নতজানু

নতজানু

গৃহস্তের বাড়ি – প্রবেশ নিষেধ। বেলগাছিয়া থেকে হাঁটাপথে ঘুঘুডাঙা দিয়ে দমদম নেত্র সিনেমায় যেতে যেতে কত দেখেছি। তখন কৈশোর পার হয়েছি। অবাক হয়ে ভেবেছি তার অর্থ। পরে কেউ বুঝিয়ে দিয়েছিল। নতজানু সেই গৃহস্তের বাড়ির পাড়া, কালীঘাট মন্দিরের চারপাশের কাহিনি। বালিকা মিছরি ওপাড়ার মেয়ে, সে চক দিয়ে দরজায় এই কথা ফুটিয়ে তুলছিল। মুকুট এপারের ভালো পাড়ার বালক। মুকুট এই উপন্যাসের সেই এক প্রোটাগনিস্ট যে রাস্তার দুপারে যেতে যেতে বড় হতে থাকে। মিছরি ভালো পাড়ায় আসে। বালিকা এবাড়ি ওবাড়ি যায়। আশ্চর্য এক শৈশব যাত্রার কথা লিখেছেন জয়ন্ত দে তাঁর নতজানু উপন্যাসে। বেশ্যাপাড়ার ছেলে মেয়ে আর ভালো পাড়ার ছেলে মেয়ে একসঙ্গে বড় হয়ে উঠছে, এ কাহিনি কবে কে লিখতে পেরেছে?

মাতৃমন্দিরের ঘৃত প্রদীপের পিলসুজের নিচে যে অন্ধকার সেই অন্ধকার কালীঘাট আর প্রদীপের অনুজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত মুখচ্ছবি নিয়ে নতজানু উপন্যাস। এই নগর নিয়ে যে গল্প পড়েছি মতি নন্দীর তা উত্তর কলকাতা, এই নগর নিয়ে, নগর কলকাতার ছোট এক জনপদ নিয়ে, আর এক সেই উত্তাল এবং হিংস্র এক সময় নিয়ে উপন্যাস রচনা তেমন হয়েছে বলে জানা নেই। একটি শহর তার আলো, অন্ধকার-উত্তাপ ও হিমশীতলতা নিয়ে বাংলা উপন্যাসে ধরা থাকবে, তাইই তো স্বাভাবিক। কলকাতা শহর বা এই শহরের কোনো এক অঞ্চল আমাদের উপন্যাসে রয়েছে রক্ত-মাংস নিয়ে এমন উদাহরণ দেওয়া সহজ নয়। কলকাতা নিয়ে তেমন উপন্যাস কই যেখানে সাধারণ, খুব সাধারণ, নিম্নবিত্ত এবং বিত্তহীন মানুষ, দুঃখী মানুষ নিম্ন বর্গের মানুষ, নিরুপায় মানুষ ধরা পড়েছে? শহর হয়েছে প্রধান চরিত্র? নতজানু উপন্যাস আসলে এই নগরের সেই আখ্যান, সেই ভয়ানক সময়ের ইতিহাস, যা ক্রমশ ধূসর হয়ে আমাদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছিল। মানুষ যা মনে রাখতে চায় না, তা স্মৃতি থেকে অবলুপ্ত হতে থাকে ধীরে ধীরে। আমরা কি সত্যই ভুলে যেতে চাই গত শতকের সত্তর দশকের সেই উত্তাল সময়ের কথা। আক্রমণকারী আর আক্রান্তের কথা? এই উপন্যাস পাঠের পর এমন প্রশ্ন জেগে উঠেছে আমার ভিতরে। বড় কথা, এর পটভূমি ইতিহাস-বিধৃত এক অঞ্চল যা এই শহরের সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে অনেকটাই সংপৃক্ত। কালীঘাটের কথা আমি প্রেমেন্দ্র মিত্রতে পেয়েছি। বিকৃত ক্ষুধার ফাঁদে, সংসার সীমান্তের কালীঘাট আর জয়ন্ত দের কালীঘাট আলাদা হয়েও এক, এক হয়েও আলাদা। প্রেমেন্দ্র মিত্রর ঐ দুই গল্প আমাদের ছোট গল্পের অসীম শক্তিকে চিহ্নিত করে। জয়ন্ত যে কালীঘাটের ছবি এঁকেছেন তাঁর এই বৃহৎ উপন্যাসে তা নিশ্চিত ভাবে আমাদের উপন্যাসের ইতিহাসে উচ্চারিত হতে থাকবে ক্রমাগত। এই উপন্যাস না পড়লে এই শহরকে চেনা হবে না সত্য। নতজানু উপন্যাস লেখা হয়েছে কালীঘাট মন্দিরের সেবাইয়েত এক হালদার পরিবার নিয়ে। যে মন্দির ধার্মিক হিন্দুর কাছে এক পবিত্র বিশ্বাসের স্থল, সেই মন্দির ঘিরে যে ক্লেদ তার উজ্জ্বল উদ্ধার এই নভেল। হালদার পরিবারের বালক মুকুট যে সময়ে বড় হয়ে ওঠে সেই সময় ছিল ভুলে না যাওয়ার সময়। আমরা সেই সময়ে যুবক। যৌবন ছিল সন্দেহের আধার। জয়ন্ত সেই সময়কে উদ্ধার করেছেন নিপুণ কথন শৈলীতে। এমন সত্য এখানে উচ্চারিত যা ছিল অশ্রুত। চেনা শহর আর এই প্রাচীন জনপদ অচেনা হয়েই বারবার ধরা দিয়েছে আমার কাছে। পড়তে পড়তে বিস্মিত হয়েছি কতবার। এ কোন শহর, চার্লস ডিকেন্সের সেই সেই মস্তান, অনাথ বালকদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার অন্ধকার জগতের শহর, অলিভার ট্যুইস্টের শহর? কিংবা ভিক্তর হুগোর সেই পরাজিত মানুষের জীবনোপখ্যান যা পড়েছিলাম লা মিজারেবল উপন্যাসে, সেই সব মানুষের অন্য উপাখ্যান। আমাদের শহর নিয়ে লিখেছিলেন যুবনাশ্ব, পটলডাঙার পাঁচালি উপন্যাসে। জয়ন্তর উপন্যাসে অনেক বড় করে ধরা পড়েছে এই শহর আর সেই ভয়ানক সময়, গত শতাব্দীর ৭০ দশকের আরম্ভের কয়েক বছর। সেই সময়কে আমরা ভুলেই গিয়েছি প্রায়। নাহলে আমাদের সাহিত্যে তার ছায়া নেই কেন তেমন করে? এই উপন্যাসে আছে, যুব কংগ্রেস মজুত উদ্ধারে নেমেছে, কলকাতায় পাতাল রেলের কাজ আরম্ভ হলো, তাই হকার উচ্ছেদ হলো, রেশনে সব কিছুই অমিল, চাল, গম, চিনি, কেরসিন, সি পি আই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল, রেলের থার্ড ক্লাস উঠে গেল… সব শুনে শ্রীনাথ বলে, ‘যেখানে যাই হোক আমাদের মায়ের রাজত্ব ঠিক আছে’। মা হলেন কালীঘাটের মন্দিরের মা। মন্দির আর তার চারপাশই এই আখ্যানের চালিকাশক্তি। উপন্যাসের খুটিনাটি থেকে সময়ের ইতিহাস রচনা করা যায়। নতজানু সেই প্রেক্ষিতে অসাধারণ। মন্দির কমিটিতে ঢুকছে কংগ্রেসি লোকজন। মন্দিরের কত আয়, পার্টি তো ঢুকবেই। সেই পার্টির যুব সংগঠনের নেতা শ্রীনাথেরই পুত্র দেবু। কংগ্রেসি রাজত্ব, ৭২-এর ইন্দিরা কংগ্রেস, ৭৫-এর এমার্জেন্সি, সেই সময়ের কত কাহিনি, সব ভুলে গেছি। মানুষ বিস্মৃতিপ্রবণ, লেখকই সেই হারিয়ে যাওয়া সময়কে উদ্ধার করেন উপন্যাসের পাতায়। হকার্স ইউনিয়ন হাত বদল হয় মৃৎশিল্পী যতনের বড়দার কাছ থেকে। যতনের বড়দা মনে প্রাণে বামপন্থী। সে বামপন্থী পার্টি ছেড়ে দিয়ে বেইমান হয়ে গেল, অথচ না ছাড়লে উপায় ছিল না। তার সংসারের অন্ন বন্ধ হয়ে যেত। হকার বড়দা জায়গাই পেত না ফুটপাথে পশরা নিয়ে বসার। এই রাজনৈতিক দখলদারি তো বন্ধ হয়নি। কিন্তু এই ইতিহাস কেউ লেখেনি। না উপন্যাসে, না সিনেমায়। কোথাও না।

কালীঘাট মন্দির আর পোটোপাড়া ঘিরে আবর্তিত এর কাহিনি, তবুও এই কাহিনি যেন উত্তর দক্ষিণ, দুই কলকাতার চরিত্র ধরে ফেলে বারবার। হকার, মাস্তান, রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠন, দেহোপজীবীনির পাড়া, তাদের জীবনের দৈনন্দিনতা নিয়েই এই উপন্যাসের কাহিনি। আতঙ্ক ধরানো সেই সব দিন রাত্রির কথা ভুলিনি এখনো। জয়ন্ত লিখতে পেরেছে। আর কেউ পেরেছেন কি না সাহিত্যের এমন সত্যের কথা উচ্চারণ করতে, আমার জানা নেই। রাস্তার এপারের ভদ্রপাড়া, রাস্তার ওপারের দেহোপজীবীনিদের খারাপ পাড়া, ভদ্রপাড়া আর খারাপ পাড়ার সীমারেখা, সীমারেখা পেরিয়ে আসা কিশোর কিশোরী, মন্দির, পান্ডা, মন্দির নিয়ে রাজনীতি, ১৯৭২-থেকে যুবশক্তির উত্থান, রাজনৈতিক হত্যা, ক্ষুধা, রক্তপাত, ক্ষুধার্ত বালক বালিকা মিছরি, ফিটন, বেশ্যার কন্যা জুঁই, হালদার পরিবারের মস্তান পুত্ররা, শ্মশান, আদিগঙ্গা, পোটোপাড়া, গঙ্গার ওপার, পুরনো কলকাতার এক প্রাচীন অঞ্চলের পটভূমিতে এই উপন্যাস, সময়কে যেমন ধারণ করেছে, সময় উত্তীর্ণ হয়ে, সময়ের ছায়া থেকে বেরিয়ে সময়কে অতিক্রম করে জীবনের চিরকালীন মহত্বে পৌছেছে বারবার। মুকুটের জেঠা শ্রীনাথ মন্দির পরিচালনা সমিতির প্রধান। ধর্ম পরায়ণ সৎ ব্যক্তি। শ্রীনাথের বড় ছেলে দেবু যুব রাজনীতির আশ্রয়ে থাকা মস্তান, বাবাকে সরিয়ে মন্দির কমিটি দখল করতে চায়। অনেক টাকা সেখানে। তার জন্য সে বাবাকে প্রকাশ্যে নেংটা করে দিতেও পিছু-পা হয় না। হিংস্রতায় মুড়ে যাওয়া জীবনের কথা জয়ন্ত যেভাবে নিয়ে আসতে পারেন তাঁর আখ্যানে, তা বড় সহজ কিছু নয়। সত্য এই। এই সত্যকে এড়িয়ে, ভুলে গিয়ে তুমি নিশ্চিন্ত থাকবে তা হবে না। সত্য পোড়ার ভস্ম তোমাকে ঢেকে দেবে। তুমি জ্বলে পুড়ে যাও। শ্রীনাথের ছেলে দেবু কী না পারে, পার্টির নামে বিধবার দোকান দখল করে নিয়ে নিজ দখল কায়েম করে। তার আর এক ভাই উমা এক দেহোপজীবীনি শশীর বাবু হয়ে থেকে তারই বড় হয়ে ওঠা মেয়ে জুঁইকে বিয়ে করে ঘরে তুলতে চায়। মুকুটের এক বন্ধু আছে রঞ্জাবতী। বড় ঘরের মেয়ে, আদি গঙ্গার ওপারে থাকে। রঞ্জাবতী যেন সকল আলো নিয়ে জন্মান এক কন্যা। সূর্যমুখী ফুল। আর জুঁই বেশ্যার মেয়ে। সকল অন্ধকার তাকে ঘিরে থাকে। রঞ্জাবতী জেনে গেছে তার পরিচয়, সে আর যায় না তার বাড়ি। মুকুট এসেছে জুঁইএর কাছে, রঞ্জাবতীরা বাড়ি নেই, কোথায় গেছে তাকি জানে জুঁই? জুঁই বলে সে যায় না ওদের বাড়ি। সে জেনে গেছে বেশ্যার মেয়ে বেশ্যাই হয়, তার কোনো ভালো বন্ধু হয় না। এ পাড়ার মস্তান পিন্টু যতই বলুক জুঁইকে বিয়ে করবে, তা হয় না। হবে না। জুঁই কি তার অনুচ্চার ভালোবাসা নিয়ে মুকুটের সঙ্গে মেশে? নাকি সে পিন্টুকে শেষ অবধি ভালোই বাসে। এই উপন্যাসে মিছরি এবং জুঁই দুই কিশোরী। মিছরি বেরতে পারে ক্লেদাক্ত অন্ধকার থেকে, জুঁই পারে না। জুঁইকে পিন্টু বলে, ভালোবাসে। জুঁই বিশ্বাস করে, আবার করেও না। জুঁই মুকুটের সামনে উদোম হয়ে মুকুটের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে, সে পরিপূর্ণ বিশ্বাস করে না পিন্টুকে। জানে পিন্টু তাকে বিয়ে করলেও বেশ্যা পাড়ার গলিতে ছেড়ে দিয়ে আসবে একদিন। জুঁই তার মাকে বলবে, নথ ভেঙে লাইনে নামবে। পিন্টুকে দিয়েই নথ ভাঙাবে। পিন্টু তার ভেড়ুয়া হয়ে থাকবে, পিন্টুর কাছে সে পয়সা নেবে না, তবে ওকে বিয়েও করবে না। জুঁই পাগলের মতো হাউহাউ করে কাঁদে, ও পারুল মাসি, এই দ্যাখো মুকুটকে আমি বাবু বানাচ্ছি…। এমন সব অকল্পনীয় অনেক মুহূর্ত আছে এই উপন্যাসে যা বাংলা উপন্যাসে দেখিনি বলতেই হয়। আমাদের এই শহর আমাদের উপন্যাসে নিঃশ্বাস ফেলল কই, শ্বাস নিল কই?

দেখিনিই তো, তথাকথিত খারাপ পাড়া থেকে ভাই বোন মিছরি আর ফিটন মুকুটের জানালার সামনে তার খাবারের ভাগ নেওয়ার জন্য প্রতি সন্ধ্যায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে। অভুক্ত ভাই বোন ওপারের খারাপ পাড়া থেকে এপারে আসে খাদ্যের সন্ধানে। মুকুট এইসব দেখতে দেখতে, এই সব মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে যেতে যেতে বড় হচ্ছে। একটা অঞ্চল তার শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। তার ক্লেদ আর প্রতিমা গড়ার মাটির গন্ধ ভেসে উঠেছে আখ্যানজুড়ে। লেখক যেন পোটোপাড়ার প্রতিমা শিল্পীর মতোই কাঠামো খড় মাটি কল্পনা, ভালবাসা, জীবনের প্রতি মুগ্ধতা নিয়েই নির্মাণ করেছেন এই উপন্যাস-প্রতিমা। নিরূপায় কিছু মানুষের এই কাহিনি চিনিয়ে দিয়েছে সেই চল্লিশ বছর আগের নৈরাজ্যের সময়, আমাদের জানা আর চেনা মূল্যবোধের সঙ্গে সময়ের নৈরাজ্যের ভয়ানক অমিল। পড়তে পড়তে দম বন্ধ হয়ে আসে। মুকুটের দিদি, শ্রীনাথের কন্যা, দুই মস্তানের বোন পুতুল যে উৎকল যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে হারিয়ে যায়, সেই পন্ডাদা তো বিবাহিত পুরুষ। পুতুলের খোঁজ কেউ করে না। আবার খুনে মস্তানের বোন যে তুলতুলকে বিয়ে করে আনে দেবু, তার ভিতরের আগুন যেন শীতার্তের উষ্ণতা। কী ভালো অঙ্ক জানে বউদি। মুকুট সেখানে শ্বাস নিতে পারে। প্রায় ভিখিরি মেয়ে মিছরির সঙ্গে মুকুটের ছিল অনুচ্চারিত ভালবাসা। লেখার গুণে, বিশ্লেষণে দুই কিশোর কিশোরীর সম্পর্ককে সোনার জলে লিখেছেন লেখক। মুকুট এবং মিছরির সম্পর্কে ধীরে ধীরে নির্মাণ করেছেন জয়ন্ত। মিছরি বাস্কেটবল খেলতে রাজ্যদলে সুযোগ পায়। এইটুকুই যা প্রদীপ শিখায় উদ্ভাসিত মুখ। এই মুকুট কিন্তু পথের পাঁচালির অপু নয়, এই বালক হিংস্র এক সময়ে জন্ম নিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাচ্ছে। এমন চরিত্র আমি পাইনি অন্য কোথাও। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলে কোঠার সেপাই উপন্যাসে যেমন ঢাকা শহরকে চেনা যায়, নতজানুতে কলকাতা। আখ্যানে কিছুই মেলে না। কিন্তু চিলেকোঠার সেপাই যেমন পূর্ব পাকিস্তানের সেই সময়কে ধারণ করে ঢাকা শহরকে চেনায়, নতজানুও সেই সময়ের কালোছায়ায় ঢাকা এই শহর, কালো সময়কে ধারণ করা কলকাতা শহরকে চিনিয়েছে। দুই পারের দুই উপন্যাস দুই শহরের আখ্যান, যেমন ছিল অলিভার টুইস্ট লন্ডন শহরের। পুত্রের লোভ আর হিংস্রতার কাছে পরাজিত শ্রীনাথ আত্মহননে যায়। কী ভয়ানক সময় ঘনিয়ে এসেছিল যে সেই বছর ৪৫ আগে। বাংলা উপন্যাস নিয়ে হতাশ পড়ুয়া যাঁরা উচ্চারণ যোগ্য একটিও সমকালীন বাংলা উপন্যাসের নাম খুঁজে পান না, এবং হাড়-হিম করা অলীক আখ্যানে মগ্ন, তাঁরা পড়ুন না পড়ুন, আমাদের এই সময়ে উপন্যাসের মতো দুরূহ শিল্পে নিমগ্ন হয়েছেন যে নবীন উপন্যাসকাররা তাঁদের চিনে নিতে এই বই যথার্থ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *