এখন তখন যখন সিং

এখন তখন যখন সিং

একটা কথা মনে রাখতে হবে ডাকাতের মাথায় সিং না থাকুক, ডাকাতের নামের সঙ্গে সিং থাকবেই। লাখন সিং, মাখন সিং, যখন সিং, তখন সিং, এখন সিং, গগন সিং, মগন সিং, লগন সিং…এমনি সব সিং। তো ন’পাহাড়িতে এল যে সিং সেই সিঙের নাম যখন সিং। তার সাগরেদ তখন সিং। তখন সিঙের মাসতুতো ভাই এখন সিং। এখন ডাকাত তখন ডাকাত আর যখন ডাকাত। এখন, তখন আর যখন সিং তিন ডাকাত। এমন কথা এমন নামের হয় নাকি? হয় হয়, ন’পাহাড়িতে খবর নিলেই জানা যাবে তখন যখন আর এখন সিং কী করেছিল আর মোহন নিসপেক্টারই বা কী করেছিল। নিসপেক্টার হলো ইনসপেক্টার মোহন কুণ্ডু। ন’পাহাড়ি থানার দারোগাবাবু। তিনি খুব পেট রোগা মানুষ ছিলেন। কিছুই হজম হত না খেয়ে। জল খেলেও অম্বল হতো। অম্বল হলে খুব শীত করত। তখন কম্বল মুড়ি দিয়ে শুতেন। এতে কী হতো, সব থানাতেই তিনি ব্যর্থ বলে নাম কিনেছিলেন। থানার বড়বাবু অম্বলে কাঁপে আর চোর ডাকাতে আপন মনে খেলে বেড়ায়। নিশীথের ধরাধরি, কবাডি, চু-কিত কিত। সেই সময় তিনি বদলি হলেন ন’পাহাড়িতে। আর এখানে এসেই তাঁর অম্বলের রোগ গেল।ন’পাহাড়ির জল ভালো। কথাটা তাঁকে বলেছিল ঢেকুয়া থানায় বদলি হয়ে আসা কনস্টবল চিটেরাম হল্লা। হল্লা তার নামে জুড়েছে। আসলে সে চিটেরাম চন্দ। কিন্তু বেজায় হল্লাবাজ বলে নামের পদবী বদলে গেছে। এমন হল্লাবাজ পুলিশ তুমি ভূভারতে পাবে না। কোনো তদন্তে গেলেই সে হল্লা পাকিয়ে দেয়। এমন চিৎকার চেচামেচি জোড়ে যে অপরাধী সব জেনে ফেলে নিশ্চিন্তে পান খেতে খেতে পালিয়ে যায়। তো সেই হল্লা যখন ঢেকুয়া এল, বলল, তার মনে হয় স্যারের অম্বল সারতে পারে ন’পাহাড়ি গেলে। সেখানকার জলের এমন গুণ যে পাথর খেলেও হজম হয়ে যায়। কী করে জানল সে এই কথা? সে তো ঢেকুয়া এল মহুলবনি থেকে। মহুলবনিতে হল্লা করে ঢেকুয়া। রোগা টিংটিঙে, মাথায় সজারুর কাঁটার মতো খাড়া খাড়া চুল। গোলগোল চোখ। লম্বায় ছফুট। সে বলল, তার মাসির বাড়ি ন’পাহাড়ি, কত গেছে সে। সে নিজেও চেষ্টা করছে ন’পাহাড়ি বদলি হতে, কিন্তু বারবার পিছলে যাচ্ছে। কতবার হল্লা করে চোর ভাগিয়ে বদলি হয়েছে,কিন্তু ন’পাহাড়িতে হলো না একবারও। কিন্তু সে বদলি হবেই একবার। ওখানে যা খাও, হজম হবে। বাতাস কত ভাল, পড়লেই ঘুম। সে মাসির বাড়ি মাঝেমধ্যে যায় মাসির হাতের ডাঁটা চচ্চড়ি খেতে আর আরামসে ঘুমোতে। হল্লাবাজের কথা শুনে মোহন কুণ্ডু অনেক ধরাধরি করে বদলি হলেন ন’পাহাড়ি।হল্লাবাজ চিটেরাম তাঁকে পৌঁছে দিয়ে গেল হল্লা করতে করতে।

এই যে ন’পাহাড়ির নতুন স্যার এসেছে। এনার অম্বলের রোগ। এখেনে এসে অম্বলের রোগ সারবে নিশ্চিত। আর তা সারলে চোর ডাকাতের ঘুম কেড়ে নেবেন ইনি মোহন কুণ্ডু। যত সিং আছে, সব সিঙের সিং কেটে দিয়ে ইনি গারদে পুরবেন। শুনোভাই ডাকাত-চোর-গুণ্ডা-বদমাশ, আমাদের স্যার এসে গেছেন, এরপর আমিও আসব। তখন তোমাদের বিপদ। চিৎকার করে সব কথা বলে দিয়ে চিটেরাম হল্লা ঢেকুয়া চলে গেল দুপুর দুপুর। তখন বেলা গড়ালে এল একজন। বলল, আমি হল্লাদাদার মাসতুতো ভাই।

মাসতুতো ভাই, আহা এস বস, আগে এলে হল্লার সঙ্গে দেখা হতো।

মাসতুতো ভাই আবার চিটেরামের উলটো। ফিসফিস করে কথা বলা তার অভ্যেস। সামনে মাইক বসালেও কেউ সেই কথা শুনতে পাবে বলে মনে হয় না। সে বলল, স্যার, জল খান সাত গেলাস করে, সঙ্গে মুড়ি আর ভেলিগুড়, দেখবেন হজমের অসুখ ফুস।

 তোমার নাম? মোহন কুণ্ডু জিজ্ঞেস করেন প্রথম গেলাস জল মুড়ির সঙ্গে চিবোতে চিবোতে। ভেলিগুড় আনতে পাঠিয়েছেন কনস্টবলকে দিয়ে।

আঁজ্ঞে আমি তো হল্লার মাসির ছেলে। সেই নিরীহ মতো, শাদামাটা লোকটি বলল।

 মাসির ছেলের নাম কী?

 আঁজ্ঞে সবাই তো মাসতুতো ভাই-ই বলে।

 আরে তোমার নাম কী ?

ওই তো নাম। সেই লোকটি বলল।

 ন’পাহাড়ি এসে দারোগা মোহন কুণ্ডুর অম্বল একদিনেই কমেছে। তবে কি না একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে।ঘুমোতে হবে। তবে ডিউটির সময় না। দারোগা তো। তদন্ত করা তাঁর অভ্যেস। সেই অভ্যেস ঢেকুয়া থানায় চলে গিয়েছিল প্রায়। আবার ফিরে আসছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, নাম বলো।

 সে চাপা গলায় বলল, ঐটেই নাম।

 তিনি রুল ঘুরিয়ে বললেন, নেহি হোগা, বাড়ি যাও, নাম লিয়ে এস।

 আচ্ছা স্যার আনব, আপনি চমচম ভালবাসেন, লাড্ডু?

 রাগে পিত্তি জ্বলে গেল মোহন দারোগার,বললেন,না, তুমি কী করো হে?

আঁজ্ঞে কিছু না।

 দারোগা বুঝলেন, এ খুব ঠ্যাঁটা লোক, বললেন, কিছু না মানে, কী?

 মাসতুতো ভাই বলল,এমনি ঘুরি, গান গাই মাঠে বসে, চাঁদের আলোয় চমচম খাই, বর্ষার সময় খিচুড়ি খাই, শীতের সময় ফুলকপি, ফাল্গুনে নিমবেগুন, আষাঢ় মাসে ওলের ডালনা…।

 উফফ, মাথা খারাপ করিয়ে দেবে এই মাসতুতো ভাই। চাঁদের আলোয় চমচম, কেন দিনের আলোয় হয় না?

 কেন হবে না, দিনের আলোয়, মেঘলা দিনে, চমচম আর নকুলদানা।

 বেশ,বেশ,বেশ!কিন্তু এর নাম কী, আর করে কী? সন্দেহজনক ব্যক্তিকে সন্দেহ করতে হয়। সন্দেহ করা দারোগার ধর্ম। হল্লা পুলিশের মাসির ছেলে হলেও সে বাদ যেতে পারে না। হল্লা পুলিশ চিটেরামের কেমন মাসির কেমন মাসতুতো? সোজা মাসি না বেঁকা মাসি? কেমন মাসি বল তো তুমি মাসির ছেলে?

সে বলল, ভাল মাসি, বয়স ধরুন পঞ্চাশ, লম্বায় চারফুট, মাথার চুল পাকা, মুখের ভিতরে দাঁত নেই, চোখে এখন চশমা পরে, মেসো বাড়ি ফেরে না অনেকদিন।

 মেসো মানে তোমার বাবা?দারোগা জেরা করেন। উফ গায়ে বেশ জোর আসছে। অম্বল নেই। ভেলিগুড় এসে গেছে এক একটুখানি। দোকানে আর নেই। বাজারে সাপ্লাইও নেই। তা থেকে এক টুকরো শিলে ভেঙে মুখে দিয়ে চুষছেন তিনি জলের সঙ্গে। ভেলিগুড় এত শক্ত হয় কে জানত।

 মাসতুতো ভাই বলে, আঁজ্ঞে আমার বাবা হবেন কেন, আমার মেসো।

 হল্লার মাসি তোমার মা না?

 আঁজ্ঞে আমার মা তো হল্লার মাসি, হল্লার মাও আমার মাসি।

উফফ, দারোগার সব গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। তাহলে হল্লার মেসো এই মাসতুতো ভাইয়ের বাবা হবে না কেন? শুনে চাপা গলায় হাসে সেই মাসির ছেলে, বলে, আঁজ্ঞে না, এ যেমন হল্লার মাসির ঘর, আমারও। আমি অন্য মাসির ছেলে। মাসি কি একটি হয়, অনেক হয়। মায়েরা পাঁচ বোন।

শুনতে শুনতে দারোগা বললেন, ঠিক আছে নাম বলো।

আঁজ্ঞে নাম তো ওই, মাসতুতো ভাই।

 খামোশ। বলতে বলতে দারোগার চোখ জুড়িয়ে আসে। ভেলিগুড় মুখে দিয়ে ঘুম কেন পায়। তিনি বললেন, তুমি বাড়ি গিয়ে ইস্কুলের সার্টিফিকেট নিয়ে এস।

 আজ্ঞে সেই ইস্কুল উঠে গেছে। ফিসফিসিয়ে বলে মাসতুতো ভাই।

 তাহলে পঞ্চাতের সার্টিফিকেট আনো।

 আচ্ছা স্যার, আনব।

 এখন যাও। বলতে বলতে দারোগা মোহন কুণ্ডু ঘুমিয়ে পড়ল। আর একটু বাদেই হারে রে রে রে করে ডাকাতের দল এলাকার উপর দিয়ে বাজি ফাটাতে ফাটাতে চলে গেল। যাওয়ার পথে পথের ধারের নিম গাছে কোপ দিয়ে গেল। আম গাছের ডাল ভেঙে দিয়ে গেল। মাটির হাড়ি-কলসির দোকানের সমস্ত কলসিতে লাঠির বাড়ি দিয়ে গেল। কুমোর কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এল দারোগাবাড়ি, থানাবাড়ি। ও দারোগাবাবু, আমার কী হবে? আমার কী হবে, ভাঙা কলসি ভাঙা হাঁড়ি কি বেচা যাবে?

দারোগা তখন ভোঁস ভোঁস। মনটা আজ বেজায় খোস। অম্বল নেই কম্বল নেই। হজমিগুলি সঙ্গে নেই। ঘুমের ভিতর স্বপন নেই।

দারোগার ঘুম ভাঙল কুমোরের কান্নায়। কী হয়েছে, না এখন সিং আর তখন সিং, দুই ডাকাতে যখন সিঙের কথায় হা রে রে রে করে গেল। যাওয়ার পথে নিম গাছে কুড়ুল মারল, আম গাছের ডাল ভাঙল আর তার দোকানের হাঁড়ি ভাঙল হাটের ভিতর।

 হাঁড়ি ভেঙে কী পেল ? দারোগা হাঁই তুলে বলল।

 হাঁড়ির ভিতর জল ছিল, সেই জল গড়িয়ে গেল।

 হুম, হাটে হাঁড়ি ভেঙে হলো কী?

 হাঁড়ির সঙ্গে কলসিও গেল। কুমোর বলল, বড্ড দুষ্ট ডাকাত এখন, তখন আর যখন।

 হুম, কিন্তু হাটে হাঁড়ি ভেঙে করল কী? দারোগা জিজ্ঞেস করে।

বলে গেল মোহন দারোগার মাথায় ঘি। বলেই কুমোর জিভ কাটল, ডাকাতের কথা, আমার না।

 হুম, এখন যখন তখন সিং, দেখছি আমি, করে কী?

 আমার হাজার হাঁড়ি কলসি ভেঙেছে স্যার, কত যে লোকসান হলো?

 দারোগা জিজ্ঞেস করে, দেখতে কেমন বল দেখি।

 কুমোর বলে, কেউ লম্বা কেউ বেঁটে, কেঊ ফর্শা কেউ কালো, তখন ছিল এক রকম, এখন হলো আর এক রকম।

 দারোগা বলল, বুঝা গেল, কাল সকালে ব্যবস্থা হবে।

 পরদিন দারোগা তিনবার মুগুর ভেজে,পাঁচবার ডন মেরে,সাতবার জগিং করে,ছোলা বাদাম আর সাত গেলাস জল খেয়ে থানার সিপাই নিয়ে বেরোল। ডাকাত ধরতে যাবে।সিপাইরা আগে আগে, দারোগা চলে পিছে। সবার আগে ঢোলক নিয়ে বাজনদার। দ্যাদাম দ্যাদাম, দ্যাম…ডাকুর শেষ, ঢাকুর ঢাকুর ঢ্যাম। যেতে যেতে ন’পাহাড়ি চক্কোর মেরে পাহাড়ি পথ যেই ধরেছে, মাসতুতো ভাই বেরিয়ে এল বন থেকে, দারোগা বাবু স্বাগতম, এক কুড়ি দুই চমচম।

দারোগা বলল, নাম কী?

 মাসির ছেলে মাসতুতো ভাই, আর কী।

 দারোগা বলে, সাট্টিফিকেট?

 পঞ্চায়েতে তাই বলেছে, এই দেখুন।

 দারোগা বলল, পঞ্চায়েতকে ডাকো দেখি।

 মাসির ছেলে বলে, আমিই সে, পঞ্চায়েত।

এদিকটায় বন আছে। নয় পাহাড়ের এক পাহাড় আছে। বনের ভিতর শিয়াল আছে। কচি বাঘা হুড়াল আছে। খরগোস আছে, শজারু আছে, বনের পাখি-টাখি আছে। দারোগা বলল, এখন সিং যখন সিং আর তখন সিং, তিন ডাকাতে গাছ ভেঙেছে, কুড়ুল মেরেছে, হাটের ভিতর হাঁড়ি ভেঙেছে, বলো তাদের পাবো কোথায়?

 মাসতুতো ভাই বলল, এখন সিংকে যদিও পাবেন, তখন সিংকে তখন পাবেন, আর কখন পাবেন যখন সিংকে, যখন তাকে ধরা যাবে।

উফফফ, মাথায় সবটা ঢোকে না আর ধরে না। ধরে না তাই কখন যখন বোঝা যায় না। দারোগার খুব রাগ হলো, বলল, কথা সোজা বলো।

মাসতুতো ভাই বলল, তখন সিংকে দেখেছিলাম, যখন আবার দেখতে পাবো, দৌড়ে গিয়ে খবর দেব।

এখন সিং কোথায় গেল?

 মাসতুতো ভাই বলে, বনের থেকে বেরিয়ে এল।

 দলবল সব কোথায় গেল?

 বনের ভিতর সেঁধিয়ে গেল।

 দ্যাদাম দ্যাদাম দ্যাম,বন থেকে বেরুলো যখন, এখন তখন যখন ডাকু।

দারোগা বলল, উফ, চলো চমচম খাই, তারপর থানা ফেরত যাই।

 হলো তাই। মাসির বাড়ি মাসি নাই। মাসতুতো ভাই বলে, মাসি মরেছে মেসোর শোকে, এখন সে একাই কাঁদে।

 সাত চমচম খেয়ে, জল খেয়ে ঢেকুর তুলে, একটু ঝিমিয়ে দারোগা বলল, চলো এখন ফেরত যাই, থানায় গিয়ে ভেলি খাই।

 তাই হলো।মাসতুতো ভাই আর দারোগা চলে আগে আগে, তার পিছনে সিপাই চলে, তার পিছনে ঢোলক বাজে। দ্যাদাম দ্যাদাম দ্যাম, যখন তখন আর ডাকাতি, হাটে হাঁড়ি আর কলসি, সঙ্গে কুঁজো, মাটির সরা, ভাঙলে পরে থানার হাজত, তিন নাস জেল এক মাস ফাঁসি।

 ন’পাহাড়ির মানুষ অবাক। এমন কাণ্ড দ্যাখেনি তারা। যখন তখন ডাকাতের ভয়ে,সন্ধে হলেই বুকটা কাঁপে। দারোগা পুলিশ শুধু ঘুমায়, ডাকাত শুধু হারে করে। মোহন দারোগা বলে, মাসতুতো ভাই, চমচমটা আবার খাই।

 মাসতুতো ভাই বলে,হল্লা পুলিশ যখন আসে,শাবন কিংবা ভাদর মাসে, চমচম আর লাড্ডু খেয়ে, দ্যাদাম দ্যাদাম শুধু নাচে।

 ঢোলক বাজে, সিপাই হাঁটে। থানার পথে পা চলেছে। কুমোর পথে দাঁড়িয়ে ছিল। দারোগা তাকে ডেকে নিল। থানায় পৌঁছে মোহন দ্যাখে চিটেরাম হল্লা, খাচ্ছে দুটো কল্লা। মানে করলা। দারোগাকে দেখে মাটিতে গড় করল, বদলি হয়ে আসা গেল, স্যারের কত কেরামতি, স্যার ধরেছে ডাকাতি।

 দারোগা তার চেয়ারে বসে বলল,হুকুম দিলাম, মাসতুতো ভাইকে জেলে নিলাম।

 কী বলছেন স্যার? ফিসফিসিয়ে কথা বলা মাসির ছেলে তুলল গলা, চমচম খেলে মনে নাই, আমি তো এক মাসতুতো ভাই।

 বলবে সব হল্লাবাজ,এই হল্লা বল দেখি,মাসির ছেলে হয় নাকি?

 হল্লা হেসে বলল,মাসির কোনো ছেলে নেই,মাসতুতো ভাই আমার নেই।

মিথ্যেবাদি যুধিষ্টির,মাসির ছেলে মাসতুতো ভাই,এই ব্যাপারে ভুল নাই। বলে সেই মাসতুতো ভাই দাঁত কিড়মিড় করল। বলল,এখন মিথ্যে বলে পার পাবি, হল্লাবাজ, মাসির ছেলে, মারব তোরে হাঁড়ি ফেলে।

 হল্লাবাজ বলল,যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই, এখন আছে তখন নাই, যখন তখন ডাকাতি তাই।

 এই হলো গল্প। এখন সিং ধরা পড়ায় ধরা গেল,যখন নেই,তখন নেই। হল্লাবাজের মাসির বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে মাসি আছে। সেই মাসিকে কে না চেনে। এই গঞ্জের নবম লেনে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *