চোরভুবন ও সাধুভুবন
তিন গাঁয়ে চারজন ভুবন মণ্ডল। এদের একজনই চোর, বাকিরা সব সাধু। কথাটা দারোগাবাবুর। লিকলিকে দারোগা, বাতাস দিলে প্রায় টাল খায়। কিন্তু খুব কড়া। চোর তিনি ধরবেনই। খরবালার বাবা ভুবনকে জেরা করেই যাচ্ছেন এক বছর ধরে। কখনো থানায় ডেকে, কখনো মোবাইলে। তাতে খরবালার মান যাচ্ছে।তার বাবা চোর। হতেই পারে না। বাবা সারাদিন কত কাজ করে। চাষবাস, বেড়া বাঁধা, পুকুর কাটা, জমিতে নিড়েন দেওয়া আর সন্ধে বেলায় কীত্তন। তার বাবা না বলিয়া পরের দ্রব্যে হাত দেয়ই না। কিন্তু দারোগার কাছে খবর চোরের নাম ভুবন মণ্ডল। ধনেশ্বর রায়ের চোরাই বাসন চুরি করেছে ভুবন মণ্ডল। যদিও দারোগা বলেনি তা চোরাই বাসন। বলেছে খরবালার বাবা ভুবন তার মেয়েকে। বাবাকে একদিন থানায় বসিয়ে রেখে বেলের পানা খাইয়ে জেরা করেছিল দারোগা। খরবালা কোমর বেঁধে থানায় হাজির। তার খুব মুখ। মুখরা আর রাগী। তাকে ভুবন নিজেই ভয় করে।
প্রহ্লাদ সরকার, দারোগাবাবু জিজ্ঞেস করছিলেন, তুমি নিয়েছ?
ছার, আমি কেন নেব?
চুরি কেন করে ভুবন?
ভুবন বলেছিল, কী জানি ছার, বলতি পারবনি।
চুরি করা পাপ।
হ্যাঁ ছার, আর চোরাই মাল কেনা?
সেও পাপ। প্রহ্লাদ দারোগা মাথা নেড়ে বলেছিল।
লোকে চোরাই বাসন কেনে কেন?
দারোগা বলেছিল, আমি কী করে জানব?
আপনি দারোগা ছার বলে কথা, আপনি জানবেন না তা কি হয়?
দারোগা বলেছিল, কিন্তু এখেনে সে কথা কেন?
ধনেশ্বর রায়ের যে বাসন চুরি গেছে তা চোরাই বাসন। বলেছিল ভুবন।
খরবালা তফাতে বসে দারোগা আর তার বাবার জেরা করাকরি শুনছিল। দারোগা জিজ্ঞেস করেছিল, কে বলল চোরাই বাসন?
আপনি তারে জিজ্ঞেস করেন।
দারোগা বলেছিল, সে কি স্বীকার করবে?
ছার আপনি জিজ্ঞেস করেন, দেখুন সে কী বলে?
সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ধনেশ্বর রায়কে ধরেছিল দারোগা।হ্যালো হ্যালো।
ধনেশ্বর নয়, জবাব দিয়েছিল একটি মেয়েলি গলা, দি নাম্বার ইউ হ্যাভ ডায়ালড, ইজ নট রিচেবল।
কী হলো ছার?
প্রহ্লাদ দারোগা বলেছিল, নট রিচেবেল।
তবে দেখুন আমার কথা সত্যি কি না? ভুবন বলেছিল।
হুম। দারোগা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল, বিড়বিড় করেছিল, কোথায় গেল ধনেশ্বর তার মোবাইল নিয়ে!
চোরাই মাল কিনতে ছার।
আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব। দারোগা বলেছিল।
বলুন ছার, এখন আমি তবে যাই।
এস, কিন্তু খোঁজ দিতে হবে কোন ভুবন চোর।
তখন খরবালা বলেছিল, বয়েই গেছে খুঁজতে, কেন খুঁজবে আমার সাদাসিদে বাবা, যে কোনোদিন রাস্তায় সিকি আধুলি পড়ে থাকলেও হাত দেয় না, সাধু মানুষ।
দারোগা খরবালাকে ভয় করে। তাই বেশি জেরা না করেই ছেড়ে দিয়েছিল। আগে একবার খরবালা বলেছিল, তার বাপকে না ছাড়লে সে গায়ে আগুন দেবে। সেই ভয়টা আছেই। বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে খরবালা জিজ্ঞেস করেছিল, বাবা কোন ভুবন চোর?
ভুবন বলেছিল, কদমগাছিতে এক ভুবন আছে, আমার মনে হয় সে।
কথাটা তুমি বলনি কেন দারোগাবাবুকে? খরবালা জিজ্ঞেস করে।
তার কাছে না জিজ্ঞেস করে কি বলা যায়? বলল ভুবন।
খরবালা বলল, তাইলে কদমগাছিতে চলো।
এখন? ভুবন জিজ্ঞেস করে।
হ্যাঁ এখন, এর একটা বিহিত করা দরকার, দারোগা বারবার থানায় ডাকবে আর ছুটবে তুমি, তা হবে না।
রিকশা নিল ভুবন আর তার মেয়ে। রিকশাওয়ালা আধবুড়ো মধুসূদন দাস। সে ঝাউতলায় বসে ঝিমোচ্ছিল। তাকে ডাকতে সে আড়ামোড়া ভেঙে বলল, কদমগাছির ভুবন যদি বাড়ি না থাকে ?
না থাকে তো ফিরে আসব মধুকাকা।
না, সে যতক্ষণ না ফেরে বসে থাকতে হবে। মধুসূদন শর্ত দিল।
কেন সে যদি আজ না ফেরে, তখন? খরবালা জিজ্ঞেস করল।
অপেক্ষা করতে হবে। মধুসূদন বলল।
ওমা, রাতে কোথায় থাকব?
কদমগাছির কদমতলায়।
কী খাব?
ব্যবস্থা হবে।মধুসূদন বলে, চিড়ে গুড় কিনে নিও পথের দোকান থেকে।
কাণ্ড দ্যাখো। চিড়ে গুড় খেয়ে অপেক্ষা করতে হবে সেই কদমগাছির ভুবন মণ্ডল কখন ফেরে। এদিকে সব ভুবনই মণ্ডল ভুবন। আর চোর ভুবনও তাই। এমন হওয়ার জন্যই আসল ভুবন মানে চোর ভুবন ধরা পড়ে না। এখন কদমগাছির ভুবন যদি চোর হয় আর চুরি করতে বের হয়, তাহলে তো অপেক্ষা করতেই হবে চুরি করে না ফেরা পযর্ন্ত। ফিরে আসা যাবে না মধুসূদন রিকশাওয়ালার শর্ত অনুযায়ী। খরবালা তবু বলল, চলো, দিনের আলোয় আলোয় যেতে হবে, চোর হলে অন্ধকারে বেরিয়ে যাবে।
রিকশাওয়ালা বলল,হুঁ, কিন্তু যদি শোনো সে গেছে যাত্রাগাছি, যাবা কি?
দেখা যাবে তখন, আগে তো চলো। খরবালা বলল।
সেটাও চুক্তি করে নাও, যাত্রাগাছি যেতে হবে। বলল মধুসূদন।
আচ্ছা হবে। খরবালার তর সইছিল না।
তখন মধুসূদন বলল, তাইলে আগে বরং যাত্রাগাছি যাই, সেখেনে যদি তারে পাই তো হয়ে গেল, যাত্রাগাছি আমার খুব ভালো লাগে, কেমন বড় বড় ধুতরো, আকন্দ আর ভাট ফুল ফোটে, গাছে কাঁটাল পাকে, ঘানিতে সর্ষের তেল, ময়রার দোকানে গণ্ডা গণ্ডা মণ্ডা আর লেডিকেনি, গাছে ময়না, কোকিল আর মাঠে গরু, দিনে কেউ না রাত্তিরে চোর।
হয়েছে চলো এবার। বলল খরবালা।
হ্যাঁ চলো। রিকশায় প্যাঁক করল মধুসূদন, চলো রাইগাছি।
আবার রাইগাছি কেন? ভুবন জিজ্ঞেস করে।
আবার কেন, রাইগাছি না গেলে যাত্রাগাছি যাওয়া যায় না। বলল মধুসূদন।
আরে আমরা যাব তো কদমগাছি। বলল ভুবন।
কদমগাছি তো যাব না, যাব যাত্রাগাছি, তার আগে রাইগাছি। বলে মধুসূদন রিকশায় প্যাঁক প্যাঁক করতে লাগল।
রাইগাছি যাব কেন? জিজ্ঞেস করে খরবালা।
রিকশাওয়ালা ভ্যাবলা হয়ে বলল, তাতো জানিনে খুকি।
জান না মানে? খরবালা খরখর করে উঠল, তুমি জান না তো জানবে কে?
রিকশাওয়ালা বলে, যাবে তুমি আর ইনি, জানব আমি, কোন কেলাসে পড় খুকি?
এই খুকি খুকি করবে না তো, আমি খুকি? খরবালা তেড়ে গেল প্রায়।
মধুসূদন বলে, তাইলে কী?
খরবালা বলে, আগে ভুবন মণ্ডলের কাছে চলো, তারপর জানবে আমি কী?
রিকশাওয়ালা প্যাঁক প্যাঁক করল, রাইগাছি যাত্রাগাছি কার বাড়ি যাবে বললে না তো?
খরবালা রাগে গরগর করছিল, বলল, তুমি আগে রিকশা ছাড়ো, আমরা হাওয়া খেতে যাচ্ছি।
বাহ, বেশ বেশ!বলতে বলতে রিকশা ছেড়ে দিল মধুসূদন, গলা ছেড়ে দিল, শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন লাগল নাচন…।
খরবালা তার বাবাকে বলল,হেঁটে চলো, এই গরমে কী গাইছে শোনো।
সঙ্গে সঙ্গে রিকশাওয়ালা গান বদল করে দিল, খর বায়ু বয় বেগে…।
খরবালা খুব রেগে গেল কিন্তু কিছু করতে পারে না। এই গান রবি ঠাকুর নাকি তার কথা ভেবেই লিখেছিলেন। বলেছিলেন ইস্কুলের পণ্ডিত স্যার। পণ্ডিত স্যার কি বেঁচে আছেন? খরবালা শুধু ফেল করত। শেষে পড়া ছেড়েই দিল। বনবন করে মধুসূদনের রিকশার চাকা ঘুরতে থাকে। পণ্ডিত স্যারের গান মধুদা রিকশাওয়ালা জানল কী করে? মধুসূদন গান থামিয়ে বলল, গানটা উনি গাইতে গাইতে যেতেন তো, মানে ধলতিথের পণ্ডিত মশাই, আমিই তো তাঁরে নিয়ে যেতাম ইস্কুল অবধি।
যাহ বাবা! তার মনের কথা বুঝে ফেলল কী করে রিকশাওয়ালা মধুকাকা?
মধুসূদন বলল, হেঁ হেঁ হেঁ, আমি সব বুঝি, তেনাদের ইস্কুলে পড়েচি আমি।
উফফ, তেনাদের ইস্কুল মানে ওই তেনাদের, যাঁরা শ্যাওড়া গাছে বসে পা দোলান, এক পা পুকুরের এপারে আর এক পা পুকুরের ওপারে, তেনাদের ইস্কুল। কিন্তু খরবালার তেনাদের ভয় নেই। তাকে ভয় দেখাতে এসে তেনারাই তার মুখের চোটে পালিয়ে বাঁচেন। হবেই তো। ভূত তো বটে। মানুষ না।
মধুসূদন বলে, হুঁ, মানষিরে আমার ডর লাগে বেশি।
খরবালা বুঝল তেনাদের ইস্কুলে ভালই পড়েছে মধুদা রিকশাওয়ালা। না হলে কোনো কথা পড়তে পারছে না, তার আগেই ধরে নিচ্ছে। সে আর কিছু ভাববেই না। মধুসূদন প্যাঁক প্যাঁক করতে করতে বলল, কেলাস থিরি অবধি পড়েচি, তারপর মাস্টার মরে গিয়ে মানুষ হয়ে গেল আবার, ইস্কুল উঠে গেল, আর কিছু জিজ্ঞেস করবে খরখরি খুকি?
কদমগাছির ভুবন মণ্ডলকে চাই আমার। খরবালা বলে।
চলো তাঁরে ধরতেই তো যাচ্ছি যাত্রাগাছি, রাইগাছি, আমড়াগাছি…।
খরবালা ভাবল কী কুক্ষণেই না মধুকাকা রিকশাওয়ালার রিকশায় উঠেছে। আষাঢ়ের বেলা বলে রক্ষে। নইলে যেতে যেতে সন্ধে হয়ে যেত। রিকশা ছুটছে। মধুসূদন গান ধরেছে, ঠিক দুকুর বেলা ভূতে মারে ঢেলা, আরে ভূত না ভূত না, তেনাদের পুত…।
খরবালার বাবা ভুবন চুপ করে আছে। কী বলবে? দিনমানের এই সময়টায় তার ঘুম পায়। রাত জাগতে হয় কি না মাঝে মধ্যে। সে ঘুমিয়েই পড়ল। তখন রিকশা যাত্রাগাছি হাটখোলায় গিয়ে দাঁড়াল। আজ হাটবার নয়। সব নিঃঝুম। গাছ-গাছালি চুপ। পাতাটিও নড়ছে না। কুকুরগুলো সব পাশ ফিরে ঘুমিয়ে আছে রাস্তার হেথাহোথা। মধুসূদন বলল, এইবার বলো কারে চাই।
খরবালা দেখল তার বাবার নাক ডাকছে। আহা ঘুমোক। সে নিজেই এই ভুবন মণ্ডলকে জেরা করে জেনে নেবে সে চোর না সাধু। রিকশাওয়ালার ডাকে রিকশা থেকে নেমে এল খরবালা। রিকশাওয়ালা তাকে বলল, আমি হাততালি দিয়ে ডাকি, দেখি সে আছে কি না।
কেউ তো নেই। খরবালা বলল।
আছে আছে, ভুবনদাদা আছ?
আছিরে আছি, এই যাত্রাগাছি।
আছ তো এস। ডাক দিল মধুসূদন।
সত্যি একজন বেরিয়ে এল হাটের এক চালাঘর থেকে। তার বাবার মতো, না তার বাবার মতো হবে না। লম্বা। তার বাবা আর একটু লম্বা হলে এমনি হয়ে যেত। আর বাবা যদি খুব রোগা হতো, একেবারে এই লোক। বাবার নাকটা খাড়া হলে ইনি প্রায়। লোকটা মানে মধুসূদনের ভুবনদাদা বলল, এই মেয়েটা কে, চিনা মনে হয়।
চিনা না জাপানি কিংবা খরানি হতে পারে। বলল মধুসূদন।
হুম, কী করতে আসা? সে জিজ্ঞেস করল।
সে ইনি জানে। খরবালার দিকে আঙুল তুলল রিকশাওয়ালা।
কী জান? লোকটা খুনখুনে গলায় জিজ্ঞেস করল।
আপনি মানে তুমি কি ভুবনচোর ? জিজ্ঞেস করল খরবালা।
ফিরে আসতে রাত্রি ভোর। সে জবাব দিল।
চুরি করতে লজ্জা লাগে? খরবালা জিজ্ঞেস করে।
হি হি হি, ছেড়েই দিলাম ওই রাগে।
খরবালা বলে, আপনি যদি চোর হন, দারোগাবাবুরে বলি?
বল না গিয়ে ঘন্টা হবে, ভয় করিনে আজকে চলি। সেই লোক ঘুরে দাঁড়াল।
খরবালা বলে, না না যাবেন কেন, শেষ চুরিটা কবে যেন?
সে বলল,দারোগা জানে কেস দিয়েছে, মাঘের আগে অঘ্রান পরে, পৌষ মাসে হবে না কো।
বাসনচুরি হলো তো? খরবালা জেরা করছে।
তাতে তোর কী হলো খরখরি?
আপনার নাম তাইলে বলি পেহ্লাদ দারোগাবাবুরে?
আবার সেই কথা, বললে কী হবে? ভুবনচোর বলল।
জেরা করে কথা বের করে নিয়ে হাজতে ভরে দেবে গরুচোর, ছাগল চোরের সঙ্গে।
ইস, কথা বের করবে, পারবেই না।
জেরায় তো পড়েননি। খরবালা ভয় দেখায়।
পড়িনি আবার।হাসে লোকটা, বলে, তুই যে দেখি মেয়ে দারোগা, তোর কী, আমি চুরি করি না করি আমার ইচ্ছে।
আমার বাবারে যে ডেকে ডেকে, মোবাইলে ফোন করে করে জেরা করে। খরবালা হাত নেড়ে নেড়ে বোঝায়।
তাতে আমার কী?
আমার তাতে মান যায়।
লোকটা বলে, আমার মেয়েরও মান যাবে, দারোগাবাবু জেরা করে করে হদ্দ, যা জিজ্ঞেস করে বলি, “আনি মানি জানি না”, আমি জানিনে ছার, আই ডোন নো ছার, মালুম নেহি হুজুর।
খরবালা অবাক, তার মানে?
আমার মেয়ে শিখোয় দেছে, যদি জিজ্ঞেস করে আমার হাত কটা তাও বলি জানিনে ছার।
আরিব্বাস! খরবালা বলল, তার নাম?
বলব না। বলে লোকটা হি হি করে হাসে, বুঝি নাও খরখরি, যাই, আর থাকতি পারছিনে। বলেই সে কোথায় ফুস হলো তা ধরতেই পারল না খরবালা। হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে শূন্য হাটখোলার দিকে। আর সেই সময় শোনা যায় মধুসূদন রিকশাওয়ালার ডাক, ও খুকি খুকি, ও ভুবনভাই, ভুবনমেসো…।
খরবালা চোখ মেলল। তার বাবাও চোখ মেলল। আরে, এ যে সেই যাত্রাগাছি হাটখোলা। তাই তো হবে। বাবার দিকে ফিরল সে। বাবা চোখ মুছতে মুছতে রিকশা থেকে নামতেই একেবারে! বাবা একটু বেঁটে হলে তার মতো, একটু মোটা হলে তার মতো…।
মধুসূদন রিকশাওয়ালা বলল, দুজনেই রিকশা চলতে নাক ডাকাতে আরম্ভ করলে, রাতে ঘুমোও না নাকি?
খরবালা রিকশা থেকে নামতে নামতে চোখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করল, মধুকাকা, সে গেল কোথায়?
কার কথা জিজ্ঞেস করছ গো? মধুসূদন রিকশা প্যাঁক প্যাঁক করে জিজ্ঞেস করে।
না মানে? খরবালা তার বাবার দিকে তাকায়।
তখন মধুসূদন রিকশাওয়ালা বলল, দাঁড়াও দেখি…।
হাততালি দিতে লাগল মধুসূদন, আছ নাকি ভুবনবাবু…।
কেউ কি আসে! দূরে ঘনিয়ে আসা অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকে খরবালা ও ভুবন মণ্ডল।