কফিহাউস – একটি না লেখা বই

কফিহাউসএকটি না লেখা বই

কফিহাউস একবার তুলে দিয়ে শপিং মল না কী করার কথা হয়েছিল। হাত বদল হয়ে হয়ে যে অবাঙালি ব্যবসায়ীর হাতে চলে গিয়েছিল, তিনি কফি হাউস তুলে দিয়ে বস্ত্র বিপনি কিংবা শাড়ির মল করবেন শোনা যাচ্ছিল। পরিবর্তিত হয়ে যাবে ইতিহাসে প্রসিদ্ধ এই অ্যালবার্ট হল। এখানে রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা হয়েছে, সুরেন্দ্রনাথ বক্তৃতা করেছেন। জীবনানন্দের ‘জীবন প্রণালী’ উপন্যাসে অ্যালবার্ট হলের কথা আছে। আমি তখন আজকাল পত্রিকায় একটি লেখা লিখেছিলাম কফি হাউস বাঁচানো নিয়ে, হারিয়ে গেছে সেই লেখা। আমরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রয়াত অগ্রজ লেখক শৈবালদা। ছিলেন অনাথবন্ধু দে ও আরো অনেক অগ্রজ। তাঁরা বহুদিন ধরে কফি হাউসে আসেন। অনাথদা ছিলেন শৈবালদার অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অনাথদা এখনো আসেন। তাঁদের একটি টেবিল আছে জানালার দিকে, কিংবা না পেলে আশে-পাশে। হ্যাঁ, কফি হাউসের গেটে তখন একটি সভা হয়েছিল। সেই সভায় আমি অবক্তা বক্তৃতা করেছিলাম। শেষে বামফ্রন্ট সরকার অধিগ্রহণ করে কফি হাউস বাঁচিয়ে দেন। কফি হাউস ব্যতীত কলকাতা শহর ভাবতেই পারি না। কলকাতার কফি হাউস নিয়ে অন্য রাজ্যের কবি, শিল্পী সাহিত্যিকরা কত কৌতুহলী। ভোপালে ভারত ভবনে শুনেছিলাম, তাঁরা এমন এক আড্ডার জায়গা তৈরি করতে চান, করতে পেরেছেন বলে জানি না। বাংলাদেশের বন্ধুরাও একই কথা বলেন। আমি যা বলছি সব কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস নিয়ে। সেন্ট্রাল এভিনিউ কফি হাউস উঠে গেছে। শ্যামবাজারেও ছিল একটি। উঠে এখন হরলালকার কাপড়ের দোকান। এইটিকে তা করতে চেয়েছিল বেনিয়াবুদ্ধির ক্রেতা। আমরা আটকেছিলাম।

১৯৬৮-সালে আমি স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হয়েছি, তারপরই কিংবা ১৯৬৯ সাল থেকে আমি কফি হাউস যেতে আরম্ভ করি বন্ধুদের সঙ্গে। তখন নক্সালবাড়ির কৃষক বিদ্রোহ হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্সির ছেলেরা ‘সংগ্রামপুর’ (শৈবালদার গল্প) যাত্রা শুরু করেছে। শুনেছিলাম বিপ্লবের মন্ত্র উচ্চারিত হতো কফি হাউসেই। একবার পুলিশ আসার খবর পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে নেমে এসেছিলাম। কফি হাউসের পরিবেশক – কর্মীরাই আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন, কফি হাউসের অনেক স্মৃতি। লিখতে অনেক সময় লাগবে, স্মৃতি বিভ্রমে অনেকজনের কথা বাদ চলে যাবে হয়তো। তবুও লিখি। যতটা পারি লেখার কথা ভাবি, কিন্তু তা তো আনুপূর্বিক হবে না। আগের কথা পরে আসবে, পরের কথা আগে। কফি হাউসের পরিবেশক, কর্মী যাঁরা, তাঁদের অনেকের কথা মনে আছে। নাম মনে পড়ে রামুদা, ওয়াহেদভাই এঁদের। রামুদা মস্ত মানুষ ছিলেন। মোটা গোঁফ ছিল। মুখে হাসি ছিল। আমাদের ভালোবাসতেন। আমরাও রামুদাকে ভালোবাসতাম। আমি তখন চাকরি সূত্রে দীঘায় থাকি। ১৯৮০ সালের কথা। শৈবালদা গ্রীষ্মের ছুটিতে সপরিবারে গেছেন। বিকেলে ঝাউবনের ধারে পশ্চিমমুখী হয়ে নমাজে বসেছিলেন যিনি, শ্বেতশুভ্র দাড়ি, দীর্ঘকায়, তাঁকে দেখে দাঁড়ালেন শৈবালদা। তিনি নমাজ শেষে উঠলে শৈবালদা বললেন, ওয়াহেদভাই, তুমি এখানে? ওয়াহেদভাই ছিলেন কফি হাউসের কর্মী। তাঁকে আমি দেখিনি আগে, মানে কফি হাউসে। অবসরের পর তিনি তাঁর গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। গ্রামের নাম রানিসাই। পূর্ব মেদিনীপুরের ঐ প্রান্তে। ওয়াহেদের সঙ্গে শৈবালদার কত কথা। নির্মল ব্রহ্মচারী, নিমাই ঘোষ, অনাথ বাবু … আরো কারো কারো খোঁজ নিয়েছিলেন ওয়াহেদভাই। সকলেই ছিলেন বিপ্লবী আন্দোলনে শৈবালদার সহযাত্রী। তাঁদের যত পরামর্শ যত পরিকল্পনা ছিল কফি হাউসেই। আমি এসব চোখে দেখিনি। কানে শুনেছি। বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ঘাটি ছিল কফি হাউস। হ্যাঁ, ওয়াহেদভাই আমার কাছে এরপরে এসেছেন অনেক। কফি হাউসের খবর নিতেন, শৈবালদার খবর নিতেন। আমাকে তাঁর বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। রানিসাই গ্রামে ওয়াহেদ ভাইয়ের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজের কথা এ জীবনে ভুলব না। ৩৮ বছর তো হয়েই গেছে।

কফি হাউসে একজন খুব লম্বা মানুষ আসতেন। সামনেই তাঁর টেবল ছিল নির্দিষ্ট। তাঁর বন্ধুরাও আসতেন। মনে পড়ে যায়। তিনি কে আমি জানি না। কিন্তু তাঁকে বেশ মনে আছে। দুপুরে দেখেছি নির্মাল্য আচার্য এক্ষণের গালি প্রুফ নিয়ে বসেছেন। একা। পরে হয়ত যুগান্তর চক্রবর্তী এলেন। সুনীলদা কিংবা শক্তিদাকে আমি কফি হাউসে দেখিনি। কিন্তু সন্দীপনদার সঙ্গে দীর্ঘদিন আড্ডা দিয়েছি আফসার আমেদ, নলিনীকে নিয়ে। সন্দীপনদা তাঁদের হাওড়ার বাড়ির কথা বলতেন। আরো অনেক কথা। তিনি আমার ‘হাঁসপাহাড়ি’ উপন্যাসের এক প্যারাগ্রাফ পড়ে দিনের পর দিন সেই প্যারাগ্রাফ নিয়ে কথা বলতেন। প্রতিক্ষণ শারদীয়তে যোগেন চৌধুরী ছবি এঁকেছিলেন হাঁসপাহাড়ির। তিনি যোগেন চৌধুরীর ছবিগুলি আর উপন্যাসের এক প্যারাগ্রাফ নিয়েই সন্ধে কাটিয়ে দিলেন। বেশ মজাই লেগেছিল। এইসব নিয়েই কফিহাউস। সময়ে সময়ে আড্ডার মানুষ বদলে গেছে। রক্তকরবীর প্রদীপ ভট্টাচার্য, সিদ্ধার্থ ঘোষ, কল্যাণ মাইতি, জয়ন্ত জোয়ারদার, চন্দন ঘোষ এদের সঙ্গে কফি হাউসেই আলাপ। আর ছিলেন চিত্রকর প্রবীর সেন। আমাদের সে ছিল সোনার দিন। কফি হাউসে বসেই প্রদীপ তাঁর অন্বেষা প্রকাশনের বইয়ের পরিকল্পনা করতেন, চন্দন তার পত্রিকার সুচী ঠিক করতেন। কফি হাউস যে কত লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দপ্তর। লেখা নেওয়া আর লেখক কপি বিতরণ সবই এখানে। সিদ্ধার্থ ঘোষ তখন অনুবাদ করতেন। ছোটদের জন্য সায়েন্স ফিকশন লিখতেন। একটা বইয়ের কথা মনে পড়ে, ‘গ্যাবনে বিস্ফোরণ’। পরে সিদ্ধার্থ সুকুমার রায়, উপেন্দ্রকিশোর নিয়ে বড় কাজ করেছিলেন। প্রস্তুতি পর্ব পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা বের করেছিল সুকুমার শতবর্ষে। সে ছিল এক অমূল্য সঞ্চয়ণ। আমি প্রস্তুতিপর্ব পত্রিকায় একটি গল্প লিখেছিলাম, ভারতবর্ষ। সিদ্ধার্থ, কিংবা পুলক চন্দ লিখতে বলেছিলেন। খুব অল্প বয়সে চলে গেছেন এই মেধাবী বন্ধু, যাঁকে পেয়েছিলাম কফি হাউসেই। জ্যাক লন্ডনের গল্প অনুবাদ করেছিলেন সিদ্ধার্থ। শীর্ণকায় কল্যাণ মাইতি ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। অনুবাদ করতেন। তিনিও চলে গেছেন। জয়ন্ত জোয়ারদার নেই, চন্দন ঘোষ নেই। কফি হাউসেই আমার আলাপ এঁদের সঙ্গে। তখন মোবাইল ফোন কেন, ল্যান্ড লাইনও ছিল না কারো ঘরে। আমাদের ঠিকানা ছিল কফি হাউস। কফি হাউসে গেলেই দেখা হবে। কেউ না কেউ আসবে। এইসব কথা গত শতাব্দীর ৮০-র দশকের। আমি কফি হাউস ছাড়িনি। কিন্তু বন্ধুরা ছেড়ে চলে গেছে এ জীবনের মতো। অনেকে যেমন কফি হাউসে আসত, অনেকে আসত না। তুষার চৌধুরী এক দ্বিপ্রহরে আমার সঙ্গে কফি হাউসেই আলাপ করিয়ে দিয়েছিল বাসুদেব দাশগুপ্তর সঙ্গে। প্রায় ঘন্টা দুই স্থায়ী হয়েছিল সেই আলাপ পর্ব। কথোপকথন। বাসুদেবকে নিয়ে আমার কৌতুহল ছিল খুব। তখন রন্ধনশালা পড়া হয়ে গেছে। তুষারই দিয়েছিল বইটি। বাসুদেব আমার কয়েকটি গল্প পড়েছিলেন, তা নিয়ে তাঁর অভিমত দিয়েছিলেন। সে হবে ১৯৭৭-৭৮ সাল। আমার প্রথম বইটি তাঁকে দিয়েছিলাম মনে হয়। অতঃপর তিনি যাত্রা করলেন অশোক নগরের উদ্দেশে। আর দেখা হয়নি। স্কটিশ চার্চ কলেজে যখন পড়ি, সবে কফি হাউস যেতে আরম্ভ করেছি, গিয়ে সিগারেট আর কফি নিয়ে বসেছি বন্ধুদের সঙ্গে, দেখি বড়দা তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বসে আছেন। সিগারেট ফেলে দিয়ে কাঠ হয়ে বসে থাকলাম। দুপুরে গেলে তাঁদের দেখা যেত, ১৯৭০-এর কথা। ১৯৭৫-থেকে প্রভাতদার সঙ্গে সম্পর্ক। প্রভাতদা তেমন যেতেন কফি হাউসে তা মনে পড়ে না। তবে পবিত্র মুখোপাধ্যায় যেতেন। এখনো আসেন মাঝে মাঝে। আমি বাইরে চাকরি করতাম। হাওড়ায় নামলাম হয়তো বিকেলে বা সন্ধেয়। ব্যাগ হাতে কফি হাউসই প্রথম গন্তব্য। বন্ধুরা কারা আছে দেখি। আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরব। একদিন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় আমাকে ব্যাগ সমেত ধরলেন কফি হাউসে। তিনি খুব একটা যেতেন না। সেদিন হয়তো একা লাগছিল, নিঃসঙ্গতার ভিতরে আমাকে পেয়ে নিয়ে গেলেন প্রতাপাদিত্য রোডে। পান ভোজন হলো। পরদিন সকালে বাড়ি ফিরলাম। শ্যামলদা বলেছিলেন, “তোকে ওখানেই পাব ভেবেছিলাম, মিলে গেল।”

শনিবারই কফি হাউসের সেরা আড্ডার দিন। সেদিন দুপুর থেকে মফস্বলবাসী পত্রিকা সম্পাদক, কবি, গদ্যকাররা আসেন। আমিও যাই। বিরাম নেই। এ ছাড়া আমাদের যাওয়ার দিন মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার কখনো কখনো। এখন নলিনী বেরা, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, জয়ন্ত দে, অলোক গোস্বামী, প্রবুদ্ধ মিত্র, নৃপেন চক্রবর্তী, সমীরণ দাসদের নিয়ে আমাদের টেবিল। যেদিন সমীর চট্টোপাধ্যায় কলেজ স্ট্রিটে আসে, কফি হাউসে আসবেই। আমাদের টেবিলে। স্বপ্নময় আসে কম। ভগীরথ মিশ্র খুব কম। তবে সম্প্রতি এসেছিলেন। অন্যদিনে যদি যাই, নিয়মিত বন্ধুরা কেউ না থাকলেও কাউকে কাউকে পেয়ে যাইই। রণজিৎ দাস কিংবা মৃদুল দাশগুপ্ত বা কালীকৃষ্ণ গুহ মশায়। শনিবার সুইনহো স্ট্রিট পত্রিকার তাপস রায় বহুজনকে নিয়ে টেবিল আলো করে বসে থাকেন, সায়ন্তনী ভট্টাচার্য, অনিন্দিতা বসু সান্যাল, শকুন্তলা, দিশা, সৌমিত্র চৌধুরী, কেষ্ট চট্টোপাধ্যায়… আরো কত কবি, সম্পাদক। আমাকে ওদের ওখানেও বসতে হয়। ভালোবাসার ডাক দেয় এমন। একটা সময় সরসিজ বসুর টেবিলে বসতাম। সরসিজ আমাদের পাড়ার ছেলে। আলাপ কফি হাউসেই। সে-ই একমাত্র ব্যক্তি যাকে প্রত্যেক দিন দেখা যায় সন্ধ্যা থেকে টেবিলে অনেককে নিয়ে বসে আছে। সোমক দাস আগে খুব আসত, এখন আসে কম। এলে ওর পত্রিকা পোয়েট্রি নিয়ে আসে। প্রদীপ ভট্টাচার্য আসতেন। জয়া মিত্রর সঙ্গে আমার আলাপ কফি হাউসেই। প্রদীপ তাঁর হন্যমান ছেপেছিলেন তখন। প্রদীপ নেই। গত ২০১৯-এর বইমেলার মাঠে নিজের প্রকাশনীর ভিতরেই ঢলে পড়েই মৃত্যু। সরসিজ সম্প্রতি ‘কফি হাউস সার্কেল’ নামে একটি পত্রিকা বের করেছে ওই টেবিলে বসেই। আমি লিখেছিলাম আমার প্রথম বই নিয়ে। সরসিজ তার ‘বকলম’ পত্রিকার যোগাযোগ কফি হাউসের টেবিলে বসেই করে। কফি হাউসে না গেলে মুরাকামী কিংবা মাহমুদুল হকের বই আদান প্রদান হয় না। শ্যামল না শীর্ষেন্দু এই নিয়ে বা সদ্য পড়া গল্প উপন্যাস নিয়ে তক্কো-বিতক্কো হয় না। এসব না হলে সাহিত্যের আড্ডা হয় কী করে? নলিনী তাঁর উপন্যাস গল্পের বাইরে কবিতা বের করেন ঝুলি থেকে। দিয়ে বলেন, পড়ুন দেখি। হ্যাঁ, একজনের কথা বলতে হবে। পরিতোষবাবু। পুরোন দুষ্প্রাপ্য বইয়ের ঝুলি নিয়ে খড়দহ থেকে তিনি প্রতিদিন আসেন কফি হাউসে। এইটি তাঁর পেশা। কত বছর, কত দিন ধরে তাঁকে দেখছি। পরিতোষ বাবু আমাদের এই শহরের এই কফিবাড়ির মর্যাদা বাড়িয়েছেন।

কফি হাউসে বন্ধুরা সব নানা টেবিলে থাকে। নবীন বন্ধুরা, কনিষ্ক, শাশ্বতী, অনির্বাণরা আলাদা টেবিলে বসে। নবীন প্রজন্ম এসে গেছে। প্রচুর কম বয়সী ছেলে মেয়ে। তাদের দিকে তাকিয়ে দেখি। আমিই যেন টেবিলে টেবিলে বসে বসে এই বয়সে এসে পড়েছি। এক এক টেবিলে এক এক বয়স। বন্ধু বদল হয়ে গেছে। ইচ্ছে করে টেবিল বদল করে ওদের সঙ্গে মিশে যাই। ওদের কথা শুনি। গল্প কবিতা সিনেমা… কী ভাবছে ওরা। দূর থেকে সতৃষ্ণ নয়নে তাকিয়ে থাকি। এমন দিন হয়েছে, একা বসে আছি কোনো টেবিলে, দরজার দিকে তাকিয়ে আছি। কেউ এলে হাত তুলব। শ্যামলদা ঢুকলেন নাকি, সিদ্ধার্থ ঘোষ বা বাসুদেব দাশগুপ্তকে নিয়ে তুষার চৌধুরী? এমন মনে হয়। সত্যি মনে হয়। কফি হাউস হলো স্মৃতিপুঞ্জের আধার। কফি হাউস একটি না লেখা বই। এর ভিতরে কত গল্প, কত ভালোবাসা, নিন্দা, হিংসার জন্ম হয়, মৃত্যু হয়। বইটির পাতা উল্টে দেখি আমি যখন একা বসে থাকি একটি টেবিলে। কালো কফির কাপ সামনে। বাইরে মেঘ করেছে ভীষণ। বৃষ্টি নামল বলে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *