগানে আমাদের খুব ভয় করে, আমাদের জন্যি ভাগাড় চাই, মরা গরু, মরা ছাগল, হাড়গোড়, পচা মাছ…

উফফফ, থাম থাম থাম, না পোষায় তো পথ দ্যাখ। লোকটা বলল।

যাব কোথায় স্যার,যদি বাগানে দুটো হাড় আর মরা বেড়াল কুকুর এনে ফেলেন,তবে আমরা বাঁচি।বলল নরেন,দেখুন কেমন কাঁদে আমার বন্ধু হরেন, আপনি স্যার, আপনি কিংবা আপনার ভাই হরি হরি আর করবেন না, বাগানের ফুল রোদে পুড়ে মরুক।

লোকটা বুঝল এই দুজন, নরেন হরেন খুব ঠ্যাঁটা ভূত। ভূত কি ফুল বাগান সহ্য করতে পারে? তার জন্য ভাগাড় চাই, মরা ছাগলের পচা গন্ধ চাই।সে বলল,তোরা চোখ বন্ধ করে থাক,আমি ঘরের ভিতর গিয়ে ভগবানকে টেলিফোন করি, তিনি কী বলেন শুনি, ফুল তো তিনিই ফোটান, তোদের জন্য মায়া হচ্ছে।

আচ্ছা স্যার। রেডি স্যার। চোখ বুঁজলাম স্যার। বলল নরেন হরেন একসঙ্গে।

লোকটা এইবার ভিতরে গেল। নীল জামা ছেড়ে লাল জামা, পায়জামা ছেড়ে প্যান্ট পরল। তারপর হরি হরি করতে করতে বাইরে এল। তখন নরেন বলে উঠল, স্যার বন্ধ ক্রুন ওই নাম, আমাদের গা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে, আপনার ভাই কত মন দিয়ে আমাদের কথা শুনলেন, ভগবানকে ফোন করতে গেলেন, হরি হরি না বলে মরি মরি কহেন স্যার।

লোকটা বলল, ফুল চোর এমনি করে হরি বলে?

আপনার ভাইকে তো বলেছি স্যার,ফুল বাগান নষ্ট করে দেন,ফুল চোর আর আসবে না, হরি হরিও হবে না, স্যার আমরা বড় ভীতু মানুষ, আমরা এই গাছ ছেড়ে যাইনে কোথাও, ফুলবাগানটারে নষ্ট করেন স্যার, আপনি পারবেন, আপনার ভাই তো ভিতরে গেল ফোন করতে, আর আসেই না, পুলিশ ডাকছে কি না কে জানে, কিন্তু আমাদের ভয় নেই পুলিশে, হরি শুনলেই গা গুলোয়, মাথায় ব্যথা হয়।

এই তোরা আমারে দেখিস ভোরবেলা? লোকটা জিজ্ঞেস করে।

অনেকটা এমনি, কিন্তু এমনি নয়, আর একটু লম্বা কিংবা আর একটু বেঁটে, সে কি আপনাদের আরেক ভাই?

হ্যাঁ,আমরা সাত ভাই,কেউ লম্বা, কেউ বেঁটে, কেউ ধেড়ে, কেউ বেড়ে। বলতে বলতে লোকটা বসল ইজি চেয়ারে। বলল, তোরা নেমে আয় ফুলের বাগানে।

এখন? হরেন বাজখাই গলায় কেঁদে উঠল, কী কহেন স্যার!

ইয়েস এখন। লোকটা বলল, হরি হরি, তোদের নিয়ে কী করি, বাগানে লাফ দে, হরি হরি, ভূত জন্ম মরি মরি, বাগান থাকবে, ফুল ফুটবে, পাখি গান গাইবে, নিমের হাওয়া বইবে, ফুলের সুবাস বাইবে, হরি হরি, কটা ভূত আজ মারি মারি।

ও স্যার, চুপ করুন গো, চুপ করুন। নরেন কিংবা হরেন ভূত কাঁদতে কাঁদতে ধপাস। ধপাস মানে ডাল ভেঙে পড়ল কেউ বা কারা। পড়ল কোথায় না ফুল বাগানে। গোলাপ, বেলি, চম্পক, টগর, কেতকী, জবা, জিনিয়া, ডালিয়া ফুলের হরেক রঙের বাগানে। পড়তেই সব চুপ। কী হলো, তারা গেল কোথায়? লোকটা ডাকতে ডাকতে নেমে এল বাগানে, অন্ধকারে। খুব সাবধানে। গাছ এখন ঘুমতে আরম্ভ করবে। এখন গাছকে ছোঁয়া বারণ। এই ভুতুয়া, নরেন হরেন, তোরা কোন মুলুকে গেলি?

সাড়া নেই।সব চুপচাপ।গাছেরা ঘুমোচ্ছে। নিঃশ্বাস ফেলছে ধীরে ধীরে। ফুলের কুঁড়ি জাগছে বিন্দু বিন্দু করে। লোকটা দাঁড়াল কিছু সময়, কেউ কোথাও নেই। টর্চ জ্বেলে দেখল নিমের একটি ডাল ভেঙে পড়ে আছে। লোকটা ফিরে এল ঘরে। ঘুমিয়ে পড়ল। কেমন যেন লাগছে। সত্যি তারা গেল কোথায়? পরদিন নতুন আলোর ভোরে লোকটা ঘুম থেকে উঠে বাগানে এল। দেখল নানা রঙের ফুল ফুটেছে বাগানে। নতুন আলোয় ঝলমল করছে সব রঙ। তার মতোই লম্বা একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে বাগানের বাইরে। নিচু হয়ে তাকে নমস্কার করে বলল, স্যার আমার নাম নরেন সাধু।

তুমি! লোকটা অবাক হয়ে দেখতে থাকে। একেবারেই যেন তার মতো।

ইয়েস স্যার, আমি নরেন।

হরেন তাহলে কই?

নরেন সাধু হেসে বলল, আপনিই হরেন সাধু স্যার।

আমি! আমার তো কোনো নাম ছিল না। লোকটা অবাক হয়ে বলল।

নরেন হেসে বলল, ছিল, আপনি জানতেন না।

তুমি জানলে কী করে? লোকটা জিজ্ঞেস করে।

ভূত জন্ম পেয়ে স্যার।

তুমি কি ভূত? লোকটা জিজ্ঞেস করল।

নরেন সাধু হেসে বলল,না, আমি কাল রাত্তিরে ডাল ভেঙে ফুল বাগানে পড়ে ফুলের ছোঁয়ায় আবার মানুষ, নিজের জন্মে ফিরেছি।

লোকটা জিজ্ঞেস করল, আর সেই তোমার যমজ বন্ধু?

নরেন বলল, ছিল না স্যার, আমি নিজেই তার গলায় কেঁদেছিলাম, সাত রকম গলা করতে পারি।

লোকটা বলল, তাহলে তোমাকে নমস্কার।

আপনাকেও নমস্কার স্যার,একা থাকেন, আমার একটু জায়গা হবে, দুই ভাইয়ের মতো থাকব স্যার, আমি নরেন, আপনি হরেন, সাধু মানুষ দুইজনা।

লোকটা তাকে ডাকল, এসো।

নরেন বলল, আমি নীল জামা, আপনি লাল জামা।

লোকটা বলল, পালটে পালটে পরব।

নীল লাল জামা। নরেন বলল।

তারপর নরেন এবং হরেন সাধু সেই ফুলের বাগান আর বাড়িটি নিয়ে আনন্দে দিন কাটাতে লাগল। লোকটার কোনো নাম ছিল না এতকাল। পেয়েছে। হরেন সাধু।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *